বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে না জামায়াত
মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং আবদুল কাদের মোল্লা- দু জনই ছিলেন জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী এরইমধ্যে তাদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে। মুহাম্মদ কামারুজ্জামান এবং আবদুল কাদের মোল্লা দু জনই জামায়াতের নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন। জামায়াতের হয়ে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন কামারুজ্জামান। তার কারাবন্দি হওয়ার পর আরেক সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এ বিষয়টি দেখাশোনা করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনিও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে, আবদুল কাদের মোল্লা বিভিন্ন দল ও বুদ্ধিভিত্তিক গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতেন। জামায়াতের তাত্ত্বিক গুরু গোলাম আযমও এরইমধ্যে ইন্তেকাল করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে মারা গেছেন আরেক শীর্ষ নেতা মাওলানা একেএম ইউসুফ।
দুই/এক জন ছাড়া জামায়াতের পুরো শীর্ষ নেতৃত্বেরই এখন রাজনীতিতে কোন ভূমিকা নেই। তাদের রাজনীতিতে ফেরারও কোন সম্ভাবনা নেই। বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই এরইমধ্যে ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাজা পেয়েছেন। আপিল বিভাগে ১৬ই জুন রায় ঘোষণা হবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে আটক শীর্ষ নেতারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে জামায়াতের বর্তমান নীতিনির্ধারকদের বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে তাদের পরামর্শ সবক্ষেত্রে গুরুত্ব পায় না। কারাগারে বন্দি থাকাকালে মুহাম্মদ কামারুজ্জামান চিঠি দিয়ে জামায়াতের নেতা এবং দলটির বুদ্ধিদাতাদের দলে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে তার পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি। উল্টো কেউ কেউ তাকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবেও আখ্যায়িত করেছিলেন।
জামায়াতের নীতিনির্ধারণে ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমেদের তেমন কোন ভূমিকা নেই। ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে থাকলেও দলটির নেতাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষকরে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং আইনি ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত পরামর্শ দেন। যদিও তার অনুপস্থিতির কারণে আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিপাকে রয়েছে জামায়াত। দলটিতে তার বিকল্প কোন সমমানের আইনজীবী নেই। শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তারের পর কয়েকজন সাবেক শিবির সভাপতি জামায়াতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু পরে একে একে তারা প্রায় সবাই গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘদিন ধরে তারাও কারাগারে আটক রয়েছেন। ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরকে মাঝে লাইমলাইটে দেখা গেলেও দলে তাকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। শীর্ষ নেতাদের কোন বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে না জামায়াত। দল নিষিদ্ধ হলে এরপর কি হবে তা জানেন না জামায়াত নেতারা। বিকল্প খুঁজে না পেয়ে হতাশ নেতারা সময় পার করছেন।
দুই/এক জন ছাড়া জামায়াতের পুরো শীর্ষ নেতৃত্বেরই এখন রাজনীতিতে কোন ভূমিকা নেই। তাদের রাজনীতিতে ফেরারও কোন সম্ভাবনা নেই। বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাই এরইমধ্যে ট্রাইব্যুনালের রায়ে সাজা পেয়েছেন। আপিল বিভাগে ১৬ই জুন রায় ঘোষণা হবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে আটক শীর্ষ নেতারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে জামায়াতের বর্তমান নীতিনির্ধারকদের বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে তাদের পরামর্শ সবক্ষেত্রে গুরুত্ব পায় না। কারাগারে বন্দি থাকাকালে মুহাম্মদ কামারুজ্জামান চিঠি দিয়ে জামায়াতের নেতা এবং দলটির বুদ্ধিদাতাদের দলে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে তার পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি। উল্টো কেউ কেউ তাকে ষড়যন্ত্রকারী হিসেবেও আখ্যায়িত করেছিলেন।
জামায়াতের নীতিনির্ধারণে ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমেদের তেমন কোন ভূমিকা নেই। ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক দীর্ঘদিন ধরে দেশের বাইরে থাকলেও দলটির নেতাদের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। বিশেষকরে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং আইনি ক্ষেত্রে তিনি নিয়মিত পরামর্শ দেন। যদিও তার অনুপস্থিতির কারণে আইনি লড়াইয়ের ক্ষেত্রে বিপাকে রয়েছে জামায়াত। দলটিতে তার বিকল্প কোন সমমানের আইনজীবী নেই। শীর্ষ নেতারা গ্রেপ্তারের পর কয়েকজন সাবেক শিবির সভাপতি জামায়াতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু পরে একে একে তারা প্রায় সবাই গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘদিন ধরে তারাও কারাগারে আটক রয়েছেন। ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরকে মাঝে লাইমলাইটে দেখা গেলেও দলে তাকে নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। শীর্ষ নেতাদের কোন বিকল্প খুঁজে পাচ্ছে না জামায়াত। দল নিষিদ্ধ হলে এরপর কি হবে তা জানেন না জামায়াত নেতারা। বিকল্প খুঁজে না পেয়ে হতাশ নেতারা সময় পার করছেন।
No comments