প্রস্তুত কক্সবাজার কুয়াকাটা by রাসেল চৌধুরী ও শরিফুল হক শাহীন
থার্টিফার্স্ট
নাইট উদযাপনে পুরোপুরি প্রস্তুত কক্সবাজার। অপেক্ষা মাত্র একটি দিন। দিন
শেষে ঠিক রাত ১২-০১ মিনিটে বধূবরণের আদলে কিংবা ঠিক তার চেয়ে ভিন্নমাত্রায়
বরণ করে নেয়া হবে ইংরেজি নববর্ষ ২০১৫ সালকে। নতুন বছরে আগত দেশী-বিদেশী
পর্যটক বরণে নবরূপে সাজানো হয়েছে হোটেল মোটেল জোনসহ পর্যটন স্পটগুলোকে।
বরাবরের মতোই ইংরেজি নববর্ষকে সেলিব্রেট করতে কক্সবাজার সৈকতে সমাবেশ ঘটবে
লাখ লাখ পর্যটকের। এ উপলক্ষে সৈকতসহ আবাসিক হোটেল মোটেলে নানা অনুষ্ঠান
আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সৈকতের লাবণী পয়েন্টের আশপাশ এলাকাজুড়ে চারটি পৃথক
কনসার্ট হবে। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল ও ইকো রিসোর্টে চলবে দেশি-বিদেশি তারকা
শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যে কক্সবাজার শহর, ইনানী,
সেন্টমার্টিনসহ পর্যটন স্পটের আবাসিক হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস, কটেজসমূহের
সব কক্ষই অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। যে কোন ধরনের অঘটন এড়াতে সৈকতসহ স্পটসমূহে
৪ স্তরের নিরাপত্তা বলয়, বিশেষ চেকপোস্টসহ মাদকের যত্রতত্র ব্যবহার রোধে
নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ প্রশাসন। সংশিষ্ট সূত্রে জানা গেছে,
প্রতিবছর থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ভিড় করে
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। শহরের হোটেল-রেস্তোরাঁ, রাস্তাঘাট
ও বিপণি কেন্দ্রে দেখা দেয় প্রচণ্ড ভিড়। প্রতিবছরের মতো এবারও ইংরেজি
নববর্ষকে সেলিব্রেট করতে ৩১শে ডিসেম্বর কক্সবাজার সৈকতে কয়েক লক্ষ মানুষের
সমাবেশ ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ পালন করতে দেশের
বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন দল, ক্লাব, সমিতি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ৩১শে
ডিসেম্বর শহরের হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস আগাম বুকিং নিয়েছে। পর্যটকদের চাপ
সামলাতে টুরিজম কোম্পানির লোকজন এখন শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি এবং উপজেলা
পর্যায়ের আবাসিক হোটেল ও রেস্ট হাউস খুঁজছে। নতুন বছরকে নাচ, গানসহ বিভিন্ন
অনুষ্ঠানমালার মধ্য দিয়ে সেলিব্রেট করার কর্মসূচি নিয়েছে তারকা মানের
হোটেলগুলো। ৩১শে ডিসেম্বরের আগে ও পরে কয়েক দিন ধরে চলবে এসব অনুষ্ঠান।
‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উদযাপনে বেসরকারি টিভি, হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ ব্যাপক
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির
সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানান, ১৬ই ডিসেম্বর থেকে পর্যটকের ভিড়
বেড়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকলে জানুয়ারি পর্যন্ত পর্যটকের এরকম আগমন
অব্যাহত থাকবে। তবে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনের জন্য সৈকতে দুই থেকে আড়াই
লাখ পর্যটক সমাগম হবে বলে মত প্রকাশ করে বলেন, ইতিমধ্যে শহরের ছোট-বড় আড়াই
শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের সব রুমের বুকিং শেষ হয়েছে। কলাতলী
হানিমুন রিসোর্টের মালিক সরওয়ার কামাল জানান, ১ সপ্তাহ আগে থেকে হোটেলের সব
রুমের অগ্রিম বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। থার্টিফার্স্ট নাইট উৎসবমুখর পরিবেশে
উদযাপন করার জন্য এবার কয়েকদিন আগে থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুল
সংখ্যক পর্যটক এসেছেন বলেও জানান তিনি। জানা যায়, হোটেল ওশেন প্যারাডাইস,
সিগাল, লং বিচ, কক্স টু ডে, সি-প্যালেস, প্রাসাদ প্যারাডাইস, সিলভার সাইনসহ
বিভিন্ন হোটেল-মোটেলে থার্টিফার্স্ট নাইটের বিশেষ আয়োজন রয়েছে। সৈকতে
থাকছে বেসরকারি কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলের পৃথক একাধিক লাইভ কনসার্ট। দেশের
নামীদামি তারকা শিল্পীরা এতে গান পরিবেশন করবেন। সৈকতের তারকা হোটেল ওশেন
প্যারাডাইসের জনসংযোগ কর্মকর্তা সায়ীদ আলমগীর জানান, থার্টিফার্স্ট নাইট
উপলক্ষে হোটেলে ফ্যাশন শো আর নাচগানের আয়োজন রয়েছে। টিকিটের বিনিময় এসব
অনুষ্ঠান দেখানো হবে। থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন নিয়ে অন্যরকম আয়োজন করেছে
প্যাঁচার দ্বীপের মারমেইড বিচ রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। তারা দেশী-বিদেশী
পর্যটকের জন্য ফ্যাশন শোর পাশাপাশি তারকা শিল্পীদের নিয়ে ডিজে, লাইভ সি
ফুড, ফায়ার শো, ফানুস ওড়ানো, ফায়ার ওয়ার্কসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
রিসোর্টের মহাব্যবস্থাপক মাহফুজুর রহমান জানান, তাদের রিসোর্টের ৯৫ শতাংশ
অতিথি বিদেশি। তাই থার্টিফার্স্ট নাইটের আয়োজনও চমৎকার করে সাজানো হচ্ছে।
টিকিটের বিনিময়ে স্থানীয়দের এতে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়েছে। এদিকে
কক্সবাজারে আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা
বিবেচনা করে জেলা পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন
জেলা পুলিশ। সূত্রটি জানিয়েছে, থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষে ৪ স্তরের
নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে
তল্লাশি চালানো হবে। নিয়মিত টহল দলের পাশাপাশি সৈকতসহ শহরে অতিরিক্ত টহল
জোরদার করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের টহল থাকবে।
এতে নারী ও পুরুষ উভয়ের ব্যাগে তল্লাশি চালানো হবে। মাদকের যত্রতত্র
ব্যবহার রোধ ও অঘটন এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে।
বুধবার ২০১৪ সালের শেষ দিন। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকবে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার দীর্ঘ বেলাভূমিতে। হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটবে। পর্যটকরা রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির কোলে চাঁদের আলোতে সৈকতে ঘুরে বেড়ানো আর বিশাল সমুদ্রের জলরাশির সংস্পর্শে হারিয়ে যাবে দূর অজানায়। আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন আর প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেই কুয়াকাটায় চলছে ব্যাপক আয়োজন। কুয়াকাটার সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করার স্থান, ইকোপার্ক, গঙ্গামতির লেক, গঙ্গামতির ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, রাখাইন মহিলা মার্কেট, ছায়া ঘেরা নারিকেলকুঞ্জ, লেম্বুরচরের শুঁটকি পল্লী, রাখাইন পল্লী, কেরানীপাড়া বৌদ্ধ বিহারের বুদ্ধমূর্তি, কুয়াকাটা সংলগ্ন মিশ্রীপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ বুদ্ধমূর্তি, সাগর থেকে জেগে ওঠা নৌকা, সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চাল খ্যাত ফাতরার সবুজ বন, ঝাউ বাগান, মৎস্যবন্দর মহিপুর ও মম্বীপাড়ার সৎসঙ্গের মন্দির নিয়ে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা এখন পর্যটকদের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। পর্যটন স্পটগুলোতে গমন উপযোগী স্থানীয় ভাড়ায়চালিত যানবাহনেও তাই সাজ সাজ রব। অপরদিকে থার্টিফার্স্ট নাইট আনন্দের সঙ্গে কাটানোর জন্য দেশ-বিদেশের শত শত পর্যটক ইতিমধ্যে কুয়াকাটার খ্যাতনামা সব আবাসিক হোটেল বুকিং দিয়ে রেখেছেন। পরিস্থিতি এমন যে, পুরো এক মাসের মধ্যে হোটেলের কোন সিট খালি নেই। ব্যক্তিমালিকানাধীন বিলাসবহুল আবাসিক হোটেলগুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য বাড়িয়েছে সেবার মান। কুয়াকাটা ইন্টারন্যাশনাল, বনানী প্যালেস, গোল্ডেন প্যালেস, নীলাঞ্জনা, পর্যটন হলিডে হোমস ও স্কাই প্যালেস হোটেলসহ একাধিক হোটেল মালিক জানান, অবস্থা দেখে মনে হয় গত বছরের চেয়ে এ বছর পর্যটকের আগমন বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। কুয়াকাটার বিলাসবহুল হোটেল নীলাঞ্জনার ম্যানেজার সৈয়দ মো. মোস্তাফা হাবিব জানান, বর্ষা মওসুমে কুয়াকাটা কেন্দ্রিক পর্যটন ব্যবসা ছিল খুবই মন্দা। বর্তমানে পর্যটকদের ঢল দেখে ভাল লাগছে। তিনি কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের তিনটি ফেরি উন্নয়ের দাবি জানান। হোটেল ব্যবসায়ী শেখ ইসহাক আলী জানান, কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাগরের নীল ঢেউ, বালুকারাশি, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মতো লোভনীয় সৌন্দর্যই কুয়াকাটা ভ্রমণের স্মৃতিকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখে মননে। এ কারণেই পুনরায় নিজের অজান্তেই নিজেকে প্রকৃতির কাছে টেনে আনেন পর্যটকরা। তিনি আরও বলেন, কলাপাড়া-কুয়াকাটা ২২ কি.মি. সড়কে ঝক্কি-ঝামেলা না থাকলে কুয়াকাটায় থার্টিফার্স্ট নাইটে আনন্দ উপভোগ ছাড়াও অবকাশযাপনে বছরের অধিকাংশ সময়ে দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটবে। থার্টিফার্স্ট নাইটে আনন্দ উপভোগ করতে পর্যটকরা আসবেন কুয়াকাটায়। তাদের বাড়তি বিনোদনের জন্যই স্থানীয়দের সহযোগিতায় বরিশাল ও স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। এমনটাই জানালেন কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বুলেট। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সভাপতি জনি আলমগীর জানান, কুয়াকাটায় একটি নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ড স্থাপন করা জরুরি। না থাকায় পর্যটককে একেক রুটের বাসের জন্য বিভিন্ন স্পটে ঘুরতে হয়। কলাপাড়া থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকের নিরাপত্তার সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও কলাপাড়ার ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, থার্টিফার্স্ট নাইটে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ, কলাপাড়া থানা পুলিশ ছাড়াও পটুয়াখালী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সৈকতে থাকবে পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার কাজে। কাউকে কোন হয়রানির সুযোগ থাকবে না।
বুধবার ২০১৪ সালের শেষ দিন। সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকবে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটার দীর্ঘ বেলাভূমিতে। হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটবে। পর্যটকরা রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির কোলে চাঁদের আলোতে সৈকতে ঘুরে বেড়ানো আর বিশাল সমুদ্রের জলরাশির সংস্পর্শে হারিয়ে যাবে দূর অজানায়। আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন আর প্রয়োজনের কথা চিন্তা করেই কুয়াকাটায় চলছে ব্যাপক আয়োজন। কুয়াকাটার সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত উপভোগ করার স্থান, ইকোপার্ক, গঙ্গামতির লেক, গঙ্গামতির ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, রাখাইন মহিলা মার্কেট, ছায়া ঘেরা নারিকেলকুঞ্জ, লেম্বুরচরের শুঁটকি পল্লী, রাখাইন পল্লী, কেরানীপাড়া বৌদ্ধ বিহারের বুদ্ধমূর্তি, কুয়াকাটা সংলগ্ন মিশ্রীপাড়ায় অবস্থিত এশিয়ার সর্ববৃহৎ বুদ্ধমূর্তি, সাগর থেকে জেগে ওঠা নৌকা, সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চাল খ্যাত ফাতরার সবুজ বন, ঝাউ বাগান, মৎস্যবন্দর মহিপুর ও মম্বীপাড়ার সৎসঙ্গের মন্দির নিয়ে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা এখন পর্যটকদের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। পর্যটন স্পটগুলোতে গমন উপযোগী স্থানীয় ভাড়ায়চালিত যানবাহনেও তাই সাজ সাজ রব। অপরদিকে থার্টিফার্স্ট নাইট আনন্দের সঙ্গে কাটানোর জন্য দেশ-বিদেশের শত শত পর্যটক ইতিমধ্যে কুয়াকাটার খ্যাতনামা সব আবাসিক হোটেল বুকিং দিয়ে রেখেছেন। পরিস্থিতি এমন যে, পুরো এক মাসের মধ্যে হোটেলের কোন সিট খালি নেই। ব্যক্তিমালিকানাধীন বিলাসবহুল আবাসিক হোটেলগুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্য বাড়িয়েছে সেবার মান। কুয়াকাটা ইন্টারন্যাশনাল, বনানী প্যালেস, গোল্ডেন প্যালেস, নীলাঞ্জনা, পর্যটন হলিডে হোমস ও স্কাই প্যালেস হোটেলসহ একাধিক হোটেল মালিক জানান, অবস্থা দেখে মনে হয় গত বছরের চেয়ে এ বছর পর্যটকের আগমন বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। কুয়াকাটার বিলাসবহুল হোটেল নীলাঞ্জনার ম্যানেজার সৈয়দ মো. মোস্তাফা হাবিব জানান, বর্ষা মওসুমে কুয়াকাটা কেন্দ্রিক পর্যটন ব্যবসা ছিল খুবই মন্দা। বর্তমানে পর্যটকদের ঢল দেখে ভাল লাগছে। তিনি কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের তিনটি ফেরি উন্নয়ের দাবি জানান। হোটেল ব্যবসায়ী শেখ ইসহাক আলী জানান, কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাগরের নীল ঢেউ, বালুকারাশি, সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মতো লোভনীয় সৌন্দর্যই কুয়াকাটা ভ্রমণের স্মৃতিকে অনেক দিন বাঁচিয়ে রাখে মননে। এ কারণেই পুনরায় নিজের অজান্তেই নিজেকে প্রকৃতির কাছে টেনে আনেন পর্যটকরা। তিনি আরও বলেন, কলাপাড়া-কুয়াকাটা ২২ কি.মি. সড়কে ঝক্কি-ঝামেলা না থাকলে কুয়াকাটায় থার্টিফার্স্ট নাইটে আনন্দ উপভোগ ছাড়াও অবকাশযাপনে বছরের অধিকাংশ সময়ে দেশ-বিদেশের হাজারো পর্যটকের আগমন ঘটবে। থার্টিফার্স্ট নাইটে আনন্দ উপভোগ করতে পর্যটকরা আসবেন কুয়াকাটায়। তাদের বাড়তি বিনোদনের জন্যই স্থানীয়দের সহযোগিতায় বরিশাল ও স্থানীয় শিল্পীদের সমন্বয়ে প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। এমনটাই জানালেন কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সভাপতি মিজানুর রহমান বুলেট। কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট বোট মালিক সমিতির সভাপতি জনি আলমগীর জানান, কুয়াকাটায় একটি নির্ধারিত বাসস্ট্যান্ড স্থাপন করা জরুরি। না থাকায় পর্যটককে একেক রুটের বাসের জন্য বিভিন্ন স্পটে ঘুরতে হয়। কলাপাড়া থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকের নিরাপত্তার সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ও কলাপাড়ার ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, থার্টিফার্স্ট নাইটে কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ, কলাপাড়া থানা পুলিশ ছাড়াও পটুয়াখালী থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সৈকতে থাকবে পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার কাজে। কাউকে কোন হয়রানির সুযোগ থাকবে না।
No comments