ভেঙে পড়া সেতুটি তিন মাসেও মেরামত হয়নি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় নির্মাণের ২০ দিনের মাথায় ভেঙে পড়ে সেতু। তিন মাসেও সেটি মেরামত করা হয়নি l প্রথম আলো |
নির্মাণকাজ
শেষ হওয়ার প্রায় ২০ দিনের মাথায় নাটোরের গুরুদাসপুরে একটি সেতুর একাংশ
ভেঙে পড়েছে। এরপর তিন মাস পার হলেও সেতুটি এখনো মেরামত করা হয়নি।
উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের চলনবিলের বিলশা এলাকায় এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করায় তা ভেঙে পড়ে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের টাকাও তুলে ফেলেছে।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার দেখা যায়, বিলের মধ্য দিয়ে সড়ক নির্মাণের জন্য মাটি ফেলা হচ্ছে। জলাধারের মধ্যে একটি ভাঙা সেতু দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেতুর পশ্চিমাংশের একটি প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে পড়েছে। এ ভাঙা সেতুর ওপরের অংশ রং করা।
স্থানীয় ১০ জন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, চিকন রড আর নিম্নমানের পাথর দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সিমেন্টের ব্যবহারও কম করেছেন ঠিকাদার। এ কারণে নির্মাণ শুরুর পর থেকে দুই দফা ফাটল ধরে সেতুটিতে। পরে ফাটল অংশে সিমেন্টের প্রলেপ মেখে তা বন্ধ করা হয়। ঢালাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পরই শাটার খুলে দেওয়া হয়। এ কারণে ঢালাই জমাট বাঁধেনি।
স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, অন্য একটি প্রতিষ্ঠান সেতু বানানোর কাজ পেলেও চুক্তিতে (সাব-কন্ট্রাক্টে) সিংড়ার সিদ্দিক হোসেন নামের একজন রাজমিস্ত্রি শ্রমিক সেতুটির কাজ করেছেন। সহঠিকাদার এ কাজে নানা অনিয়ম করেছেন। তাই কাজ শেষ হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই নতুন সেতুটির প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে পড়ে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৩ ফুট লম্বা ও ১৪ ফুট চওড়া সেতুটির নির্মাণ ব্যয় সাড়ে ২২ লাখ টাকা। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এর অর্থায়নে সহায়তা করে। নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পূর্বাচল ট্রেডিংকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৩০ মে সেতুর কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে তার প্রায় এক মাস আগেই (এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে) সেতুর কাজ শেষ করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। কিন্তু পরে জানা যায়, ১৮ মে দুপুরের দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
এ ব্যাপারে পূর্বাচল প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ঠিকাদার নয়ন ইসলাম বলেন, সেতু নির্মাণে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ফেলার সময় মাটি কাটা যন্ত্রের আঘাতে সেতুর একটি অংশ ভেঙে গেছে। এ সড়কটি খুবজীপুর ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম নির্মাণ করছেন।
তবে চেয়ারম্যান ঠিকাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কারণেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে।
সাব-ঠিকাদার সিদ্দিুকুর রহমান বলেন, তিনি সাব-কন্ট্রাক্ট নিলেও ঠিকাদারের নির্দেশমতো সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছেন। তিনি ভেঙে পড়া অংশটি মেরামত করে দেবেন।
এ ব্যাপারে সাবেক পিআইও (বর্তমানে হবিগঞ্জে কর্মরত) আলী আকবর মুঠোফোনে বলেন, চেয়ারম্যানের মাটি কাটার যন্ত্রের আঘাতে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। এ কারণে ঠিকাদারের জামানতের টাকা আটকে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. ইয়াসমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়নের বিলশাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের চলনবিলের বিলশা এলাকায় এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করায় তা ভেঙে পড়ে। এদিকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের টাকাও তুলে ফেলেছে।
সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার দেখা যায়, বিলের মধ্য দিয়ে সড়ক নির্মাণের জন্য মাটি ফেলা হচ্ছে। জলাধারের মধ্যে একটি ভাঙা সেতু দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেতুর পশ্চিমাংশের একটি প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে পড়েছে। এ ভাঙা সেতুর ওপরের অংশ রং করা।
স্থানীয় ১০ জন বাসিন্দা অভিযোগ করেন, চিকন রড আর নিম্নমানের পাথর দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সিমেন্টের ব্যবহারও কম করেছেন ঠিকাদার। এ কারণে নির্মাণ শুরুর পর থেকে দুই দফা ফাটল ধরে সেতুটিতে। পরে ফাটল অংশে সিমেন্টের প্রলেপ মেখে তা বন্ধ করা হয়। ঢালাইয়ের কাজ শেষ হওয়ার ১০ ঘণ্টা পরই শাটার খুলে দেওয়া হয়। এ কারণে ঢালাই জমাট বাঁধেনি।
স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, অন্য একটি প্রতিষ্ঠান সেতু বানানোর কাজ পেলেও চুক্তিতে (সাব-কন্ট্রাক্টে) সিংড়ার সিদ্দিক হোসেন নামের একজন রাজমিস্ত্রি শ্রমিক সেতুটির কাজ করেছেন। সহঠিকাদার এ কাজে নানা অনিয়ম করেছেন। তাই কাজ শেষ হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই নতুন সেতুটির প্রতিরক্ষা দেয়াল ভেঙে পড়ে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩৩ ফুট লম্বা ও ১৪ ফুট চওড়া সেতুটির নির্মাণ ব্যয় সাড়ে ২২ লাখ টাকা। ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এর অর্থায়নে সহায়তা করে। নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পূর্বাচল ট্রেডিংকে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি সেতু নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ৩০ মে সেতুর কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে তার প্রায় এক মাস আগেই (এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে) সেতুর কাজ শেষ করে সমুদয় টাকা উত্তোলন করেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। কিন্তু পরে জানা যায়, ১৮ মে দুপুরের দিকে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
এ ব্যাপারে পূর্বাচল প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ঠিকাদার নয়ন ইসলাম বলেন, সেতু নির্মাণে কোনো অনিয়ম করা হয়নি। সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ফেলার সময় মাটি কাটা যন্ত্রের আঘাতে সেতুর একটি অংশ ভেঙে গেছে। এ সড়কটি খুবজীপুর ইউপির চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম নির্মাণ করছেন।
তবে চেয়ারম্যান ঠিকাদারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কারণেই সেতুটি ভেঙে পড়েছে।
সাব-ঠিকাদার সিদ্দিুকুর রহমান বলেন, তিনি সাব-কন্ট্রাক্ট নিলেও ঠিকাদারের নির্দেশমতো সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করেছেন। তিনি ভেঙে পড়া অংশটি মেরামত করে দেবেন।
এ ব্যাপারে সাবেক পিআইও (বর্তমানে হবিগঞ্জে কর্মরত) আলী আকবর মুঠোফোনে বলেন, চেয়ারম্যানের মাটি কাটার যন্ত্রের আঘাতে সেতুর একটি অংশ ভেঙে পড়েছে। এ কারণে ঠিকাদারের জামানতের টাকা আটকে রাখা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. ইয়াসমিন আক্তার বলেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
No comments