বকশিবাজার রণক্ষেত্র
বিএনপি
চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুরান
ঢাকার বকশিবাজার এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সকাল থেকে সেখানে বিএনপি ও
অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছিলেন। বিএনপি
চেয়ারপারসন আদালত এলাকায় পৌঁছার আগেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আচমকা হামলা
চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ
ছড়িয়ে পড়ে বকশিবাজার, পলাশীমোড় ও ঢাকা মেডিকেল এলাকায়। সংঘর্ষ চলাকালে
কয়েকজনকে রাস্তায় ফেলে লাঠিপেটা করতে দেখা যায়। এসময় পুলিশ ব্যাপক টিয়ারশেল
ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে। সংঘর্ষের
মধ্যেই দুপুরে খালেদা জিয়া আদালতে পৌঁছেন। এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা তার
গাড়িতেও ইটপাটকেল ছুড়ে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
এলাকায়। সংঘর্ষের সময় মেডিকেল এলাকায় একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ওই
গাড়িতে থাকা নেত্রকোনার এমপি ছবি বিশ্বাসকেও মারধর করে হামলাকারীরা। হামলায়
তার মাথা ফেটে যায়। তিনি দৌঁড়ে মেডিকেলের পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নিয়ে
আত্মরক্ষা করেন। পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তিনি চিকিৎসা দেন। ছবি
বিশ্বাস জানিয়েছেন, এক আত্মীয়কে চিকিৎসক দেখিয়ে বের হওয়ার সময় তিনি হামলার
শিকার হন। এদিকে আদালত এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশ সরিয়ে দিলেও
খালেদা জিয়া আদালত ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত আশপাশের এলাকায় অবস্থান নিয়ে তারা
সেøাগান দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফজলে রাব্বী হলের মোড়ে সকাল থেকে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশও অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে বুয়েট এলাকা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এসময় সেখানে অবস্থানরত পুলিশকে নিরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ হামলা চলার পর পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে সংঘর্ষ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা টিয়ারশেল থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশের এপিসি ও জলকামান ব্যবহার নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তবে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা চানখারপুল, ঢাকা মেডিকেল ও পাশের এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। বেলা সোয়া একটার পর খালেদা জিয়া আদালত এলাকা ত্যাগ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফজলে রাব্বী হলের মোড়ে সকাল থেকে বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী অবস্থান নেন। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশও অবস্থান নেয়। একপর্যায়ে বুয়েট এলাকা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করে। এসময় সেখানে অবস্থানরত পুলিশকে নিরবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কিছুক্ষণ হামলা চলার পর পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এতে সংঘর্ষ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা টিয়ারশেল থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এসময় পুলিশের এপিসি ও জলকামান ব্যবহার নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। তবে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা চানখারপুল, ঢাকা মেডিকেল ও পাশের এলাকায় কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। বেলা সোয়া একটার পর খালেদা জিয়া আদালত এলাকা ত্যাগ করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
No comments