গ্রেপ্তার এড়িয়ে দেশে সুদানি নেতা বশির
সুদানের
প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির গতকাল সোমবার দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে নিজ দেশে
ফিরেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য
বশিরকে দক্ষিণ আফ্রিকা না ছাড়তে স্থানীয় এক আদালত আদেশ দিয়েছিলেন। খবর
এএফপি ও রয়টার্সের।
এর আগে সুদানের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ইউসুফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বশিরকে বহনকারী উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যে সুদানের রাজধানী খার্তুমে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। একাধিক বার্তা সংস্থা বশিরের দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমেও বশিরের দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগের খবর প্রচারিত হয়। স্থানীয় ইএনসিএ টেলিভিশনের প্রতিবেদক বলছেন, তিনি প্রিটোরিয়ার ওয়াটার্কলুফ বিমানবন্দর থেকে বশিরকে উড়োজাহাজে করে চলে যেতে দেখেছেন। স্থানীয় সময় বেলা ১০টায় বশির দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগ করেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন বশির। তবে আফ্রিকার সরকারপ্রধানদের এই সম্মেলনের খবর চাপা পড়ে যায় দারফুর সংঘাতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বশিরকে গ্রেপ্তারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আহ্বানে। আইসিসি দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বশিরকে অভিযুক্ত করে সমন জারি করেছিল।
আইসিসির আহ্বানের পর প্রিটোরিয়ার হাইকোর্টের বিচারক হ্যান্স ফেব্রিসিয়াস গত রোববার বশিরের দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় আবার আদালত বসে। সরকারি আইনজীবী সুদানি নেতার দেশত্যাগের বিষয়টি আদালতকে জানান। এ সময় আদালতের পাবলিক গ্যালারি থেকে চাপা হাসি শোনা যায়। কীভাবে বশির দেশত্যাগ করতে পারলেন, আদালত সে বিষয়ে সরকারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অবশ্য আদালত বসার আগেই বশির দেশ ছেড়ে চলে যান। আদালতের আদেশের বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বশিরের একজন সফরসঙ্গী বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বশির, আজই চলে যাবেন।’
দ্য সাউথ আফ্রিকান লিটিগেশন সেন্টার নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন বশিরকে গ্রেপ্তার করতে আবেদন জানায় প্রিটোরিয়া হাইকোর্টে। দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ। তাই যুদ্ধাপরাধের দায়ে কোনো ব্যক্তি দেশটিতে প্রবেশ করা মাত্র তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য সরকার।
এদিকে গতকাল জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, আইসিসির সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে প্রেসিডেন্ট বশিরের বিরুদ্ধে জারি করা সমন মেনে অবশ্যই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
দুই দিনের এইউ সম্মেলন শেষ হয় গতকাল। রোববার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট বশির দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা, জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সঙ্গে ছবি তোলেন। ৫৪ দেশের প্রতিষ্ঠান এইউর চেয়ারপারসন রবার্ট মুগাবে।
তবে প্রিটোরিয়ার আদালতের সিদ্ধান্তের পর তীব্র ক্ষোভ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)। তারা হেগভিত্তিক আইসিসিকে কেবল আফ্রিকার নেতাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করেন। এএনসির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেখান থেকে তারা দূরে সরে এসেছে। আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর ওপরই কেবল আইসিসির সিদ্ধান্তের খড়্গ চাপানো হয়।’
২০০৩ সালে শুরু দারফুর সংঘাতে জড়িত থাকার দায়ে বশিরের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে আইসিসি। ২০০৯ থেকে ২০১০ সালে বশিরের বিরুদ্ধে আইসিসি সমন জারি করে। জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, দারফুর সংঘাতে তিন লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। সে সময় অন্তত ২০ লাখ মানুষ ঘর ছাড়ে।
আফ্রিকার কয়েকটি দেশ এর আগে আইসিসিকে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নেয়। আইসিসির বর্ণবাদী আচরণ এবং আফ্রিকার দেশগুলোর নেতাদের প্রতি বৈরী আচরণের অভিযোগ এনে এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গতকাল বশিরের দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগের পেছনে এইউ নেতাদের সমর্থন ছিল বলে মনে করা হয়।
এর আগে সুদানের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ইউসুফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, বশিরকে বহনকারী উড়োজাহাজটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যে সুদানের রাজধানী খার্তুমে পৌঁছাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। একাধিক বার্তা সংস্থা বশিরের দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমেও বশিরের দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগের খবর প্রচারিত হয়। স্থানীয় ইএনসিএ টেলিভিশনের প্রতিবেদক বলছেন, তিনি প্রিটোরিয়ার ওয়াটার্কলুফ বিমানবন্দর থেকে বশিরকে উড়োজাহাজে করে চলে যেতে দেখেছেন। স্থানীয় সময় বেলা ১০টায় বশির দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগ করেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে আফ্রিকান ইউনিয়নের (এইউ) সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন বশির। তবে আফ্রিকার সরকারপ্রধানদের এই সম্মেলনের খবর চাপা পড়ে যায় দারফুর সংঘাতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বশিরকে গ্রেপ্তারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) আহ্বানে। আইসিসি দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বশিরকে অভিযুক্ত করে সমন জারি করেছিল।
আইসিসির আহ্বানের পর প্রিটোরিয়ার হাইকোর্টের বিচারক হ্যান্স ফেব্রিসিয়াস গত রোববার বশিরের দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় আবার আদালত বসে। সরকারি আইনজীবী সুদানি নেতার দেশত্যাগের বিষয়টি আদালতকে জানান। এ সময় আদালতের পাবলিক গ্যালারি থেকে চাপা হাসি শোনা যায়। কীভাবে বশির দেশত্যাগ করতে পারলেন, আদালত সে বিষয়ে সরকারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
অবশ্য আদালত বসার আগেই বশির দেশ ছেড়ে চলে যান। আদালতের আদেশের বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বশিরের একজন সফরসঙ্গী বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বশির, আজই চলে যাবেন।’
দ্য সাউথ আফ্রিকান লিটিগেশন সেন্টার নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন বশিরকে গ্রেপ্তার করতে আবেদন জানায় প্রিটোরিয়া হাইকোর্টে। দক্ষিণ আফ্রিকা আইসিসির সনদে স্বাক্ষরকারী দেশ। তাই যুদ্ধাপরাধের দায়ে কোনো ব্যক্তি দেশটিতে প্রবেশ করা মাত্র তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য সরকার।
এদিকে গতকাল জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন বলেন, আইসিসির সংবিধিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলোকে প্রেসিডেন্ট বশিরের বিরুদ্ধে জারি করা সমন মেনে অবশ্যই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
দুই দিনের এইউ সম্মেলন শেষ হয় গতকাল। রোববার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট বশির দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা, জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবেসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রধানদের সঙ্গে ছবি তোলেন। ৫৪ দেশের প্রতিষ্ঠান এইউর চেয়ারপারসন রবার্ট মুগাবে।
তবে প্রিটোরিয়ার আদালতের সিদ্ধান্তের পর তীব্র ক্ষোভ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)। তারা হেগভিত্তিক আইসিসিকে কেবল আফ্রিকার নেতাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ করেন। এএনসির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে উদ্দেশ্য নিয়ে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেখান থেকে তারা দূরে সরে এসেছে। আফ্রিকা ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর ওপরই কেবল আইসিসির সিদ্ধান্তের খড়্গ চাপানো হয়।’
২০০৩ সালে শুরু দারফুর সংঘাতে জড়িত থাকার দায়ে বশিরের বিরুদ্ধে গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনে আইসিসি। ২০০৯ থেকে ২০১০ সালে বশিরের বিরুদ্ধে আইসিসি সমন জারি করে। জাতিসংঘের হিসাব অনুসারে, দারফুর সংঘাতে তিন লাখের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। সে সময় অন্তত ২০ লাখ মানুষ ঘর ছাড়ে।
আফ্রিকার কয়েকটি দেশ এর আগে আইসিসিকে সহযোগিতা না করার সিদ্ধান্ত নেয়। আইসিসির বর্ণবাদী আচরণ এবং আফ্রিকার দেশগুলোর নেতাদের প্রতি বৈরী আচরণের অভিযোগ এনে এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গতকাল বশিরের দক্ষিণ আফ্রিকা ত্যাগের পেছনে এইউ নেতাদের সমর্থন ছিল বলে মনে করা হয়।
No comments