১৫০ কোটি টাকার শুঁটকি পড়ে আছে কক্সবাজারে- টানা অবরোধ-হরতালের প্রভাব
কক্সবাজার উপকূল এলাকায় শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ l প্রথম আলো |
ক্রেতার
অভাবে ও পরিবহন-সংকটে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় দেড় শ কোটি
টাকার শুঁটকি মাছ পড়ে আছে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের
ডাকা দেশব্যাপী টানা অবরোধ-হরতালের কারণে এক মাস ধরে শুঁটকি উৎপাদন, বিপণন ও
বিক্রির কার্যক্রমে স্থবিরতা চলছে। সমুদ্রসৈকত ও শহর এলাকার চার শতাধিক
শুঁটকির দোকানের মধ্যে তিন শর বেশি বন্ধ হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে এ খাতে
প্রায় তিন লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
শুঁটকি মাছ কেনাবেচার প্রধান কেন্দ্র কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক গ্রামসহ জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সম্প্রতি দেখা যায়, মহালসহ দোকানে, গুদামে, বাড়ির আঙিনায় ও বেড়িবাঁধের ওপর প্রচুর পরিমাণ লইট্যা, ছুরি, পোপা, মাইট্যা, ফাইস্যা, রুপচাঁদা প্রভৃতি মাছের শুঁটকি পড়ে আছে। শ্রমিকেরা এখানে-ওখানে বসে গল্পগুজব করে সময় কাটাচ্ছেন। ব্যবসায়ী-শ্রমিক সবাই বলছেন, হরতাল-অবরোধের কারণে পর্যটক আসতে না পারায় স্থানীয়ভাবে যেমন শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে না, তেমনি পরিবহনের ঝুঁকির কারণে ঠিকমতো জেলার বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না।
একটি শুঁটকি মহালের মালিক সলিম উল্লাহ প্রথম আলোকে জানান, গত বছর জানুয়ারি মাসে যেখানে ৩৮ ট্রাক শুঁটকি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়েছিলেন, সেখানে এবার একই মাসে ১৫ ট্রাকও সরবরাহ করতে পারেননি।
আরেকটি মহালের ব্যবস্থাপক শাহজাহান বলেন, শুঁটকি বিক্রি বন্ধ থাকায় তাঁদের ইতিমধ্যে ২৩ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করতে হয়েছে।
কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে জেলার পাঁচ হাজারের বেশি ট্রলার সাগরে মাছ ধরছে। এসব ট্রলারের আহরণ করা বেশির ভাগ মাছ উপকূলে শুঁটকি করা হয়। কিন্তু টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে শুঁটকির ব্যবসায়ে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল, চৌফলদণ্ডি, মাঝিরঘাট, হাঙরপাড়া, পেশকারপাড়া, ফদনারডেইল, নুনিয়াছটা; মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, কুতুবজোন, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি এবং টেকনাফের জালিয়াপাড়া, নাইট্যংপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপসহ শতাধিক গ্রামে শুঁটকি উৎপাদন হয়। সদর উপজেলা ও পৌরসভায় তিন শসহ জেলায় মোট চার শতাধিক শুঁটকিমহাল আছে।
নাজিরারটেক মৎস্য বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি শাহাদাত উল্লাহ জানান, গত ডিসেম্বর মাসে প্রতি সপ্তাহে নাজিরারটেক এলাকার শতাধিক মহাল থেকে ৪০০-৫০০ মেট্রিক টন শুঁটকি বিক্রি হয়েছে। আর জানুয়ারিতে পাঁচ ট্রাক করেও হয়নি। গত বছর এই উপকূলে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদন হয়। হরতাল-অবরোধ চলতে থাকলে এ বছর শুঁটকি উৎপাদনে ধস নামবে।
শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ী শাহেদুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকের উল্লেখযোগ্য অংশ বাড়ি ফেরার সময় কয়েক কেজি করে শুঁটকি কিনে নিয়ে যান। আর শহরের ছোট-বড় ছয় শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁতেও পর্যটকের জন্য খাবারের সঙ্গে শুঁটকি ভর্তা রাখা হয়।
বাংলাদেশ শুঁটকি মাছ রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আবদুল শুক্কুর জানান, কক্সবাজার থেকে গত বছর হংকং, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় শুঁটকি রপ্তানি করে আয় হয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এবার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে রপ্তানি কমে যাচ্ছে।
শুঁটকি মাছ কেনাবেচার প্রধান কেন্দ্র কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক গ্রামসহ জেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সম্প্রতি দেখা যায়, মহালসহ দোকানে, গুদামে, বাড়ির আঙিনায় ও বেড়িবাঁধের ওপর প্রচুর পরিমাণ লইট্যা, ছুরি, পোপা, মাইট্যা, ফাইস্যা, রুপচাঁদা প্রভৃতি মাছের শুঁটকি পড়ে আছে। শ্রমিকেরা এখানে-ওখানে বসে গল্পগুজব করে সময় কাটাচ্ছেন। ব্যবসায়ী-শ্রমিক সবাই বলছেন, হরতাল-অবরোধের কারণে পর্যটক আসতে না পারায় স্থানীয়ভাবে যেমন শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে না, তেমনি পরিবহনের ঝুঁকির কারণে ঠিকমতো জেলার বাইরে পাঠানো যাচ্ছে না।
একটি শুঁটকি মহালের মালিক সলিম উল্লাহ প্রথম আলোকে জানান, গত বছর জানুয়ারি মাসে যেখানে ৩৮ ট্রাক শুঁটকি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়েছিলেন, সেখানে এবার একই মাসে ১৫ ট্রাকও সরবরাহ করতে পারেননি।
আরেকটি মহালের ব্যবস্থাপক শাহজাহান বলেন, শুঁটকি বিক্রি বন্ধ থাকায় তাঁদের ইতিমধ্যে ২৩ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করতে হয়েছে।
কক্সবাজার ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে জেলার পাঁচ হাজারের বেশি ট্রলার সাগরে মাছ ধরছে। এসব ট্রলারের আহরণ করা বেশির ভাগ মাছ উপকূলে শুঁটকি করা হয়। কিন্তু টানা অবরোধ ও হরতালের কারণে শুঁটকির ব্যবসায়ে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল, চৌফলদণ্ডি, মাঝিরঘাট, হাঙরপাড়া, পেশকারপাড়া, ফদনারডেইল, নুনিয়াছটা; মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, কুতুবজোন, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি এবং টেকনাফের জালিয়াপাড়া, নাইট্যংপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, সেন্ট মার্টিন দ্বীপসহ শতাধিক গ্রামে শুঁটকি উৎপাদন হয়। সদর উপজেলা ও পৌরসভায় তিন শসহ জেলায় মোট চার শতাধিক শুঁটকিমহাল আছে।
নাজিরারটেক মৎস্য বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি শাহাদাত উল্লাহ জানান, গত ডিসেম্বর মাসে প্রতি সপ্তাহে নাজিরারটেক এলাকার শতাধিক মহাল থেকে ৪০০-৫০০ মেট্রিক টন শুঁটকি বিক্রি হয়েছে। আর জানুয়ারিতে পাঁচ ট্রাক করেও হয়নি। গত বছর এই উপকূলে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার শুঁটকি উৎপাদন হয়। হরতাল-অবরোধ চলতে থাকলে এ বছর শুঁটকি উৎপাদনে ধস নামবে।
শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকার শুঁটকি ব্যবসায়ী শাহেদুল ইসলাম বলেন, কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকের উল্লেখযোগ্য অংশ বাড়ি ফেরার সময় কয়েক কেজি করে শুঁটকি কিনে নিয়ে যান। আর শহরের ছোট-বড় ছয় শতাধিক হোটেল-রেস্তোরাঁতেও পর্যটকের জন্য খাবারের সঙ্গে শুঁটকি ভর্তা রাখা হয়।
বাংলাদেশ শুঁটকি মাছ রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আবদুল শুক্কুর জানান, কক্সবাজার থেকে গত বছর হংকং, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় শুঁটকি রপ্তানি করে আয় হয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা। এবার রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে রপ্তানি কমে যাচ্ছে।
No comments