কলেজে ভর্তিতে প্রতারণার ফাঁদ by নূর মোহাম্মদ
একাদশ শ্রেণীতে এবার প্রথম অনলাইন পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। নতুন এ পদ্ধতি নানা প্রতারণার ফাঁদ ফেলেছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠাগুলো। এ ছাড়া অনলাইনে আবেদনের প্রক্রিয়াগত ত্রুটির নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। প্রতারণার শিকার অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক গণমাধ্যমে ফোন করে অভিযোগ করেন, তারা শিক্ষা বোর্ডের ১২টি হেল্প লাইনের নম্বরে বহুবার চেষ্টা করেও কথা বলার সুযোগ হচ্ছে না। কখনও এসব নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে ভাল কলেজে ভর্তি নিয়ে অনেক শিক্ষার্থীই দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বোচ্চ রেজাল্ট জিপিএ-৫ ধারীদের নিজেদের কলেজে ভর্তি করাতে রাজধানীর বিতর্কিত ও বাণিজ্য নির্ভর কিছু কলেজ এ প্রতারণায় মেতে উঠেছে। এসব প্রতারণার ফাঁদের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা।
গতকাল ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক সেখানে ভিড় করছেন। তারা জানান, অনলাইন ভর্তির নানা ভোগান্তির বিষয়ে অভিযোগ জানাতে তারা সেখানে যান। ঢাকা বোর্ডে সূত্র জানায়, নানা প্রতারণা শিকার হয়েছেন এমন ৫২টি অভিযোগ বোর্ডের কাছে এসেছে। প্রথম বার হওয়ার এ ধরনের প্রতারণা করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একটি মনিটরিং সেল গঠনসহ তাদের সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কোন শিক্ষার্থী যদি এ ধরনের প্রতারণার শিকার হন তবে আগামী ১৫ই জুনের মধ্যে নিজ নিজ বোর্ডের কলেজে পরিদর্শকের কাছে আবেদন করতে পারবে। আবেদনে আবেদনকারীর এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের কপি এবং মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে তিনি পছন্দক্রমে ভুলবশত ঢাকা কলেজে পরিবর্তে অন্য একটি কলেজের নাম নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু পরে এই ক্রম পরিবর্তনে বারবার চেষ্টা করলে অনলাইনে টিপিও নম্বর চায়। এরপরে টিপিও নম্বর দেয়া হলেও পছন্দক্রম আর পরিবর্তন করা যায়নি। একইভাবে অনলাইনে আবেদন শেষ করে টেলিটকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধে, মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে আবেদনে, কলেজ নির্ধারণেও নানা সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এসব সমস্যা ও ভোগান্তির বিষয়ে ওয়েবসাইটে প্রদান করা নম্বরে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাচ্ছে না তারা। অনেকে নিরুপায় হয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে অভিযোগ জানালেও কোন কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আসা একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কেউ অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে দেখছেন তার আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেছে। কেউ হয়তো আবেদন করার পর টেলিটক থেকে টাকা জমা দিতে পারছেন না, কেউ আবার আইডি-পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে পারছেন না। আবার অনেকে আবেদনের কোন ভুল পুনরায় সংশোধন করতে পারছেন না। অনেকে আবার অনলাইনে আবেদন করলেও টেলিটক থেকে টাকা নিচ্ছে না। আবার টেলিটক থেকে এসএমএস পাঠালে তথ্য সঠিক নয় বলে ফিরতি এসএমএস আসছে। অভিযোগের বিষয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে বলা হলেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
প্রতারণা ফাঁদ: একাদশ শ্রেণীতে অনলাইনে ভর্তি নিয়ে জালিয়াতিতে লিপ্ত হয়েছে একশ্রেণী শিক্ষা ব্যবসায়ী। রাজধানীর বিতর্কিত ও বাণিজ্যনির্ভর কলেজগুলো এ প্রতারণায় মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, শিক্ষা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিতর্কিত কলেজগুলো নিজেরাই এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ করে নিজ নিজ কলেজকে ১ নম্বর পছন্দ দিয়ে দিচ্ছেন। এতে অনেক শিক্ষার্থীই আবেদন করতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
বীনা চক্রবর্তী এবার আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তিনি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে গিয়ে দেখেন তার আবেদন হয়ে গেছে। আবেদনের প্রিন্ট কপিতে দেখা পান, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন প্রচারের শীর্ষে একটি প্রাইভেট কলেজ তার প্রথম পছন্দের কলেজ। এছাড়াও বাকি ৪টি কলেজের মধ্যে ৩টি প্রাইভেট ১টি এমপিওভুক্ত কলেজ। বিষয়টি সুরাহা চেয়ে চেয়ারম্যানের বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছেন তিনি। শুধু বীনা নয়, এরকম অনেক শিক্ষার্থীকে না জানিয়েই এসব কলেজ একাদশ শ্রেণীতে তার ভর্তি ফরম পূরণ করছেন। এতে পছন্দের শীর্ষে দেয়া হচ্ছে বাণিজ্যিক কলেজগুলোকে।
এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এ ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি সুরাহা করতে শিগগিরই ভর্তিসংক্রান্ত একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হচ্ছে। কোন কলেজ যদি এ ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের রিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে আমার কলেজ পরিদর্শক বরাবর আবেদন করলে অনলাইন বা এসএমএসের ভর্তি বাতিল করে পুনরায় আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রতারণাকারী কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, বাণিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর কয়েকটি কলেজ এ ধরনের ভর্তি প্রতারণায় লিপ্ত হয়েছে। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়ার নতুন নিয়ম অনুযায়ী গত শনিবার থেকে দেশের প্রায় ৮ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ই জুন পর্যন্ত এ আবেদন চলবে।
গতকাল ঢাকা মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক সেখানে ভিড় করছেন। তারা জানান, অনলাইন ভর্তির নানা ভোগান্তির বিষয়ে অভিযোগ জানাতে তারা সেখানে যান। ঢাকা বোর্ডে সূত্র জানায়, নানা প্রতারণা শিকার হয়েছেন এমন ৫২টি অভিযোগ বোর্ডের কাছে এসেছে। প্রথম বার হওয়ার এ ধরনের প্রতারণা করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একটি মনিটরিং সেল গঠনসহ তাদের সমস্যা সমাধান করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। কোন শিক্ষার্থী যদি এ ধরনের প্রতারণার শিকার হন তবে আগামী ১৫ই জুনের মধ্যে নিজ নিজ বোর্ডের কলেজে পরিদর্শকের কাছে আবেদন করতে পারবে। আবেদনে আবেদনকারীর এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্রের কপি এবং মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা গোল্ডেন জিপিএ-৫ পাওয়া এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে তিনি পছন্দক্রমে ভুলবশত ঢাকা কলেজে পরিবর্তে অন্য একটি কলেজের নাম নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু পরে এই ক্রম পরিবর্তনে বারবার চেষ্টা করলে অনলাইনে টিপিও নম্বর চায়। এরপরে টিপিও নম্বর দেয়া হলেও পছন্দক্রম আর পরিবর্তন করা যায়নি। একইভাবে অনলাইনে আবেদন শেষ করে টেলিটকের মাধ্যমে টাকা পরিশোধে, মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে আবেদনে, কলেজ নির্ধারণেও নানা সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এসব সমস্যা ও ভোগান্তির বিষয়ে ওয়েবসাইটে প্রদান করা নম্বরে যোগাযোগ করেও কোন সাড়া পাচ্ছে না তারা। অনেকে নিরুপায় হয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে গিয়ে অভিযোগ জানালেও কোন কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে আসা একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কেউ অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে দেখছেন তার আবেদন সম্পন্ন হয়ে গেছে। কেউ হয়তো আবেদন করার পর টেলিটক থেকে টাকা জমা দিতে পারছেন না, কেউ আবার আইডি-পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধার করতে পারছেন না। আবার অনেকে আবেদনের কোন ভুল পুনরায় সংশোধন করতে পারছেন না। অনেকে আবার অনলাইনে আবেদন করলেও টেলিটক থেকে টাকা নিচ্ছে না। আবার টেলিটক থেকে এসএমএস পাঠালে তথ্য সঠিক নয় বলে ফিরতি এসএমএস আসছে। অভিযোগের বিষয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে বলা হলেও আশ্বস্ত হতে পারছেন না ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
প্রতারণা ফাঁদ: একাদশ শ্রেণীতে অনলাইনে ভর্তি নিয়ে জালিয়াতিতে লিপ্ত হয়েছে একশ্রেণী শিক্ষা ব্যবসায়ী। রাজধানীর বিতর্কিত ও বাণিজ্যনির্ভর কলেজগুলো এ প্রতারণায় মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, শিক্ষা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বিতর্কিত কলেজগুলো নিজেরাই এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির আবেদন ফরম পূরণ করে নিজ নিজ কলেজকে ১ নম্বর পছন্দ দিয়ে দিচ্ছেন। এতে অনেক শিক্ষার্থীই আবেদন করতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
বীনা চক্রবর্তী এবার আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। তিনি কলেজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে গিয়ে দেখেন তার আবেদন হয়ে গেছে। আবেদনের প্রিন্ট কপিতে দেখা পান, টেলিভিশনের বিজ্ঞাপন প্রচারের শীর্ষে একটি প্রাইভেট কলেজ তার প্রথম পছন্দের কলেজ। এছাড়াও বাকি ৪টি কলেজের মধ্যে ৩টি প্রাইভেট ১টি এমপিওভুক্ত কলেজ। বিষয়টি সুরাহা চেয়ে চেয়ারম্যানের বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে এসেছেন তিনি। শুধু বীনা নয়, এরকম অনেক শিক্ষার্থীকে না জানিয়েই এসব কলেজ একাদশ শ্রেণীতে তার ভর্তি ফরম পূরণ করছেন। এতে পছন্দের শীর্ষে দেয়া হচ্ছে বাণিজ্যিক কলেজগুলোকে।
এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, এ ধরনের বেশ কিছু অভিযোগ আমার কাছে এসেছে। বিষয়টি সুরাহা করতে শিগগিরই ভর্তিসংক্রান্ত একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হচ্ছে। কোন কলেজ যদি এ ধরনের অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের রিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক আশফাকুস সালেহীন বলেন, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে আমার কলেজ পরিদর্শক বরাবর আবেদন করলে অনলাইন বা এসএমএসের ভর্তি বাতিল করে পুনরায় আবেদনের সুযোগ দেয়া হবে। পাশাপাশি প্রতারণাকারী কলেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, বাণিজ্যিকভাবে প্রতিষ্ঠিত রাজধানীর কয়েকটি কলেজ এ ধরনের ভর্তি প্রতারণায় লিপ্ত হয়েছে। ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি প্রক্রিয়ার নতুন নিয়ম অনুযায়ী গত শনিবার থেকে দেশের প্রায় ৮ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে। আগামী ১৮ই জুন পর্যন্ত এ আবেদন চলবে।
No comments