‘কাদা ছোড়াছুড়ি জাতিকে নষ্ট রাজনীতি শিক্ষা দিচ্ছে’ by কাজী সুমন
দেশের
প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাল্টাপাল্টি কাদা ছোড়াছুড়ি ও প্রয়াত
নেতাদের নিয়ে অশালীন বক্তব্য জাতিকে নষ্ট রাজনীতির শিক্ষা দিচ্ছে বলে মনে
করছেন বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, দেশের ইতিহাস মীমাংসিত বিষয়ে। এ নিয়ে কাদা
ছোড়াছুড়ি অপরাজনীতির চর্চা। এ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিশিষ্টজনরা বলছেন,
নেতাদের এসব বক্তব্যে প্রমাণ হয় তারা নীতির রাজনীতি করেন না। তারা ক্ষমতার
রাজনীতি করেন। ১৫ই ডিসেম্বর লন্ডনে বিজয় দিবসের একটি আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘রাজাকার ও পাকবন্ধু’ বলে মন্তব্য করেন বিএনপির
সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এরপর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির নেতারা তারেক রহমানকে ‘গণ্ডমূর্খ ও
জানোয়ার’ বলে কটাক্ষ করে পাল্টা বক্তব্য দেন। রাজনীতির এ সংস্কৃতি সম্পর্কে
বিশিষ্ট কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের
মীমাংসিত বিষয় নিয়ে এ ধরনের উক্তি গর্হিত কাজ। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ
স্বাধীন হয়েছে। তাকে নিয়ে এ ধরনের বক্তব্য অর্বাচীনতার পরিচয় বহন করে। একই
সঙ্গে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতা যে ধরনের
উক্তি করছেন- সেটাও খুবই আপত্তিকর। পাল্টাপাল্টি এ ধরনের অসুন্দর
বাক্যবিনিময় গোটা জাতিকে নষ্ট রাজনীতি শিক্ষা দিচ্ছে। তিনি বলেন, দু’টি
দলের নেতারা কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে অন্যায় কাজ করছেন। কারণ, ১০-১২ বছরের
বাচ্চারা যখন টেলিভিশনে এ ধরনের বক্তব্য দেখছে তখন তারা খারাপ শিক্ষা
পাচ্ছে। সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, অতীতেও আমাদের জাতীয় নেতারা রাজনীতি করেছেন।
তারা কোনদিন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সম্পর্কে এ ধরনের আপত্তিকর উক্তি করেননি।
জাতীয় স্বার্থে অবিলম্বে তাদের এ ধরনের অপরাজনীতির চর্চা থেকে বেরিয়ে আসা
উচিত।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি আর নেই। এখন যেটা চলছে সেটা হলো- রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি। এ দু’টি দলের নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে। তিনি বলেন, তারেক রহমান ইতিহাসের পাঠ জানেন না। তার পরামর্শকরা তাকে যেভাবে শিখিয়ে দিচ্ছেন তিনি সেভাবেই বক্তব্য রাখছেন। রাজনীতির সংস্কৃতিতে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। দু’টি দলের এ ধরনের রাজনৈতিক আচরণ দেউলিয়াত্বের পরিচয় বহন করে। আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তারেক রহমানের দেয়া বিবৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিবৃতি দিয়ে তারেক রহমান স্বীকার করে নিয়েছেন তাই ওই বক্তব্যের ভিত্তি নেই। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বলবো- আপনাদেরও শোভন বাক্য উচ্চারণ করা উচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন। তিনি কোনদিন অশোভন বাক্য উচ্চারণ করেননি। একই ভাবে জিয়াউর রহমানও কোনদিন অশোভন বাক্য উচ্চারণ করেননি। তাই দু’টি দলেরই এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, তারেক রহমান যে বক্তব্য রাখছেন তা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে দু’টি দলই দলীয় পুঁজি করতে চায়। তারা ইতিহাস নিয়ে দলবাজি করছে। কিন্তু ইতিহাস কোন কেনাবেচার জিনিস নয়। অথচ তারা ইতিহাস নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ দু’টি দল নীতির রাজনীতি করে না। তারা দলবাজির রাজনীতি করে। তাদের উদ্দেশ্য- যে করেই হোক ক্ষমতায় যাওয়া। এরপর লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা। প্রধান দু’টি দলই বুর্জোয়া রাজনীতি করছে অভিযোগ করে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, দু’টি দলের নেতারা অহেতুক রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ। তবে তাদের এ কাদা ছোড়াছুড়ির সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ তারা বুঝে গেছে, দু’টি দলই ক্ষমতার জন্য এটি করছে।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, বাংলাদেশে সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি আর নেই। এখন যেটা চলছে সেটা হলো- রাজনৈতিক অপসংস্কৃতি। এ দু’টি দলের নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে এটাই প্রমাণিত হচ্ছে। তিনি বলেন, তারেক রহমান ইতিহাসের পাঠ জানেন না। তার পরামর্শকরা তাকে যেভাবে শিখিয়ে দিচ্ছেন তিনি সেভাবেই বক্তব্য রাখছেন। রাজনীতির সংস্কৃতিতে এটা অনাকাঙ্ক্ষিত। দু’টি দলের এ ধরনের রাজনৈতিক আচরণ দেউলিয়াত্বের পরিচয় বহন করে। আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে তারেক রহমানের দেয়া বিবৃতি সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিবৃতি দিয়ে তারেক রহমান স্বীকার করে নিয়েছেন তাই ওই বক্তব্যের ভিত্তি নেই। তবে আওয়ামী লীগ নেতাদের উদ্দেশে বলবো- আপনাদেরও শোভন বাক্য উচ্চারণ করা উচিত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছেন। তিনি কোনদিন অশোভন বাক্য উচ্চারণ করেননি। একই ভাবে জিয়াউর রহমানও কোনদিন অশোভন বাক্য উচ্চারণ করেননি। তাই দু’টি দলেরই এ ধরনের বক্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, তারেক রহমান যে বক্তব্য রাখছেন তা পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে দু’টি দলই দলীয় পুঁজি করতে চায়। তারা ইতিহাস নিয়ে দলবাজি করছে। কিন্তু ইতিহাস কোন কেনাবেচার জিনিস নয়। অথচ তারা ইতিহাস নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, এ দু’টি দল নীতির রাজনীতি করে না। তারা দলবাজির রাজনীতি করে। তাদের উদ্দেশ্য- যে করেই হোক ক্ষমতায় যাওয়া। এরপর লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করা। প্রধান দু’টি দলই বুর্জোয়া রাজনীতি করছে অভিযোগ করে মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, দু’টি দলের নেতারা অহেতুক রাজনৈতিক কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। এটা তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ। তবে তাদের এ কাদা ছোড়াছুড়ির সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের ওপর কোন প্রভাব পড়বে না। কারণ তারা বুঝে গেছে, দু’টি দলই ক্ষমতার জন্য এটি করছে।
No comments