জিহ্বার TALK-আ TALK-ই! by শায়ের খান
আজ
আমাদের আরেকটি ঘরোয়া টকশো হওয়ার কথা ছিল। হঠাৎ বড় ফুফার উদয়ে প্ল্যান
পরিবর্তন। পরিবর্তনটি আনেন বোম আঙ্কেল। অনুষ্ঠান হবে, তবে ভিন্ন আঙ্গিকে।
দু’পক্ষের ঝগড়াঝাটির টকশো’র বদলে আজ হবে ‘জানাজানি’র অনুষ্ঠান।
প্রাণীবিজ্ঞানী ফুফাকে পেয়ে আইডিয়াটা মাথায় আসে আঙ্কেলের। আইডিয়াটি এরকম।
একজনকে চেয়ার দেয়া হবে। কয়েকটি কাগজের টুকরোয় কয়েকটি বিষয় লিখে ভাঁজ করে
রাখা হবে। লটারির মতো চেয়ারপারসন বা সভাপতি একটি কাগজ তুলবেন। যে বিষয়
উঠবে, তার উপর সভাপতি লেকচার দিবেন আর অন্যরা প্রশ্ন করবে। চেয়ারটিতে
ভোটাভুটির মাধ্যমে কাউকে বসানোর কথা। তবে আজ কারো তোয়াক্কা না করে ফুফাকে
বসিয়ে দিয়েছেন বোম আঙ্কেল। কাগজ তুলেছেন ফুফা। বিষয় উঠেছে ‘জিহ্বা’। থমকে
কিছুক্ষণ চিন্তা করেন ফুফা। তারপর বাঁকা হাসি ফুটে উঠে উনার মুখে। বলেন,
‘এমন ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট উঠবে ভাবতে পারিনি। বিষয়টি কার মাথায় এসেছিল?’
মিলি: কাফির মাথায়।
মেম আন্টি: মাথায় না বলে জিহ্বায়-ই বল্। গরুর জিহ্বা কাফির খুব প্রিয়।
ফুফা (চায়ে চুমুক দিয়ে): সুপ্রিয় দর্শকম-লী। আজ আপনারা আমাকে এমন একটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করতে বলেছেন যেটি বেশ মজার এবং আমার বিষয়ের মধ্যেই পড়ে।
আমি: আমরা বলিনি। তুমিই কাগজটি তুলেছো ফুফা। সরি স্যার। আপনি তুলেছেন। থুক্কু।
ফুফা: ইট্স অলরাইট। তাহলে শুরু করা যাক। শুরু করার আগে আমি সবাইকে জিহ্বাটি একবার দেখিয়ে নেই।
ফুফা ‘আ’ করে প্রায় আধ হাতি জিহ্বাটি বের করে সবাইকে দেখান। আমরা তালি দিয়ে উঠি। মিলির পিচ্চি বাটুল এমন দৃশ্য দেখে চেয়ারে উঠে খুশিতে নাচতে থাকে। ফুফা জিহ্বা ভেতরে নিয়ে আবার শুরু করেন।
ফুফা: জিহ্বা হচ্ছে আমাদের শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সেনসিটিভ মাংশল অঙ্গ। এ এক অদ্ভুত অঙ্গ। অদ্ভুত।
বোম আঙ্কেল (মার্লবোরো ধরিয়ে): কেমন? তবে তুমি যখন জিহ্বা দেখাচ্ছিলে তখন বেশ অদ্ভুত-ই লাগছিল। সরি আপনি যখন দেখাচ্ছিলেন।
ফুফা (হেসে): অদ্ভুত এই অর্থে যে জিহ্বা-ই হচ্ছে একমাত্র অঙ্গ যার সরাসরি শরীরের হাড়-হাড্ডি বা কঙ্কালের সঙ্গে কোন যোগসূত্র নেই।
কাফি ভাই: মানে? ও বুঝেছি স্যার। আপনাকে যদি টেনে চামড়া ছাড়িয়ে কঙ্কাল আলাদা করে ফেলি তবে জিহ্বাটা চামড়ার সঙ্গে চলে আসবে?
ফুফা: একজ্যাক্টলি! তবে ল্যাংগুয়েজ প্লিজ ওকে? জিহ্বাটি একটু সামাল দিবেন।
একটু গম্ভীর হয়ে যান ফুফা। আমরা সবাই কাফি ভাইয়ের দিকে তাকাই।
কাফি ভাই: সরি। আমি জিহ্বাকে সামলে নিতে একটি চকোলেট মুখে নিয়ে নিচ্ছি স্যার।
ফুফা: ইটস অলরাইট। জিহ্বা। আসলে জিহ্বা মূলত: দু’টো কাজের জন্যই আমরা ব্যবহার করি। কোন কিছুর স্বাদ নিতে বা খেতে আর কথাবার্তা বলতে। বিজ্ঞান তাই-ই বলছে।
মিলি : অনেকে তো ভেংচি কাটতে বা লোল্লোল-লোল্লোল করে ভেঙানোর জন্য ও ইউজ করে।
ফুফা: সেটা অবশ্য শারীরিক কারণে নয়। সামাজিক কারণে। সরি অসামাজিক কারণে। সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন? ভিন্ন ভিন্ন জিনিসের স্বাদে জিহ্বার ভিন্ন ভিন্ন অংশ রেসপন্স করে। যেমন ধরুন, মিষ্টির জন্য এক অংশ, টকের জন্য অন্য অংশ এমন আর কি। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে শুকনো জিহ্বা দিয়ে কোন কিছুর স্বাদ নেয়া যায় না। কোন কিছুর স্বাদ পেতে হলে জিহ্বাকে অবশ্যই ভেজা হতে হবে। জিহ্বা শুকালে হবে না।
আসিফ ভাই: ইন্টারেস্টিং! আচ্ছা স্যার, আমাদের জিহ্বার সাইজ কত?
ফুফা: ম্-ম্-ম্-। লম্বায় গড়পড়তা ১০ সেন্টিমিটার বা সাড়ে ৩ ইঞ্চির বেশি। এ পর্যন্ত সবচেয়ে লম্বা জিহ্বার সন্ধান পাওয়া গেছে প্রায় ৩.৯ ইঞ্চির মতো আর সবচেয়ে চওড়া জিহ্বা আমরা পেয়েছি ৩.১ ইঞ্চি। সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন আপনারা?
মেম আন্টি: কি?
ফুফা: জিহ্বাকে আমরা যত বেশি-ই গুরুত্ব দেই না কেন, আমরা ব্রেইন ছাড়া বাঁচতে পারবো না কিন্তু জিহ্বা ছাড়া ঠিক-ই বাঁচতে পারবো। হয়তো বাঁচতে কষ্ট হবে কিন্তু বাঁচবো। জিহ্বার একটি অদ্ভুত গুণ আছে। সেটা কি বলেন তো?
বোম আক্কেল: আপনি-ই বলুন স্যার। আমরা বলতে পারলে তো আমরাই প্রাণীবিজ্ঞানী হতাম।
ফুফা: আমাদের শরীরে জিহ্বাই একমাত্র অঙ্গ যেটি টায়ার্ড হয় না। বেশি কথা বললে হয়তো ফুসফুস বা অন্যান্য মাংসপেশি টায়ার্ড হয়ে যায়। আমরা হাঁপাতে থাকি। কিন্তু জিহ্বা টায়ার্ড হয় না।
কাফি ভাই: তার মানে জিহ্বা নিজে নেচেনেচে অন্যদের হয়রানি করতে ওস্তাদ?
ফুফা: একজাক্টলি। আপনার চকোলেটে কাজ হয়েছে বোঝা যাচ্ছে মিস্টার কাফি।
কাফি ভাই: থ্যাঙ্কু স্যার।
ফুফা: আমি মিস্ মিলিকে একটি প্রশ্ন করতে চাই।
মিলি: করুন স্যার।
ফুফা: বলুন তো আপনার জিহ্বা বড় নাকি জামাই আসিফের জিহ্বা বড়?
মিলি: ইয়ে তা কি করে বলবো? আমরা তো কখনো মেপে দেখিনি স্যার। তুমি কি বল?
আসিফ ভাই: তোমার বকবকানি শুনে তো মনে হয় তোমার জিহ্বাই বড়।
মিলি: শাট্আপ! জিহ্বা সামলে কথা বলো।
আসিফ ভাই: এই যে দেখেছেন স্যার। ওর বেসামাল জিহ্বাটাই সাইজে বড় আমি কনফার্ম।
ফুফা (মৃদু হেসে): তুমি ভুল। জিহ্বা তোমার-ই বড়। ছেলেদের জিহ্বা মেয়েদের জিহ্বার চেয়ে লম্বা হয়। এ পর্যন্ত পাওয়া মেয়েদের সবচেয়ে লম্বা জিহ্বা হলো পৌনে ৩ ইঞ্চির মতো আর ছেলেদের সবচেয়ে লম্বা জিহ্বা পাওয়া গেছে প্রায় ৪ ইঞ্চির মতো। জিহ্বা নিয়ে একটি মজার সামাজিক রীতি না বলেই পারছি না। তিব্বতের মানুষেরা একে অপরকে সম্মান জানায় জিহ্বা বের করে। এটা ওদের রীতি। অর্থাৎ জিহ্বা বের করে নাচানোই ওখানে সম্মান প্রদর্শন করা। বেশ ইন্টারেস্টিং তাই না?
আমরা সবাই: রিয়েলি?
ফুফা: রিয়েলি। তো জিহ্বা নিয়ে অনেক হলো। এখন আমাকে একটু উঠতে হচ্ছে। পরে আরো বলবো যদিও জিহ্বা আমার টায়ার্ড হয়নি। ধন্যবাদ সবাইকে।
ফুফা উঠে দাঁড়ান। বোম আঙ্কেল অর্ডারি ভঙ্গিমায় বলে উঠেন, ‘তোমরা সকলে সভাপতি স্যারকে পাহাড়ি তিব্বতীয় স্টাইলে সম্মান জানাও।’
আমরা সবাই জিহ্বা বের করে ফুফার উদ্দেশ্যে নাচাতে থাকি। ফুফা প্রথমে একটু বিব্রত হন। তারপর হেসে জিহ্বা নাচিয়ে সম্মানের উত্তর দেন। অতঃপর ঘুরে বেরিয়ে যেতে থাকেন। কি মনে হতে আবার আমাদের দিকে ঘোরেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাই আবার সম্মানের সঙ্গে জিহ্বা বের করে নাচাই। বোকার মতো হেসে প্রাণীবিজ্ঞানী ফুফা জিহ্বা বের করে নাচিয়ে পাল্টা জবাব দেন। তারপর উধাও হন। আমরা জিহ্বা নাচাতেই থাকি। মেম আন্টি বলে উঠেন, ‘আমার জিহ্বা নাচাতে নাচাতে শুকিয়ে গেছে রে!’
মিলি: কাফির মাথায়।
মেম আন্টি: মাথায় না বলে জিহ্বায়-ই বল্। গরুর জিহ্বা কাফির খুব প্রিয়।
ফুফা (চায়ে চুমুক দিয়ে): সুপ্রিয় দর্শকম-লী। আজ আপনারা আমাকে এমন একটি বিষয়ের ওপর আলোকপাত করতে বলেছেন যেটি বেশ মজার এবং আমার বিষয়ের মধ্যেই পড়ে।
আমি: আমরা বলিনি। তুমিই কাগজটি তুলেছো ফুফা। সরি স্যার। আপনি তুলেছেন। থুক্কু।
ফুফা: ইট্স অলরাইট। তাহলে শুরু করা যাক। শুরু করার আগে আমি সবাইকে জিহ্বাটি একবার দেখিয়ে নেই।
ফুফা ‘আ’ করে প্রায় আধ হাতি জিহ্বাটি বের করে সবাইকে দেখান। আমরা তালি দিয়ে উঠি। মিলির পিচ্চি বাটুল এমন দৃশ্য দেখে চেয়ারে উঠে খুশিতে নাচতে থাকে। ফুফা জিহ্বা ভেতরে নিয়ে আবার শুরু করেন।
ফুফা: জিহ্বা হচ্ছে আমাদের শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সেনসিটিভ মাংশল অঙ্গ। এ এক অদ্ভুত অঙ্গ। অদ্ভুত।
বোম আঙ্কেল (মার্লবোরো ধরিয়ে): কেমন? তবে তুমি যখন জিহ্বা দেখাচ্ছিলে তখন বেশ অদ্ভুত-ই লাগছিল। সরি আপনি যখন দেখাচ্ছিলেন।
ফুফা (হেসে): অদ্ভুত এই অর্থে যে জিহ্বা-ই হচ্ছে একমাত্র অঙ্গ যার সরাসরি শরীরের হাড়-হাড্ডি বা কঙ্কালের সঙ্গে কোন যোগসূত্র নেই।
কাফি ভাই: মানে? ও বুঝেছি স্যার। আপনাকে যদি টেনে চামড়া ছাড়িয়ে কঙ্কাল আলাদা করে ফেলি তবে জিহ্বাটা চামড়ার সঙ্গে চলে আসবে?
ফুফা: একজ্যাক্টলি! তবে ল্যাংগুয়েজ প্লিজ ওকে? জিহ্বাটি একটু সামাল দিবেন।
একটু গম্ভীর হয়ে যান ফুফা। আমরা সবাই কাফি ভাইয়ের দিকে তাকাই।
কাফি ভাই: সরি। আমি জিহ্বাকে সামলে নিতে একটি চকোলেট মুখে নিয়ে নিচ্ছি স্যার।
ফুফা: ইটস অলরাইট। জিহ্বা। আসলে জিহ্বা মূলত: দু’টো কাজের জন্যই আমরা ব্যবহার করি। কোন কিছুর স্বাদ নিতে বা খেতে আর কথাবার্তা বলতে। বিজ্ঞান তাই-ই বলছে।
মিলি : অনেকে তো ভেংচি কাটতে বা লোল্লোল-লোল্লোল করে ভেঙানোর জন্য ও ইউজ করে।
ফুফা: সেটা অবশ্য শারীরিক কারণে নয়। সামাজিক কারণে। সরি অসামাজিক কারণে। সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন? ভিন্ন ভিন্ন জিনিসের স্বাদে জিহ্বার ভিন্ন ভিন্ন অংশ রেসপন্স করে। যেমন ধরুন, মিষ্টির জন্য এক অংশ, টকের জন্য অন্য অংশ এমন আর কি। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে শুকনো জিহ্বা দিয়ে কোন কিছুর স্বাদ নেয়া যায় না। কোন কিছুর স্বাদ পেতে হলে জিহ্বাকে অবশ্যই ভেজা হতে হবে। জিহ্বা শুকালে হবে না।
আসিফ ভাই: ইন্টারেস্টিং! আচ্ছা স্যার, আমাদের জিহ্বার সাইজ কত?
ফুফা: ম্-ম্-ম্-। লম্বায় গড়পড়তা ১০ সেন্টিমিটার বা সাড়ে ৩ ইঞ্চির বেশি। এ পর্যন্ত সবচেয়ে লম্বা জিহ্বার সন্ধান পাওয়া গেছে প্রায় ৩.৯ ইঞ্চির মতো আর সবচেয়ে চওড়া জিহ্বা আমরা পেয়েছি ৩.১ ইঞ্চি। সবচেয়ে মজার বিষয় কি জানেন আপনারা?
মেম আন্টি: কি?
ফুফা: জিহ্বাকে আমরা যত বেশি-ই গুরুত্ব দেই না কেন, আমরা ব্রেইন ছাড়া বাঁচতে পারবো না কিন্তু জিহ্বা ছাড়া ঠিক-ই বাঁচতে পারবো। হয়তো বাঁচতে কষ্ট হবে কিন্তু বাঁচবো। জিহ্বার একটি অদ্ভুত গুণ আছে। সেটা কি বলেন তো?
বোম আক্কেল: আপনি-ই বলুন স্যার। আমরা বলতে পারলে তো আমরাই প্রাণীবিজ্ঞানী হতাম।
ফুফা: আমাদের শরীরে জিহ্বাই একমাত্র অঙ্গ যেটি টায়ার্ড হয় না। বেশি কথা বললে হয়তো ফুসফুস বা অন্যান্য মাংসপেশি টায়ার্ড হয়ে যায়। আমরা হাঁপাতে থাকি। কিন্তু জিহ্বা টায়ার্ড হয় না।
কাফি ভাই: তার মানে জিহ্বা নিজে নেচেনেচে অন্যদের হয়রানি করতে ওস্তাদ?
ফুফা: একজাক্টলি। আপনার চকোলেটে কাজ হয়েছে বোঝা যাচ্ছে মিস্টার কাফি।
কাফি ভাই: থ্যাঙ্কু স্যার।
ফুফা: আমি মিস্ মিলিকে একটি প্রশ্ন করতে চাই।
মিলি: করুন স্যার।
ফুফা: বলুন তো আপনার জিহ্বা বড় নাকি জামাই আসিফের জিহ্বা বড়?
মিলি: ইয়ে তা কি করে বলবো? আমরা তো কখনো মেপে দেখিনি স্যার। তুমি কি বল?
আসিফ ভাই: তোমার বকবকানি শুনে তো মনে হয় তোমার জিহ্বাই বড়।
মিলি: শাট্আপ! জিহ্বা সামলে কথা বলো।
আসিফ ভাই: এই যে দেখেছেন স্যার। ওর বেসামাল জিহ্বাটাই সাইজে বড় আমি কনফার্ম।
ফুফা (মৃদু হেসে): তুমি ভুল। জিহ্বা তোমার-ই বড়। ছেলেদের জিহ্বা মেয়েদের জিহ্বার চেয়ে লম্বা হয়। এ পর্যন্ত পাওয়া মেয়েদের সবচেয়ে লম্বা জিহ্বা হলো পৌনে ৩ ইঞ্চির মতো আর ছেলেদের সবচেয়ে লম্বা জিহ্বা পাওয়া গেছে প্রায় ৪ ইঞ্চির মতো। জিহ্বা নিয়ে একটি মজার সামাজিক রীতি না বলেই পারছি না। তিব্বতের মানুষেরা একে অপরকে সম্মান জানায় জিহ্বা বের করে। এটা ওদের রীতি। অর্থাৎ জিহ্বা বের করে নাচানোই ওখানে সম্মান প্রদর্শন করা। বেশ ইন্টারেস্টিং তাই না?
আমরা সবাই: রিয়েলি?
ফুফা: রিয়েলি। তো জিহ্বা নিয়ে অনেক হলো। এখন আমাকে একটু উঠতে হচ্ছে। পরে আরো বলবো যদিও জিহ্বা আমার টায়ার্ড হয়নি। ধন্যবাদ সবাইকে।
ফুফা উঠে দাঁড়ান। বোম আঙ্কেল অর্ডারি ভঙ্গিমায় বলে উঠেন, ‘তোমরা সকলে সভাপতি স্যারকে পাহাড়ি তিব্বতীয় স্টাইলে সম্মান জানাও।’
আমরা সবাই জিহ্বা বের করে ফুফার উদ্দেশ্যে নাচাতে থাকি। ফুফা প্রথমে একটু বিব্রত হন। তারপর হেসে জিহ্বা নাচিয়ে সম্মানের উত্তর দেন। অতঃপর ঘুরে বেরিয়ে যেতে থাকেন। কি মনে হতে আবার আমাদের দিকে ঘোরেন। সঙ্গে সঙ্গে আমরা সবাই আবার সম্মানের সঙ্গে জিহ্বা বের করে নাচাই। বোকার মতো হেসে প্রাণীবিজ্ঞানী ফুফা জিহ্বা বের করে নাচিয়ে পাল্টা জবাব দেন। তারপর উধাও হন। আমরা জিহ্বা নাচাতেই থাকি। মেম আন্টি বলে উঠেন, ‘আমার জিহ্বা নাচাতে নাচাতে শুকিয়ে গেছে রে!’
No comments