চট্টগ্রামে ৪ ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি, নিহত ১
স্যার এবারের মতো মাফ করে দেন। জীবনে আর কোনদিন দুই নম্বর কাজ করবো না। টাকার লোভে পড়ে এমন কাজ করেছি। একটু পানি খাওয়ান। খুব তৃষ্ণা পেয়েছে। আমার শিক্ষা হয়েছে। মৃত্যুর কয়েক মিনিট আগে এভাবেই হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় কথাগুলো বলছিল ছিনতাইকারী তফাজ্জল। ডিবি পরিচয়ে অপহরণের সময় ধরা পড়ার পর সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকায় তাকেসহ মোট ৪ জনকে বেধড়ক পিটুনি দেয় সাধারণ জনতা। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকাল সাড়ে ৫টায় তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় এনামুল (৪২) ও বেলায়েত (৪০) নামের আরও দু’জনের জীবন সঙ্কটাপন্ন। ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে আরও একজনকে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী মাদাম বিবিরহাট এলাকায় ৪ অপহরণকারীকে ধরে গণপিটুনি দেয়া হয়। এই সময় তাদের বহনকারী প্রাইভেটকারটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। বেলা সাড়ে ১২টায় এই ঘটনা ঘটে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বন্ধ থাকে মহাসড়কের যানচলাচল। পরে এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সীতাকুণ্ড পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় জহির নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে। তাকে ওই ৪ অপহরণকারী ডিবি পরিচয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে জোর করে তুলে নেয়। বিষয়টি তার আত্মীয় স্বজনরা জানার পর তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে সাধারণ লোকজন বিষয়টি ভাটিয়ারীতে জানালে সেখানে স্থানীয়রা রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। এই সময় পালাতে গেলে ধরা পড়ে যায় ওই ৪ অপহরণকারী। একপর্যায়ে তারা অপহরণ করা জহিরকে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ও পা বেঁধে গাড়িতে ফেলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের ঘিরে ফেললে তারা আটক হয়ে যায়। এরপর সবাইকে নামিয়ে গণধোলাই দেয়া হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় সবাইকে নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ক্যাজুয়েলিটি বিভাগে ভর্তি করা হলে কথা হয় তাদের সঙ্গে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় মারা যায় তফাজ্জল নামের একজন। এর আগে সে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলে, আমার ভুল হয়েছে। জীবনে আর এমন কাজ করবো না। আমি বাঁচতে চাই।
স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার সময় উত্তেজিত হয়ে সাধারণ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নেয়। এই সময় অনেকে লাঠিসোটা ও ইট দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারীরা একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দলের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তারা নগর পুলিশের পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, পরিস্থিতি প্রথমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। এখন শান্ত। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। অপহরণকারীদের মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা ভাল নয়।
গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিলে জানা যায়, ৩ অপহরণকারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গণপিটুনির পর এদের কারও জ্ঞান ফেরেনি। পরিবারের কোন আত্মীয়স্বজনও তাদের খোঁজে আসেনি। পুলিশ প্রহরায় চলছে তাদের চিকিৎসা। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, একজন মারা গেছে। বাকিদের অবস্থা ভাল নয়। ডাক্তার বলেছে তারা একটু পরপরই জ্ঞান হারাচ্ছে। অপহরণকারীদের খোঁজে কেউ এখনও হাসপাতালে আসেনি। ধারণা করছি গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়েই কেউ হাসপাতালে আসছে না।
সীতাকুণ্ড পুলিশ জানায়, ঘটনার সূত্রপাত হয় জহির নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে। তাকে ওই ৪ অপহরণকারী ডিবি পরিচয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারে জোর করে তুলে নেয়। বিষয়টি তার আত্মীয় স্বজনরা জানার পর তাদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে মোবাইল ফোনে সাধারণ লোকজন বিষয়টি ভাটিয়ারীতে জানালে সেখানে স্থানীয়রা রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। এই সময় পালাতে গেলে ধরা পড়ে যায় ওই ৪ অপহরণকারী। একপর্যায়ে তারা অপহরণ করা জহিরকে হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে ও পা বেঁধে গাড়িতে ফেলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সাধারণ মানুষ তাদের ঘিরে ফেললে তারা আটক হয়ে যায়। এরপর সবাইকে নামিয়ে গণধোলাই দেয়া হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় সবাইকে নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ক্যাজুয়েলিটি বিভাগে ভর্তি করা হলে কথা হয় তাদের সঙ্গে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় মারা যায় তফাজ্জল নামের একজন। এর আগে সে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলে, আমার ভুল হয়েছে। জীবনে আর এমন কাজ করবো না। আমি বাঁচতে চাই।
স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ঘটনার সময় উত্তেজিত হয়ে সাধারণ মানুষ নিজের হাতে আইন তুলে নেয়। এই সময় অনেকে লাঠিসোটা ও ইট দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ধারণা করা হচ্ছে, অপহরণকারীরা একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দলের সদস্য। দীর্ঘদিন ধরে তারা নগর পুলিশের পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে আসছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সীতাকুণ্ড মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, পরিস্থিতি প্রথমে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল। এখন শান্ত। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। অপহরণকারীদের মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা ভাল নয়।
গতকাল সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিলে জানা যায়, ৩ অপহরণকারীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গণপিটুনির পর এদের কারও জ্ঞান ফেরেনি। পরিবারের কোন আত্মীয়স্বজনও তাদের খোঁজে আসেনি। পুলিশ প্রহরায় চলছে তাদের চিকিৎসা। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এসআই জহিরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, একজন মারা গেছে। বাকিদের অবস্থা ভাল নয়। ডাক্তার বলেছে তারা একটু পরপরই জ্ঞান হারাচ্ছে। অপহরণকারীদের খোঁজে কেউ এখনও হাসপাতালে আসেনি। ধারণা করছি গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়েই কেউ হাসপাতালে আসছে না।
No comments