ফুটবলে তীরে এসে তরি ডোবার আখ্যান by নাইর ইকবাল
তাজিকিস্তানের বিপক্ষে এভাবে অধিকাংশ সময় বল বাংলাদেশের পায়ে থাকলেও ফলাফল ১-১ সমতা। |
চিত্রনাট্যের
পুরোটাই ছিল বাংলাদেশের পক্ষে। পুরো খেলায় বাংলাদেশের আধিপত্য। খেলায় গোল
করে এগিয়ে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ দশজনের দলের পরিণত হওয়া, তবুও এই ম্যাচের
বিজয়ী দল বাংলাদেশ নয়। সেই ডেড বল, সেই সেট পিস। সর্বোপরি সেই রক্ষণাত্মক
ফুটবল খেলে চাপ নিজেদের ওপর নিয়ে নেওয়া। আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে
উপস্থিত হাজার দশেক দর্শক অবাক হয়ে দেখল, কীভাবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল
একটা নিশ্চিত জেতা ম্যাচ প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিতে পারে। খেলাটা ১-১ গোলে
ড্র হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই ড্র তো বাংলাদেশের জন্য হারের শামিলই।
এই ম্যাচটা পুরোটাই ছিল বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে আগের ম্যাচেই কিরগিজস্তানের বিপক্ষে হারের পর তাজিকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবেই নিয়েছিল মামুনুল বাহিনী। প্রথম থেকে শরীরী ভাষায় মরিয়া ভাবটা ছিল দারুণভাবেই। খেলার ২৫ মিনিট পর্যন্ত তো তাজিক ফুটবলারদের পায়ে বলই দেখা যায়নি। অসম্ভব আক্রমণাত্মক হয়েও ভালো ফিনিশারের অভাবে কাজের কাজটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু গোল করার প্রচেষ্টার কিন্তু কোনো কমতি ছিল না। বাম প্রান্তে দুর্দান্ত খেলছিলেন তরুণ-তুর্কি জুয়েল রানা। হেমন্তও ছিলেন আজ স্বরূপে উজ্জ্বল। অধিনায়ক মামুনুল একের পর এক বল বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন আক্রমণভাগের দিকে। কিন্তু কাজের কাজটা হচ্ছিল না। সবকিছু আটকে যাচ্ছিল মূলত একটা জায়গায় গিয়ে। জাহিদ হাসান এমিলিকে দেশের ‘সেরা’ স্ট্রাইকার বলা হয়। কিন্তু প্রথমার্ধে বাংলাদেশের আক্রমণগুলো আটকে যাচ্ছিল তাঁর কাছে গিয়েই।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম থেকে দর্শকদের বিরক্তি উদ্রেক করেও গোলদাতা কিন্তু ওই এমিলিই। বক্সের বাম প্রান্তে পাওয়া মামুনুলের ফ্রি-কিকটিতে হেমন্ত¯হেড নিলেও গোল লাইন অতিক্রম করতে ‘সহায়তা’ করার জন্যই স্কোরশিটে নাম এমিলির। গোল করে উজ্জীবিত হওয়াটাই কাম্য ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের খেলায় নেতিবাচক ব্যাপারটি ক্রমেই ফুটে ওঠে। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে হেমন্তকে মারাত্মক ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন তাজিকিস্তানের আসরভ। প্রতিপক্ষের দশজনের দলে পরিণত হলেও বাড়তি সুবিধা নেওয়ার কোনো কিছুই দেখা যায়নি বাংলাদেশের খেলায়। উল্টো সব খেলোয়াড় নিচে নেমে এসে প্রতিপক্ষকে আক্রমণে ওঠার সুযোগ করে দিতে থাকেন বারবার। এই সুযোগে তাজিকিস্তানও চড়াও হয় বাংলাদেশের ওপর। তৈরি করতে থাকে একাধিক সুযোগ। গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ অবশ্য এ সময় ছিলেন অবিচল। তিনি বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ করে দলকে বাঁচান।
ম্যাচের ৮০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর খেলাটা পুরোপুরিই তাজিকদের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ। ৮৬ মিনিটে বক্সের বাইরে অযথা একটা ফাউল করে তাদের ফ্রি-কিকের সুযোগ করে দেন এমিলি। সেই ফ্রি-কিক থেকেই কপাল পোড়ে বাংলাদেশের। ফাতুলোয়েভ ফাতুল্লের দর্শনীয় ফ্রি-কিকটি কোনো সুযোগ দেয়নি গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদকে। পোস্টের বাম দিক দিয়ে সরাসরি আশ্রয় নেয় জালে।
পুরো স্টেডিয়ামে তখন আক্ষেপ। তীরে এসে তরি ডোবানোর এই আক্ষেপ বোধ হয় শুধু স্টেডিয়ামেই নয় দেশের ক্রীড়ামোদীদেরও।
এই ম্যাচটা পুরোটাই ছিল বাংলাদেশের। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে আগের ম্যাচেই কিরগিজস্তানের বিপক্ষে হারের পর তাজিকিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবেই নিয়েছিল মামুনুল বাহিনী। প্রথম থেকে শরীরী ভাষায় মরিয়া ভাবটা ছিল দারুণভাবেই। খেলার ২৫ মিনিট পর্যন্ত তো তাজিক ফুটবলারদের পায়ে বলই দেখা যায়নি। অসম্ভব আক্রমণাত্মক হয়েও ভালো ফিনিশারের অভাবে কাজের কাজটা করতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু গোল করার প্রচেষ্টার কিন্তু কোনো কমতি ছিল না। বাম প্রান্তে দুর্দান্ত খেলছিলেন তরুণ-তুর্কি জুয়েল রানা। হেমন্তও ছিলেন আজ স্বরূপে উজ্জ্বল। অধিনায়ক মামুনুল একের পর এক বল বাড়িয়ে দিচ্ছিলেন আক্রমণভাগের দিকে। কিন্তু কাজের কাজটা হচ্ছিল না। সবকিছু আটকে যাচ্ছিল মূলত একটা জায়গায় গিয়ে। জাহিদ হাসান এমিলিকে দেশের ‘সেরা’ স্ট্রাইকার বলা হয়। কিন্তু প্রথমার্ধে বাংলাদেশের আক্রমণগুলো আটকে যাচ্ছিল তাঁর কাছে গিয়েই।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম থেকে দর্শকদের বিরক্তি উদ্রেক করেও গোলদাতা কিন্তু ওই এমিলিই। বক্সের বাম প্রান্তে পাওয়া মামুনুলের ফ্রি-কিকটিতে হেমন্ত¯হেড নিলেও গোল লাইন অতিক্রম করতে ‘সহায়তা’ করার জন্যই স্কোরশিটে নাম এমিলির। গোল করে উজ্জীবিত হওয়াটাই কাম্য ছিল, কিন্তু বাংলাদেশের খেলায় নেতিবাচক ব্যাপারটি ক্রমেই ফুটে ওঠে। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে হেমন্তকে মারাত্মক ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন তাজিকিস্তানের আসরভ। প্রতিপক্ষের দশজনের দলে পরিণত হলেও বাড়তি সুবিধা নেওয়ার কোনো কিছুই দেখা যায়নি বাংলাদেশের খেলায়। উল্টো সব খেলোয়াড় নিচে নেমে এসে প্রতিপক্ষকে আক্রমণে ওঠার সুযোগ করে দিতে থাকেন বারবার। এই সুযোগে তাজিকিস্তানও চড়াও হয় বাংলাদেশের ওপর। তৈরি করতে থাকে একাধিক সুযোগ। গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ অবশ্য এ সময় ছিলেন অবিচল। তিনি বেশ কয়েকটি দুর্দান্ত সেভ করে দলকে বাঁচান।
ম্যাচের ৮০ মিনিট অতিবাহিত হওয়ার পর খেলাটা পুরোপুরিই তাজিকদের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ। ৮৬ মিনিটে বক্সের বাইরে অযথা একটা ফাউল করে তাদের ফ্রি-কিকের সুযোগ করে দেন এমিলি। সেই ফ্রি-কিক থেকেই কপাল পোড়ে বাংলাদেশের। ফাতুলোয়েভ ফাতুল্লের দর্শনীয় ফ্রি-কিকটি কোনো সুযোগ দেয়নি গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদকে। পোস্টের বাম দিক দিয়ে সরাসরি আশ্রয় নেয় জালে।
পুরো স্টেডিয়ামে তখন আক্ষেপ। তীরে এসে তরি ডোবানোর এই আক্ষেপ বোধ হয় শুধু স্টেডিয়ামেই নয় দেশের ক্রীড়ামোদীদেরও।
No comments