এলিয়েন খুঁজতে হকিংয়ের উদ্যোগ
আগামী
এক দশকের মধ্যে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণী খুঁজে বের করার উদ্যোগ নিয়েছেন
বিশ্বখ্যাত তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। গতকাল সোমবার
বুদ্ধিমান এলিয়েন খুঁজে বের করার জন্য ১০ কোটি মার্কিন ডলারের উদ্যোগটির
ঘোষণা দেন তিনি। খবর এএফপির।
সিলিকন ভ্যালির রাশিয়াভিত্তিক উদ্যোক্তা উইরি মিলনার এই উদ্যোগটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। উদ্যোগটির নাম ‘ব্রেকথ্রু লিসেন’। বুদ্ধিমান এলিয়েন খোঁজার ক্ষেত্রে এযাবৎকালের মধ্যে নেওয়া বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানগুলোর মধ্যে এটিই হবে সবচেয়ে নিবিড় অনুসন্ধান।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রয়্যাল সোসাইটি সায়েন্স একাডেমিতে উদ্যোগটির ঘোষণা অনুষ্ঠানে হকিং বলেন, ‘এই অসীম বিশ্বে, অবশ্যই জীবনের অন্যান্য ঘটনাও ঘটেছে। এই মহাবিশ্বে কোথাও বুদ্ধিমান প্রাণীর দেখা মিলবে। এখন পৃথিবীর বাইরে তাদের খুঁজে বের করার সময়।’
গবেষকেরা বলেন, এলিয়েন খুঁজতে বেতার তরঙ্গ ও লেজার সংকেতের পাশাপাশি এই উদ্যোগটির মাধ্যমে বিশ্বের বড় বড় টেলিস্কোপগুলোকেও কাজে লাগানো হবে।
উদ্যোক্তা মিলনার বলেন, ‘আমরা ব্যাপক অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘ব্রেকথ্রু লিসেন’ উদ্যোগটির মাধ্যমে বুদ্ধিমান প্রাণী খোঁজার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্তরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
মিলনার আরও বলেন, আগে এক বছরে যে পরিমাণ তথ্য স্ক্যান করা সম্ভব হতো এখন তা একদিনেই সম্ভব হবে। মিল্কিওয়ে ছায়াপথে থাকা লাখো নিকটতম নক্ষত্র এবং এর পাশে থাকা আরও শত ছায়াপথে এলিয়েনের সন্ধান চালানো হবে।
এই ছায়াপথের কোথাও উন্নত প্রযুক্তি থেকে যদি সংকেত পাঠানো হয় পৃথিবীর টেলিস্কোপগুলো যে সংকেত শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
অবশ্য মিলনার বলেন, আমাদের চেয়েও উন্নত সভ্যতা গড়ে তুলেছে এমন কথা ভাবার অবকাশ নেই।
বিশাল জুয়া
যুক্তরাজ্যের গবেষক মার্টিন রিজ বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে আগের চেয়ে হয়তো আরও উন্নতভাবে অনুসন্ধান চালানো যাবে তবে বুদ্ধিমান এলিয়েনের আশায় বুক বাধা ঠিক হবে না।
রিজ বলেন, ‘এটা বিশাল এক জুয়া। তবে সাফল্যের সম্ভাবনা যতই অল্প হোক না কেন তবে এর প্রভাব হবে অসামান্য। মিল্কিওয়ে ছায়াপথে কয়েকশ কোটি কোটি পৃথিবী সদৃশ গ্রহ থাকায় এলিয়েন খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েশ কোটি গুণ বেড়ে গেছে।’
গবেষক রিজ বলেন, পৃথিবীর বাইরে কী প্রাণ আছে? এ প্রশ্নটির উত্তর এখন নেই; তবে আমাদের জীবদ্দশায় এ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে পারব আশা করি।
মানুষের চন্দ্রাভিযানের ৪৬ তম বার্ষিকীতে এই উদ্যোগটির ঘোষণা দিলেন হকিং। এর পাশাপাশি ব্রেকথ্রু মেসেজ প্রোজেক্টের ঘোষণাও এসেছে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে।
ব্রেকথ্রু মেসেজের মাধ্যমে মানবতার প্রতিনিধিত্বকারী ডিজিটাল মেসেজ তৈরির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হবে।
সিলিকন ভ্যালির রাশিয়াভিত্তিক উদ্যোক্তা উইরি মিলনার এই উদ্যোগটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। উদ্যোগটির নাম ‘ব্রেকথ্রু লিসেন’। বুদ্ধিমান এলিয়েন খোঁজার ক্ষেত্রে এযাবৎকালের মধ্যে নেওয়া বৈজ্ঞানিক অনুসন্ধানগুলোর মধ্যে এটিই হবে সবচেয়ে নিবিড় অনুসন্ধান।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে রয়্যাল সোসাইটি সায়েন্স একাডেমিতে উদ্যোগটির ঘোষণা অনুষ্ঠানে হকিং বলেন, ‘এই অসীম বিশ্বে, অবশ্যই জীবনের অন্যান্য ঘটনাও ঘটেছে। এই মহাবিশ্বে কোথাও বুদ্ধিমান প্রাণীর দেখা মিলবে। এখন পৃথিবীর বাইরে তাদের খুঁজে বের করার সময়।’
গবেষকেরা বলেন, এলিয়েন খুঁজতে বেতার তরঙ্গ ও লেজার সংকেতের পাশাপাশি এই উদ্যোগটির মাধ্যমে বিশ্বের বড় বড় টেলিস্কোপগুলোকেও কাজে লাগানো হবে।
উদ্যোক্তা মিলনার বলেন, ‘আমরা ব্যাপক অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ‘ব্রেকথ্রু লিসেন’ উদ্যোগটির মাধ্যমে বুদ্ধিমান প্রাণী খোঁজার বিষয়টিকে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্তরে নিয়ে যাওয়া হবে।’
মিলনার আরও বলেন, আগে এক বছরে যে পরিমাণ তথ্য স্ক্যান করা সম্ভব হতো এখন তা একদিনেই সম্ভব হবে। মিল্কিওয়ে ছায়াপথে থাকা লাখো নিকটতম নক্ষত্র এবং এর পাশে থাকা আরও শত ছায়াপথে এলিয়েনের সন্ধান চালানো হবে।
এই ছায়াপথের কোথাও উন্নত প্রযুক্তি থেকে যদি সংকেত পাঠানো হয় পৃথিবীর টেলিস্কোপগুলো যে সংকেত শনাক্ত করতে সক্ষম হবে।
অবশ্য মিলনার বলেন, আমাদের চেয়েও উন্নত সভ্যতা গড়ে তুলেছে এমন কথা ভাবার অবকাশ নেই।
বিশাল জুয়া
যুক্তরাজ্যের গবেষক মার্টিন রিজ বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির কল্যাণে আগের চেয়ে হয়তো আরও উন্নতভাবে অনুসন্ধান চালানো যাবে তবে বুদ্ধিমান এলিয়েনের আশায় বুক বাধা ঠিক হবে না।
রিজ বলেন, ‘এটা বিশাল এক জুয়া। তবে সাফল্যের সম্ভাবনা যতই অল্প হোক না কেন তবে এর প্রভাব হবে অসামান্য। মিল্কিওয়ে ছায়াপথে কয়েকশ কোটি কোটি পৃথিবী সদৃশ গ্রহ থাকায় এলিয়েন খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা কয়েশ কোটি গুণ বেড়ে গেছে।’
গবেষক রিজ বলেন, পৃথিবীর বাইরে কী প্রাণ আছে? এ প্রশ্নটির উত্তর এখন নেই; তবে আমাদের জীবদ্দশায় এ প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যেতে পারব আশা করি।
মানুষের চন্দ্রাভিযানের ৪৬ তম বার্ষিকীতে এই উদ্যোগটির ঘোষণা দিলেন হকিং। এর পাশাপাশি ব্রেকথ্রু মেসেজ প্রোজেক্টের ঘোষণাও এসেছে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে।
ব্রেকথ্রু মেসেজের মাধ্যমে মানবতার প্রতিনিধিত্বকারী ডিজিটাল মেসেজ তৈরির আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হবে।
No comments