বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অনেক, বাধা দুর্নীতি -যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিবেদন
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতিবেদন। ছবি: যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া। |
যুক্তরাজ্য
মনে করে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে
দুর্নীতিকে বড় বাধা হিসেবে দেখছে। ‘ডুয়িং বিজনেস ইন বাংলাদেশ: বাংলাদেশ
ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট’ শীর্ষক সরকারি এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় এই প্রতিবেদনটি। এটি তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ সম্পর্কে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের ধারণা ও পরামর্শ দিতে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা, স্থিতিশীল ক্রেডিট রেটিং এবং প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজার রয়েছে। এর ফলে দেশটিতে বিনিয়োগের ভালো সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ কার্যক্রম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে এ খাতগুলোতে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা উল্লেখ করা হয়।
তবে প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘স্পিড মানি’কে (অনানুষ্ঠানিক অর্থ প্রদান বা ঘুষ) বড় ধরনের বাধা বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্নীতি নিত্যদিনের সমস্যা। দেশটির রাজনীতিবিদ, আমলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রায়ই ক্ষমতার অপব্যবহার করে। এ ছাড়া স্বচ্ছতার অভাব এবং আমলাতন্ত্রের বাড়াবাড়ি রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য যেকোনো অবস্থায় ঘুষ লেনদেন যে যুক্তরাজ্যের আইনে অপরাধ-এ বিষয়টিও প্রতিবেদনে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের বাজারকে মূল্য সংবেদনশীল উল্লেখ করে একে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের তালিকায় রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও ভারত থেকে আসা স্বল্পদামের পণ্য অনেক সময় বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব বিস্তার করে।
এতে পণ্যের গুণগত মান, স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়, প্রশিক্ষণ এবং বিক্রয়োত্তর সেবার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোকে ব্যবসার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার প্রচলন, মাত্র ১১ দিনে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরিকল্পনাকে—বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হয়।
ওই প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের কৃষ্টি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারও প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত আঘাত এড়াতে ব্রিটিশ নারীরা যাতে বাংলাদেশে ভ্রমণের সময় হাত-পা ঢাকা পোশাক পরিধান এবং আঁটসাঁট পোশাক পরিহার করেন। এ ছাড়া ব্যবসায়িক বৈঠকগুলোতে মোবাইল ফোন কল কিংবা কর্মকর্তাদের হাঁটাহাঁটি ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কেননা, বিষয়টি সেখানকার স্বাভাবিক রীতি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া দেশটিতে কারও ফোন কলের দ্রুত জবাব না দেওয়া অভদ্র আচরণ হিসেবে বিবেচিত হয় বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় এই প্রতিবেদনটি। এটি তৈরি করা হয়েছে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ সম্পর্কে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের ধারণা ও পরামর্শ দিতে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা, স্থিতিশীল ক্রেডিট রেটিং এবং প্রতিযোগিতামূলক শ্রমবাজার রয়েছে। এর ফলে দেশটিতে বিনিয়োগের ভালো সম্ভাবনা আছে। এ ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন রোধ কার্যক্রম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাকে সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এর কারণ হিসেবে এ খাতগুলোতে ভবিষ্যৎ চাহিদার কথা উল্লেখ করা হয়।
তবে প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের জন্য ‘স্পিড মানি’কে (অনানুষ্ঠানিক অর্থ প্রদান বা ঘুষ) বড় ধরনের বাধা বলে উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে দুর্নীতি নিত্যদিনের সমস্যা। দেশটির রাজনীতিবিদ, আমলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রায়ই ক্ষমতার অপব্যবহার করে। এ ছাড়া স্বচ্ছতার অভাব এবং আমলাতন্ত্রের বাড়াবাড়ি রয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর জন্য যেকোনো অবস্থায় ঘুষ লেনদেন যে যুক্তরাজ্যের আইনে অপরাধ-এ বিষয়টিও প্রতিবেদনে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশের বাজারকে মূল্য সংবেদনশীল উল্লেখ করে একে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের তালিকায় রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, চীন ও ভারত থেকে আসা স্বল্পদামের পণ্য অনেক সময় বাংলাদেশের বাজারে প্রভাব বিস্তার করে।
এতে পণ্যের গুণগত মান, স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়, প্রশিক্ষণ এবং বিক্রয়োত্তর সেবার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোকে ব্যবসার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশে ব্যবসার ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষার প্রচলন, মাত্র ১১ দিনে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ এবং ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার পরিকল্পনাকে—বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরা হয়।
ওই প্রতিবেদনে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের কৃষ্টি সম্পর্কেও সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারও প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত আঘাত এড়াতে ব্রিটিশ নারীরা যাতে বাংলাদেশে ভ্রমণের সময় হাত-পা ঢাকা পোশাক পরিধান এবং আঁটসাঁট পোশাক পরিহার করেন। এ ছাড়া ব্যবসায়িক বৈঠকগুলোতে মোবাইল ফোন কল কিংবা কর্মকর্তাদের হাঁটাহাঁটি ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কেননা, বিষয়টি সেখানকার স্বাভাবিক রীতি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তা ছাড়া দেশটিতে কারও ফোন কলের দ্রুত জবাব না দেওয়া অভদ্র আচরণ হিসেবে বিবেচিত হয় বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
No comments