পুলিশের গুলিতে রাবি শিবির নেতা নিহত- গুলিবিদ্ধ ২, রোববার থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল
রাজশাহীতে
পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রশিবির নেতা নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো
দু’জন। বৃহস্পতিবার রাতে কাটাখালী পৌরসভা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিবির
নেতার নাম শাহাব উদ্দিন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের
তথ্য সম্পাদক ও বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন। আহতরা হলেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ছাত্র হাবিবুর রহমান ও আরবি বিভাগের
মফিজুর রহমান।
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার কোনো অভিযোগ ছাড়াই রাত ৮টার দিকে ওই তিন শিবির নেতাকে কাটাখালী পৌর সভার সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের আটকের কথা অস্বীকার করায় পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্ধেগ প্রকাশ করে এবং তাদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে পুলিশ, সরকার ও গণমাধ্যমের কাছে বিবৃতি দেয়া হয়। এরপরও অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তিনজনকেই গভীর রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে পুলিশ। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর শাহাব উদ্দিন মারা যান। অপর দু’জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানায় শিবির।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নিরাপরাধ মেধাবী ছাত্রদের উপর ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পুলিশ যে অমানবিক নির্মমতার পরিচয় দিয়েছে তাতে দেশবাসী আজ বাকরুদ্ধ। এই পরিকল্পিত ও নৃশংস রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এই বর্বর হত্যাকাণ্ডে ছাত্রসমাজ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এই বর্বরতা কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হতে পারে না। বরং তা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের কাজ।
শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় বার বার রাজশাহীতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই অবস্থা দেশের বিভিন্ন স্থানেও। কোনো অপরাধ ছাড়াই ধরে নিয়ে পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে শিবির নেতাকর্মীদের। ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞে মনে হচ্ছে, আসল দায়িত্ব বাদ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিরিয়াল কিলিংয়ে নেমেছে।
সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে বর্বরতা বন্ধ করুন। রাজনৈতিক ময়দানে মোকাবেলা করতে না পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাপুরুষতার নামান্তর। ছাত্রশিবিরের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে দূর্বলতা ভাবলে ভুল করবেন। সময়ের ব্যবধানে প্রতিফোটা রক্তের হিসাব দিতে হবে আপনাদের। মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করে পার পাওয়া যাবে না। ছাত্রসমাজকে বিক্ষুদ্ধ করার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিবির নেতা শাহাব উদ্দিনের হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনুন। সময় থাকতে হত্যা ও গুমের রাজনীতি বন্ধ করুন। অন্যথায় এমন করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে যার অনুশোচনা করে আপনারা শেষ করতে পারবেন না। নেতৃবৃন্দ আহত শিবির নেতাদের উন্নত চিকিতসার ব্যবস্থা ও মুক্তি, হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি সব আচরণ পরিহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার কোনো অভিযোগ ছাড়াই রাত ৮টার দিকে ওই তিন শিবির নেতাকে কাটাখালী পৌর সভার সামনে থেকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের আটকের কথা অস্বীকার করায় পরিবারের পক্ষ থেকে উদ্ধেগ প্রকাশ করে এবং তাদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে পুলিশ, সরকার ও গণমাধ্যমের কাছে বিবৃতি দেয়া হয়। এরপরও অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে তিনজনকেই গভীর রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে পুলিশ। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর শাহাব উদ্দিন মারা যান। অপর দু’জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানায় শিবির।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নিরাপরাধ মেধাবী ছাত্রদের উপর ঠাণ্ডা মাথায় গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে পুলিশ যে অমানবিক নির্মমতার পরিচয় দিয়েছে তাতে দেশবাসী আজ বাকরুদ্ধ। এই পরিকল্পিত ও নৃশংস রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। এই বর্বর হত্যাকাণ্ডে ছাত্রসমাজ বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এই বর্বরতা কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হতে পারে না। বরং তা ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের কাজ।
শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় বার বার রাজশাহীতে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই অবস্থা দেশের বিভিন্ন স্থানেও। কোনো অপরাধ ছাড়াই ধরে নিয়ে পাখির মত গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে শিবির নেতাকর্মীদের। ধারাবাহিক হত্যাযজ্ঞে মনে হচ্ছে, আসল দায়িত্ব বাদ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিরিয়াল কিলিংয়ে নেমেছে।
সরকারকে হুশিয়ার করে দিয়ে শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে বর্বরতা বন্ধ করুন। রাজনৈতিক ময়দানে মোকাবেলা করতে না পেরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো কাপুরুষতার নামান্তর। ছাত্রশিবিরের শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে দূর্বলতা ভাবলে ভুল করবেন। সময়ের ব্যবধানে প্রতিফোটা রক্তের হিসাব দিতে হবে আপনাদের। মেধাবী ছাত্রদের হত্যা করে পার পাওয়া যাবে না। ছাত্রসমাজকে বিক্ষুদ্ধ করার পরিণতি হবে ভয়ঙ্কর। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে শিবির নেতা শাহাব উদ্দিনের হত্যাকারী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনুন। সময় থাকতে হত্যা ও গুমের রাজনীতি বন্ধ করুন। অন্যথায় এমন করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে যার অনুশোচনা করে আপনারা শেষ করতে পারবেন না। নেতৃবৃন্দ আহত শিবির নেতাদের উন্নত চিকিতসার ব্যবস্থা ও মুক্তি, হত্যাকারীদের গ্রেফতার এবং অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি সব আচরণ পরিহার করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রোববার থেকে রাজশাহীতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল শিবিরের
নেতাকে
‘হত্যা’র প্রতিবাদে আগামী রোববার থেকে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় ৪৮ ঘণ্টার
হরতালের ডাক দিয়েছে ছাত্রশিবির। শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মহানগর
ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান এ ঘোষণা দেন। এতে বলা হয়েছে,
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির তথ্য সম্পাদক শাহাবুদ্দিন ওরফে মুহিরকে
হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় আগামী রোববার সকাল ৬টা থেকে
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক দিয়েছে ছাত্রশিবির
রাজশাহী অঞ্চলের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া শনিবার মুহিরকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
কর্মসূচি পালন করা হবে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন
কাটাখালি বাজারে শাহাবুদ্দিন, বিনোদপুর মেস শাখার সভাপতি মফিজুর রহমান ও
শহীদ হবিবুর রহমান হল সভাপতি হাবিবুর রহমান মোটরসাইকেলযোগে যাওয়ার সময়
কাটাখালি পৌরসভার সামনে তাদেরকে আটক করে মতিহার থানা পুলিশ। আটক করার পর
তাদের কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাত আড়াইটার দিকে একজনকে মৃত ও
বাকি দুজনকে পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রামেকে ভর্তি করে পুলিশ। তবে বাকি
দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
No comments