বগুড়ায় পেট্রলবোমায় ২ জন নিহত- ৪ ট্রাক, ৩ বাস ও ফিলিংস্টেশনে আগুন
২০
দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ ও টানা পাঁচ দিনের হরতাল চলাকালে
বগুড়ায়পেট্রলবোমা হামলায় দুইজন নিহত ও একজন দগ্ধ, চারটি পণ্যবোঝাই ট্রাক,
তিনটি বাস ও একটি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। যৌথবাহিনী অভিযান
চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ২৪ নেতাকর্মীসহ ৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে বগুড়া শহরের তেলিপুকুর বেলাইল নামক স্থানে একটি পানবোঝাই ট্রাকে পেট্রলবোমা নিপে করে কে বা কারা। এতে ট্রাকে থাকা পান ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম সরকার (৪০) দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বনতেঘরী গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে ট্রাকচালক মামুনুর রশিদ (৪৬) ও ট্রাকের হেল্পার ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার সেখপাড়া গ্রামের ইমরান হোসেন পলাশ (৩২) দগ্ধ হন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকেই ঢাকায় পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্সে নেয়া হয়। ঢাকায় রওনা হওয়ার আগে পলাশের অবস্থার অবনতি হলে তাকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, পেট্রলবোমা হামলার শিকার ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পাশের মোটর গ্যারেজে ঢুকে পড়ে। এতে গ্যারেজে রাখা যানবাহনে ট্রাকের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে গ্যারেজে রাখা তিনটি বাস পুড়ে যায়।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, ট্রাকে পেট্রলবোমায় দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় শহরের জামিলনগরে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৫ জনকে জামায়াত-শিবির মনে করে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া ভাঙচুর, নাশকতাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইসলামী ছাত্রশিবির বগুড়া শহর শাখার সভাপতি আলাউদ্দিন সোহেল ও সেক্রেটারি রেজাউল করিম এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন গ্রেফতারকৃতরা কেউ শিবির কর্মী নন। এ দিকে বুধবার রাতে বগুড়ায় তিনটি ট্রাক ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ব্যবসায়ীর ফিলিং স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেই সাথে সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলার শাজাহানপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভায়। শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান, ট্রাকটিতে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকের ব্যাটারি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। রাত সোয়া ৯টায় মহাস্থানে বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ব্যবসায়ীর উত্তরণ ফিলিং স্টেশনে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে। এতে ফিলিং স্টেশনের একটি মেশিন পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বগুড়া শহর থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ আগুন নিভিয়ে ফেলে। রাত ১০টায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দরগাহাট এলাকায় একটি আলুবোঝাই ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় জনগণের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। রাত সাড়ে ১০টায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের নওদাপাড়ায় একটি কয়লাবোঝাই ট্রাকে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যাওয়ার আগেই ট্রাকটির সামনের অংশ পুড়ে যায়। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। হরতালের কারণে শহরের সব মার্কেট বন্ধ ছিল। শহরে হালকা যানবাহন চলাচল করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় বগুড়া-ঢাকা মহাসড়কে বগুড়া শহরের তেলিপুকুর বেলাইল নামক স্থানে একটি পানবোঝাই ট্রাকে পেট্রলবোমা নিপে করে কে বা কারা। এতে ট্রাকে থাকা পান ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম সরকার (৪০) দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বনতেঘরী গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার গাজীপুর গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে ট্রাকচালক মামুনুর রশিদ (৪৬) ও ট্রাকের হেল্পার ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার সেখপাড়া গ্রামের ইমরান হোসেন পলাশ (৩২) দগ্ধ হন। পুলিশ তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুইজনকেই ঢাকায় পাঠানোর জন্য অ্যাম্বুলেন্সে নেয়া হয়। ঢাকায় রওনা হওয়ার আগে পলাশের অবস্থার অবনতি হলে তাকে অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, পেট্রলবোমা হামলার শিকার ট্রাকের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পাশের মোটর গ্যারেজে ঢুকে পড়ে। এতে গ্যারেজে রাখা যানবাহনে ট্রাকের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে গ্যারেজে রাখা তিনটি বাস পুড়ে যায়।
জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানান, ট্রাকে পেট্রলবোমায় দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনায় শহরের জামিলনগরে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে পুলিশ ১৫ জনকে জামায়াত-শিবির মনে করে গ্রেফতার করেছে। এ ছাড়া ভাঙচুর, নাশকতাসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মোট ৫৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ইসলামী ছাত্রশিবির বগুড়া শহর শাখার সভাপতি আলাউদ্দিন সোহেল ও সেক্রেটারি রেজাউল করিম এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন গ্রেফতারকৃতরা কেউ শিবির কর্মী নন। এ দিকে বুধবার রাতে বগুড়ায় তিনটি ট্রাক ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ব্যবসায়ীর ফিলিং স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সেই সাথে সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় জেলার শাজাহানপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার ট্রাকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভায়। শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান, ট্রাকটিতে কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকের ব্যাটারি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। রাত সোয়া ৯টায় মহাস্থানে বগুড়া-রংপুর মহাসড়ক সংলগ্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক ব্যবসায়ীর উত্তরণ ফিলিং স্টেশনে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে। এতে ফিলিং স্টেশনের একটি মেশিন পুড়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বগুড়া শহর থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ আগুন নিভিয়ে ফেলে। রাত ১০টায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের দরগাহাট এলাকায় একটি আলুবোঝাই ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় জনগণের প্রচেষ্টায় আগুন নেভানো হয়। রাত সাড়ে ১০টায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের নওদাপাড়ায় একটি কয়লাবোঝাই ট্রাকে আগুন দেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যাওয়ার আগেই ট্রাকটির সামনের অংশ পুড়ে যায়। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় থেমে থেমে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। হরতালের কারণে শহরের সব মার্কেট বন্ধ ছিল। শহরে হালকা যানবাহন চলাচল করছে।
No comments