ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাই নিয়তি by সামছুর রহমান
নাম প্যারিস রোড। মিরপুর ১০ নম্বরের সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনের এই সড়কটির এমন বেহাল। ছবি -সাবিনা ইয়াসমিন |
রাজধানীর
মিরপুর ১০ নম্বরে নির্মাণাধীন ঢাকা সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনের সড়ক
এবং আগারগাঁওয়ের প্রবীণ হাসপাতালের সামনের সড়ক দুটি স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধ
হয়ে আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বহুবার
জানানোর পরও সমস্যার সমাধান হয়নি।
সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক দুটিতে জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি আশপাশের সড়কগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রবীণ হাসপাতালের সামনের সড়কটি প্রায় দুই বছর ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধ। ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাসপাতালে আসা রোগী, তাঁদের স্বজন এবং চিকিৎসক-কর্মচারীরা।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা মিশে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের ফুটপাতে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় পথচারীদের ময়লা পানি মাড়িয়ে চলতে হচ্ছে।
প্রবীণ হাসপাতালের কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ বাড়ে। বেশ কয়েক বছর ধরে এমন ভোগান্তি। কয়েকবার সিটি করপোরেশন ও গণপূর্ত বিভাগকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের এসব পচা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে হাসপাতালে আসতে হয়।’
এই সড়কটির আশপাশের সড়কে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, কোস্টগার্ড সদর দপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। এই সড়কগুলো সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়।
আগারগাঁও এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এই সড়কগুলো গণপূর্ত বিভাগের (পিডব্লিউডি) অধীনে। ডিএনসিসির একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পিডব্লিউডি সড়কগুলো সিটি করপোরেশনকে এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। তাই সিটি করপোরেশন চাইলেও কিছু করতে পারছে না।’
২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সড়কগুলোর বিষয়ে পিডব্লিউডি, সিটি করপোরেশন সবার সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বলেছে, খুব শিগগিরই এই সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য তাঁরা ড্রেনেজব্যবস্থা করে দেবে। আশা করছি আগামী কিছুদিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।’
জলাবদ্ধ সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনের সড়ক: মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনে নির্মাণাধীন সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনে চার সড়কের সংযোগস্থল। সংযোগস্থলটি ও সড়কগুলোর কিছু অংশ দুই বছর ধরে দুর্গন্ধময় আবর্জনা ও পানিতে ডুবে আছে। আশপাশের এলাকা থেকে মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বরে যাতায়াতের প্রধান এই পথটি এভাবে বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
দেখা যায়, প্যারিস রোড, লেন ১৭, লেন ১৫ ও মিরপুর ১১ নম্বর থেকে চারটি সড়ক মার্কেটের সামনে এসে মিশেছে। জায়গাটিতে আবর্জনা ও ময়লা পানি জমে আছে। ময়লা পানি সংযোগস্থল ছাড়িয়ে ১৭ নম্বর লেনের মুসলিম ক্যাম্প, লেন ১৫ ও মিরপুর ১১ নম্বর বাজার সড়কে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীকে ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কোথাও ইট ফেলে পানির ওপর দিয়ে হাঁটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ এলাকার জনগণকে অনেকটা ঘুরে মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর যেতে হচ্ছে। সড়কে জমে থাকা পানির নিচে আছে ছোট-বড় গর্ত। হঠাৎ দু-একটা রিকশা জমে থাকা পানি পার হওয়ার চেষ্টা করলে আটকা পড়ছে গর্তে।
এই সড়কটি ডিএনসিসির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটি ঠিক করা আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। সড়কটির জন্য দরপত্র হয়েছিল, কিন্তু তাতে ত্রুটি থাকায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুনঃদরপত্রের নোটিশ দেওয়া হবে। দরপত্র হলেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’
সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়ক দুটিতে জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি আশপাশের সড়কগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রবীণ হাসপাতালের সামনের সড়কটি প্রায় দুই বছর ধরে স্থায়ী জলাবদ্ধ। ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানির কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন হাসপাতালে আসা রোগী, তাঁদের স্বজন এবং চিকিৎসক-কর্মচারীরা।
গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টির পানির সঙ্গে ময়লা-আবর্জনা মিশে দুর্বিষহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের ফুটপাতে নির্মাণসামগ্রী ফেলে রাখায় পথচারীদের ময়লা পানি মাড়িয়ে চলতে হচ্ছে।
প্রবীণ হাসপাতালের কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ বাড়ে। বেশ কয়েক বছর ধরে এমন ভোগান্তি। কয়েকবার সিটি করপোরেশন ও গণপূর্ত বিভাগকে জানালেও কোনো কাজ হয়নি। দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের এসব পচা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি মাড়িয়ে হাসপাতালে আসতে হয়।’
এই সড়কটির আশপাশের সড়কে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ, ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি, কোস্টগার্ড সদর দপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের মতো সরকারি প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। এই সড়কগুলো সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায়।
আগারগাঁও এলাকাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এই সড়কগুলো গণপূর্ত বিভাগের (পিডব্লিউডি) অধীনে। ডিএনসিসির একজন প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পিডব্লিউডি সড়কগুলো সিটি করপোরেশনকে এখনো বুঝিয়ে দেয়নি। তাই সিটি করপোরেশন চাইলেও কিছু করতে পারছে না।’
২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফোরকান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই সড়কগুলোর বিষয়ে পিডব্লিউডি, সিটি করপোরেশন সবার সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বলেছে, খুব শিগগিরই এই সড়কের পানি নিষ্কাশনের জন্য তাঁরা ড্রেনেজব্যবস্থা করে দেবে। আশা করছি আগামী কিছুদিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হবে।’
জলাবদ্ধ সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনের সড়ক: মিরপুর ১০ নম্বর সেকশনে নির্মাণাধীন সিটি করপোরেশন মার্কেটের সামনে চার সড়কের সংযোগস্থল। সংযোগস্থলটি ও সড়কগুলোর কিছু অংশ দুই বছর ধরে দুর্গন্ধময় আবর্জনা ও পানিতে ডুবে আছে। আশপাশের এলাকা থেকে মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বরে যাতায়াতের প্রধান এই পথটি এভাবে বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
দেখা যায়, প্যারিস রোড, লেন ১৭, লেন ১৫ ও মিরপুর ১১ নম্বর থেকে চারটি সড়ক মার্কেটের সামনে এসে মিশেছে। জায়গাটিতে আবর্জনা ও ময়লা পানি জমে আছে। ময়লা পানি সংযোগস্থল ছাড়িয়ে ১৭ নম্বর লেনের মুসলিম ক্যাম্প, লেন ১৫ ও মিরপুর ১১ নম্বর বাজার সড়কে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীকে ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। কোথাও ইট ফেলে পানির ওপর দিয়ে হাঁটার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ এলাকার জনগণকে অনেকটা ঘুরে মিরপুর ১০ ও ১১ নম্বর যেতে হচ্ছে। সড়কে জমে থাকা পানির নিচে আছে ছোট-বড় গর্ত। হঠাৎ দু-একটা রিকশা জমে থাকা পানি পার হওয়ার চেষ্টা করলে আটকা পড়ছে গর্তে।
এই সড়কটি ডিএনসিসির ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটি ঠিক করা আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। সড়কটির জন্য দরপত্র হয়েছিল, কিন্তু তাতে ত্রুটি থাকায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে পুনঃদরপত্রের নোটিশ দেওয়া হবে। দরপত্র হলেই সংস্কারের কাজ শুরু হবে।’
No comments