চকবাজারে প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা
রাজধানীর চকবাজারে মনি আক্তার (১০) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের
পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ
ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দেলোয়ার হোসেন নামে এক শ্রমিককে। পুলিশ মনি
আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালের (মিটফোর্ড) মর্গে পাঠিয়েছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, মনি
আক্তারের বাবার নাম চাঁন মিয়া সিকদার। চকবাজার থানার ৩১/১১, ইসলামবাগ
আলীরঘাট এলাকার সিজন মিয়ার বাড়িতে ভাড়া বাসায় মা-বাবার সঙ্গে থাকত সে। তার
গোপনাঙ্গ রক্তাক্ত ছিল। গলার পাশে ছিল কালছে দাগ। মিটফোর্ড হাসপাতালের
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সহদেব রাজবংশী জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে
হত্যা করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। নিহতের
বোন শাহীনূর আক্তার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবন্ধী মনি তার সাত
বছরের ভাগ্নি লামিয়াসহ বাসা থেকে পাশের একটি দোকানে চকলেট কিনতে যায়। এ সময়
কারখানার শ্রমিক দেলোয়ার তাকে চকলেট দেয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে পার্শ্ববর্তী
একটি প্লাস্টিকের গোডাউনে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে রাত ৯টার দিকে বাড়ির কাছে
রাস্তায় ফেলে যায়। রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে লোকজন তার বাবা চাঁন মিয়াকে খবর
দেয়। চাঁন মিয়া গিয়ে মনিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত
ঘোষণা করেন।
নিহতের খালা মর্জিনা বেগম জানান, ১৫ দিন আগে দেলোয়ার ফুসলিয়ে মনিকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকার লোকজন দেখে ফেলায় ওই সময় সেটা সম্ভব হয়নি। পরে মনির মা রেনু বেগম ও খালা মর্জিনা দেলোয়ার যে মেসে ভাড়া থাকত সেই মেসের বাড়িওয়ালাকে জানান। বাড়িওয়ালা দেলোয়ারকে বাড়ি থেকে বের করার হুমকি দিয়েছিলেন। নিহতের ভগ্নিপতি ফেরদৌস জানান, মনি ছিল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সে ঠিকভাবে কথা বলতে পারত না। কি করত সেটা একটু পরেই ভুলে যেত। বেশ কিছু দিন থেকেই লম্পট দেলোয়ারের কুদৃষ্টি পড়ে মনির ওপর। এজন্য সে মাঝে মধ্যেই চকলেট, চুইংগাম, আইসক্রিম কিনে দিত। ১৫ দিন আগেও একবার ফুসলিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় দেলোয়ার। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্ষণ করে হত্যা করে তাকে।
নিহত মনির ৫ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। তার গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার পালেরচর গ্রামে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার মনির লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। চকবাজার থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চাঁন মিয়া শনিবার অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন (নম্বর-২৫)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। সে দুই সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছে। এছাড়াও আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
নিহতের খালা মর্জিনা বেগম জানান, ১৫ দিন আগে দেলোয়ার ফুসলিয়ে মনিকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকার লোকজন দেখে ফেলায় ওই সময় সেটা সম্ভব হয়নি। পরে মনির মা রেনু বেগম ও খালা মর্জিনা দেলোয়ার যে মেসে ভাড়া থাকত সেই মেসের বাড়িওয়ালাকে জানান। বাড়িওয়ালা দেলোয়ারকে বাড়ি থেকে বের করার হুমকি দিয়েছিলেন। নিহতের ভগ্নিপতি ফেরদৌস জানান, মনি ছিল বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সে ঠিকভাবে কথা বলতে পারত না। কি করত সেটা একটু পরেই ভুলে যেত। বেশ কিছু দিন থেকেই লম্পট দেলোয়ারের কুদৃষ্টি পড়ে মনির ওপর। এজন্য সে মাঝে মধ্যেই চকলেট, চুইংগাম, আইসক্রিম কিনে দিত। ১৫ দিন আগেও একবার ফুসলিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় দেলোয়ার। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্ষণ করে হত্যা করে তাকে।
নিহত মনির ৫ বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। তার গ্রামের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার জাজিরা থানার পালেরচর গ্রামে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার মনির লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। চকবাজার থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা চাঁন মিয়া শনিবার অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন (নম্বর-২৫)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে। সে দুই সহযোগীর নাম প্রকাশ করেছে। এছাড়াও আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
No comments