বীথির কষ্টকথা by মিজানুর রহমান মিন্টু
কুড়িগ্রাম
পৌর এলাকার নাজিরা কামারপাড়ার বাস শ্রমিক সিদ্দিকুর রহমানের কন্যা সুমাইয়া
আক্তার বীথি এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে আলোড়ন
সৃষ্টি করেছে। ক্ষুধা আর দরিদ্রতাকে জয় করে বীথি গৌরবময় সাফল্য অর্জন করে
কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে। সে একজন প্রকৌশলী হবার স্বপ্ন
দেখে। কিন্তু এ স্বপ্নের মাঝে প্রধান বাধা দরিদ্রতা। এ কারণে বীথির দুচোখে
এখন শুধুই অন্ধকার। কিভাবে চলবে আগামী দিনের লেখাপড়া? এ ভাবনা তাকে কুরে
কুরে খাচ্ছে। পাঁচ জনের সংসারের যাঁতাকল টানতে মা ফাতেমা বেগম বাড়িতে
হাঁস-মুরগি পালছে। তারপরও নুন আনতে পান্থা ফুরার অবস্থা। সুমাইয়া আক্তার
বীথি জানায়, ছিল না ভাল পোশাক, ছিল না পুষ্টিকর খাবার। দিনের পর দিন না
খেয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে। টাকার অভাবে প্রাইভেট পড়া হয়নি।একটা কোচিংয়ে অল্প
কিছুদিন পড়েছে সে। এসএসসির ফরম ফিলাপের টাকা ছিল না। স্কুলের দরিদ্র তহবিল
থেকে সহায়তা নিয়ে ফরম ফিলাপ করে।
কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোখসানা পারভীন জানান, শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং বীথির নিবিড় চেষ্টা আর অদম্য শক্তির জোরে এ অভাবনীয় সাফল্য আসে। অনেক সুবিধাভোগী মেয়ে ভাল ফলাফল করতে পারেনি। সেখানে বীথির আলোকিত সাফল্য আমাদের গর্বিত করেছে। বীথির আগামী দিনের স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজন হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা।
কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোখসানা পারভীন জানান, শিক্ষকদের সহযোগিতা এবং বীথির নিবিড় চেষ্টা আর অদম্য শক্তির জোরে এ অভাবনীয় সাফল্য আসে। অনেক সুবিধাভোগী মেয়ে ভাল ফলাফল করতে পারেনি। সেখানে বীথির আলোকিত সাফল্য আমাদের গর্বিত করেছে। বীথির আগামী দিনের স্বপ্ন পূরণে প্রয়োজন হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা।
No comments