পিএসসিতে মেয়েরা জেএসসিতে ছেলেরা এগিয়ে by নুর মোহাম্মদ
এবার
প্রাথমিক সমাপনীতে পাসের হারে মেয়েরা এগিয়ে। জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট
(জেএসসি)-তে পাসে ছেলেরা এগিয়ে থাকলেও জিপিএ-৫ এগিয়ে মেয়েরা। সমাপনীর পাসের
হার ও জিপিএ-৫ উভয়টি কমেছে। অন্যদিকে জেএসসি-জেডিসিতে পাসের হার বাড়লে
কমেছে জিপিএ ৫-এর সংখ্যা। গতকাল প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, প্রাথমিক
সমাপনীতে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯২ ও ইবতেদায়িতে ৯৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত বছরের
তুলনায় পাসের হার কমেছে প্রাথমিকে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ইবতেদায়িতে
বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৩০ হাজার ৮৫২ জন। এর
মধ্যে প্রাথমিকে ২ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন, ইবতেদায়িতে ৬ হাজার ৪৪১ জন। জেএসসি
ও জেডিসি পরীক্ষায় এবার সম্মিলিতভাবে পাসের হার ৯০ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত
বছরের তুলনায় গড় পাসের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ। ২০১৩ সালে গড়
পাসের হার ছিল ৮৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। তবে জিপিএ-৫ কমেছে। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১
লাখ ৫৬ হাজার ২৩৫ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮ জন। এবার
জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১৫ হাজার ৯৭৩ জন। এর মধ্যে
ছেলেদের পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৯ ভাগ, মেয়েদের ৯০ দশমিক ৪১ ভাগ। তবে জিপিএ
৫-এ ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। ছেলেদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭১ হাজার
৫০৮ জন। আর মেয়েরা পেয়েছে ৮৪ হাজার ৭২৭ জন। গতকাল সচিবালয়ে আলাদা সংবাদ
সম্মেলনে ফলাফলে সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ও
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুল রহমান বোর্ডের চেয়ারম্যানদের নিয়ে
সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে
দেন। জেএসসিতে পাস বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট
(জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাসের ধারা অব্যাহত
রেখেছে শিক্ষার্থীরা। তবে কমেছে জিপিএ ৫-এর সংখ্যা। এ বছর আটটি সাধারণ
শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার গড় পাসের হার ৯০
দশমিক ৪১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৫ শিক্ষার্থী। বেড়েছে
শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা, কমেছে শূন্য পাস করা
প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। ফলাফলে পাসের হারে সবার শীর্ষে রয়েছে বরিশাল শিক্ষা
বোর্ড। এ বোর্ডে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯২ শতাংশ। তবে সার্বিকভাবে আটটি সাধারণ
শিক্ষা বোর্ডে গড় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। অন্যদিকে মাদরাসা শিক্ষা
বোর্ডে জেডিসি’র পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও জিপিএ-৫
পাওয়ার দিক থেকে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও, ছেলেরা এগিয়ে আছে পাসের হারে। গতকাল
বেলা সাড়ে ১১টায় সচিবালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৪ সালের জেএসসি ও জেডিসি
পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এর আগে সকাল ৯টার কিছু সময় পর শিক্ষামন্ত্রী সব
শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনার কাছে ফলাফলের কপি হস্তান্তর করেন। সার্বিক ফলাফলে সন্তোষ প্রকাশ
করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তবে শিক্ষার গুণগত মান অর্জন,
শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিক্ষায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ
করেন তিনি। এ বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে
জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৭১ জন, যা গত
বছরের তুলনায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ৯১ জন বেশি। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে
পাস করেছে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭৩২ জন। পাসের হার ৯০ দশমিক ৪১ শতাংশ। গত বছরের
চেয়ে এবার পাসের হার বৃদ্ধি পেয়েছে শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। জিপিএ-৫
পেয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৫ জন। তবে গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ ৫-এর সংখ্যা
কমেছে। গত বছর রেকর্ডসংখ্যক জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ২০৮
শিক্ষার্থী। এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ১৫ হাজার ৯৭৩
জন। তবে এ বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় বেড়েছে শতভাগ পাস করা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবং কমেছে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা।
এবার শতভাগ পাস করেছে ৮ হাজার ৮৮৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, যা
গত বছর ছিল ৪ হাজার ৯৯৭টি। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ৩
হাজার ৮৯২টি। শূন্য পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৯টি, যা গত বছর ছিল
৫৭টি। এবার কমেছে ৮টি। সার্বিক ফলাফলে অংশগ্রহণে ও জিপিএ-৫ পাওয়ার
ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে থাকলেও পাসের হারে এগিয়ে আছে ছেলেরা। ৯টি শিক্ষা
বোর্ডে এবার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ২০ লাখ ৪১ হাজার ৪৭১ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ
৬৫ হাজার ৪১৮ জন ছাত্র এবং ১০ লাখ ৭৬ হাজার ৫৩ জন ছাত্রী। এদের মধ্যে
জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৪ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী এবং ৭১ হাজার ৫০৮ জন ছাত্র। পাসের
দিক থেকে এগিয়ে ছেলেরা। ছেলেদের পাসের হার ৯০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। মেয়েদের
পাসের হার ৯০ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। একক বোর্ড হিসেবে পাসের হারে এবার
শীর্ষে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। তবে সার্বিকভাবে শীর্ষে রয়েছে মাদরাসা শিক্ষা
বোর্ড। সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের জেএসসির গড় পাসের হার ৮৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের
মধ্যে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে
৯৫ দশমিক ৩২ শতাংশ, কুমিল্লা ৯৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যশোর ৯১ দশমিক ৯৬ শতাংশ,
সিলেট ৯১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, দিনাজপুর ৯০ দশমিক ১০ শতাংশ, ঢাকা ৮৫ দশমিক ৩৬
শতাংশ এবং চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। ঢাকা বোর্ডে সেরা
২০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শীর্ষ রয়েছে রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল
এ্যান্ড কলেজ। গত বছরের সেরা ভিকারুননিসা নূন স্কুল এবার দ্বিতীয় অবস্থানে
রয়েছে। এবার তৃতীয় অবস্থানে এসেছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। জেডিসিতে
মাদরাসা বোর্ডে এবারও দেশ সেরা হয়েছে উত্তরার তানজীমুল উম্মাহ ক্যাডেট
মাদরাসা। গতবারের মতো এবারও বোর্ডগুলোতে শীর্ষ ২০ প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের
ক্ষেত্রে পাঁচটি মানদণ্ড অনুসরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিবন্ধিত
প্রার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার পাসের হার, শতকরা পাসের হার, মোট
পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও
প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএ।
প্রাথমিকে মেয়েরা এগিয়ে:
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে কমেছে পাসের হার, বেড়েছে ইবতেদায়িতে। তবে
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে উভয় পরীক্ষাতেই। ২০১৪ সালের
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯২ শতাংশ এবং ইবতেদায়ি ৯৫
দশমিক ৯৮ শতাংশ। গত বছর প্রাথমিকে পাসের হার ছিল ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ বছর
কমেছে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ। ইবতেদায়ি সমাপনীতে গত বছর পাসের হার ছিল ৯৫
দশমিক ৮০ শতাংশ। এ বছর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার বেড়েছে শূন্য
দশমিক ১৮ শতাংশ। প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে গড় পাসের হার ৯৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ। গত
বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে গড় পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। গত
বছরের তুলনায় এবার পাসের হার কমেছে শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ। এ বছর প্রাথমিক ও
ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ জন। তবে
গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ কমেছে ১৭ হাজার ২৬২ শিক্ষার্থী।
এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯২ ভাগ, যা গত বছর ছিল ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ বছর পাসের হার কমেছে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ। অন্যদিকে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে এ বছর পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৮ ভাগ, যা গত বছর ছিল ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ বছর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ। পাসের হারের পাশাপাশি এ বছর কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ শিক্ষার্থী। ইবতেদায়ি সমাপনীতে পেয়েছে ৬ হাজার ৫৪১ শিক্ষার্থী। গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ জন। ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে পেয়েছিল ৭ হাজার ২৫৩ জন। পাসের হার বিবেচনায় প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী উভয়টিতে ৭ বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। প্রাথমিক সমাপনীতে বরিশাল বিভাগে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৭১ ভাগ। ইবতেদায়িতে ওই বিভাগে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছরও প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে শীর্ষে ছিল বরিশাল বিভাগ। প্রাথমিক সমাপনীতে ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেলা। এ জেলায় পাসের হার শতভাগ। ৫০৯টি উপজেলা/থানার মধ্যে ২২টি উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। ইবতেদায়িতে ৯৯টি উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। পাসের হারের দিক থেকে সর্বনিম্ন চুয়াডাঙ্গা জেলা। এ জেলায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। উপজেলার ক্ষেত্রে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাসের হার সর্বনিম্ন। এ উপজেলায় পাসের হার ৬৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, অনুপস্থিতির হার, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি এবং পাসের হারের ভিত্তিতে গতবারের মতো এবারও প্রাথমিক সমাপনীতে শীর্ষস্থানে রয়েছে রাজধানীর মিরপুরের মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। দ্বিতীয় স্থানটিও অপরিবর্তিত মতিঝিল ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ও তৃতীয় মাইলস্টোন প্রিপারেটরি কেজি স্কুল। ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে একইভাবে শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার বায়তুশ শরফ কামিল (এমএ) মাদরাসা। দ্বিতীয় স্থানে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মিরওয়ারিশপুর সিনিয়র মাদরাসা ও তৃতীয় রাজধানীর ডেমরার দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা। এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন শিক্ষার্থী। যা মোট শিক্ষার্থীর ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ইবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৪১ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
সার্বিক ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও প্রত্যাশিত জায়গায় এখনও শিক্ষাকে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এখনও আমাদের অনেক উন্নতির জায়গা রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়তই কাঙ্ক্ষিত সেই লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে চলেছি। গতকাল দুপুরে ফল প্রকাশ উপলক্ষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রাথমিকে সর্বোচ্চ পাসের হারের দিক থেকে ৭ বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল। এ বোর্ডে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ ছাড়া পাসের হার রাজশাহীতে ৯৮ দশমিক শূন্য ৪, খুলনায় ৯৭ দশমিক ৯৫, ঢাকায় ৯৮ দশমিক ২৮, চট্টগ্রামে ৯৮ দশমিক ১৯, সিলেটে ৯৪ দশমিক ৯৫ ও রংপুরে ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ইবতেদায়িতেও পাসের হারে সেরা বরিশাল। বরিশালে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৯৭ দশমিক ৪২, খুলনায় ৯৬ দশমিক ৪৭, ঢাকায় ৯৫ দশমিক ২৫, চট্টগ্রামে ৯৬ দশমিক শূন্য ৪, সিলেটে ৮৮ দশমিক ৩৪ ও রংপুরে ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মোবাইল ফোনে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ: জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে কোন ধরনের ভুলত্রুটি থাকলে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৩০শে ডিসেম্বর থেকে ৬ই জানুয়ারি’১৫ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। শুধু দেশীয় অপারেটর টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে মেসেজ অপসনে গিয়ে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বিষয়ের কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় আবেদন ফি বাবদ কত টাকা হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেয়া হবে। আবেদনসম্মত থাকলে আবার মেসেজ অপসনে গিয়ে জঝঈ ণবং চওঘ হঁসনবৎ ঈড়হঃধপঃ হঁসনবৎ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৯২ ভাগ, যা গত বছর ছিল ৯৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ বছর পাসের হার কমেছে শূন্য দশমিক ৬৬ শতাংশ। অন্যদিকে ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে এ বছর পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৮ ভাগ, যা গত বছর ছিল ৯৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ বছর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে পাসের হার বেড়েছে শূন্য দশমিক ১৮ শতাংশ। পাসের হারের পাশাপাশি এ বছর কমেছে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। এবার প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে মোট ২ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ শিক্ষার্থী। ইবতেদায়ি সমাপনীতে পেয়েছে ৬ হাজার ৫৪১ শিক্ষার্থী। গত বছর প্রাথমিক সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২ লাখ ৪০ হাজার ৯৬১ জন। ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে পেয়েছিল ৭ হাজার ২৫৩ জন। পাসের হার বিবেচনায় প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী উভয়টিতে ৭ বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল বিভাগ। প্রাথমিক সমাপনীতে বরিশাল বিভাগে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৭১ ভাগ। ইবতেদায়িতে ওই বিভাগে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত বছরও প্রাথমিক ও ইবতেদায়িতে শীর্ষে ছিল বরিশাল বিভাগ। প্রাথমিক সমাপনীতে ৬৪ জেলার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মুন্সীগঞ্জ জেলা। এ জেলায় পাসের হার শতভাগ। ৫০৯টি উপজেলা/থানার মধ্যে ২২টি উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। ইবতেদায়িতে ৯৯টি উপজেলায় শতভাগ পাস করেছে। পাসের হারের দিক থেকে সর্বনিম্ন চুয়াডাঙ্গা জেলা। এ জেলায় পাসের হার ৮৩ দশমিক ৫১ শতাংশ। উপজেলার ক্ষেত্রে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাসের হার সর্বনিম্ন। এ উপজেলায় পাসের হার ৬৫ দশমিক ২৬ শতাংশ।
পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, অনুপস্থিতির হার, জিপিএ-৫ প্রাপ্তি এবং পাসের হারের ভিত্তিতে গতবারের মতো এবারও প্রাথমিক সমাপনীতে শীর্ষস্থানে রয়েছে রাজধানীর মিরপুরের মণিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। দ্বিতীয় স্থানটিও অপরিবর্তিত মতিঝিল ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ও তৃতীয় মাইলস্টোন প্রিপারেটরি কেজি স্কুল। ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে একইভাবে শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার বায়তুশ শরফ কামিল (এমএ) মাদরাসা। দ্বিতীয় স্থানে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মিরওয়ারিশপুর সিনিয়র মাদরাসা ও তৃতীয় রাজধানীর ডেমরার দারুন্নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসা। এ বছর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৪১১ জন শিক্ষার্থী। যা মোট শিক্ষার্থীর ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। ইবতেদায়িতে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৫৪১ জন, যা মোট শিক্ষার্থীর ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
সার্বিক ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও প্রত্যাশিত জায়গায় এখনও শিক্ষাকে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এখনও আমাদের অনেক উন্নতির জায়গা রয়েছে। আমরা প্রতিনিয়তই কাঙ্ক্ষিত সেই লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে চলেছি। গতকাল দুপুরে ফল প্রকাশ উপলক্ষে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রাথমিকে সর্বোচ্চ পাসের হারের দিক থেকে ৭ বিভাগের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল। এ বোর্ডে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ ছাড়া পাসের হার রাজশাহীতে ৯৮ দশমিক শূন্য ৪, খুলনায় ৯৭ দশমিক ৯৫, ঢাকায় ৯৮ দশমিক ২৮, চট্টগ্রামে ৯৮ দশমিক ১৯, সিলেটে ৯৪ দশমিক ৯৫ ও রংপুরে ৯৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। ইবতেদায়িতেও পাসের হারে সেরা বরিশাল। বরিশালে পাসের হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৯৭ দশমিক ৪২, খুলনায় ৯৬ দশমিক ৪৭, ঢাকায় ৯৫ দশমিক ২৫, চট্টগ্রামে ৯৬ দশমিক শূন্য ৪, সিলেটে ৮৮ দশমিক ৩৪ ও রংপুরে ৯৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
মোবাইল ফোনে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণ: জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলে কোন ধরনের ভুলত্রুটি থাকলে পুনঃনিরীক্ষণের জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ৩০শে ডিসেম্বর থেকে ৬ই জানুয়ারি’১৫ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। শুধু দেশীয় অপারেটর টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল থেকে ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে মেসেজ অপসনে গিয়ে জঝঈ লিখে স্পেস দিয়ে বিষয়ের কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি বার্তায় আবেদন ফি বাবদ কত টাকা হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেয়া হবে। আবেদনসম্মত থাকলে আবার মেসেজ অপসনে গিয়ে জঝঈ ণবং চওঘ হঁসনবৎ ঈড়হঃধপঃ হঁসনবৎ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
No comments