নেপালে সংবিধান প্রণয়নে মতৈক্য
নেপালের আইনপ্রণেতারা গতকাল কাঠমান্ডুতে পার্লামেন্ট অধিবেশনে বসেন। দেশটির বিবদমান রাজনৈতিক নেতারা নতুন সংবিধান নিয়ে বেশ কয়েক বছরের অচলাবস্থা দূর করতে এর আগের দিনই মতৈক্যে পৌঁছান l ছবি: এএফপি |
প্রায়
এক দশকের অচলাবস্থার পর নেপালের ক্ষমতাসীন ও বিরোধী প্রধান চারটি রাজনৈতিক
দল একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নে একমত হয়েছে। এর আওতায় দেশটিতে আটটি নতুন
রাজ্য গঠন করা হবে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, নিউইয়র্ক টাইমস এবং এএফপির।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার বাসভবনে গত সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে দেশে যে আটটি রাজ্য তৈরি হবে, সেগুলোর সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষ কমিশন গঠন করা হবে। এসব রাজ্যের নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। রাজ্যগুলোর আইনসভার নির্বাচিত সদস্যরা এগুলোর নাম নির্ধারণ করবেন।
নেপালের রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতবিরোধের কারণে নতুন সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। সেই ২০১০ সালের মধ্যেই সংবিধানের খসড়া তৈরির কথা ছিল। তবে রাজ্যের সংখ্যা, সেগুলোর গঠন-প্রক্রিয়া এবং নাম নিয়ে কখনোই দলগুলো একমত হতে পারেনি। কয়েকটি দলের মত ছিল, রাজ্যগুলো হোক জাতিসত্তার ওপর ভিত্তি করে। আবার কেউ কেউ চাইছিলেন, সেগুলো হোক ভৌগোলিক অবস্থানভিত্তিক। এ বিষয়ে গঠিত কমিশন ছয় মাসের মধ্যে জাতিসত্তা এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতার ওপর নির্ভর করে রাজ্যের সীমা নির্ধারণ করবে বলে ১৬ দফার চুক্তিতে বলা হয়। গণপরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের ভিত্তিতে তা অনুমোদিত হবে।
এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে ক্ষমতাসীন দল একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়নের চেষ্টা করে। তবে বিরোধী দলগুলো তখন এর তীব্র বিরোধিতা করে। তারা অধিবেশন কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভেঙে ফেলে এবং স্পিকারের দিকে জুতা ছুড়ে মারে। পার্লামেন্টের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
নতুন সংবিধান তৈরির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে নেপালের প্রধান বিরোধী দল ইউনাইটেড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)। যে চারটি রাজনৈতিক দল এই চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, ৬০১ সদস্যের পার্লামেন্টে তাদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন আছে। খসড়া সংবিধান অনুমোদন করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার।
নেপালে ১০ বছর ধরে চলা মাওবাদীদের যুদ্ধ এবং রাজতন্ত্রের অবসানের পর একটি সংবিধান রচনার জন্য ২০০৮ সালে গঠিত হয় গণপরিষদ। তবে সেই গণপরিষদে বিগত কয়েক বছর ধরে শুধু বাদানুবাদ হয়েছে, সংবিধান রচনা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান গণপরিষদ গঠিত হয় ২০১৩ সালে। তবে দুই বছর ধরে আগের দশাই চলে আসছে।
গত এপ্রিল ও মে মাসে দুই দফার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর প্রতি সংবিধান তৈরির বিষয়ে বেশ চাপ তৈরি হয়। ওই ভূমিকম্পে ৮ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে। নেপালের তথ্যমন্ত্রী মণীন্দ্র রাইজাল এই চুক্তিকে ‘একটি বিরাট ঘটনা’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনিও বলেন, সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সব দলকে একসঙ্গে কাজ করতে উদ্দীপ্ত করেছে।
দীর্ঘদিনের এই বিরোধ মেটাতে চারটি প্রধান দল সম্মত হলেও ছোট দলগুলো এখনো গোঁ ধরে বসে আছে। প্রায় দুই ডজন ছোট দল এই চুক্তির বিরোধী। তিরাই মদেশ লোকতান্ত্রিক পার্টির হৃদয়েশ ত্রিপাঠি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আমরা একে সমর্থন করি না।’
নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালার বাসভবনে গত সোমবার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি ‘ঐতিহাসিক’ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অনুসারে দেশে যে আটটি রাজ্য তৈরি হবে, সেগুলোর সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি বিশেষ কমিশন গঠন করা হবে। এসব রাজ্যের নাম এখনো ঠিক করা হয়নি। রাজ্যগুলোর আইনসভার নির্বাচিত সদস্যরা এগুলোর নাম নির্ধারণ করবেন।
নেপালের রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র মতবিরোধের কারণে নতুন সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল। সেই ২০১০ সালের মধ্যেই সংবিধানের খসড়া তৈরির কথা ছিল। তবে রাজ্যের সংখ্যা, সেগুলোর গঠন-প্রক্রিয়া এবং নাম নিয়ে কখনোই দলগুলো একমত হতে পারেনি। কয়েকটি দলের মত ছিল, রাজ্যগুলো হোক জাতিসত্তার ওপর ভিত্তি করে। আবার কেউ কেউ চাইছিলেন, সেগুলো হোক ভৌগোলিক অবস্থানভিত্তিক। এ বিষয়ে গঠিত কমিশন ছয় মাসের মধ্যে জাতিসত্তা এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতার ওপর নির্ভর করে রাজ্যের সীমা নির্ধারণ করবে বলে ১৬ দফার চুক্তিতে বলা হয়। গণপরিষদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোটের ভিত্তিতে তা অনুমোদিত হবে।
এ বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে ক্ষমতাসীন দল একটি খসড়া সংবিধান প্রণয়নের চেষ্টা করে। তবে বিরোধী দলগুলো তখন এর তীব্র বিরোধিতা করে। তারা অধিবেশন কক্ষের চেয়ার-টেবিল ভেঙে ফেলে এবং স্পিকারের দিকে জুতা ছুড়ে মারে। পার্লামেন্টের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
নতুন সংবিধান তৈরির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে নেপালের প্রধান বিরোধী দল ইউনাইটেড কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (মাওবাদী)। যে চারটি রাজনৈতিক দল এই চুক্তিতে সম্মত হয়েছে, ৬০১ সদস্যের পার্লামেন্টে তাদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন আছে। খসড়া সংবিধান অনুমোদন করতে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার।
নেপালে ১০ বছর ধরে চলা মাওবাদীদের যুদ্ধ এবং রাজতন্ত্রের অবসানের পর একটি সংবিধান রচনার জন্য ২০০৮ সালে গঠিত হয় গণপরিষদ। তবে সেই গণপরিষদে বিগত কয়েক বছর ধরে শুধু বাদানুবাদ হয়েছে, সংবিধান রচনা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমান গণপরিষদ গঠিত হয় ২০১৩ সালে। তবে দুই বছর ধরে আগের দশাই চলে আসছে।
গত এপ্রিল ও মে মাসে দুই দফার ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর প্রতি সংবিধান তৈরির বিষয়ে বেশ চাপ তৈরি হয়। ওই ভূমিকম্পে ৮ হাজার ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছে। নেপালের তথ্যমন্ত্রী মণীন্দ্র রাইজাল এই চুক্তিকে ‘একটি বিরাট ঘটনা’ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনিও বলেন, সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সব দলকে একসঙ্গে কাজ করতে উদ্দীপ্ত করেছে।
দীর্ঘদিনের এই বিরোধ মেটাতে চারটি প্রধান দল সম্মত হলেও ছোট দলগুলো এখনো গোঁ ধরে বসে আছে। প্রায় দুই ডজন ছোট দল এই চুক্তির বিরোধী। তিরাই মদেশ লোকতান্ত্রিক পার্টির হৃদয়েশ ত্রিপাঠি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে। আমরা একে সমর্থন করি না।’
No comments