ধূমকেতু থেকে সাড়া
ধূমকেতু সিক্সটিসেভেনপি যখন উত্তপ্ত হয় তখন গ্যাস ও ধূলিকণা নির্গত হয়। |
ধূমকেতু থেকে সাত মাস পর সাড়া দিয়েছে ফিলে রোবটযান। |
ঘুম
ভেঙেছে ধূমকেতুর ওপর অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করা ওয়াশিং মেশিনের সমান
রোবটযান ফিলের। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা (ইএসএ) গতকাল রোববার যানটির খবর
জানিয়ে বলেছে, কয়েক মাস ধরে যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন থাকার পর আবার সাড়া দিয়েছে
ফিলে, পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। রোসেটা মহাকাশযান থেকে পৃথক হয়ে
ফিলে গত নভেম্বরে সিক্সটিসেভেনপি নামের ধূমকেতুর পৃষ্ঠে নামে। অবতরণের পর
এটি ৬০ ঘণ্টা সক্রিয় ছিল। তারপর সৌরশক্তিনির্ভর ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে
যায়। গবেষকেরা যদিও ফিলের জেগে ওঠা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন এরপর ধূমকেতুটি
ক্রমেই সূর্যের কাছে যেতে থাকলে সম্প্রতি ওই ব্যাটারি আবার সচল হয়।
বিজ্ঞানীরা এখন আবার ফিলের কাছ থেকে সংকেত পাওয়ার অপেক্ষা করছেন। ফিলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক স্টেফান উলামেক বলেন, ‘ফিলে এখন ঠিক আছে।’
ইএসএর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক পরামর্শক মার্ক ম্যাককফরান বলেন, ‘দীর্ঘ সাতটি মাস অপেক্ষার পর ফিলে জেগেছে। সত্যি বলতে কী, আমরা তার জাগার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম না। এ সময় ইউরোপে অনেক সুখী মানুষের দেখা মিলবে।’
ইএসএর গবেষকেরা বলছেন, ফিলেতে বিশাল তথ্যভান্ডার জমা রয়েছে। এটি পৃথিবীর সঙ্গে আবার যোগাযোগ করলে তা ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। এখন আমরা আশাবাদী যে, ফিলে আবার সাড়া দেবে।
বিবিসির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ডেভিড সুকম্যান বলেন, প্রথমবারের মতো ধূমকেতুর ওপর এক আগন্তুক চড়ে বসেছে এবং ধূমকেতুর মহাশূন্যের পথে যাত্রাকালে যখন সেটি অধিক উত্তপ্ত হয়ে যায় তখন কী ঘটে তার বর্ণনা দেবে।
ফিলের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে যে পাথুরে খণ্ড ও বরফ দিয়ে ধূমকেতু তৈরি তা বিশ্লেষণ করতে পারে। ওপেন ইউনিভার্সিটির গবেষক মনিকা বলেন, বিজ্ঞানীদের কাছে এখন ফিলে নতুন আশার দুয়ার খুলে দিল। পৃথিবীতে প্রাণের উৎসে জন্য ধূমকেতু দায়ী কিনা সে পরীক্ষা তারা করতে পারবেন। ধূমকেতুতে সাধারণত প্রচুর পানি আর কার্বন থাকে আর এই উপাদানগুলো জীবন সৃষ্টির জন্য দায়ী।
সিক্সটিসেভেনপি ধূমকেতুর চারপাশের অবস্থা সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবে ফিলে।
কী ঘটেছিল ফিলের ভাগ্যে
ফিলে যখন এর অবতরণ স্থলের প্রথম ছবি পাঠায়, তখন সেটি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন গভীর খাদ এলাকা। বিশাল একটি দেয়ালের আড়াল থাকায় সূর্যের আলো ফিলের সৌর প্যানেলে পৌঁছায় না। রোবটের ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ার আগে গবেষকেরা মাত্র ৬০ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় ধূমকেতুর তথ্য সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে গবেষকেরা আশা করছিলেন এক সময় এটি আবার জেগে উঠতে পারে। এখন তাঁরা বলছেন, ধূমকেতুটি এখন সূর্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। ফিলের ওপর এখন সূর্যের আলো পড়বে যাতে আবার কর্মক্ষম হয়ে উঠবে এ যানটি।
গবেষকেরা এখন ফিলেকে দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারবেন। এই রোবটটি অচল হওয়ার আগে গবেষকেদের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল ধূমকেতুতে খোঁড়াখুঁড়ি করে এর রাসায়নিক গঠন পরীক্ষা করা। গত বছর সে পরীক্ষা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়। এবার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা গবেষকেদের অগ্রাধিকার থাকবে।
এই ধূমকেতুতে পৌঁছাতে রোসেটা মিশনের এক দশক সময় লেগেছে। ওয়াশিং মেশিনের সমান আকৃতির ফিলে ধূমকেতুতে অবতরণের পর লাফিয়ে উঠে কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে। ব্যাটারি শেষ হওয়ার আগে ফিলে নিজের যে অবস্থানের ছবি পাঠায় তাতে দেখা যায় অন্ধকার দেয়াল ঘেরা এক স্থানে আটকা পড়েছে ফিলে যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না।
গবেষকেরা এখন ফিলের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করার চেষ্টা করবেন।
বর্তমানে সিক্সটিসেভেনপি ধূমকেতুটি সূর্য থেকে ১২ কোটি ৭০ লাখ মাইল দূরে রয়েছে এবং ধীরে ধীরে সূর্যের দিকে এগোচ্ছে। আগস্ট মাস নাগাদ এটি সূর্যের অনেক কাছাকাছি চলে যাবে। সূর্যের যত কাছে যাবে এটি তত উত্তপ্ত হতে থাকবে এবং এর বরফ গলে যাবে। এতে বিশাল গ্যাস ও ধূলিকণার সৃষ্টি হবে। ফিলে যদি ঠিকঠাকমতো কাজ করে তবে সিক্সটিসেভেনপি ধূমকেতুর পৃষ্ঠে কী ঘটে সেই অসাধারণ তথ্য পৃথিবীবাসীর জানার সুযোগ হবে।
ইএসএর জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক পরামর্শক মার্ক ম্যাককফরান বলেন, ‘দীর্ঘ সাতটি মাস অপেক্ষার পর ফিলে জেগেছে। সত্যি বলতে কী, আমরা তার জাগার বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম না। এ সময় ইউরোপে অনেক সুখী মানুষের দেখা মিলবে।’
ইএসএর গবেষকেরা বলছেন, ফিলেতে বিশাল তথ্যভান্ডার জমা রয়েছে। এটি পৃথিবীর সঙ্গে আবার যোগাযোগ করলে তা ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। এখন আমরা আশাবাদী যে, ফিলে আবার সাড়া দেবে।
বিবিসির বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ডেভিড সুকম্যান বলেন, প্রথমবারের মতো ধূমকেতুর ওপর এক আগন্তুক চড়ে বসেছে এবং ধূমকেতুর মহাশূন্যের পথে যাত্রাকালে যখন সেটি অধিক উত্তপ্ত হয়ে যায় তখন কী ঘটে তার বর্ণনা দেবে।
ফিলের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে যে পাথুরে খণ্ড ও বরফ দিয়ে ধূমকেতু তৈরি তা বিশ্লেষণ করতে পারে। ওপেন ইউনিভার্সিটির গবেষক মনিকা বলেন, বিজ্ঞানীদের কাছে এখন ফিলে নতুন আশার দুয়ার খুলে দিল। পৃথিবীতে প্রাণের উৎসে জন্য ধূমকেতু দায়ী কিনা সে পরীক্ষা তারা করতে পারবেন। ধূমকেতুতে সাধারণত প্রচুর পানি আর কার্বন থাকে আর এই উপাদানগুলো জীবন সৃষ্টির জন্য দায়ী।
সিক্সটিসেভেনপি ধূমকেতুর চারপাশের অবস্থা সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারবে ফিলে।
কী ঘটেছিল ফিলের ভাগ্যে
ফিলে যখন এর অবতরণ স্থলের প্রথম ছবি পাঠায়, তখন সেটি ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন গভীর খাদ এলাকা। বিশাল একটি দেয়ালের আড়াল থাকায় সূর্যের আলো ফিলের সৌর প্যানেলে পৌঁছায় না। রোবটের ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়ার আগে গবেষকেরা মাত্র ৬০ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় ধূমকেতুর তথ্য সংগ্রহের সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে গবেষকেরা আশা করছিলেন এক সময় এটি আবার জেগে উঠতে পারে। এখন তাঁরা বলছেন, ধূমকেতুটি এখন সূর্যের দিকে যাত্রা শুরু করেছে। ফিলের ওপর এখন সূর্যের আলো পড়বে যাতে আবার কর্মক্ষম হয়ে উঠবে এ যানটি।
গবেষকেরা এখন ফিলেকে দিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে পারবেন। এই রোবটটি অচল হওয়ার আগে গবেষকেদের প্রধানতম লক্ষ্য ছিল ধূমকেতুতে খোঁড়াখুঁড়ি করে এর রাসায়নিক গঠন পরীক্ষা করা। গত বছর সে পরীক্ষা চালানো হলেও তা ব্যর্থ হয়। এবার দ্বিতীয় প্রচেষ্টা গবেষকেদের অগ্রাধিকার থাকবে।
এই ধূমকেতুতে পৌঁছাতে রোসেটা মিশনের এক দশক সময় লেগেছে। ওয়াশিং মেশিনের সমান আকৃতির ফিলে ধূমকেতুতে অবতরণের পর লাফিয়ে উঠে কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে। ব্যাটারি শেষ হওয়ার আগে ফিলে নিজের যে অবস্থানের ছবি পাঠায় তাতে দেখা যায় অন্ধকার দেয়াল ঘেরা এক স্থানে আটকা পড়েছে ফিলে যেখানে সূর্যের আলো পৌঁছায় না।
গবেষকেরা এখন ফিলের সঠিক অবস্থান নির্ণয় করার চেষ্টা করবেন।
বর্তমানে সিক্সটিসেভেনপি ধূমকেতুটি সূর্য থেকে ১২ কোটি ৭০ লাখ মাইল দূরে রয়েছে এবং ধীরে ধীরে সূর্যের দিকে এগোচ্ছে। আগস্ট মাস নাগাদ এটি সূর্যের অনেক কাছাকাছি চলে যাবে। সূর্যের যত কাছে যাবে এটি তত উত্তপ্ত হতে থাকবে এবং এর বরফ গলে যাবে। এতে বিশাল গ্যাস ও ধূলিকণার সৃষ্টি হবে। ফিলে যদি ঠিকঠাকমতো কাজ করে তবে সিক্সটিসেভেনপি ধূমকেতুর পৃষ্ঠে কী ঘটে সেই অসাধারণ তথ্য পৃথিবীবাসীর জানার সুযোগ হবে।
No comments