মানব পাচারে থাই জেনারেলের বিরুদ্ধে বিতর্ক নতুন নয়
থাইল্যান্ডে
মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট
জেনারেল মানাস কোংপানের অতীত বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয় উঠে আসছে দেশটির
গণমাধ্যমে। ২০০৫-০৬ সালের দিকে তিনি উপকূলীয় প্রদেশ রানোং-এ একটি বিশেষ
টাস্ক ফোর্সের কর্নেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল
থাইল্যান্ডের সমুদ্র সীমায় ঢুকতে চেষ্টারত অবৈধ অভিবাসীদের দিকে নজর রাখা।
থাইল্যান্ডের বড় জুয়াড়িদের ওপরও চোখ রাখার দায়িত্ব ছিল তার ওপর। মানাস
কোংপানের সেনা ইউনিটটিকে দুর্ধর্ষ ভাবা হতো। কিন্তু ২০০৬ সালের পর থেকে তার
ব্যাপারে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। এ খবর দিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, ২০০৭ সালের অক্টোবরে, তিনটি দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশে
কাজ করার নির্দেশ পান মানাস। সে সময় সুংগাই কোলোক জেলার এক সন্দেহভাজন মাদক
ব্যবসায়ীর বাসায় এক অভিযানের নেতৃত্ব দেন তিনি। সেখানে প্রায় নগদ ৩ কোটি
বাথ উদ্ধার করে তার ইউনিট। তখন অভিযোগ করা হয়, ওই মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে
সমপর্ক রয়েছে বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর। ওদিকে পরে বের হয়, ওই বাড়ি থেকে মূলত
উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৭ কোটি বাথেরও বেশি অর্থ। সমস্ত অর্থ ওই বাড়িতে
পিভিসি পাইপের ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু মানাসের নজরেই দুইটি পিভিসি
পাইপ গায়েব হয়ে যায়। পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় ৩ কোটি বাথ।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মানাসের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়েছিল। কিন্তু কোন প্রমাণ না
থাকায় থমকে যায় তদন্ত। ওই অর্থ কোথায় হারিয়েছে, সেটি নিয়ে এখনও রহস্য
বিদ্যমান।
লে. জেনারেল মানাসের সামরিক কর্মজীবনের বেশিরভাগই কেটেছে পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে। এ কথা চাউর ছিল, তিনি দক্ষিণাঞ্চলীয় চতুর্থ সেনা রিজিয়নের প্রধান হিসেবে ২ বছরের মধ্যে অবসর নেবেন। ২০১৩ সালে সোংখালা প্রদেশের ৪২ তম মিলিটারি সার্কেলের প্রধান হিসেবে তিনি পদোন্নতি পান। এ পদকে বেশ প্রভাবশালী ভাবা হয়। এ পদের থাকা সেনা কর্মকর্তাকে একটি নতুন নাম দেয়া হয়, সেটি হলো, দ্য বস অফ ‘হাত আই’, অর্থাৎ সোংখালার বস। এ বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত নিজের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন মানাস। কিন্তু নতুন পদোন্নতির আগেই মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সেনাবাহিনীর একজন বিশেষজ্ঞের পদ দেয়া হয়। একে এক প্রকার পদবনতি হিসেবেই দেখা হয়। এ মাসের শেষের দিকে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ‘না থাওয়ি’ প্রাদেশিক আদালত। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, মানব পাচারকারীদের সঙ্গে আঁতাত, অবৈধ অভিবাসীদের পাচারে জড়িত থাকা ও মানব পাচারের ভুক্তভোগীদের মুক্তিপণের জন্য আটকে রাখা। তার বিচার সামরিক আদালতের বদলে বেসামরিক আদালতেই হবে। গত বুধবার তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তার জামিনাবেদনও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের বর্তমান সামরিক সরকারের আমলে এমন একজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার আটকের বিষয়টি ইঙ্গিত দেয়, মানব পাচারের বিরুদ্ধে সরকার বেশ সিরিয়াস। এর অর্থ, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হলে মানাসকে বহু দূর পাড়ি দিতে হবে।
ওদিকে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের শিকার ৯৯ জনের মৃতদেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির জঙ্গলে গণকবর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। প্রথম থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, এসব গণকবর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের।
লে. জেনারেল মানাসের সামরিক কর্মজীবনের বেশিরভাগই কেটেছে পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চলে। এ কথা চাউর ছিল, তিনি দক্ষিণাঞ্চলীয় চতুর্থ সেনা রিজিয়নের প্রধান হিসেবে ২ বছরের মধ্যে অবসর নেবেন। ২০১৩ সালে সোংখালা প্রদেশের ৪২ তম মিলিটারি সার্কেলের প্রধান হিসেবে তিনি পদোন্নতি পান। এ পদকে বেশ প্রভাবশালী ভাবা হয়। এ পদের থাকা সেনা কর্মকর্তাকে একটি নতুন নাম দেয়া হয়, সেটি হলো, দ্য বস অফ ‘হাত আই’, অর্থাৎ সোংখালার বস। এ বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত নিজের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন মানাস। কিন্তু নতুন পদোন্নতির আগেই মানব পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে সেনাবাহিনীর একজন বিশেষজ্ঞের পদ দেয়া হয়। একে এক প্রকার পদবনতি হিসেবেই দেখা হয়। এ মাসের শেষের দিকে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ‘না থাওয়ি’ প্রাদেশিক আদালত। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, মানব পাচারকারীদের সঙ্গে আঁতাত, অবৈধ অভিবাসীদের পাচারে জড়িত থাকা ও মানব পাচারের ভুক্তভোগীদের মুক্তিপণের জন্য আটকে রাখা। তার বিচার সামরিক আদালতের বদলে বেসামরিক আদালতেই হবে। গত বুধবার তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তার জামিনাবেদনও প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। থাইল্যান্ডের বর্তমান সামরিক সরকারের আমলে এমন একজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তার আটকের বিষয়টি ইঙ্গিত দেয়, মানব পাচারের বিরুদ্ধে সরকার বেশ সিরিয়াস। এর অর্থ, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে হলে মানাসকে বহু দূর পাড়ি দিতে হবে।
ওদিকে মালয়েশিয়ায় মানব পাচারের শিকার ৯৯ জনের মৃতদেহের অবশিষ্টাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির জঙ্গলে গণকবর থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। প্রথম থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, এসব গণকবর বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিদের।
No comments