স্বপ্নপূরণ হলো না রেশমার
স্বাবলম্বী
হওয়ার স্বপ্নে জর্ডান গিয়ে লাশ হয়ে ফিরছেন খুলনার রূপসা উপজেলার নন্দনপুর
গ্রামের গৃহবধূ রেশমা বেগম (৩৫)। গত ১৫ই এপ্রিল তিনি জর্ডান গিয়েছিলেন।
দালালচক্র এই দরিদ্র পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় ৭০ হাজার টাকা। জর্ডানের
মুনিবদের খুশি করতে ব্যর্থ হয়ে লাশ হয়ে ফিরছে রেশমা বেগম। স্ত্রী ও জীবনে
সঞ্চিত সব অর্থ হারিয়ে দুই সন্তানকে বুকে নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন রেশমার
স্বামী দেলোয়ার হোসেন। এখন স্ত্রীর লাশটি ফিরে পাবেন কিনা এমনই শঙ্কায়
রয়েছেন তিনি। বুধবার খুলনা প্রেস ক্লাবে এসে এমনই অসহায়ত্ব প্রকাশ করে তিনি
সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন।
দেলোয়ার হোসেন দিলু কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, প্রতিবেশী নন্দনপুরের ফজলে হাওলাদারের স্ত্রী নাসিমা বেগমের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয় জর্ডানে যাবার। প্রতারক নাসিমা বেগম তার জামাই মো. জাকারিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় রেশমা বেগম ও তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন দিলুকে। জাকারিয়া তাদের কথা দেয়, জর্ডান গেলে রেশমা বেগম প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে আয় করতে পারবে। জর্ডানে যেতে তার খরচ হবে ৭০ হাজার টাকা। এরইমধ্যে জাকারিয়া গ্রামে নিয়ে আসে ঢাকার মানবপাচারকারী চক্রের একজন হোতা মো. সোহেলকে। তাদের সকলের উপস্থিতিতে রেশমা বেগম ও তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন দিলু জীবনের সঞ্চিত সর্বস্ব বিক্রি করে তুলে দেয় ৭০ হাজার টাকা। চলতি বছরের ১৫ই এপ্রিল দালালচক্রের সহায়তায় ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই জর্ডান পাড়ি দেয় রেশমা বেগম। ৭ বছরের আবীর হোসেন ও ৫ বছরের আমীর হোসেনকে ফেলে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তিনি। জর্ডান পৌঁছানোর তিনদিন পর একবার ফোন করে স্বামী দিলুকে জানিয়েছিল ঠিকঠাক মতোই পৌঁছেছে সে। তবে কি কাজ করতে হবে সেটা জানায়নি তখনও। তার ১৫ দিন পর কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে আবারও ফোন করে বলেছিল ভালোই আছে সে। সর্বশেষ গত ৩রা জুন কান্নাজড়িত কণ্ঠস্বরে রেশমা বেগম ফোন করে স্বামী দিলুকে। বলে, ‘আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। আমি আর পারছি না। আমাকে নিয়ে যাও, না হলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে বলছে।’
দেলোয়ার হোসেন দিলু আরও বলেন, এরপর আর কথা হয়নি রেশমার সঙ্গে। ওর নম্বরটাও বন্ধ পেয়েছি। ৮ই জুন জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ফোন করে বলা হয়েছে রেশমা বেগমের লাশ উদ্ধার করেছে তারা। লাশের সঙ্গে থাকা মোবাইল সেটের ডায়াল কলের সর্বশেষ কললিস্ট নম্বরটিতেই ফোন করেছে দূতাবাস। এখন লাশ কিভাবে পাঠাবে তাই জানতে চায় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। এরপর দালালচক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দিলুকে ঘটনাটি কোথাও না জানাতে বলছে। কোথাও জানানো হলে তাকে ও তার দু’পুত্রের জীবন শেষ করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন দেলোয়ার হোসেন দিলু। এসময় দুই পুত্রও হাউমাউ করে ডুকরে কেঁদে শেষ আশ্রয়স্থল বাবাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করছে, মা কোথায়?
রেশমা বেগম ডুমুরিয়ার শাহপুর ইউনিয়নের বর্নি গ্রামের মো. শাহজাহান বাওয়ালীর মেয়ে। শাহজাহান বাওয়ালী বলেন, ‘লাশ চাই না আমার মেয়েকে ফেরত চাই। দালালরা এখন আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। কি হবে আবীর-আমীরের?’
এব্যাপারে জানতে দালালচক্রের সদস্য রূপসার নন্দনপুরের নাসিমা বেগমের জামাই ফুলতলার বাসিন্দা মো. জাকারিয়াকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন দিলু রেশমা বেগমের স্বামী না। তার কাছেই শোনেন রেশমা কোথায়? একজন অভিযোগ দিলেই হবে? আপনারা যা পারার করেন, যান।’ দালালচক্রের মূল হোতা ঢাকার মো. সোহেলের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
দেলোয়ার হোসেন দিলু কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, প্রতিবেশী নন্দনপুরের ফজলে হাওলাদারের স্ত্রী নাসিমা বেগমের মাধ্যমে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে চুক্তি হয় জর্ডানে যাবার। প্রতারক নাসিমা বেগম তার জামাই মো. জাকারিয়ার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় রেশমা বেগম ও তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন দিলুকে। জাকারিয়া তাদের কথা দেয়, জর্ডান গেলে রেশমা বেগম প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা করে আয় করতে পারবে। জর্ডানে যেতে তার খরচ হবে ৭০ হাজার টাকা। এরইমধ্যে জাকারিয়া গ্রামে নিয়ে আসে ঢাকার মানবপাচারকারী চক্রের একজন হোতা মো. সোহেলকে। তাদের সকলের উপস্থিতিতে রেশমা বেগম ও তার স্বামী দেলোয়ার হোসেন দিলু জীবনের সঞ্চিত সর্বস্ব বিক্রি করে তুলে দেয় ৭০ হাজার টাকা। চলতি বছরের ১৫ই এপ্রিল দালালচক্রের সহায়তায় ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই জর্ডান পাড়ি দেয় রেশমা বেগম। ৭ বছরের আবীর হোসেন ও ৫ বছরের আমীর হোসেনকে ফেলে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তিনি। জর্ডান পৌঁছানোর তিনদিন পর একবার ফোন করে স্বামী দিলুকে জানিয়েছিল ঠিকঠাক মতোই পৌঁছেছে সে। তবে কি কাজ করতে হবে সেটা জানায়নি তখনও। তার ১৫ দিন পর কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে আবারও ফোন করে বলেছিল ভালোই আছে সে। সর্বশেষ গত ৩রা জুন কান্নাজড়িত কণ্ঠস্বরে রেশমা বেগম ফোন করে স্বামী দিলুকে। বলে, ‘আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। আমি আর পারছি না। আমাকে নিয়ে যাও, না হলে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে বলছে।’
দেলোয়ার হোসেন দিলু আরও বলেন, এরপর আর কথা হয়নি রেশমার সঙ্গে। ওর নম্বরটাও বন্ধ পেয়েছি। ৮ই জুন জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে ফোন করে বলা হয়েছে রেশমা বেগমের লাশ উদ্ধার করেছে তারা। লাশের সঙ্গে থাকা মোবাইল সেটের ডায়াল কলের সর্বশেষ কললিস্ট নম্বরটিতেই ফোন করেছে দূতাবাস। এখন লাশ কিভাবে পাঠাবে তাই জানতে চায় দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। এরপর দালালচক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দিলুকে ঘটনাটি কোথাও না জানাতে বলছে। কোথাও জানানো হলে তাকে ও তার দু’পুত্রের জীবন শেষ করে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন দেলোয়ার হোসেন দিলু। এসময় দুই পুত্রও হাউমাউ করে ডুকরে কেঁদে শেষ আশ্রয়স্থল বাবাকে জড়িয়ে ধরে জিজ্ঞাসা করছে, মা কোথায়?
রেশমা বেগম ডুমুরিয়ার শাহপুর ইউনিয়নের বর্নি গ্রামের মো. শাহজাহান বাওয়ালীর মেয়ে। শাহজাহান বাওয়ালী বলেন, ‘লাশ চাই না আমার মেয়েকে ফেরত চাই। দালালরা এখন আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। কি হবে আবীর-আমীরের?’
এব্যাপারে জানতে দালালচক্রের সদস্য রূপসার নন্দনপুরের নাসিমা বেগমের জামাই ফুলতলার বাসিন্দা মো. জাকারিয়াকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘দেলোয়ার হোসেন দিলু রেশমা বেগমের স্বামী না। তার কাছেই শোনেন রেশমা কোথায়? একজন অভিযোগ দিলেই হবে? আপনারা যা পারার করেন, যান।’ দালালচক্রের মূল হোতা ঢাকার মো. সোহেলের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগ করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
No comments