বাড়িতে ফেরার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম -মুক্তি পেয়ে পলাশ
‘বাড়িতে
ফিরব, মা-বাবার মুখ দেখব—এমন আশা তো ছেড়েই দিয়েছিলাম। মা-বাবার
আশীর্বাদেই ছাড়া পাইছি।’ বলছিলেন পলাশ রুদ্রপাল। সাংবাদিক দম্পতি
সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। বিনা বিচারে প্রায় ৩২
মাস কারাবন্দী থাকার পর গত শুক্রবার জামিনে মুক্তি পান পলাশ। এরপর রোববার
রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি।
পলাশ রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাগর-রুনির বাসার নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ধামাই চা-বাগানের শিলঘাট এলাকায় তাঁর বাড়ি।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে শিলঘাটের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পলাশ বিছানায় শুয়ে আছেন। এ প্রতিবেদককে দেখে ছোট ভাই বিলাস রুদ্রপালের কাঁধে ভর করে তিনি বিছানা থেকে নেমে আসেন। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে এসে বসেন একটি চেয়ারে।
পলাশ জানালেন, গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। হঠাৎই কথা থামিয়ে পলাশ বলে উঠলেন, ‘থাক এসব কথা। এখন দুই হাতে-পায়ে আর কোমরের পেছনে অসহ্য ব্যথা। বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারি না।’
পলাশ জানান, ঘটনার দিন (২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত তাঁর দায়িত্ব ছিল। রাত দুইটার দিকে বাসায় ফেরেন সাগর। ভোরে সহকর্মী এনামুলকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল এলাকায় নিজের বাসায় চলে যান পলাশ। পরে সাগর-রুনির হত্যার খবর পান। অক্টোবর মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে পলাশ বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। রিমান্ডেও আমি তা-ই বলেছি।’
দীর্ঘদিন ধরে যকৃতের রোগে ভুগছেন পলাশ। স্ত্রী ময়না বসুন্ধরা সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাঁদের বড় ছেলে শাকিল চতুর্থ ও ছোট ছেলে রাকিব দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। গ্রেপ্তারের পর থেকে ময়নার রোজগারেই সংসার চলছে। মামলার খরচাপাতি চালাতে গিয়ে অনেক টাকা দেনা হয়ে গেছেন। মুক্তি পেলেও শরীরের যে অবস্থা, তাতে কবে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে পলাশের। এখন সংসার চালাবেন কী করে, সেই চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া বন্ধ তাঁর। পলাশ বললেন, ‘এখন কী করে খাব, সেটাই চিন্তা। কে আমাকে চাকরি দেবে?’
তবে পলাশ মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন, এতেই খুশি বাবা ব্রজেন্দ্র। নির্দোষ ছেলেটারে এত দিন জেলে আটকাই রাখছে।...বাড়িতে এসে ভালোমতো এক বেলা ভাত খায়নি, ঘুমায়ওনি।’
পলাশ রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে সাগর-রুনির বাসার নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ধামাই চা-বাগানের শিলঘাট এলাকায় তাঁর বাড়ি।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১০টার দিকে শিলঘাটের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পলাশ বিছানায় শুয়ে আছেন। এ প্রতিবেদককে দেখে ছোট ভাই বিলাস রুদ্রপালের কাঁধে ভর করে তিনি বিছানা থেকে নেমে আসেন। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হেঁটে এসে বসেন একটি চেয়ারে।
পলাশ জানালেন, গ্রেপ্তারের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে তাঁকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করে। হঠাৎই কথা থামিয়ে পলাশ বলে উঠলেন, ‘থাক এসব কথা। এখন দুই হাতে-পায়ে আর কোমরের পেছনে অসহ্য ব্যথা। বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারি না।’
পলাশ জানান, ঘটনার দিন (২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে পরদিন ভোর ছয়টা পর্যন্ত তাঁর দায়িত্ব ছিল। রাত দুইটার দিকে বাসায় ফেরেন সাগর। ভোরে সহকর্মী এনামুলকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বসুন্ধরা সিটি শপিং মল এলাকায় নিজের বাসায় চলে যান পলাশ। পরে সাগর-রুনির হত্যার খবর পান। অক্টোবর মাসে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে পলাশ বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। রিমান্ডেও আমি তা-ই বলেছি।’
দীর্ঘদিন ধরে যকৃতের রোগে ভুগছেন পলাশ। স্ত্রী ময়না বসুন্ধরা সিটির পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাঁদের বড় ছেলে শাকিল চতুর্থ ও ছোট ছেলে রাকিব দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। গ্রেপ্তারের পর থেকে ময়নার রোজগারেই সংসার চলছে। মামলার খরচাপাতি চালাতে গিয়ে অনেক টাকা দেনা হয়ে গেছেন। মুক্তি পেলেও শরীরের যে অবস্থা, তাতে কবে কাজে যোগ দিতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে পলাশের। এখন সংসার চালাবেন কী করে, সেই চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া বন্ধ তাঁর। পলাশ বললেন, ‘এখন কী করে খাব, সেটাই চিন্তা। কে আমাকে চাকরি দেবে?’
তবে পলাশ মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন, এতেই খুশি বাবা ব্রজেন্দ্র। নির্দোষ ছেলেটারে এত দিন জেলে আটকাই রাখছে।...বাড়িতে এসে ভালোমতো এক বেলা ভাত খায়নি, ঘুমায়ওনি।’
No comments