বরিশাল সিটি করপোরেশনের ময়লা আর ইজিবাইকের দখলে রাস্তা by সাইফুর রহমান
ঈদের
মাত্র দুই দিন পরের দৃশ্য এটি। দেখে বোঝার উপায় নেই, রাস্তা না ময়লার
ভাগাড়। বরিশাল নগরের নৌবন্দর রাস্তাটি ময়লা-আবর্জনায় ঢেকে গেছে। রাস্তায়
চলাচলে দুর্ভোগের পাশাপাশি উৎকট দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ নগরবাসী।
শুধু এই রাস্তা নয়, নগরের অনেক রাস্তাই এখন ময়লা-আবর্জনার দখলে চলে গেছে। নিয়মিত অপসারণ না করায় অনেকটা বর্জ্যের নগরে পরিণত হয়েছে বরিশাল।
এ তো গেল ময়লা-আবর্জনার ভোগান্তি। রাস্তায় যত্রতত্র ইজিবাইক পার্কিংয়েও ত্যক্ত-বিরক্ত নগরবাসী। এই দুই কারণে রাস্তার প্রশস্ততা কমে গিয়ে যেখানে-সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দিনে দিনে এই দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দিনের বেলা নগরের অধিকাংশ রাস্তার ওপর জমা থাকে ময়লা-আবর্জনা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নৌবন্দর এলাকার। সেখানে ময়লার স্তূপ অর্ধেক রাস্তাজুড়ে। বাকি অংশ দখল করে আছে ইজিবাইক। ফলে এই রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। দিনরাত সব সময় গাড়ির জট দেখা যায় সেখানে।
এ ছাড়া হাসপাতাল রোড, অমৃত লাল দে কলেজ, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, কালীবাড়ি রোড, বিএম স্কুল, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, বটতলা, ব্রজমোহন কলেজ, শীতলাখোলা, নতুন বাজার, বাংলাবাজার, আমতলা ও নবগ্রাম রোডের অবস্থাও খারাপ। এসব এলাকার রাস্তায় প্রায় সর্বক্ষণ ময়লা পড়ে থাকে।
ইজিবাইক নিয়ে সমস্যার কথা বললেই সবার আগে নগরের চৌমাথা-নথুল্লাবাদ, রূপাতলী, সদর রোড-জেলখানার মোড়, বাসস্ট্যান্ড, নৌবন্দর, নগর ভবন ও ফজলুল হক অ্যাভিনিউর নাম চলে আসবে। এসব এলাকায় বেপরোয়াভাবে ইজিবাইক রাখা হয়। ফলে যানজট লেগেই থাকে।
নগরবাসীর অভিযোগ, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে নগর অপরিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সব সময় সড়কের ওপর ময়লা পড়ে থাকে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের নজরদারি নেই বললেই চলে।
বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, নগরবাসীর দুর্ভোগ নিয়ে দায়িত্বশীলদের মাথাব্যথা নেই। তাঁরা আত্মসেবায় মগ্ন। কাজ করার সদিচ্ছা থাকলে নগরে এভাবে ময়লা-আবর্জনা জমতে পারে না। সিটি করপোরেশন একটা হ-য-ব-র–ল অবস্থার মধ্যে চলছে।
বরিশাল নগর সৌন্দর্যরক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেনের অভিযোগ, নগরে অবৈধ যান বেড়ে গেছে। এর সঠিক পরিসংখ্যান সিটি করপোরেশনে নেই। তা ছাড়া তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আগে সূর্য ওঠার আগে আবর্জনা অপসারণ করা হতো। বর্তমানে সেভাবে ময়লা অপসারণ হচ্ছে না। যেটুকু হচ্ছে তা দিনের বেলায় হওয়ায় নাগরিকেরা সমস্যায় পড়েছেন।’
জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কে ময়লা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের দ্রুত ময়লা-আবর্জনা অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পোর্ট রোড এলাকার ময়লা ও ইজিবাইক নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নৌবন্দর এলাকার হোটেল ও কাঁচামালের ব্যবসায়ীরা সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। সকালে পরিচ্ছন্ন করা হলেও মুহূর্তে আবার ভরে যাচ্ছে। এর সঙ্গে বেপরোয়াভাবে ইজিবাইক রাখায় ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
যত্রতত্র ইজিবাইক পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মেয়র জানান।
শুধু এই রাস্তা নয়, নগরের অনেক রাস্তাই এখন ময়লা-আবর্জনার দখলে চলে গেছে। নিয়মিত অপসারণ না করায় অনেকটা বর্জ্যের নগরে পরিণত হয়েছে বরিশাল।
এ তো গেল ময়লা-আবর্জনার ভোগান্তি। রাস্তায় যত্রতত্র ইজিবাইক পার্কিংয়েও ত্যক্ত-বিরক্ত নগরবাসী। এই দুই কারণে রাস্তার প্রশস্ততা কমে গিয়ে যেখানে-সেখানে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। দিনে দিনে এই দুর্ভোগ বেড়ে চলেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, দিনের বেলা নগরের অধিকাংশ রাস্তার ওপর জমা থাকে ময়লা-আবর্জনা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা নৌবন্দর এলাকার। সেখানে ময়লার স্তূপ অর্ধেক রাস্তাজুড়ে। বাকি অংশ দখল করে আছে ইজিবাইক। ফলে এই রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। দিনরাত সব সময় গাড়ির জট দেখা যায় সেখানে।
এ ছাড়া হাসপাতাল রোড, অমৃত লাল দে কলেজ, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, কালীবাড়ি রোড, বিএম স্কুল, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, বটতলা, ব্রজমোহন কলেজ, শীতলাখোলা, নতুন বাজার, বাংলাবাজার, আমতলা ও নবগ্রাম রোডের অবস্থাও খারাপ। এসব এলাকার রাস্তায় প্রায় সর্বক্ষণ ময়লা পড়ে থাকে।
ইজিবাইক নিয়ে সমস্যার কথা বললেই সবার আগে নগরের চৌমাথা-নথুল্লাবাদ, রূপাতলী, সদর রোড-জেলখানার মোড়, বাসস্ট্যান্ড, নৌবন্দর, নগর ভবন ও ফজলুল হক অ্যাভিনিউর নাম চলে আসবে। এসব এলাকায় বেপরোয়াভাবে ইজিবাইক রাখা হয়। ফলে যানজট লেগেই থাকে।
নগরবাসীর অভিযোগ, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে নগর অপরিচ্ছন্ন হয়ে গেছে। সব সময় সড়কের ওপর ময়লা পড়ে থাকে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের নজরদারি নেই বললেই চলে।
বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, নগরবাসীর দুর্ভোগ নিয়ে দায়িত্বশীলদের মাথাব্যথা নেই। তাঁরা আত্মসেবায় মগ্ন। কাজ করার সদিচ্ছা থাকলে নগরে এভাবে ময়লা-আবর্জনা জমতে পারে না। সিটি করপোরেশন একটা হ-য-ব-র–ল অবস্থার মধ্যে চলছে।
বরিশাল নগর সৌন্দর্যরক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেনের অভিযোগ, নগরে অবৈধ যান বেড়ে গেছে। এর সঠিক পরিসংখ্যান সিটি করপোরেশনে নেই। তা ছাড়া তারা কোনো আইনগত ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আগে সূর্য ওঠার আগে আবর্জনা অপসারণ করা হতো। বর্তমানে সেভাবে ময়লা অপসারণ হচ্ছে না। যেটুকু হচ্ছে তা দিনের বেলায় হওয়ায় নাগরিকেরা সমস্যায় পড়েছেন।’
জানতে চাইলে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কে ময়লা বেশি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাঁদের দ্রুত ময়লা-আবর্জনা অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পোর্ট রোড এলাকার ময়লা ও ইজিবাইক নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, নৌবন্দর এলাকার হোটেল ও কাঁচামালের ব্যবসায়ীরা সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলছেন। সকালে পরিচ্ছন্ন করা হলেও মুহূর্তে আবার ভরে যাচ্ছে। এর সঙ্গে বেপরোয়াভাবে ইজিবাইক রাখায় ওই এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
যত্রতত্র ইজিবাইক পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মেয়র জানান।
ময়লা–আবর্জনায় দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে নগর। ছবিটি বরিশাল নগরের লঞ্চঘাট–পোর্ট রোড সড়ক থেকে মঙ্গলবার দুপুরে তোলা l প্রথম আলো |
No comments