ভাঙনে বিলীন হচ্ছে শালবন
ঠাকুরগাঁও
জেলার পীরগঞ্জ বন বিট কার্যালয়-সংলগ্ন থুমনিয়া শালবনটি টাঙ্গন নদে ক্রমে
বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ায় ১৫-১৬ বছর ধরে
এ অবস্থা চলছে। বনের পশ্চিম দিক থেকে প্রায় এক হাজার ফুট অংশ এরই মধ্যে
নদে চলে গেছে। এবারের বর্ষায়ও লম্বাভাবে বনের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা
ভেতরের দিকে ১৩-১৪ ফুট নদীতে বিলীন হয়েছে।
শালবনসংলগ্ন এলাকা ভবানীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী, ফুটকীবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ মুসা আলী, বাজারদেহা গ্রামের ইসাহাক আলী, পারভবানীপুর গ্রামের মকসেদ আলীসহ অন্যরা বলেন, এর আগে শালবাগান ধ্বংস হচ্ছিল দখলদারদের অত্যাচারে আর বেপরোয়াভাবে শালগাছ চুরির কারণে। তখন শালবাগনকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ একটি কাঠ পাচারকারী চক্র প্রচণ্ড সক্রিয় ছিল। তারা বন থেকে মূল্যবান গাছ কেটে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করত। এ কাঠ পাচারকে কেন্দ্র করে শালবাগানের আশপাশে গড়ে উঠেছিল বেশ কিছু করাতকল। এখন অবশ্য শালগাছ চোরের অপতৎপরতা কমেছে। কিন্তু এখন নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে বনটা। কেউ বনটা রক্ষায় এগিয়ে আসছে না। ভাঙনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই শালবনটির বিশাল একটি অংশ নদীতে বিলীন হবে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা।
ভবানীপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ১৭ জুলাই বলেন, ১৫-১৬ বছর আগে টাঙ্গন নদ শালবনের ১০০০ থেকে ১২০০ ফুট পশ্চিমে ভবানীপুর গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। এখন নদীর জলপ্রবাহ বাগানের ভেতরে চলে এসেছে। ওই ১০০০-১২০০ ফুট জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন বন্ধ না করা গেলে অচিরেই শালবাগানের পশ্চিম পাশ নদীতে বিলীন হবে।
দিনাজপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ও বোঁচাগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর, থুমনিয়া, ফুটকীবাড়ি ও কংসরা মৌজার ৫০৭ একর জায়গায় থুমনিয়া সংরক্ষিত শালবন। ওই শালবনের সঙ্গে রয়েছে দিনাজপুর বন বিভাগের পীরগঞ্জ বিট কার্যালয়। এ বিটের আওতায় পীরগঞ্জ, বোঁচাগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলার প্রায় এক হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি।
পীরগঞ্জ বন বিট কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, গত দুই মাসে শালবাগানের প্রায় আধা কিলোমিটার অংশ ভেতরের দিকে ১৩ থেকে ১৪ ফুট নদীতে বিলীন হয়েছে। এ সময় সাতটি মাঝারি শালগাছ উপড়ে পড়ে। এর মধ্যে তিনটি চুরি হয়। বাকি চারটি জব্দ করে বিট কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শালবাগানটি ভাঙন থেকে রক্ষা করে টাঙ্গন নদের গতিপথ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ভবানীপুর এলাকায় কমপক্ষে ৪০০ ফুট আরসিসি ব্লক বসিয়ে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘পীরগঞ্জের থুমনিয়া শালবনের ভাঙনের বিষয়টি গত এপ্রিল মাসে ঠাকুরগাঁও জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে। সভায় এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউব) এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কাউকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।’
রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এবং অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, নদীভাঙন থেকে শালবাগান রক্ষার বিষয়টি বন বিভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা পাউবোরও বিষয়। থুমনিয়া শালবাগানের নদীভাঙনের বিষয়টি সরেজমিনে যাচাই এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শালবনসংলগ্ন এলাকা ভবানীপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী, ফুটকীবাড়ি গ্রামের মোহাম্মদ মুসা আলী, বাজারদেহা গ্রামের ইসাহাক আলী, পারভবানীপুর গ্রামের মকসেদ আলীসহ অন্যরা বলেন, এর আগে শালবাগান ধ্বংস হচ্ছিল দখলদারদের অত্যাচারে আর বেপরোয়াভাবে শালগাছ চুরির কারণে। তখন শালবাগনকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ একটি কাঠ পাচারকারী চক্র প্রচণ্ড সক্রিয় ছিল। তারা বন থেকে মূল্যবান গাছ কেটে রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন জায়গায় পাচার করত। এ কাঠ পাচারকে কেন্দ্র করে শালবাগানের আশপাশে গড়ে উঠেছিল বেশ কিছু করাতকল। এখন অবশ্য শালগাছ চোরের অপতৎপরতা কমেছে। কিন্তু এখন নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে বনটা। কেউ বনটা রক্ষায় এগিয়ে আসছে না। ভাঙনের এ ধারা অব্যাহত থাকলে অচিরেই শালবনটির বিশাল একটি অংশ নদীতে বিলীন হবে বলে এলাকাবাসীর আশঙ্কা।
ভবানীপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ১৭ জুলাই বলেন, ১৫-১৬ বছর আগে টাঙ্গন নদ শালবনের ১০০০ থেকে ১২০০ ফুট পশ্চিমে ভবানীপুর গ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতো। এখন নদীর জলপ্রবাহ বাগানের ভেতরে চলে এসেছে। ওই ১০০০-১২০০ ফুট জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙন বন্ধ না করা গেলে অচিরেই শালবাগানের পশ্চিম পাশ নদীতে বিলীন হবে।
দিনাজপুর বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ ও বোঁচাগঞ্জ উপজেলার ভবানীপুর, থুমনিয়া, ফুটকীবাড়ি ও কংসরা মৌজার ৫০৭ একর জায়গায় থুমনিয়া সংরক্ষিত শালবন। ওই শালবনের সঙ্গে রয়েছে দিনাজপুর বন বিভাগের পীরগঞ্জ বিট কার্যালয়। এ বিটের আওতায় পীরগঞ্জ, বোঁচাগঞ্জ ও রাণীশংকৈল উপজেলার প্রায় এক হাজার একর সংরক্ষিত বনভূমি।
পীরগঞ্জ বন বিট কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম জানান, গত দুই মাসে শালবাগানের প্রায় আধা কিলোমিটার অংশ ভেতরের দিকে ১৩ থেকে ১৪ ফুট নদীতে বিলীন হয়েছে। এ সময় সাতটি মাঝারি শালগাছ উপড়ে পড়ে। এর মধ্যে তিনটি চুরি হয়। বাকি চারটি জব্দ করে বিট কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শালবাগানটি ভাঙন থেকে রক্ষা করে টাঙ্গন নদের গতিপথ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ভবানীপুর এলাকায় কমপক্ষে ৪০০ ফুট আরসিসি ব্লক বসিয়ে বাঁধ নির্মাণ করতে হবে।
পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘পীরগঞ্জের থুমনিয়া শালবনের ভাঙনের বিষয়টি গত এপ্রিল মাসে ঠাকুরগাঁও জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উত্থাপন করা হয়েছে। সভায় এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউব) এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কাউকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।’
রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এবং অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত দিনাজপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম বলেন, নদীভাঙন থেকে শালবাগান রক্ষার বিষয়টি বন বিভাগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা পাউবোরও বিষয়। থুমনিয়া শালবাগানের নদীভাঙনের বিষয়টি সরেজমিনে যাচাই এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments