থার্টিফার্স্ট ও হরতালে নিরাপত্তা চাদরে ঢাকা
থার্টিফার্স্ট নাইট ও জামায়াতে ইসলামীর
ডাকা হরতালকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার চাদরে ঘেরা থাকবে রাজধানী ঢাকা। ঢাকার
বাইরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গুলশান, বনানী, ধানমণ্ডিতে
থার্টিফার্স্ট নাইটে রাত ৮টার পর বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ ও যানবাহন
চলাচল সীমিত করা হয়েছে। এই প্রথমবারের মতো বডি অন ক্যামেরা প্রযুক্তিসহ
মাঠে নামানো হয়েছে পোশাকে ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের। মাঠে টহল ও
তল্লাশি রয়েছে র্যাবের। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নামানো হয়েছে
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জওয়ানদের। পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ডিএমপি,
বিজিবি ও র্যাব সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, হরতাল ও থার্টিফার্স্ট নাইটকে ঘিরে জেলায় জেলায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশের টলহ ও তল্লাশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি জালাল আহমেদ চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, হরতাল কর্মসূচিকে ঘিরে অপতৎপরতা, নাশকতা ও জনশৃংখলা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো তৎপরতা রোধে পুলিশ সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে জামায়াত অধ্যুষিত জেলাগুলোতে বাড়তি সতর্কতামূলত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো মহল যাতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নির্দেশনা। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ সুপারদের নিজ নিজ এলাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে থার্টিফার্স্টের নিরাপত্তা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির সদ্যবিদায়ী কমিশনার ও বর্তমানে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, থার্টিফার্স্ট নাইটে সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃংলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভারে কোনো জমায়েত বা জনসমাবেশ করা যাবে না। একইসঙ্গে অনুষ্ঠান করা যাবে না উন্মুক্ত স্থানে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বনানী ও বারিধারার নাগরিকদের এদিন রাত ৮টার আগে বাসায় ফেরার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। একইভাবে ওই এলাকায় বসবাসকারী নাগরিক নন, তারা রাত ৮টার পর ওই এলাকায় যাবেন না। হাতিরঝিল এলাকায় রাত ৮টার পরে কেউ ঢুকবেন না। কোথাও আতশবাজি ফোটানো যাবে না, ওভারস্পিডে গাড়ি চালানো যাবে না। গির্জা ও চার্চে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। ভ্রাম্যমাণ টহল দলও নিয়োজিত থাকবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এই প্রথমবারের মতো বডি অন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। এ বছর এখানে (ঢাকায়) ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বাণিজ্যিক বারগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল জলিল, ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন, মিলি বিশ্বাস, মারুফ হাসান, ইব্রাহিম ফাতেমি।
এদিকে ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহনযোগে প্রবেশের জন্য শুধু কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) ব্যবহার করা যাবে। রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, আমতলী ক্রসিং, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, গ্রুপ-ফোর, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং এলাকাগুলোতে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। তবে বের হওয়ার জন্য এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। একইভাবে বুধবার রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পুরনো হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় রুট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য সব ক্রসিং বন্ধ থাকবে। একই সময়ে রাজধানীর আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা গেল। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজিবি মোতায়েন : হরতালের নিরাপত্তা ও নাশকতার আশংকায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নামানো হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের। বিজিবির সদর দফতরের কর্মকর্তা মহসিন রেজা জানান, প্রয়োজন ও চাহিদার আলোকে পর্যাপ্তসংখ্যক বিজিবি সদস্য নামানো হচ্ছে। ঢাকায় ১০ প্লাটুনের বেশি বিজিবি নামানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বিজিবি সদস্য নামানো হবে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকদের চাহিদার আলোকে বিজিবি নামানো হয়। প্রয়োজনে আরও বিজিবি সদস্য নামার জন্য প্রস্তুত আছে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, হরতাল ও থার্টিফার্স্ট নাইটকে ঘিরে জেলায় জেলায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশের টলহ ও তল্লাশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি জালাল আহমেদ চৌধুরী যুগান্তরকে জানান, হরতাল কর্মসূচিকে ঘিরে অপতৎপরতা, নাশকতা ও জনশৃংখলা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো তৎপরতা রোধে পুলিশ সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে জামায়াত অধ্যুষিত জেলাগুলোতে বাড়তি সতর্কতামূলত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো মহল যাতে আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনকে দেয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নির্দেশনা। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ সুপারদের নিজ নিজ এলাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে থার্টিফার্স্টের নিরাপত্তা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির সদ্যবিদায়ী কমিশনার ও বর্তমানে র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ জানান, থার্টিফার্স্ট নাইটে সার্বিক নিরাপত্তা ও আইনশৃংলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভারে কোনো জমায়েত বা জনসমাবেশ করা যাবে না। একইসঙ্গে অনুষ্ঠান করা যাবে না উন্মুক্ত স্থানে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গুলশান, বনানী ও বারিধারার নাগরিকদের এদিন রাত ৮টার আগে বাসায় ফেরার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। একইভাবে ওই এলাকায় বসবাসকারী নাগরিক নন, তারা রাত ৮টার পর ওই এলাকায় যাবেন না। হাতিরঝিল এলাকায় রাত ৮টার পরে কেউ ঢুকবেন না। কোথাও আতশবাজি ফোটানো যাবে না, ওভারস্পিডে গাড়ি চালানো যাবে না। গির্জা ও চার্চে থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
তিনি আরও বলেন, পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। ভ্রাম্যমাণ টহল দলও নিয়োজিত থাকবে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে এই প্রথমবারের মতো বডি অন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে এটি ব্যবহার করা হয়েছিল। এ বছর এখানে (ঢাকায়) ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বাণিজ্যিক বারগুলো বন্ধ করে দেয়া হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আবদুল জলিল, ব্যারিস্টার মাহবুব হোসেন, মিলি বিশ্বাস, মারুফ হাসান, ইব্রাহিম ফাতেমি।
এদিকে ডিএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহনযোগে প্রবেশের জন্য শুধু কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) ব্যবহার করা যাবে। রাত ৮টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, আমতলী ক্রসিং, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, গ্রুপ-ফোর, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং এলাকাগুলোতে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। তবে বের হওয়ার জন্য এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। একইভাবে বুধবার রাত ৮টা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে পুরনো হাইকোর্ট-দোয়েল চত্বর-শহীদ মিনার-জগন্নাথ হলের দক্ষিণ গেট-পলাশী মোড় রুট ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে অন্যান্য সব ক্রসিং বন্ধ থাকবে। একই সময়ে রাজধানীর আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা গেল। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজিবি মোতায়েন : হরতালের নিরাপত্তা ও নাশকতার আশংকায় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় নামানো হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের। বিজিবির সদর দফতরের কর্মকর্তা মহসিন রেজা জানান, প্রয়োজন ও চাহিদার আলোকে পর্যাপ্তসংখ্যক বিজিবি সদস্য নামানো হচ্ছে। ঢাকায় ১০ প্লাটুনের বেশি বিজিবি নামানো হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বিজিবি সদস্য নামানো হবে। ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে জেলা প্রশাসকদের চাহিদার আলোকে বিজিবি নামানো হয়। প্রয়োজনে আরও বিজিবি সদস্য নামার জন্য প্রস্তুত আছে।
No comments