ক্ষমতায় নেই, পালাবদলের শিকার by মর্জিনা আফসার রোজী
রাজনৈতিক ঝড়ঝঞ্ঝা মাথায় নিয়ে এবার ইংরেজি নববর্ষ এলো আমাদের দুয়ারে। ১৪ ফেব্রুয়ারি আসছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। কী হবে ঘটা করে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উদযাপন করে। বিশ্বময় যেখানে অস্থির উত্তাল আর চরম নিষ্ঠুরতায় পরিপূর্ণ। পৃথিবী নামের এ গ্রহটির ুদ্র একটি অংশজুড়ে বাংলাদেশের অবস্থান। আয়তনে মাত্র এক লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার, কিন্তু লোকসংখ্যা ১৬ কোটি। প্রকৃতিগত দিক থেকে আমরা বাস করি বিভিন্ন ঝুঁকির মুখে আবার ভৌগোলিক সীমারেখায়ও রয়েছি হুমকির মুখে। যে সমস্যাগুলোর স্থায়ী কোনো সমাধান এ দেশের নেতৃবৃন্দের নেই। কিন্তু রাজনৈতিক সহিংসতা এবং পালাবদলের বিড়ম্বনায় কেন পড়ি বারবার। এমন অভিশপ্ত অবস্থা থেকে চিরতরে এ বাংলার মানুষ মুক্ত হবে কবে? এত যুদ্ধ হলো এত রক্ত গেল তবু কেন আমরা একটু শান্তি আর স্বস্তিতে বাস করতে পারি না। কেন দেশের মানুষ রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে আর দিনে নিরাপদে জীবিকার তাগিদে ছুটতে পারে না। মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে কর্মব্যস্ত থাকে। নিজ, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য অবদান রেখে চলে। এভাবেই একটি দেশ তথা রাষ্ট্র সমৃদ্ধিশালী হয়। সে পরিবেশ কি আমাদের দেশে আছে?
জাতীয় সংসদে কত আইনই না প্রণীত হয়, বিলুপ্তও হয়; কিন্তু সবই নির্দিষ্ট ব্যক্তি আর গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার্থে। ক্ষমতা ভোগীরা সব কথায় জনগণের স্বার্থকে সামনে এনে কথা বলে আর কাজ করে জনসাধারণের মঙ্গল আর কল্যাণের চিন্তাকে উপেক্ষা করে। বর্তমানের দম বন্ধ করা এই উত্তেজক পরিস্থিতি থেকে সরকার বেরিয়ে আসতে পারে, যদি সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত এবং গণতন্ত্রকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেয়। দেশে এবং আন্তর্জাতিক মহলে কোথাও গত ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের ভাঁওতাবাজির নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি। ক্ষমতায় এসে আইন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল, তৎকালীন বিরোধী দলকে অবমূল্যায়ন, অত্যাচার, নির্যাতন, খুন, গুম, দুর্নীতি দুঃশাসনের মহা উৎসবের আয়োজন, জাতীয় পার্টির এরশাদের নির্বাচনে আসা-না-আসা নিয়ে লুকোচুরি খেলা, ১৪৭ জনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া, বিদেশী পর্যটকদের একে একে নির্বাচন স্থান ত্যাগ করা- এসব ঘটনাই প্রমাণ করে সরকারের অজনপ্রিয়তা এবং দেউলিয়াত্বের। কিন্তু সরকার জনগণের মনের কথা যাচাই না করে অনুধাবন করতে না পেরে ‘গায়ে মানে না আপনি মোড়ল’ সেজে বসে রয়েছে। শুধু তাই নয়, কাতারে কাতারে লাশের স্তূপ বাড়িয়ে আরো কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে রয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় অত্যাচারের তীè তলোয়ার সামরিক বিদ্রোহকে দমন করা গেলেও দীর্ঘমেয়াদি বিজয় ধরে রাখা যায় না। সরকার যতই নিত্যনতুন কলাকৌশল প্রয়োগ করে দমন-পীড়ন চালাবে প্রতিবাদীরাও তত বেশি কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সত্য ও ন্যায়ের পথের বিদ্রোহ কখনো থেমে থাকে না।
ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়কমন্ত্রী লিন ফেদারস্টোন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশকে প্রতি বছরের সহিংসতার চক্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এটা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। ভবিষ্যতে সব দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে তার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন সংলাপ। অভ্যন্তরীণ জনপদের আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই বোঝে বর্তমানের ধ্বংসলীলা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ তাৎপর্যপূর্ণ সংলাপ। অথচ এ সংলাপ সম্পর্কে লাগামহীন বিলাসী মন্ত্রীদের উক্তি শুনলে যে কেউ বুঝবে সরকারের পরবর্তী নীল-নকশার কাহিনী। সরকারি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী শেখ সেলিম বলেছেন, সংলাপে বসতে হলে নাকি ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পায়ে ধরে মাফ চাইতে হবে।
রাজনৈতিক ভাষা ব্যবহারে সভ্যতা, শালীনতা আর মার্জিত আচরণের বড্ড অভাব তাদের মধ্যে। এতে গণমানুষের কাছে এখন রাজনীতি আর রাজনীতিক দুটোই হাসি-ঠাট্টা, বিদ্রƒপের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সাঁকো বেয়ে তিনি ক্ষমতায় বসেছেন, সে সাঁকোকেই ক্ষমতার মসনদে বসে উপড়ে ফেলেছেন, অথচ এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ ক্ষমতার হাতবদল নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে হোক, এটাই আশা করে। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর আন্তরিক সমর্থন ছাড়া শুধু অস্ত্র আর বাহিনীর ওপর ভরসা করে বেশি দিন মসনদ টিকিয়ে রাখা যাবে না। মনে রাখা উচিত জনগণ অনিয়ম অত্যাচার মানতে বাধ্য হয় কিন্তু কালের পরাক্রমে অপশাসনকে ভুলে যায় না। ঘৃণাভরে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে। শুধু রাজনীতি নয়, অর্থনীতির দিক থেকেও যে বাংলাদেশ জরাজীর্ণ এক কঙ্কালে রূপ নিয়েছে সে সত্য সবাই অনুধাবন করতে পেরেছে। এরশাদ স্বৈরাচারী ছিলেন বলে আজো তাকে স্বৈরশাসক বলে আখ্যায়িত করা হয়। শত কান্নাকাটি করেও আর জনমনে শ্রদ্ধার আসন নিতে পারছেন না। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আততায়ীর গুলিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাবাহিনী প্রধান এইচ এম এরশাদ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে বন্দুকের নলের মাধ্যমে অপসারণ করেন। সে কারণে দেশে-বিদেশে সর্বত্রই স্বৈরাচারী এরশাদ বলে পরিচিত তিনি। ইতিহাস কখনো কাউকে ক্ষমা করবে না। ক্ষমতার স্বাদে মানুষ এতটাই বিমোহিত হয় যে, এর ঠিক উল্টো পিঠের কণ্টক আর কদর্যতা দৃষ্টিতে পড়ে না। এরশাদের সে সময় ক্ষমতা নেয়ার প্রক্রিয়াটি যেমন ছিল অবৈধ অগণতান্ত্রিক তেমনি জোরপূর্বক ৯ বছর অতিক্রান্ত করার সময়টিও সবাই সুস্থ স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়নি। তেমনি ৫ জানুয়ারি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার বিষয়টিও জনমনে স্বস্তি এনে দেয়নি। সে কারণেই দেশ আজ অগ্নিগর্ভ হয়েছে। আইনি বাহিনীরা জনগণের বন্ধু না হয়ে দানবে রূপান্তরিত হয়েছে। এরা সরকারি বেতন খায়, জনগণের কাছ থেকে জোরপূর্বক বিপদে পতিত করে নগদ অর্থ গ্রহণ করে। খুন-ডাকাতি-চুরি-ছিনতাই এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তাদের দ্বারা সংঘটিত হয় না। বিশেষত সম্প্রতি ২৫-৩০ জন মানুষের অপমৃত্যুর পশ্চাতে আইজিপি, বিজিপি প্রধান, আর র্যাবের ডিজির বক্তব্য অপরাধ সংঘটিত এবং ত্বরান্বিত করার জন্য দায়ী। তার ওপর রয়েছে জাসদের কার্যকরী সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর উসকানিমূলক বক্তব্য। কী করে মানুষ হয়েও অপর ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে অসত্য কথা বলে এবং স্বার্থ রক্ষার্থে সচেষ্ট হয়, ভাবলে অবাক হতে হয়। কোনো মৃত্যু নিয়েই রাজনীতি কাম্য নয়। জনগণ এ হীন কৌশলের মর্মার্থ বুঝতে সক্ষম। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে বেশি দিন ঢেকে রাখা যায় না। সে কারণেই বলি, দয়া করে দ্রুত মহা সমস্যা থেকে মুক্তি দিন। প্রতিদিন অসহায় সাধারণ মানুষের দগ্ধ হয়ে মৃত্যু আর সহ্য করা যায় না। আজ পরের হয়েছে এর পর যে নিজের ওপর বর্তাবে না সে গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না।
rosywriter1966@gmail.com
জাতীয় সংসদে কত আইনই না প্রণীত হয়, বিলুপ্তও হয়; কিন্তু সবই নির্দিষ্ট ব্যক্তি আর গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার্থে। ক্ষমতা ভোগীরা সব কথায় জনগণের স্বার্থকে সামনে এনে কথা বলে আর কাজ করে জনসাধারণের মঙ্গল আর কল্যাণের চিন্তাকে উপেক্ষা করে। বর্তমানের দম বন্ধ করা এই উত্তেজক পরিস্থিতি থেকে সরকার বেরিয়ে আসতে পারে, যদি সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত এবং গণতন্ত্রকে সর্বাপেক্ষা গুরুত্ব দেয়। দেশে এবং আন্তর্জাতিক মহলে কোথাও গত ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের ভাঁওতাবাজির নির্বাচনকে বৈধতা দেয়নি। ক্ষমতায় এসে আইন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল, তৎকালীন বিরোধী দলকে অবমূল্যায়ন, অত্যাচার, নির্যাতন, খুন, গুম, দুর্নীতি দুঃশাসনের মহা উৎসবের আয়োজন, জাতীয় পার্টির এরশাদের নির্বাচনে আসা-না-আসা নিয়ে লুকোচুরি খেলা, ১৪৭ জনের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া, বিদেশী পর্যটকদের একে একে নির্বাচন স্থান ত্যাগ করা- এসব ঘটনাই প্রমাণ করে সরকারের অজনপ্রিয়তা এবং দেউলিয়াত্বের। কিন্তু সরকার জনগণের মনের কথা যাচাই না করে অনুধাবন করতে না পেরে ‘গায়ে মানে না আপনি মোড়ল’ সেজে বসে রয়েছে। শুধু তাই নয়, কাতারে কাতারে লাশের স্তূপ বাড়িয়ে আরো কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্নে বিভোর হয়ে রয়েছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় অত্যাচারের তীè তলোয়ার সামরিক বিদ্রোহকে দমন করা গেলেও দীর্ঘমেয়াদি বিজয় ধরে রাখা যায় না। সরকার যতই নিত্যনতুন কলাকৌশল প্রয়োগ করে দমন-পীড়ন চালাবে প্রতিবাদীরাও তত বেশি কৌশল রপ্ত করার চেষ্টা করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সত্য ও ন্যায়ের পথের বিদ্রোহ কখনো থেমে থাকে না।
ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়নবিষয়কমন্ত্রী লিন ফেদারস্টোন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশকে প্রতি বছরের সহিংসতার চক্র থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এটা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য ভালো নয়। ভবিষ্যতে সব দল যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে তার জন্য অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন সংলাপ। অভ্যন্তরীণ জনপদের আবালবৃদ্ধবনিতা সবাই বোঝে বর্তমানের ধ্বংসলীলা থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ তাৎপর্যপূর্ণ সংলাপ। অথচ এ সংলাপ সম্পর্কে লাগামহীন বিলাসী মন্ত্রীদের উক্তি শুনলে যে কেউ বুঝবে সরকারের পরবর্তী নীল-নকশার কাহিনী। সরকারি দলের গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী শেখ সেলিম বলেছেন, সংলাপে বসতে হলে নাকি ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে পায়ে ধরে মাফ চাইতে হবে।
রাজনৈতিক ভাষা ব্যবহারে সভ্যতা, শালীনতা আর মার্জিত আচরণের বড্ড অভাব তাদের মধ্যে। এতে গণমানুষের কাছে এখন রাজনীতি আর রাজনীতিক দুটোই হাসি-ঠাট্টা, বিদ্রƒপের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে সাঁকো বেয়ে তিনি ক্ষমতায় বসেছেন, সে সাঁকোকেই ক্ষমতার মসনদে বসে উপড়ে ফেলেছেন, অথচ এ দেশের ৯০ ভাগ মানুষ ক্ষমতার হাতবদল নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে হোক, এটাই আশা করে। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর আন্তরিক সমর্থন ছাড়া শুধু অস্ত্র আর বাহিনীর ওপর ভরসা করে বেশি দিন মসনদ টিকিয়ে রাখা যাবে না। মনে রাখা উচিত জনগণ অনিয়ম অত্যাচার মানতে বাধ্য হয় কিন্তু কালের পরাক্রমে অপশাসনকে ভুলে যায় না। ঘৃণাভরে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে। শুধু রাজনীতি নয়, অর্থনীতির দিক থেকেও যে বাংলাদেশ জরাজীর্ণ এক কঙ্কালে রূপ নিয়েছে সে সত্য সবাই অনুধাবন করতে পেরেছে। এরশাদ স্বৈরাচারী ছিলেন বলে আজো তাকে স্বৈরশাসক বলে আখ্যায়িত করা হয়। শত কান্নাকাটি করেও আর জনমনে শ্রদ্ধার আসন নিতে পারছেন না। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আততায়ীর গুলিতে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সেনাবাহিনী প্রধান এইচ এম এরশাদ নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তারকে বন্দুকের নলের মাধ্যমে অপসারণ করেন। সে কারণে দেশে-বিদেশে সর্বত্রই স্বৈরাচারী এরশাদ বলে পরিচিত তিনি। ইতিহাস কখনো কাউকে ক্ষমা করবে না। ক্ষমতার স্বাদে মানুষ এতটাই বিমোহিত হয় যে, এর ঠিক উল্টো পিঠের কণ্টক আর কদর্যতা দৃষ্টিতে পড়ে না। এরশাদের সে সময় ক্ষমতা নেয়ার প্রক্রিয়াটি যেমন ছিল অবৈধ অগণতান্ত্রিক তেমনি জোরপূর্বক ৯ বছর অতিক্রান্ত করার সময়টিও সবাই সুস্থ স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়নি। তেমনি ৫ জানুয়ারি অগ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার বিষয়টিও জনমনে স্বস্তি এনে দেয়নি। সে কারণেই দেশ আজ অগ্নিগর্ভ হয়েছে। আইনি বাহিনীরা জনগণের বন্ধু না হয়ে দানবে রূপান্তরিত হয়েছে। এরা সরকারি বেতন খায়, জনগণের কাছ থেকে জোরপূর্বক বিপদে পতিত করে নগদ অর্থ গ্রহণ করে। খুন-ডাকাতি-চুরি-ছিনতাই এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তাদের দ্বারা সংঘটিত হয় না। বিশেষত সম্প্রতি ২৫-৩০ জন মানুষের অপমৃত্যুর পশ্চাতে আইজিপি, বিজিপি প্রধান, আর র্যাবের ডিজির বক্তব্য অপরাধ সংঘটিত এবং ত্বরান্বিত করার জন্য দায়ী। তার ওপর রয়েছে জাসদের কার্যকরী সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রীর উসকানিমূলক বক্তব্য। কী করে মানুষ হয়েও অপর ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে অসত্য কথা বলে এবং স্বার্থ রক্ষার্থে সচেষ্ট হয়, ভাবলে অবাক হতে হয়। কোনো মৃত্যু নিয়েই রাজনীতি কাম্য নয়। জনগণ এ হীন কৌশলের মর্মার্থ বুঝতে সক্ষম। মিথ্যা দিয়ে সত্যকে বেশি দিন ঢেকে রাখা যায় না। সে কারণেই বলি, দয়া করে দ্রুত মহা সমস্যা থেকে মুক্তি দিন। প্রতিদিন অসহায় সাধারণ মানুষের দগ্ধ হয়ে মৃত্যু আর সহ্য করা যায় না। আজ পরের হয়েছে এর পর যে নিজের ওপর বর্তাবে না সে গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না।
rosywriter1966@gmail.com
No comments