গুজবে ভাসছে দেশ
চোখ
মেললেই গুজব। কান পাতলেও গুজব। গুজবের মেশিন ফের সক্রিয় পুরোদমে। ছড়িয়ে
পড়েছে সর্বত্র। বেশির ভাগই মুদ্রণ অসম্ভব। গুজবে কান দেবেন না- বহু পুরনো
কথা। বিশেষত পাকিস্তান আমলে এ কথা শোনা যেত সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের
ইতিহাসও আলাদা নয়। বহু গুজবের জন্ম হয়েছে অতীতে। কোনটি সত্য হয়েছে। বেশির
ভাগই প্রমাণ হয়েছে মিথ্যা। গুজবের ডালপালা কাটতে শাসকদের মেহনত করতে হয়েছে
অনেক। তবে সময় এখন বদলে গেছে। অতীতে টিভি পর্দা ছিল একটি। চোখ মেললে দেখা
যেত শুধু সরকারি টিভি। খবরের জন্য মানুষ নির্ভর করতো বিবিসি আর ভয়েস অব
আমেরিকার ওপর। সংবাদপত্র অবশ্য সব সময়ই চেষ্টা করেছে সাহসী ভূমিকা রাখার।
এখন অবশ্য দুই ডজনের বেশি টিভি চ্যানেল। শতাধিক সংবাদপত্র। অনলাইন
সংবাদপত্রের ছড়াছড়ি। ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব লাখ
লাখ মানুষ। মোবাইল ফোনেও গুজব ছড়াচ্ছে দ্রুত।
কেন এই গুজব? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ৫ই জানুয়ারি বিরোধী জোটের আন্দোলনের শুরুর দিকে ‘বাজারে’ তেমন কোন গুজব ছিল না। আন্দোলন-নাশকতা সব খবরই তরতাজা টিভিতে দেখছিলেন মানুষ। হঠাৎ করেই একদিন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের খবর লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে টিভি স্ক্রল থেকে হারিয়ে যায় নাশকতার খবর। আর ডালপালা গজাতে শুরু করে গুজবের। সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়াচ্ছে ফেসবুকে। এ মাধ্যমে ছড়ানো গুজব পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামে। দেয়া হচ্ছে নিত্যনতুন খবর। এক শ্রেণির অনলাইন সংবাদপত্রও পিছিয়ে নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন নিয়েও রটে একরাশ গুজব। কোন কোন গুজবে বলা হয়েছে, এক রাষ্ট্র প্রধানের ফোন পেয়েই তার বাসায় পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ তত্ত্ব নিয়েও নানা গুজব আর প্রশ্নের তৈরি হয়েছে। কেন এ তত্ত্ব হাজির করলেন এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সে প্রশ্নের উত্তরে ছড়ানো হচ্ছে নানা তত্ত্ব। সরকারবিরোধী আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতা, প্রভাবশালী রাষ্ট্র আর ব্যক্তিদের নিয়ে এভাবেই একের পর এক তৈরি হচ্ছে গুজবের।
এটা নিশ্চিত, মুক্ত গণমাধ্যম যখন স্বেচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে মুক্ত থাকে না, তখন গুজবের ডালপালা বড় হয়। সংবাদ নয়, মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেন গুজবে। তবে তা ব্যক্তি-রাষ্ট্র কারও জন্যই মঙ্গল ডেকে আনে না। সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব বিশ্বাস করেছিলেন গ্রামের বহু সরলপ্রাণ মানুষ। একটি গুজব সেসময় ডেকে এনেছিল বিপর্যয়। অকাতরে প্রাণ হারাতে হয়েছে বহু মানুষকে। এই যখন অবস্থা তখন একমাত্র মুক্ত গণমাধ্যমই পারে গুজবের প্রসার রোধ করতে।
কেন এই গুজব? পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ৫ই জানুয়ারি বিরোধী জোটের আন্দোলনের শুরুর দিকে ‘বাজারে’ তেমন কোন গুজব ছিল না। আন্দোলন-নাশকতা সব খবরই তরতাজা টিভিতে দেখছিলেন মানুষ। হঠাৎ করেই একদিন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের খবর লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে টিভি স্ক্রল থেকে হারিয়ে যায় নাশকতার খবর। আর ডালপালা গজাতে শুরু করে গুজবের। সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়াচ্ছে ফেসবুকে। এ মাধ্যমে ছড়ানো গুজব পৌঁছে যাচ্ছে গ্রাম থেকে গ্রামে। দেয়া হচ্ছে নিত্যনতুন খবর। এক শ্রেণির অনলাইন সংবাদপত্রও পিছিয়ে নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপন নিয়েও রটে একরাশ গুজব। কোন কোন গুজবে বলা হয়েছে, এক রাষ্ট্র প্রধানের ফোন পেয়েই তার বাসায় পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপের কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ তত্ত্ব নিয়েও নানা গুজব আর প্রশ্নের তৈরি হয়েছে। কেন এ তত্ত্ব হাজির করলেন এ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী সে প্রশ্নের উত্তরে ছড়ানো হচ্ছে নানা তত্ত্ব। সরকারবিরোধী আন্দোলনের সফলতা-ব্যর্থতা, প্রভাবশালী রাষ্ট্র আর ব্যক্তিদের নিয়ে এভাবেই একের পর এক তৈরি হচ্ছে গুজবের।
এটা নিশ্চিত, মুক্ত গণমাধ্যম যখন স্বেচ্ছায় অথবা বাধ্য হয়ে মুক্ত থাকে না, তখন গুজবের ডালপালা বড় হয়। সংবাদ নয়, মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করেন গুজবে। তবে তা ব্যক্তি-রাষ্ট্র কারও জন্যই মঙ্গল ডেকে আনে না। সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজব বিশ্বাস করেছিলেন গ্রামের বহু সরলপ্রাণ মানুষ। একটি গুজব সেসময় ডেকে এনেছিল বিপর্যয়। অকাতরে প্রাণ হারাতে হয়েছে বহু মানুষকে। এই যখন অবস্থা তখন একমাত্র মুক্ত গণমাধ্যমই পারে গুজবের প্রসার রোধ করতে।
No comments