যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে কনসার্ট, তবে শুধু গান নয় by আসিফুর রহমান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু স্মারক ভাস্কর্যের পাদদেশে গতকাল যৌন নিপীড়নবিরোধী কনসার্টে গান করেন শিল্পী শায়ান l ছবি: প্রথম আলো |
কনসার্ট।
তবে এ শুধুই গানের অনুষ্ঠান নয়। প্রতিটি গান যেন একেকটি প্রতিবাদের
স্ফুলিঙ্গ। নিপীড়কদের বিরুদ্ধে জেগে ওঠার প্রত্যয়। নারীদের সম্মান জানানোর
আহ্বান।
গতকাল রোববার এ আয়োজন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজু স্মারক ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশাল প্যান্ডেল। বিকেল থেকেই সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় শিল্পীদের পদচারণ । তাঁরা গান গেয়ে মাতিয়ে রাখলেন সারাক্ষণ। তবে গানের ফাঁকে ফাঁকে বার্তা দিয়ে গেলেন, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তাহসানের কথাই ধরা যাক। মোট তিনটি গান করেন। ‘তুমি ছুঁয়ে দিলে মন, আমি উড়ব আজীবন’ আর ‘আলো আলো তুমি কখনো খুঁজে পাবে না’-এর মতো জনপ্রিয় গান শেষে তাহসান প্রশ্ন রাখলেন, ‘আপনারা কি প্রকৃত পুরুষ?’ অপর পাশ থেকে হ্যাঁ-বোধক সাড়া পেয়ে আরেক প্রশ্ন, ‘যাঁরা প্রকৃত মানুষ, তাঁরা নারীদের কোন চোখে দেখেন?’ উত্তরও নিজেই দিলেন, মা-বোন কিংবা ভালোবাসার মানুষ আর বন্ধু—যে সম্পর্কই থাকুক না কেন, সবার চেয়ে বড় নারীদের সম্মান করা।
কনসার্টের একপর্যায়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক লুবনা জেবিন। কদিন আগেই তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নিপীড়ককে কলার ধরে প্রশাসনের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিচার চেয়েছেন আইনি প্রক্রিয়ায়ও। সাহসী সেই নারী জানালেন, তাঁর একজন ২০ বছর বয়সী ছাত্রী নিপীড়িত হলে তাঁকে যেসব সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তাঁকে একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
লুবনা জেবিন দর্শকদের কাছে জানতে চান, তাঁরা কি কেবলই গান শুনতে এসেছেন? নাকি যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতন হতে? তিনি বলেন, ‘পারিবারিকভাবেই আমাদের শেখানো হয়, কেউ নিপীড়িত হলে সেটা প্রকাশ করা যাবে না। নিপীড়কের পরিবার থেকেও তাঁর পক্ষে সাফাই গাওয়ার যথেষ্ট যুক্তি খুঁজে বের করা হয়। এসব কারণেই এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়ছে।’
‘যৌন নিপীড়নবিরোধী কনসার্ট আয়োজক কমিটি’র এই কনসার্টে দর্শক মাতোয়ারা হলেও সামান্য খুঁত যেন রয়েই গেল। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ব্যস্ততম রাস্তাটি ধরে প্রতিনিয়ত তিনটি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করে। পাশেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেম। কনসার্টের কারণে এক পাশের রাস্তা বন্ধ থাকায় বিকেল থেকে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সকে দীর্ঘ সময় যানজটে পড়ে থাকতে হয়েছে। তা ছাড়া যৌন নিপীড়নবিরোধী কনসার্ট হলেও সেখানে নারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই সামান্য।
কনসার্ট মাতিয়েছেন শিল্পী শায়ান। কৃষ্ণকলি গেয়েছেন ইচ্ছে মতন ইচ্ছেগুলি করছে উড়াউড়ি, ব্যান্ড দল দ্যা আরমিন মুসা উপস্থাপন করেছে ‘ভ্রমর কইয়ো গিয়া, ওল্ড স্কুল গেয়েছে জানি না কেন এমন হয়। এ ছাড়া শিরোনামহীন, মাদল, জলের গান, গানের দল গায়েন, জাগরণ, সহজিয়ার মতো ব্যান্ডগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।
গতকাল রোববার এ আয়োজন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাজু স্মারক ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশাল প্যান্ডেল। বিকেল থেকেই সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় শিল্পীদের পদচারণ । তাঁরা গান গেয়ে মাতিয়ে রাখলেন সারাক্ষণ। তবে গানের ফাঁকে ফাঁকে বার্তা দিয়ে গেলেন, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তাহসানের কথাই ধরা যাক। মোট তিনটি গান করেন। ‘তুমি ছুঁয়ে দিলে মন, আমি উড়ব আজীবন’ আর ‘আলো আলো তুমি কখনো খুঁজে পাবে না’-এর মতো জনপ্রিয় গান শেষে তাহসান প্রশ্ন রাখলেন, ‘আপনারা কি প্রকৃত পুরুষ?’ অপর পাশ থেকে হ্যাঁ-বোধক সাড়া পেয়ে আরেক প্রশ্ন, ‘যাঁরা প্রকৃত মানুষ, তাঁরা নারীদের কোন চোখে দেখেন?’ উত্তরও নিজেই দিলেন, মা-বোন কিংবা ভালোবাসার মানুষ আর বন্ধু—যে সম্পর্কই থাকুক না কেন, সবার চেয়ে বড় নারীদের সম্মান করা।
কনসার্টের একপর্যায়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রভাষক লুবনা জেবিন। কদিন আগেই তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নিপীড়ককে কলার ধরে প্রশাসনের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিচার চেয়েছেন আইনি প্রক্রিয়ায়ও। সাহসী সেই নারী জানালেন, তাঁর একজন ২০ বছর বয়সী ছাত্রী নিপীড়িত হলে তাঁকে যেসব সামাজিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও তাঁকে একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
লুবনা জেবিন দর্শকদের কাছে জানতে চান, তাঁরা কি কেবলই গান শুনতে এসেছেন? নাকি যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সচেতন হতে? তিনি বলেন, ‘পারিবারিকভাবেই আমাদের শেখানো হয়, কেউ নিপীড়িত হলে সেটা প্রকাশ করা যাবে না। নিপীড়কের পরিবার থেকেও তাঁর পক্ষে সাফাই গাওয়ার যথেষ্ট যুক্তি খুঁজে বের করা হয়। এসব কারণেই এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়ছে।’
‘যৌন নিপীড়নবিরোধী কনসার্ট আয়োজক কমিটি’র এই কনসার্টে দর্শক মাতোয়ারা হলেও সামান্য খুঁত যেন রয়েই গেল। ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) ব্যস্ততম রাস্তাটি ধরে প্রতিনিয়ত তিনটি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করে। পাশেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বারডেম। কনসার্টের কারণে এক পাশের রাস্তা বন্ধ থাকায় বিকেল থেকে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সকে দীর্ঘ সময় যানজটে পড়ে থাকতে হয়েছে। তা ছাড়া যৌন নিপীড়নবিরোধী কনসার্ট হলেও সেখানে নারীদের উপস্থিতি ছিল খুবই সামান্য।
কনসার্ট মাতিয়েছেন শিল্পী শায়ান। কৃষ্ণকলি গেয়েছেন ইচ্ছে মতন ইচ্ছেগুলি করছে উড়াউড়ি, ব্যান্ড দল দ্যা আরমিন মুসা উপস্থাপন করেছে ‘ভ্রমর কইয়ো গিয়া, ওল্ড স্কুল গেয়েছে জানি না কেন এমন হয়। এ ছাড়া শিরোনামহীন, মাদল, জলের গান, গানের দল গায়েন, জাগরণ, সহজিয়ার মতো ব্যান্ডগুলোর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠান হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত।
No comments