রাজনৈতিক সঙ্কটে মোদি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সুষমা স্বরাজকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা বিতর্ক সরকারের প্রথম রাজনৈতিক সংকট
হলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের চাপে নতি স্বীকারে নারাজ।
বিজেপি এবং সরকার মনে করছে, অন্য বহু বিতর্কের মতোই এই বিষয়টিও দিনকয়েকের
মধ্যেই ধামা চাপা পড়ে যাবে।
সরকারি এক সূত্রের মতে, জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হবে। তখন এই সংক্রান্ত নতুন কোনো তথ্য উঠে এলে সরকার ভেবে দেখবে। তত দিন পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি অথবা সুষমা স্বরাজ কোনো বিবৃতি দেবেন না যেহেতু এর মধ্যে আর্থিক কোনো দুর্নীতি নেই।
সরকারি এই মনোভাব সত্ত্বেও বিরোধীরা আজ সোমবার তাদের চাপ আরও বাড়িয়েছে। সুষমার সরকারি বাসভবন ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। হাজার-খানেক যুব কংগ্রেস সমর্থক সোমবার দুপুরে সুষমার বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ দেখান। এ সময় কয়েকজন গ্রেপ্তার হন। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। অন্য কোনো বিরোধী দল পথে না নামলেও সিপিআই, সিপিএম, জনতা দল (সংযুক্ত), আম আদমি পাটি (এএপি) সুষমার পদত্যাগ দাবি করেছেন। বিরোধীদের প্রশ্ন, ৭০০ কোটি রুপি তছরূপের অভিযোগে যে-ব্যক্তিকে ভারত সরকার হন্যে হয়ে খুঁজছে, তার হয়ে এই সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন অন্য দেশের সরকারকে অনুরোধ করবেন? সেই অনুরোধে কি তবে প্রধানমন্ত্রীরও সম্মতি ছিল?
আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আইপিএলের এক সময়কার চেয়ারম্যান ললিত মোদি বরখাস্ত হন। তাঁর পাসপোর্টও জব্দ করা হয়। জেরার হাত থেকে বাঁচতে তিনি লন্ডনে থেকে যান। অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য পতুর্গাল যেতে ললিত মোদি যুক্তরাজ্যের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ কিথ ভাজ-এর শরণাপন্ন হন। ভাজ সে জন্য ফোন করেন সুষমাকে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ললিত পর্তুগালসহ আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়ে যান। বিতর্কের শুরু সেখান থেকেই।
যুক্তরাজ্যকে সুষমা যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, মানবিক দিক থেকেই তিনি এই অনুরোধ জানাচ্ছেন। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী তারা এই অনুরোধ বিবেচনা করুক। যুক্তরাজ্য ললিত মোদিকে পর্তুগাল যাওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমতি দিলে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের হানি হবে না। প্রশ্ন উঠেছে, যাকে ভারতের অর্থ মন্ত্রক জেরা করতে চায় এবং প্রত্যাবর্তনের দাবি জানিয়ে রেখেছে, তার জন্য সুষমা কেন অনুরোধ জানাবেন?
এখানেই উঠেছে স্বার্থের প্রশ্ন। সুষমার আইনজীবী স্বামী স্বরাজ কৌশল ২২ বছর ধরে ললিতের আইনি পরামর্শদাতা। সুষমার কন্যা বাঁশরি গত সাত বছর ধরে ললিতের বিভিন্ন মামলায় আইনজীবী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। স্বরাজ কৌশলের ছোট ভাইয়ের ছেলেকে সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন ললিত মোদি। স্বরাজ ও মোদি পরিবারের এই ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, তা হলে তো মানবিক কারণে সন্ত্রাসীরাও বিদেশে চলে যাবে!
সুষমা নতুন করে মুখ খোলেননি। গত রোববারই তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন। দল ও সংঘ পরিবারের সবাই তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। মন্ত্রী হিসেবে সুষমার দক্ষতা প্রশ্নাতীত। সেই কারণে এক সময় বিরোধিতা করা সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদি তাঁকে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে দক্ষ মন্ত্রীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। সংঘ পরিবার তাঁর পক্ষে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। দল ও সরকারি সূত্র অনুযায়ী, নতুন কোনো বিব্রতকর তথ্য না এলে সরকার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেবে না। সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
সরকারি এক সূত্রের মতে, জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হবে। তখন এই সংক্রান্ত নতুন কোনো তথ্য উঠে এলে সরকার ভেবে দেখবে। তত দিন পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদি অথবা সুষমা স্বরাজ কোনো বিবৃতি দেবেন না যেহেতু এর মধ্যে আর্থিক কোনো দুর্নীতি নেই।
সরকারি এই মনোভাব সত্ত্বেও বিরোধীরা আজ সোমবার তাদের চাপ আরও বাড়িয়েছে। সুষমার সরকারি বাসভবন ঘেরাওয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কংগ্রেস। হাজার-খানেক যুব কংগ্রেস সমর্থক সোমবার দুপুরে সুষমার বাসভবনের কাছে বিক্ষোভ দেখান। এ সময় কয়েকজন গ্রেপ্তার হন। সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানো হয়। অন্য কোনো বিরোধী দল পথে না নামলেও সিপিআই, সিপিএম, জনতা দল (সংযুক্ত), আম আদমি পাটি (এএপি) সুষমার পদত্যাগ দাবি করেছেন। বিরোধীদের প্রশ্ন, ৭০০ কোটি রুপি তছরূপের অভিযোগে যে-ব্যক্তিকে ভারত সরকার হন্যে হয়ে খুঁজছে, তার হয়ে এই সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেন অন্য দেশের সরকারকে অনুরোধ করবেন? সেই অনুরোধে কি তবে প্রধানমন্ত্রীরও সম্মতি ছিল?
আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আইপিএলের এক সময়কার চেয়ারম্যান ললিত মোদি বরখাস্ত হন। তাঁর পাসপোর্টও জব্দ করা হয়। জেরার হাত থেকে বাঁচতে তিনি লন্ডনে থেকে যান। অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য পতুর্গাল যেতে ললিত মোদি যুক্তরাজ্যের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ কিথ ভাজ-এর শরণাপন্ন হন। ভাজ সে জন্য ফোন করেন সুষমাকে। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ললিত পর্তুগালসহ আরও কয়েকটি দেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমতি পেয়ে যান। বিতর্কের শুরু সেখান থেকেই।
যুক্তরাজ্যকে সুষমা যে বার্তা পাঠিয়েছিলেন, তাতে বলা হয়েছিল, মানবিক দিক থেকেই তিনি এই অনুরোধ জানাচ্ছেন। ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী তারা এই অনুরোধ বিবেচনা করুক। যুক্তরাজ্য ললিত মোদিকে পর্তুগাল যাওয়ার প্রয়োজনীয় অনুমতি দিলে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের হানি হবে না। প্রশ্ন উঠেছে, যাকে ভারতের অর্থ মন্ত্রক জেরা করতে চায় এবং প্রত্যাবর্তনের দাবি জানিয়ে রেখেছে, তার জন্য সুষমা কেন অনুরোধ জানাবেন?
এখানেই উঠেছে স্বার্থের প্রশ্ন। সুষমার আইনজীবী স্বামী স্বরাজ কৌশল ২২ বছর ধরে ললিতের আইনি পরামর্শদাতা। সুষমার কন্যা বাঁশরি গত সাত বছর ধরে ললিতের বিভিন্ন মামলায় আইনজীবী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন। স্বরাজ কৌশলের ছোট ভাইয়ের ছেলেকে সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছিলেন ললিত মোদি। স্বরাজ ও মোদি পরিবারের এই ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, তা হলে তো মানবিক কারণে সন্ত্রাসীরাও বিদেশে চলে যাবে!
সুষমা নতুন করে মুখ খোলেননি। গত রোববারই তিনি নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করেছেন। দল ও সংঘ পরিবারের সবাই তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। মন্ত্রী হিসেবে সুষমার দক্ষতা প্রশ্নাতীত। সেই কারণে এক সময় বিরোধিতা করা সত্ত্বেও নরেন্দ্র মোদি তাঁকে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব দিয়েছেন। মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে দক্ষ মন্ত্রীদের মধ্যে তিনি অন্যতম। সংঘ পরিবার তাঁর পক্ষে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও তাঁর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। দল ও সরকারি সূত্র অনুযায়ী, নতুন কোনো বিব্রতকর তথ্য না এলে সরকার বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেবে না। সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন জুলাই মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে। তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
No comments