চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেনঃ শিক্ষার্থীদের আনন্দ-বেদনার প্রতিচ্ছবি by আবদুস সামাদ
চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয় ও শাটল ট্রেন নাম দুটি যেন একসূত্রে গাঁথা। দুটি শাটল ট্রেন
যেন অবিরাম শহর আর বিশ্ববিদ্যালয় ছোটাছুটি করতে থাকে। এ ট্রেনকে ঘিরেই
রচিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যতসব আনন্দ-বেদনা, হাসি-কান্নার
ইতিবৃত্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশেষ কিছু’ হিসেবে অনন্য এক বিশেষত্বের
দাবিদার এ ট্রেন। তাই অনেকে এ শাটল ট্রেনকে চলন্ত চবিও বলে থাকে। একটু
পেছন ফিরলে দেখা যায় ১৯৮১ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চলাকালীন ছাত্রছাত্রীদের
নিত্যসঙ্গী হিসেবে চির পরিচিত ভেঁপু বাজিয়ে ছুটে চলছে শাটল ট্রেন। প্রতিদিন
সকালে শাটল ট্রেনের হুইসেলের শব্দে জেগে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এর
পর শুরু হয় বিরামহীন ব্যস্ততার পালা। শাটল ট্রেনের মাধ্যমেই গড়ে উঠে চবির
শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ভিত। ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীই যেন
পেশাদার শিল্পী। প্রতিদিন ক্যাম্পাসে আসা যাওয়ার পথে গানে গানে মাতিয়ে রাখে
মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। সময়ের জনপ্রিয় ও কালোত্তীর্ণ গানের চর্চার সঙ্গে
সঙ্গে বিভিন্ন গানের প্যারোডিতেও দক্ষ শাটলের হেড়ে গলার শিল্পীরা। প্রতিটি
বগিতে গান গেয়ে মাতিয়ে রাখার জন্য রয়েছে বগিভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপের
সদস্যরা।
সময়ের কাছে হার মেনে যায় শাটলের গতি: শাটল ট্রেনের ধীরগতি নিয়ে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট প্রায় সবার মুখে মুখে। মাত্র পঁচিশ-ত্রিশ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় একঘণ্টা। চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত ট্রেনের রাস্তাটি মাত্র ২৫-৩০ মিনিটের হলেও কখনও কখনও তা প্রায় এক ঘণ্টার হয়ে দাঁড়ায়। রাস্তায় পর্যাপ্ত পাথর না থাকায় ট্রেনের গতি পঁয়ত্রিশ কিলোমিটারের বেশি বাড়ানো যায় না। আবার কয়েকটি জায়গায় রাস্তার সমস্যা থাকায় খুব ধীরগতিতে ট্রেন চালাতে হয়। যার কারণে ট্রেনে করে ক্যাম্পাস ও শহরে আসা-যাওয়ায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ব্যয় করতে হয় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। রাস্তার সংস্কার করে ট্রেনের গতি বাড়ানো হলে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় বেঁচে যাবে।
শাটলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বগিভিত্তিক গ্রুপ: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এ শাটল ট্রেনের প্রতিটি বগিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছাত্রলীগের একেকটি গ্রুপ। বর্তমানে চবি ছাত্রলীগের ১৩টি গ্রুপ রয়েছে শাটলকে ঘিরে। প্রতিটি বগিতে গান গেয়ে মাতিয়ে রাখার জন্য রয়েছে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা। বগির ভেতরের দুই প্রান্তে দলবেঁধে গান করে গ্রুপের সদস্যরা। গানের তালে তালে সবাই নিমিষেই পৌঁছে যায় গন্তব্যে। সকালে গানে গানে সতেজ হয়ে শুরু হয় ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস আর বিকালে কর্মক্লান্ত দেহে বাসায় ফিরার সময়ও শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করে তুলে শাটল ট্রেনের গানের সুর। গ্রুপের নামগুলোও বেশ মজার উলকা, একাকার, খাইট্টা খা, সিক্সটি নাইন, ভিএক্স, সিএফসি, বাংলার মুখ, বিজয়, ককপিট, কনকর্ড...ইত্যাদি। ব্যতিক্রমী সব গান গেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি দুর্নামেরও অভাব নেই এ গ্রুপগুলোর। এক গ্রুপের সদস্যের সঙ্গে অন্য গ্রুপের সদস্যদের নিয়মিত বিরতিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও মারামারি, সিট দখল করে রাখা, ছাত্রীদের টিজ করা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে নাজেহাল করা এরকম নানা অভিযোগের তীর তাদের দিকে।
আতঙ্কের নাম শাটল ট্রেন: চিরচেনা সেই শাটল ট্রেন আর তার ভেঁপু শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যরকম এক আনন্দের আবহ নিয়ে আসলেও এটি কখনও কখনও হয়ে উঠে আতঙ্কের নাম। চবির ইতিহাসে যে কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ও ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এর উল্লেখযোগ্যই ঘটেছে শাটল ট্রেনকে কেন্দ্র করে। ২০০৬ সালে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে প্রাণ হারান বাংলা বিভাগের ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তারপর ২০০৮ সালে ষোলশহর রেলস্টেশনে শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করেন একাউন্টিং বিভাগের এক ছাত্র। এছাড়া ২০১০ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রাতে টিউশনি শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ষোলশহর রেলস্টেশনে শাটল ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় মুখে কাপড় বাঁধা যুবকদের হামলায় নিহত হন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মহিউদ্দিন মাসুম। এ ঘটনার দেড় মাসের মাথায় ২৮শে মার্চ রাতে শাটল ট্রেনে করে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয় রেললাইনের বড়দীঘিরপাড় নামক স্থানে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করে মার্কেটিং তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হারানুর রশীদ কায়সারকে। এর মাত্র ১৫ দিন পর ১৫ই এপ্রিল রাতে চবি রেলস্টেশনে বসে আড্ডা দেয়ার সময় সন্ত্রাসীরা দা ছুরি দিয়ে হামলা করে মারাত্মক আহত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আসাদুজ্জামানকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শাটল ট্রেনকেন্দ্রিক এভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর বেশকিছু দিন ধরে শাটল ট্রেন ছিল আতঙ্কের নাম।
আন্দোলনকারীদের হাতিয়ার: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন শুধু ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের বাহনই নয় এটি আন্দোলনকারীদের হাতিয়ারও হয়ে উঠে প্রায়ই। দাবি দাওয়া আদায়ে অবরোধ বা ক্যাম্পাস অচল করে দেয়ার কোন কর্মসূচি ছাত্র সংগঠনগুলোর থাকলে প্রথমেই নজর পড়ে শাটল ট্রেনের ওপর। কারণ শাটল ট্রেনের চলাচল বন্ধ থাকা মানেই ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা। এ কারণে শাটল ট্রেনের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্মসূচি পালনকারীরা। ট্রেনের ড্রাইভার (লোকো মাস্টার) থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে ট্রেন অচল করে দেয়া অথবা ট্রেন চালু থাকলেও শিক্ষার্থীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। আবার কখনও কখনও ট্রেনের ড্রাইভার বা গার্ডরাও অপহরণের শিকার হন।
অরক্ষিত শাটল ট্রেন: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল ট্রেনটি কর্তৃপক্ষের অসচেতনতায় প্রায়ই অরক্ষিত থাকে। তখন এটি হয়ে উঠে মাদকসেবী ও অপরাধীদের আখড়া। বিশেষ করে ট্রেনটি যখন দরজা খোলা অবস্থায় নগরীর বটতলী স্টেশনে সারা রাত অবস্থান করে তখন সেখানে অপরাধীরা মদ-গাঁজা ইত্যাদি সেবন করে ট্রেনের বগি নোংরা করে রাখে। তাছাড়া অনেক সময় টোকাইরা ট্রেনে উঠে মলত্যাগ করে ট্রেনে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। ফলে সকালে ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠে দুর্গন্ধের কারণে ভিতরে বসতে পারে না। এছাড়া রাতে ট্রেন দুইটি বটতলী স্টেশনে থাকাকালে অপরাধীরা এর ভেতরে অবস্থান নিয়ে অনৈতিক কার্যক্রম চালায়।
সময়ের কাছে হার মেনে যায় শাটলের গতি: শাটল ট্রেনের ধীরগতি নিয়ে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট প্রায় সবার মুখে মুখে। মাত্র পঁচিশ-ত্রিশ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় একঘণ্টা। চট্টগ্রাম শহর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত ট্রেনের রাস্তাটি মাত্র ২৫-৩০ মিনিটের হলেও কখনও কখনও তা প্রায় এক ঘণ্টার হয়ে দাঁড়ায়। রাস্তায় পর্যাপ্ত পাথর না থাকায় ট্রেনের গতি পঁয়ত্রিশ কিলোমিটারের বেশি বাড়ানো যায় না। আবার কয়েকটি জায়গায় রাস্তার সমস্যা থাকায় খুব ধীরগতিতে ট্রেন চালাতে হয়। যার কারণে ট্রেনে করে ক্যাম্পাস ও শহরে আসা-যাওয়ায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ব্যয় করতে হয় আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। রাস্তার সংস্কার করে ট্রেনের গতি বাড়ানো হলে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় বেঁচে যাবে।
শাটলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বগিভিত্তিক গ্রুপ: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম এ শাটল ট্রেনের প্রতিটি বগিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছাত্রলীগের একেকটি গ্রুপ। বর্তমানে চবি ছাত্রলীগের ১৩টি গ্রুপ রয়েছে শাটলকে ঘিরে। প্রতিটি বগিতে গান গেয়ে মাতিয়ে রাখার জন্য রয়েছে শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপের সদস্যরা। বগির ভেতরের দুই প্রান্তে দলবেঁধে গান করে গ্রুপের সদস্যরা। গানের তালে তালে সবাই নিমিষেই পৌঁছে যায় গন্তব্যে। সকালে গানে গানে সতেজ হয়ে শুরু হয় ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস আর বিকালে কর্মক্লান্ত দেহে বাসায় ফিরার সময়ও শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করে তুলে শাটল ট্রেনের গানের সুর। গ্রুপের নামগুলোও বেশ মজার উলকা, একাকার, খাইট্টা খা, সিক্সটি নাইন, ভিএক্স, সিএফসি, বাংলার মুখ, বিজয়, ককপিট, কনকর্ড...ইত্যাদি। ব্যতিক্রমী সব গান গেয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি দুর্নামেরও অভাব নেই এ গ্রুপগুলোর। এক গ্রুপের সদস্যের সঙ্গে অন্য গ্রুপের সদস্যদের নিয়মিত বিরতিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও মারামারি, সিট দখল করে রাখা, ছাত্রীদের টিজ করা, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নানাভাবে নাজেহাল করা এরকম নানা অভিযোগের তীর তাদের দিকে।
আতঙ্কের নাম শাটল ট্রেন: চিরচেনা সেই শাটল ট্রেন আর তার ভেঁপু শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যরকম এক আনন্দের আবহ নিয়ে আসলেও এটি কখনও কখনও হয়ে উঠে আতঙ্কের নাম। চবির ইতিহাসে যে কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ও ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এর উল্লেখযোগ্যই ঘটেছে শাটল ট্রেনকে কেন্দ্র করে। ২০০৬ সালে ট্রেনে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে ট্রেনের চাকার নিচে পড়ে প্রাণ হারান বাংলা বিভাগের ছাত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তারপর ২০০৮ সালে ষোলশহর রেলস্টেশনে শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করেন একাউন্টিং বিভাগের এক ছাত্র। এছাড়া ২০১০ সালের ১১ই ফেব্রুয়ারি রাতে টিউশনি শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ষোলশহর রেলস্টেশনে শাটল ট্রেনের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় মুখে কাপড় বাঁধা যুবকদের হামলায় নিহত হন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মহিউদ্দিন মাসুম। এ ঘটনার দেড় মাসের মাথায় ২৮শে মার্চ রাতে শাটল ট্রেনে করে ক্যাম্পাসে ফেরার সময় সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয় রেললাইনের বড়দীঘিরপাড় নামক স্থানে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করে মার্কেটিং তৃতীয় বর্ষের ছাত্র হারানুর রশীদ কায়সারকে। এর মাত্র ১৫ দিন পর ১৫ই এপ্রিল রাতে চবি রেলস্টেশনে বসে আড্ডা দেয়ার সময় সন্ত্রাসীরা দা ছুরি দিয়ে হামলা করে মারাত্মক আহত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আসাদুজ্জামানকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শাটল ট্রেনকেন্দ্রিক এভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর বেশকিছু দিন ধরে শাটল ট্রেন ছিল আতঙ্কের নাম।
আন্দোলনকারীদের হাতিয়ার: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন শুধু ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের বাহনই নয় এটি আন্দোলনকারীদের হাতিয়ারও হয়ে উঠে প্রায়ই। দাবি দাওয়া আদায়ে অবরোধ বা ক্যাম্পাস অচল করে দেয়ার কোন কর্মসূচি ছাত্র সংগঠনগুলোর থাকলে প্রথমেই নজর পড়ে শাটল ট্রেনের ওপর। কারণ শাটল ট্রেনের চলাচল বন্ধ থাকা মানেই ক্যাম্পাসে অচলাবস্থা। এ কারণে শাটল ট্রেনের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্মসূচি পালনকারীরা। ট্রেনের ড্রাইভার (লোকো মাস্টার) থেকে চাবি কেড়ে নিয়ে ট্রেন অচল করে দেয়া অথবা ট্রেন চালু থাকলেও শিক্ষার্থীদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়া হয়। আবার কখনও কখনও ট্রেনের ড্রাইভার বা গার্ডরাও অপহরণের শিকার হন।
অরক্ষিত শাটল ট্রেন: শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান বাহন শাটল ট্রেনটি কর্তৃপক্ষের অসচেতনতায় প্রায়ই অরক্ষিত থাকে। তখন এটি হয়ে উঠে মাদকসেবী ও অপরাধীদের আখড়া। বিশেষ করে ট্রেনটি যখন দরজা খোলা অবস্থায় নগরীর বটতলী স্টেশনে সারা রাত অবস্থান করে তখন সেখানে অপরাধীরা মদ-গাঁজা ইত্যাদি সেবন করে ট্রেনের বগি নোংরা করে রাখে। তাছাড়া অনেক সময় টোকাইরা ট্রেনে উঠে মলত্যাগ করে ট্রেনে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। ফলে সকালে ছাত্রছাত্রীরা ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য ট্রেনে উঠে দুর্গন্ধের কারণে ভিতরে বসতে পারে না। এছাড়া রাতে ট্রেন দুইটি বটতলী স্টেশনে থাকাকালে অপরাধীরা এর ভেতরে অবস্থান নিয়ে অনৈতিক কার্যক্রম চালায়।
No comments