গরমের সঙ্গে পানির কষ্ট by অরূপ দত্ত
প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে খাওয়ার পানির সংকট। ছবিটি বাসাবোর কদমতলা এলাকার l প্রথম আলো |
পাশের
ভবনে নিজস্ব গভীর নলকূপ আছে। সেখান থেকে পানি সংগ্রহ করেন প্রতিবেশীরা।
তাঁদের দলে ছিল মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডের বাসিন্দা রিপন চৌধুরীর
পরিবারও। কিন্তু সে পথ বন্ধ হয়ে গেছে গত সোমবার থেকে। বেকায়দায় পড়েছেন
প্রতিবেশীরা।
পাশের বাড়ির গভীর নলকূপ কেন, ঢাকা ওয়াসার পানির কী হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে রিপন চৌধুরী বললেন, সলিমুল্লাহ রোডে ঢাকা ওয়াসার যে পাম্পটি রয়েছে, সেটি দেড় মাসের বেশি সময় ধরে নষ্ট। পাশের বাড়ি ছাড়াও পানি কিনে চাহিদা মেটাচ্ছেন এলাকাবাসী। গরমে কষ্ট করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সলিমুল্লাহ রোড ছাড়াও রাজিয়া সুলতানা রোড ও নূরজাহান রোডের কিছু অংশে পানির সমস্যা রয়েছে। পানির পাম্পটি নষ্ট হওয়ায় ওই তিন এলাকায় দেড় হাজারের বেশি পরিবার ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড এই গরমে পানির কষ্ট চলছে রাজধানীর বহু স্থানে। কোথাও পানি নেই, কোথাও পানিতে গন্ধ। রমজান মাসে পানির এই কষ্ট থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ডি এম কামরুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রমজান মাসে পানির সমস্যা থাকবে না। তবে কারিগরি কারণে কোনো পাম্প বিকল হলে স্থানীয়ভাবে সাময়িক সমস্যা হতে পারে।
গতকাল বিকেলে মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডের পাম্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নষ্ট পাম্পটির পাশেই আরেকটি পাম্প বসানো হচ্ছে। দুজন শ্রমিক কাজে ব্যস্ত। রাজিয়া সুলতানা রোডের বাসিন্দা আবদুল বাসিত, সলিমুল্লাহ রোডের রহমতউল্লাহ, নূরজাহান রোডের আকবর আলীসহ অনেক বাসিন্দা এসেছেন পাম্প হাউসে। খবর নিচ্ছেন কবে নাগাদ পাম্প ঠিক হবে।
পাম্পটির সামনের বাড়ির বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, অনেক দিন ধরে নষ্ট হলেও পাম্প ঠিক করার কোনো তোড়জোড় ছিল না ওয়াসার। এখন অপর একটি পাম্প বসানোর কাজ চলছে, তা-ও ঢিমেতালে।
পাম্প বসানোর কাজে নিয়োজিত আবদুর রহিম নামের এক কর্মী অবশ্য আগামী রোববারের মধ্যে নতুন পাম্প বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান। যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল আলম চৌধুরী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন পাম্পটি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানান। তিনি বলেন, পাম্প নষ্ট হলেও তাঁরা বিকল্প ব্যবস্থায় পানি সরবরাহ করছেন।
পানির কষ্ট মিরপুরের ইব্রাহিমপুর এলাকাতেও। বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ শারমিন জাহান বলেন, চার দিন ধরে কলে পানি আসছে খুব কম। অভ্যন্তরীণ সমস্যা মনে করে পাইপলাইন পরিষ্কার করিয়েছিলেন, লাভ হয়নি। পরে জানতে পারেন, এলাকাতেই সমস্যা।
কাঁঠালবাগানের কিছু অংশে ১২ দিন ধরে পানি নেই বলে জানালেন ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, গরম বাড়ার কারণে পানির কষ্ট আরও তীব্র হয়েছে।
বাসাবো, আহম্মদনগর, কদমতলাসহ আশপাশের এলাকায় পানির সরবরাহ ঠিক থাকলেও সে পানিতে গন্ধ থাকে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন বাসিন্দা। দুপুরে কদমতলা পাম্পে পানি সংগ্রহ করতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন অভিযোগ করেন, বাসায় কল খুললে যে পানি আসে, তা ব্যবহার করলে চোখ, নাক জ্বালা করে। তারপরও গোসল করতে হয় সে পানি দিয়ে। খাওয়ার পানি সংগ্রহ করেন পাম্প থেকে।
পানির সরবরাহ সমস্যা বা পানিতে গন্ধ আসছে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া, তাঁতিবাজার, রাজার দিউড়ি, কবিরাজ লেন ছাড়াও মুগদা, মানিকনগর, ধলপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকাতেও। মিরপুরের শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক, ধানমন্ডির কিছু এলাকা, নাখালপাড়ায়ও পানি সমস্যার অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা।
পাশের বাড়ির গভীর নলকূপ কেন, ঢাকা ওয়াসার পানির কী হলো—এমন প্রশ্নের জবাবে রিপন চৌধুরী বললেন, সলিমুল্লাহ রোডে ঢাকা ওয়াসার যে পাম্পটি রয়েছে, সেটি দেড় মাসের বেশি সময় ধরে নষ্ট। পাশের বাড়ি ছাড়াও পানি কিনে চাহিদা মেটাচ্ছেন এলাকাবাসী। গরমে কষ্ট করছেন।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সলিমুল্লাহ রোড ছাড়াও রাজিয়া সুলতানা রোড ও নূরজাহান রোডের কিছু অংশে পানির সমস্যা রয়েছে। পানির পাম্পটি নষ্ট হওয়ায় ওই তিন এলাকায় দেড় হাজারের বেশি পরিবার ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড এই গরমে পানির কষ্ট চলছে রাজধানীর বহু স্থানে। কোথাও পানি নেই, কোথাও পানিতে গন্ধ। রমজান মাসে পানির এই কষ্ট থাকবে কি না, তা নিয়ে অনেকেই শঙ্কিত। ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এ ডি এম কামরুল আলম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, রমজান মাসে পানির সমস্যা থাকবে না। তবে কারিগরি কারণে কোনো পাম্প বিকল হলে স্থানীয়ভাবে সাময়িক সমস্যা হতে পারে।
গতকাল বিকেলে মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোডের পাম্প এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নষ্ট পাম্পটির পাশেই আরেকটি পাম্প বসানো হচ্ছে। দুজন শ্রমিক কাজে ব্যস্ত। রাজিয়া সুলতানা রোডের বাসিন্দা আবদুল বাসিত, সলিমুল্লাহ রোডের রহমতউল্লাহ, নূরজাহান রোডের আকবর আলীসহ অনেক বাসিন্দা এসেছেন পাম্প হাউসে। খবর নিচ্ছেন কবে নাগাদ পাম্প ঠিক হবে।
পাম্পটির সামনের বাড়ির বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, অনেক দিন ধরে নষ্ট হলেও পাম্প ঠিক করার কোনো তোড়জোড় ছিল না ওয়াসার। এখন অপর একটি পাম্প বসানোর কাজ চলছে, তা-ও ঢিমেতালে।
পাম্প বসানোর কাজে নিয়োজিত আবদুর রহিম নামের এক কর্মী অবশ্য আগামী রোববারের মধ্যে নতুন পাম্প বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানান। যোগাযোগ করা হলে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুল আলম চৌধুরী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন পাম্পটি চালু করা সম্ভব হবে বলে জানান। তিনি বলেন, পাম্প নষ্ট হলেও তাঁরা বিকল্প ব্যবস্থায় পানি সরবরাহ করছেন।
পানির কষ্ট মিরপুরের ইব্রাহিমপুর এলাকাতেও। বউ বাজার এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ শারমিন জাহান বলেন, চার দিন ধরে কলে পানি আসছে খুব কম। অভ্যন্তরীণ সমস্যা মনে করে পাইপলাইন পরিষ্কার করিয়েছিলেন, লাভ হয়নি। পরে জানতে পারেন, এলাকাতেই সমস্যা।
কাঁঠালবাগানের কিছু অংশে ১২ দিন ধরে পানি নেই বলে জানালেন ফ্রি স্কুল স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, গরম বাড়ার কারণে পানির কষ্ট আরও তীব্র হয়েছে।
বাসাবো, আহম্মদনগর, কদমতলাসহ আশপাশের এলাকায় পানির সরবরাহ ঠিক থাকলেও সে পানিতে গন্ধ থাকে বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন বাসিন্দা। দুপুরে কদমতলা পাম্পে পানি সংগ্রহ করতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ হোসেন অভিযোগ করেন, বাসায় কল খুললে যে পানি আসে, তা ব্যবহার করলে চোখ, নাক জ্বালা করে। তারপরও গোসল করতে হয় সে পানি দিয়ে। খাওয়ার পানি সংগ্রহ করেন পাম্প থেকে।
পানির সরবরাহ সমস্যা বা পানিতে গন্ধ আসছে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া, তাঁতিবাজার, রাজার দিউড়ি, কবিরাজ লেন ছাড়াও মুগদা, মানিকনগর, ধলপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী এলাকাতেও। মিরপুরের শেওড়াপাড়া, মোহাম্মদপুরের শেখেরটেক, ধানমন্ডির কিছু এলাকা, নাখালপাড়ায়ও পানি সমস্যার অভিযোগ করেছেন বাসিন্দারা।
No comments