আমার জীবদ্দশায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে শান্তি দেখি না -ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
ইসরায়েলের
প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালন গতকাল মঙ্গলবার বলেছেন, তাঁর জীবদ্দশায়
ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একটি স্থিতিশীল শান্তিচুক্তি হবে বলে তিনি মনে করেন
না। দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা গত বছর ভেঙে পড়ার পর এমন নৈরাশ্যভরা
মূল্যায়ন করা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি নেতা তিনি। খবর রয়টার্সের।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনদের একজন।
ইয়ালনের অভিযোগ, আলোচনা অব্যাহত রাখার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে ফিলিস্তিনিরাই। তবে ইয়ালনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ফিলিস্তিন।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আয়োজিত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা ২০১৪ সালের এপ্রিলে ভেঙে পড়ে। উভয়ের মধ্যে সমঝোতার পথে বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপন, রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেতে ফিলিস্তিনিদের জাতিসংঘসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়া এবং গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামপন্থী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ঐক্য।
ইসরায়েলি রাজধানী তেলআবিবের কাছে অনুষ্ঠিত বার্ষিক হারজলিয়া সম্মেলনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ালন বলেন, ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছানো প্রশ্নে বলতে গেলে...একজন ব্যক্তি রয়েছেন, যিনি বলে থাকেন, তিনি তাঁর মেয়াদে এমন কিছুর সম্ভাবনা দেখতে পান না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি ইঙ্গিত করেই এ কথা বলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট ওবামা গেল সপ্তাহে একটি ইসরায়েলি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্যই করেছিলেন।
গুরুত্বপূর্ণ ওই সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আমার জীবদ্দশায় একটি স্থিতিশীল চুক্তির সম্ভাবনা দেখি না। আর আমি একটু বেশি সময়ই বাঁচতে চাই।’
ফিলিস্তিনিরাই শান্তি আলোচনার দরজা রুদ্ধ করে দিয়েছে—এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগঠনের (পিএলও) কর্মকর্তা ওয়াসেল আবু ইউসেফ। তিনি বলেছেন, বড় ধরনের কিছু বসতি স্থাপনের কাজ শুরু এবং ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের ফিরে আসার অধিকার হরণের মাধ্যমে আগের ও বর্তমান ইসরায়েলি সরকারগুলোই শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইউসেফ বলেন, নেতানিয়াহুর প্রশাসন বসতি স্থাপনের তৎপরতা চালানো, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফিলিস্তিনিদের চাপ দেওয়ার মাধ্যমে সমস্যা জিইয়ে রেখেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজনদের একজন।
ইয়ালনের অভিযোগ, আলোচনা অব্যাহত রাখার দরজা বন্ধ করে দিয়েছে ফিলিস্তিনিরাই। তবে ইয়ালনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ফিলিস্তিন।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আয়োজিত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা ২০১৪ সালের এপ্রিলে ভেঙে পড়ে। উভয়ের মধ্যে সমঝোতার পথে বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদি বসতি স্থাপন, রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেতে ফিলিস্তিনিদের জাতিসংঘসহ বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়া এবং গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণে থাকা ইসলামপন্থী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ঐক্য।
ইসরায়েলি রাজধানী তেলআবিবের কাছে অনুষ্ঠিত বার্ষিক হারজলিয়া সম্মেলনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ালন বলেন, ‘একটি চুক্তিতে পৌঁছানো প্রশ্নে বলতে গেলে...একজন ব্যক্তি রয়েছেন, যিনি বলে থাকেন, তিনি তাঁর মেয়াদে এমন কিছুর সম্ভাবনা দেখতে পান না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি ইঙ্গিত করেই এ কথা বলেন ইসরায়েলি মন্ত্রী। প্রেসিডেন্ট ওবামা গেল সপ্তাহে একটি ইসরায়েলি টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্যই করেছিলেন।
গুরুত্বপূর্ণ ওই সম্মেলনে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আমার জীবদ্দশায় একটি স্থিতিশীল চুক্তির সম্ভাবনা দেখি না। আর আমি একটু বেশি সময়ই বাঁচতে চাই।’
ফিলিস্তিনিরাই শান্তি আলোচনার দরজা রুদ্ধ করে দিয়েছে—এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতা সংগঠনের (পিএলও) কর্মকর্তা ওয়াসেল আবু ইউসেফ। তিনি বলেছেন, বড় ধরনের কিছু বসতি স্থাপনের কাজ শুরু এবং ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের ফিরে আসার অধিকার হরণের মাধ্যমে আগের ও বর্তমান ইসরায়েলি সরকারগুলোই শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ইউসেফ বলেন, নেতানিয়াহুর প্রশাসন বসতি স্থাপনের তৎপরতা চালানো, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানানো এবং ইসরায়েলকে ইহুদি রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ফিলিস্তিনিদের চাপ দেওয়ার মাধ্যমে সমস্যা জিইয়ে রেখেছে।
No comments