আওয়ামী লীগের ১০টি ভয়, আর ৩টি নির্ভয় by সোহেল মাহমুদ
প্রায়
পুরো জানুয়ারি মাস ২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিতে সারা দেশ থেকে
রাজধানী ঢাকা বিচ্ছিন্ন থাকলেও সরকার তা স্বীকার করতে চাইছে না। তাদের মতে,
২০ দলীয় জোটের কর্মসূচির প্রতি ‘জনগণের সাড়া নেই’। বরং তারা ইস্যুবিহীন
রাজনীতির নামে ‘সন্ত্রাসী’ কার্যক্রম চালাচ্ছে; এমনকি কোনো কোনো মন্ত্রী
তাদেরকে ‘তালেবান’ ও ‘আলকায়েদার’ সাথে তুলনা করতেও দ্বিধা করেননি। বৈধতার
প্রশ্নের সম্মুখীন বর্তমান সরকার তিনটি অবাস্তব অনুষঙ্গ নিয়ে অবরোধ-হরতাল
কর্মসূচিকে প্রতিহত করার জন্য প্রতিনিয়ত আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। বিষয়
তিনটি হচ্ছে : তাদের ভাষায়- ১. ২০ দলীয় জোটের কর্মসূচির প্রতি জনগণের সাড়া
নেই; দেশের পরিস্থিতি খুবই স্বাভাবিক; ২. দেশে কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই; ২০
দলীয় জোটের কর্মসূচি অহেতুক; এবং ৩. বিএনপি-জামায়াত ‘সন্ত্রাসী’ দল; তারা
রাজনীতি করছে না। এই তিনটি বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকার
নিজেদের সাথেই যেন প্রতারণা করছে এবং জনগণকেও তারা বোকা ভাবছে। কারণ
প্রথমত, ২০ দলীয় জোটের অবরোধ-হরতাল কর্মসূচি সারা দেশে যে হচ্ছে, তা
দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্মম সাঁড়াশি অভিযান সত্ত্বেও
আন্দোলন প্রতিহত করা যাচ্ছে না। সরকারি নেতারা বলেছিলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে
সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে, কিন্তু তা হয়নি। ব্যবসায়ীরা বলছেন,
অবরোধ-হরতালে প্রতিদিন দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। দ্বিতীয়ত,
অবরোধ-হরতাল বলে কিছু যদি না থেকে থাকে, তাহলে এত ক্ষতি হচ্ছে কী করে? দেশে
কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই বলে সরকারি নেতারা যতই বলুক না কেন, এটা জাতির
সাথে তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ বিশ্ববাসী জানে বাংলাদেশে গভীর
রাজনৈতিক সঙ্কট চলছে। তৃতীয়ত, সরকার সন্ত্রাসী কার্যকলাপ দমনে ব্যর্থ
হচ্ছে; আর ২০ দলীয় জোটের ওপর দোষ চাপিয়ে তাদের নেতাকর্মীদের ওপর দমননীতি
চালাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা এটাই যে, তারা আজ পর্যন্ত কোনো
ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে হাতেনাতে ধরতে পারেনি। কোনো তদন্তে সত্য বেরিয়ে
আসেনি। আসলে কোনো প্রমাণ ছাড়াই তারা অবরোধ-হরতালকারীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছেন।
কেউ কেউ এমন আশঙ্কাও করেছেন যে, নিজেরাই এসব ঘটিয়ে ২০ দলীয় জোটের ওপর
দোষারোপ করছে। আর সরকার বিএনপি-জামায়াতকে ‘সন্ত্রাসী’ দল বলে অভিহিত করে
বিষয়টির রাজনৈতিক সমাধানের পরিবর্তে জবরদস্তি ও দমননীতির আশ্রয় নিচ্ছে।
বিএনপি একটি পুরনো রাজনৈতিক দল এবং দলটি বারবার নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে দেশ
পরিচালনা করেছে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তারা বারবার ভূমিকা রেখেছে,
তাদেরকে ‘সন্ত্রাসী’ দল বলে আখ্যায়িত করার প্রচেষ্টা জনগণ গ্রহণ করছে বলে
প্রতীয়মান হচ্ছে না। তার মানে হচ্ছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট
২০০৯ সাল থেকেই কিছু ভীতি নিয়ে তার যাত্রা শুরু করে এবং একের পর এক এমন সব
পদক্ষেপ নিয়েছে যার দ্বারা তারা তাদের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক রাখার চেষ্টা করে
যাচ্ছে। লক্ষ করলে দেখা যাবে, তারা প্রায় এক ডজন ভীতিকে সামনে রেখে পথ
চলেছে এবং এখনো চলছে।
১. নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায়
আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায় এবং সে জন্যই তারা আদালতের দোহাই দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করে অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছে। মজার বিষয় হলোÑ সবাই জানে যে, আওয়ামী লীগ অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য জামায়াতকে সাথে নিয়ে দিনের পর দিন অবরোধ-হরতাল করেছে। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার উদ্যোগ তাদের আত্মপ্রবঞ্চনা বৈ আর কিছু নয়। এ নিয়ে তারা আজ পর্যন্ত কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। তারা নিশ্চয়ই মনে করেন, অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই, সে জন্য নির্বাচনটাই তাদের বড় ভীতি।
২. নিরপেক্ষ সিভিল প্রশাসনকে ভয় পায়
সিভিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থা রাখা যায় না; কারণ তারা বিপদের সময় আনুগত্য না-ও দেখাতে পারে। আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই ১৯৯৬ সালে সিভিল প্রশাসনকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করে ‘জনতার মঞ্চ’ বানিয়ে একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হয়েছিল। একইভাবে, ভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাবে যাতে সিভিল প্রশাসন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে না পারে, সে জন্য ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই শত শত মেধাবী অফিসারকে ওএসডি করা হয়। এমনকি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিক্যাল কর্মকর্তারাও রেহাই পাননি। দলীয় অনুগত শত শত লোককে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমনকি শুধু পুলিশেই ৩০ হাজার নতুন নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে আবার বিশেষ জেলার লোকই বেশি। এভাবে প্রশাসনে একটি ভীতি ছড়িয়ে এবং নিজ সমর্থকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি দিয়ে প্রশাসনকে রাজনীতিকীকরণ করা হয়।
৩. গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে ভয় পায়
১৪ দলীয় জোট সরকার ২০০৯ সাল থেকেই বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। এমনকি মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি করতেও বাধা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলের অফিস তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ঘরোয়া মিটিং পর্যন্ত করা যায় না। মিছিল করলেই গুলি, কাঁদানে গ্যাস, মরিচের গুঁড়া, লাঠিপেটা, জলকামান তো নিত্যনৈমিত্তিক পুলিশি অ্যাকশন। মাঝে মধ্যে বেগম জিয়া যেসব সভা-সমাবেশ করতে পেরেছেন তাতে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিই যেন সরকারের ভীতির বিরাট কারণ। আর খোদ রাজধানীতে লাখ লাখ লোক সমবেত হয়ে আওয়ামী সরকারের মসনদ কাঁপিয়ে দিতে পারে। এ জন্যই বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে উপর্যুপরি বাধা দেয়া হচ্ছে।
৪. মিডিয়াকে ভয় পায়
সরকার মিডিয়াকেও ভয় পায়। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল গণতান্ত্রিক নীতি মেনেই যখন সরকারের নানা কেলেঙ্কারি ফাঁস করা শুরু করল তখনই সরকার তাদের টুঁটি চেপে ধরল। এর প্রথম বলি হলেন বলিষ্ঠ ও সাহসী কণ্ঠস্বর, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এরপর তার সম্পাদিত পত্রিকা। এরপর একে একে দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি এবং অবশেষে একুশে টিভি। এতেও সরকার স্বস্তিবোধ করল না; প্রণয়ন করা হলো নতুন সম্প্রচার নীতিমালা যার আওতায় নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হলো টিভির রাজনৈতিক টকশো। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং কটূক্তি করতে লাগলেন টকশো আলোচকদের। সাংবাদিকেরা নানাভাবে নির্যাতিত হতে থাকেন; এমনকি কারো কারো জীবনও গেল। দেশে কয়েক ডজন বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছে যার সব কমবেশি সরকারি বক্তব্য ফলাও করে প্রচার করে থাকে; তা সত্ত্বেও সরকার মিডিয়ার ভয়ে ভীত।
৫. আলেম সমাজকে ভয় পায়
১৪ দলীয় জোট সরকার দেশের আলেম সমাজকে ভীষণ ভয় পায়। হেফাজতে ইসলামের ২০১৩ সালে ৫ মে’র শাপলা চত্বর সমাবেশকে যেভাবে সশস্ত্র অপারেশনের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে তা ইতিহাসে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে। এরপর আলেমরা আর বড় কোনো সমাবেশ করার অনুমতি বা সাহস পায়নি। আলেম ও ধর্মপ্রাণ মানুষকে সরকার সর্বদা ভীতির চোখে দেখে। দেখা গেছে, আজকাল তাফসির মাহফিলকেও ১৪৪ ধারা জারি করে পণ্ড করে দেয়া হয়। অবশ্য মাজার পূজারী কিছু ধর্ম ব্যবসায়ীর সাথে সরকারের সখ্য লক্ষ করা যায়।
৬. জিয়াউর রহমানকে ভয় পায়
১৪ দলীয় জোট সরকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক মরহুম জিয়াউর রহমানকেও ভয় পায়। তার নাম মুছে ফেলার জন্য শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা হলো। একবার তার মাজারের সামনের বেইলি ব্রিজটি সরিয়ে ফেলে। তাকে যাতে কেউ ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক’ বলতে না পারে সে জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা হয়। এমনকি ইতিহাস বিকৃত করে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সত্যি কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী ঘরানার লেখকেরাও ‘রাজাকার’ বলে গালি শুনছেন। জিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষ এত দূর ছড়িয়েছে যে, তাদের কেউ কেউ তার মাজার সরিয়ে ফেলার প্রস্তাব করছেন। এমনকি, আমেরিকার শিকাগোতে জিয়ার নামে যাতে সড়কের নামকরণ না হতে পারে সে জন্য আওয়ামী লীগাররা মামলা পর্যন্ত করেছে। দেখা যাচ্ছে মৃত জিয়াও আওয়ামী ভীতির একটি বড় কারণ।
৭. বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়
১৪ দলীয় জোট বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভয়ে তটস্থ। তাকে কোনো স্পেস তারা দিতে রাজি নয়। ২০০১ সালে বেগম জিয়া সরকারপ্রধান হলে সংসদে প্রথম দিনই ঘোষণা করা হলো ‘এক দিনও শান্তিতে থাকতে দেবো না’। এরপর ইতিহাসে বহু ঘটনা ঘটেছে। ২০০৯ সালে তাকে ৪০ বছরের বহু স্মৃতিবিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। তার দুই সন্তানকে মামলার পর মামলা দিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলো, তারা আর দেশে ফিরতে নিরাপদ বোধ করেননি ও সাহস পাননি। অবশেষে কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো প্রবাসজীবনেই মৃত্যুবরণ করলেন। বেগম খালেদা জিয়াকে বারবার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাকে বক্তৃতা করতে ও স্বাধীন চলাচলে বাধা দেয়া হয়। ১৪ দলীয় জোট নেতারা তার অনুপস্থিতিতে পার্লামেন্টে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেননি। সাম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী ও তার সহকর্মীরা সারাক্ষণ শুধু বেগম জিয়াকে কটাক্ষ করে কথা বলে চলেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের অফিসারদের সামনেও একই ভাষায় কথা বলে চলেছেন। এটা দেখে মনে হয়, তাদের চিন্তায় বেগম জিয়ার ভয় ছাড়া আর কিছু নেই। বেগম জিয়াকে তারা এতটাই ভয় পান যে, এখন জনসভা তো দূরের কথা তার টেলিফোন, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, পানি ও খাবার বন্ধ করে দিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে চেষ্টা চালাচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়।
৮. তারেক রহমানকে ভয় পায়
তারেক রহমান যেন মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে সারাক্ষণ ১৪ দলীয় জোট নেতাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন সব ভাষায় নেতারা তাকে আক্রমণ করছেন যা সভ্যতা ও শালীনতার সীমা বহু আগেই অতিক্রম করেছে। পঞ্চাশ বছরের এক মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে তারা ‘অর্বাচীন যুবক’ বলে উপহাস করছেন। অন্য সব বিশেষণ তো লেখার মতোই নয়। কিন্তু মজার বিষয় হলোÑ সীমাহীন মিথ্যা প্রচারের বিপরীতে তারেক রহমান লন্ডনে থেকে যখন সূত্র, তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন, ১৪ দলীয় জোট নেতারা তা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে গালাগালের পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু তারেক রহমান আজ পর্যন্ত কোনো অশালীন ভাষা ব্যবহার করেননি। প্রকৃতপক্ষে তার ক্রমবর্ধমান বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে তাকে বিএনপির বিকল্প নেতা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে দেখতে পেয়ে ক্ষমতাসীন জোট নেতারা ভীত হয়ে পড়েছেন। আর সে জন্যই আজেবাজে ভাষায় তারা কথা বলছেন।
৯. জামায়াত-শিবিরকে ভয় পায়
আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট নেতারা জামায়াত-শিবিরকেও ভীতির চোখে দেখেন। কারণ এ দলটি তাদের সাথে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সফল হয়েছিল। তাদের সাংগঠনিক শক্তি প্রবল। দেশের কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোট তাদের হাতে রয়েছে। বিএনপির সাথে জোট করে তারা সরকারে পর্যন্ত গেছে। ভবিষ্যতে এই ১০ শতাংশ ভোট নির্বাচনের ফলাফল অনেকটা পাল্টে দেবে। সুতরাং তাদের লাগাম টেনে না ধরলে ভবিষ্যতে তারা মহীরুহ আকার ধারণ করতে পারে। সুতরাং তাদের প্রতিহত ও নির্মূল করার এটাই প্রকৃষ্ট সময়। আর যুদ্ধাপরাধের অপবাদ তাদের গলায় ঝোলানো তো সবচেয়ে সহজ উপায়। কিন্তু এত কিছুর পরও তারা এখনো তৎপরতা চালাচ্ছে। তাই তারা এখনো ‘ভয়ঙ্কর’।
১০. ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়
আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট সরকার যেন বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছে, যেখান থেকে নেমে গেলেই বিপদ। বিগত ৬ বছরে তাদের প্রতি জনগণ কতটা রুষ্ট তা তারা উপলব্ধি করে। সুযোগ পেলে জনগণ তাদের ক্ষোভ প্রকাশের চেষ্টা করতে পারে। সুতরাং ক্ষমতা ছাড়ার জন্য তাদের একটি নিরাপদ এক্সিট দরকার। আজকের প্রেক্ষাপটে এটাই তাদের বড় ভয়।
শুধু তিনটি নির্ভয়
তবে এত কিছু ভয়ের বিপরীতে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট নেতারা দু’টি বিষয়ে ভয় পান না। তা হলো : ১. তারা পুলিশকে ভয় পান না। কারণ পুলিশ তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ছাত্রলীগের ছেলেরা অস্ত্র নিয়ে তাদের সামনে দাপট দেখালে পুলিশ তাদের পাহারা দিয়ে আগলে রাখে। সুতরাং পুলিশই তাদের প্রধান ভরসা। ২. আরো একটি নির্ভয় আছে তাদের; সেটি হলো প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে তারা ভয় পায় না। কারণ তারা তো বিপদের বন্ধু। ৩. আখেরাতকে তারা কতটুকু ভয় পায় তা নিয়ে সন্দেহ। তারা সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ মূলনীতিকে নির্দ্বিধায় মুছে দিয়েছে। এ ছাড়া মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাতেও তারা ভয় পায় না। পরকালে জবাবদিহি করতে হবে সে ভয় তাদের থাকলে কি এত জুলুম চালাতে পারত?
১. নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায়
আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচনকে ভয় পায় এবং সে জন্যই তারা আদালতের দোহাই দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করে অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছে। মজার বিষয় হলোÑ সবাই জানে যে, আওয়ামী লীগ অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য জামায়াতকে সাথে নিয়ে দিনের পর দিন অবরোধ-হরতাল করেছে। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করার উদ্যোগ তাদের আত্মপ্রবঞ্চনা বৈ আর কিছু নয়। এ নিয়ে তারা আজ পর্যন্ত কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। তারা নিশ্চয়ই মনে করেন, অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই, সে জন্য নির্বাচনটাই তাদের বড় ভীতি।
২. নিরপেক্ষ সিভিল প্রশাসনকে ভয় পায়
সিভিল প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থা রাখা যায় না; কারণ তারা বিপদের সময় আনুগত্য না-ও দেখাতে পারে। আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই ১৯৯৬ সালে সিভিল প্রশাসনকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করে ‘জনতার মঞ্চ’ বানিয়ে একটি নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা হয়েছিল। একইভাবে, ভিন্ন রাজনৈতিক প্রভাবে যাতে সিভিল প্রশাসন রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে না পারে, সে জন্য ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসেই শত শত মেধাবী অফিসারকে ওএসডি করা হয়। এমনকি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিক্যাল কর্মকর্তারাও রেহাই পাননি। দলীয় অনুগত শত শত লোককে প্রশাসনের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এমনকি শুধু পুলিশেই ৩০ হাজার নতুন নিয়োগ দেয়া হয়। এর মধ্যে আবার বিশেষ জেলার লোকই বেশি। এভাবে প্রশাসনে একটি ভীতি ছড়িয়ে এবং নিজ সমর্থকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি দিয়ে প্রশাসনকে রাজনীতিকীকরণ করা হয়।
৩. গণতান্ত্রিক কর্মসূচিকে ভয় পায়
১৪ দলীয় জোট সরকার ২০০৯ সাল থেকেই বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। এমনকি মানববন্ধনের মতো কর্মসূচি করতেও বাধা দেয়া হয়েছে। রাজনৈতিক দলের অফিস তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ঘরোয়া মিটিং পর্যন্ত করা যায় না। মিছিল করলেই গুলি, কাঁদানে গ্যাস, মরিচের গুঁড়া, লাঠিপেটা, জলকামান তো নিত্যনৈমিত্তিক পুলিশি অ্যাকশন। মাঝে মধ্যে বেগম জিয়া যেসব সভা-সমাবেশ করতে পেরেছেন তাতে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিই যেন সরকারের ভীতির বিরাট কারণ। আর খোদ রাজধানীতে লাখ লাখ লোক সমবেত হয়ে আওয়ামী সরকারের মসনদ কাঁপিয়ে দিতে পারে। এ জন্যই বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে উপর্যুপরি বাধা দেয়া হচ্ছে।
৪. মিডিয়াকে ভয় পায়
সরকার মিডিয়াকেও ভয় পায়। বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল গণতান্ত্রিক নীতি মেনেই যখন সরকারের নানা কেলেঙ্কারি ফাঁস করা শুরু করল তখনই সরকার তাদের টুঁটি চেপে ধরল। এর প্রথম বলি হলেন বলিষ্ঠ ও সাহসী কণ্ঠস্বর, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এরপর তার সম্পাদিত পত্রিকা। এরপর একে একে দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি এবং অবশেষে একুশে টিভি। এতেও সরকার স্বস্তিবোধ করল না; প্রণয়ন করা হলো নতুন সম্প্রচার নীতিমালা যার আওতায় নিয়ন্ত্রণ করা শুরু হলো টিভির রাজনৈতিক টকশো। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং কটূক্তি করতে লাগলেন টকশো আলোচকদের। সাংবাদিকেরা নানাভাবে নির্যাতিত হতে থাকেন; এমনকি কারো কারো জীবনও গেল। দেশে কয়েক ডজন বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছে যার সব কমবেশি সরকারি বক্তব্য ফলাও করে প্রচার করে থাকে; তা সত্ত্বেও সরকার মিডিয়ার ভয়ে ভীত।
৫. আলেম সমাজকে ভয় পায়
১৪ দলীয় জোট সরকার দেশের আলেম সমাজকে ভীষণ ভয় পায়। হেফাজতে ইসলামের ২০১৩ সালে ৫ মে’র শাপলা চত্বর সমাবেশকে যেভাবে সশস্ত্র অপারেশনের মাধ্যমে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে তা ইতিহাসে কলঙ্কিত হয়ে থাকবে। এরপর আলেমরা আর বড় কোনো সমাবেশ করার অনুমতি বা সাহস পায়নি। আলেম ও ধর্মপ্রাণ মানুষকে সরকার সর্বদা ভীতির চোখে দেখে। দেখা গেছে, আজকাল তাফসির মাহফিলকেও ১৪৪ ধারা জারি করে পণ্ড করে দেয়া হয়। অবশ্য মাজার পূজারী কিছু ধর্ম ব্যবসায়ীর সাথে সরকারের সখ্য লক্ষ করা যায়।
৬. জিয়াউর রহমানকে ভয় পায়
১৪ দলীয় জোট সরকার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি ও মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক মরহুম জিয়াউর রহমানকেও ভয় পায়। তার নাম মুছে ফেলার জন্য শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করা হলো। একবার তার মাজারের সামনের বেইলি ব্রিজটি সরিয়ে ফেলে। তাকে যাতে কেউ ‘মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক’ বলতে না পারে সে জন্য সংবিধান পরিবর্তন করা হয়। এমনকি ইতিহাস বিকৃত করে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সত্যি কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী ঘরানার লেখকেরাও ‘রাজাকার’ বলে গালি শুনছেন। জিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্বেষের বিষ এত দূর ছড়িয়েছে যে, তাদের কেউ কেউ তার মাজার সরিয়ে ফেলার প্রস্তাব করছেন। এমনকি, আমেরিকার শিকাগোতে জিয়ার নামে যাতে সড়কের নামকরণ না হতে পারে সে জন্য আওয়ামী লীগাররা মামলা পর্যন্ত করেছে। দেখা যাচ্ছে মৃত জিয়াও আওয়ামী ভীতির একটি বড় কারণ।
৭. বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায়
১৪ দলীয় জোট বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভয়ে তটস্থ। তাকে কোনো স্পেস তারা দিতে রাজি নয়। ২০০১ সালে বেগম জিয়া সরকারপ্রধান হলে সংসদে প্রথম দিনই ঘোষণা করা হলো ‘এক দিনও শান্তিতে থাকতে দেবো না’। এরপর ইতিহাসে বহু ঘটনা ঘটেছে। ২০০৯ সালে তাকে ৪০ বছরের বহু স্মৃতিবিজড়িত ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। তার দুই সন্তানকে মামলার পর মামলা দিয়ে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হলো, তারা আর দেশে ফিরতে নিরাপদ বোধ করেননি ও সাহস পাননি। অবশেষে কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকো প্রবাসজীবনেই মৃত্যুবরণ করলেন। বেগম খালেদা জিয়াকে বারবার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। তাকে বক্তৃতা করতে ও স্বাধীন চলাচলে বাধা দেয়া হয়। ১৪ দলীয় জোট নেতারা তার অনুপস্থিতিতে পার্লামেন্টে অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ করে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেননি। সাম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী ও তার সহকর্মীরা সারাক্ষণ শুধু বেগম জিয়াকে কটাক্ষ করে কথা বলে চলেছেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের অফিসারদের সামনেও একই ভাষায় কথা বলে চলেছেন। এটা দেখে মনে হয়, তাদের চিন্তায় বেগম জিয়ার ভয় ছাড়া আর কিছু নেই। বেগম জিয়াকে তারা এতটাই ভয় পান যে, এখন জনসভা তো দূরের কথা তার টেলিফোন, ইন্টারনেট, বিদ্যুৎ, পানি ও খাবার বন্ধ করে দিয়ে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে চেষ্টা চালাচ্ছে বলেই প্রতীয়মান হয়।
৮. তারেক রহমানকে ভয় পায়
তারেক রহমান যেন মূর্তিমান আতঙ্ক হয়ে সারাক্ষণ ১৪ দলীয় জোট নেতাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছেন। এমন সব ভাষায় নেতারা তাকে আক্রমণ করছেন যা সভ্যতা ও শালীনতার সীমা বহু আগেই অতিক্রম করেছে। পঞ্চাশ বছরের এক মধ্যবয়সী ব্যক্তিকে তারা ‘অর্বাচীন যুবক’ বলে উপহাস করছেন। অন্য সব বিশেষণ তো লেখার মতোই নয়। কিন্তু মজার বিষয় হলোÑ সীমাহীন মিথ্যা প্রচারের বিপরীতে তারেক রহমান লন্ডনে থেকে যখন সূত্র, তথ্য ও উপাত্ত দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন, ১৪ দলীয় জোট নেতারা তা বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে গালাগালের পথ বেছে নিয়েছেন। কিন্তু তারেক রহমান আজ পর্যন্ত কোনো অশালীন ভাষা ব্যবহার করেননি। প্রকৃতপক্ষে তার ক্রমবর্ধমান বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে তাকে বিএনপির বিকল্প নেতা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে দেখতে পেয়ে ক্ষমতাসীন জোট নেতারা ভীত হয়ে পড়েছেন। আর সে জন্যই আজেবাজে ভাষায় তারা কথা বলছেন।
৯. জামায়াত-শিবিরকে ভয় পায়
আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট নেতারা জামায়াত-শিবিরকেও ভীতির চোখে দেখেন। কারণ এ দলটি তাদের সাথে আন্দোলন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে সফল হয়েছিল। তাদের সাংগঠনিক শক্তি প্রবল। দেশের কমপক্ষে ১০ শতাংশ ভোট তাদের হাতে রয়েছে। বিএনপির সাথে জোট করে তারা সরকারে পর্যন্ত গেছে। ভবিষ্যতে এই ১০ শতাংশ ভোট নির্বাচনের ফলাফল অনেকটা পাল্টে দেবে। সুতরাং তাদের লাগাম টেনে না ধরলে ভবিষ্যতে তারা মহীরুহ আকার ধারণ করতে পারে। সুতরাং তাদের প্রতিহত ও নির্মূল করার এটাই প্রকৃষ্ট সময়। আর যুদ্ধাপরাধের অপবাদ তাদের গলায় ঝোলানো তো সবচেয়ে সহজ উপায়। কিন্তু এত কিছুর পরও তারা এখনো তৎপরতা চালাচ্ছে। তাই তারা এখনো ‘ভয়ঙ্কর’।
১০. ক্ষমতা ছাড়তে ভয় পায়
আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট সরকার যেন বাঘের পিঠে সওয়ার হয়েছে, যেখান থেকে নেমে গেলেই বিপদ। বিগত ৬ বছরে তাদের প্রতি জনগণ কতটা রুষ্ট তা তারা উপলব্ধি করে। সুযোগ পেলে জনগণ তাদের ক্ষোভ প্রকাশের চেষ্টা করতে পারে। সুতরাং ক্ষমতা ছাড়ার জন্য তাদের একটি নিরাপদ এক্সিট দরকার। আজকের প্রেক্ষাপটে এটাই তাদের বড় ভয়।
শুধু তিনটি নির্ভয়
তবে এত কিছু ভয়ের বিপরীতে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট নেতারা দু’টি বিষয়ে ভয় পান না। তা হলো : ১. তারা পুলিশকে ভয় পান না। কারণ পুলিশ তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ছাত্রলীগের ছেলেরা অস্ত্র নিয়ে তাদের সামনে দাপট দেখালে পুলিশ তাদের পাহারা দিয়ে আগলে রাখে। সুতরাং পুলিশই তাদের প্রধান ভরসা। ২. আরো একটি নির্ভয় আছে তাদের; সেটি হলো প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে তারা ভয় পায় না। কারণ তারা তো বিপদের বন্ধু। ৩. আখেরাতকে তারা কতটুকু ভয় পায় তা নিয়ে সন্দেহ। তারা সংবিধান থেকে ‘আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস’ মূলনীতিকে নির্দ্বিধায় মুছে দিয়েছে। এ ছাড়া মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালাতেও তারা ভয় পায় না। পরকালে জবাবদিহি করতে হবে সে ভয় তাদের থাকলে কি এত জুলুম চালাতে পারত?
No comments