নরেন্দ্র মোদি বেকসুর খালাস! by বদরুদ্দীন উমর
ভারতে সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির কী পরিমাণ অবনতি হয়েছে, তার সব থেকে বড় হিসাব নরেন্দ্র মোদির মতো একজন আরএসএস মার্কা সাম্প্রদায়িক লোক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার মধ্যে বড় আকারে পাওয়া গেলেও সাম্প্রদায়িকতা ভারতীয় সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে কীভাবে ছড়িয়ে গেছে তার আরেক মস্ত প্রমাণ পাওয়া গেল মোদির মুখ্যমন্ত্রিত্বের সময় ২০০২ সালে গুজরাটে মুসলিম গণহত্যার দায় থেকে নানাভতি তদন্ত কমিশনের তদন্ত শেষে তাকে বেকসুর খালাস দেয়ার মধ্য দিয়ে।
তদন্তের বিচারিক বিবরণ সম্পর্কে কিছু বলতে সম্মত না হলেও তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি জিটি নানাভতি ভারতের বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ‘দি হিন্দু’কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দাঙ্গার বিরুদ্ধে যত রকম পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন ছিল, রাষ্ট্র ও পুলিশ তা নিয়েছিল! যেহেতু দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুলিশের, সে জন্য তারা পুলিশ বাহিনী, আমলাতন্ত্র এবং শীর্ষস্থানীয় লোকদের আচরণ বিবেচনা করেছেন। তাদের সিদ্ধান্ত হল এই যে, ২০০২ সালে যে দাঙ্গা হয়েছিল সেটা ছিল ‘সম্পূর্ণভাবে একটি সাম্প্রদায়িক’ ব্যাপার। গোধারায় সবরমতি ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা থেকেই সেই দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছিল এবং পরে তা ছড়িয়ে গিয়েছিল। সেটা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশের যা করার ছিল, পুলিশ তার সবকিছুই করেছিল! এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদিকে কেন তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেননি, এর জবাবে নানাভতি বলেন, তাকে তলব করার প্রশ্ন ছিল না, কারণ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ তারা পাননি!! (Daily Star, 21.11.2014)।
১৯৪৭ সালের পর ২০০২ সালে গুজরাটে সংঘটিত ভারতের জঘন্যতম এবং সব থেকে ব্যাপক মুসলিমবিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দীর্ঘদিন পর নানাভতি তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছিল বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলের শেষ দিকে। এই কমিশনের তদন্ত শেষে যা দাঁড়াল তা হচ্ছে, গুজরাটের সেই বীভৎস দাঙ্গার দায় থেকে দাঙ্গার মূল সংঘটক নরেন্দ্র মোদিকে মুক্তি প্রদান!!! গুজরাটের দাঙ্গায় দুই হাজারের বেশি মুসলমানের হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত সেখানকার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কোনো শাস্তি তো হয়ইনি, বরং তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে তদন্ত কমিশনের এ ধরনের রিপোর্টই স্বাভাবিক। সাম্প্রদায়িকতা শুধু ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েও যে থেমে থাকেনি, ভারতের বিচার ব্যবস্থাও যে তার দ্বারা বিপজ্জনকভাবে আক্রান্ত, এই কমিশন রিপোর্টের মাধ্যমে সেটা প্রমাণিত হল।
এ কথা বলার কারণ এই যে, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকার রিপোর্ট, তার বিরুদ্ধে ভারতের অনেক লেখক-বুদ্ধিজীবীর লেখালেখি, প্রত্যক্ষদর্শীদের এবং সেই দাঙ্গার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিবরণে দাঙ্গায় পুলিশের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নরেন্দ্র মোদি সরকারের দাঙ্গা সম্পর্কিত চক্রান্তের বিষয় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল। এতদিনে তার বিচারিক বিবরণ সাধারণ লোকের মনে না থাকারই কথা। এই পরিস্থিতি ব্যবহার করে নানাভতি কমিশন সরকার ও পুলিশের সঙ্গে দাঙ্গার সম্পর্ক না থাকার কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রবল প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খেদমত তারা এভাবেই করেছেন। নানাভতি কমিশন গুজরাট দাঙ্গার তদন্ত করতে গিয়ে কাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন এবং সে সময় প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্টকে ব্যবহার করেছেন কিনা তার কোনো কথা সাক্ষাৎকারে নেই। সেটা দেখা যেতে পারে পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর। কিন্তু এ কথা বেশ জোরের সঙ্গে এবং দায়িত্ব নিয়েই বলা যায় যে, তৎকালে যেসব প্রতিক্রিয়া এবং রিপোর্টের কথা ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় নিলে কমিশনের পক্ষে নরেন্দ্র মোদি, তার প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ বাহিনী এবং সেই সঙ্গে নরেন্দ্র্র মোদির ঠেঙ্গারে বাহিনীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া কিছুতেই সম্ভব হতো না। ২০০২ সালে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার হোতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ‘গুজরাটের কসাই’ নামে যে কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন, সে বিষয়েও নীরব থাকা কমিশনের পক্ষে সম্ভব হতো না। এদিক দিয়ে বলা চলে, গুজরাট দাঙ্গার তদন্তের জন্য গঠিত এই কমিশনের রিপোর্ট ভারতের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক ব্যাপার। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে নরেন্দ্র মোদি নানাভতি কমিশনকে কীভাবে প্রভাবিত করেছেন এবং গুজরাট দাঙ্গার ক্ষেত্রে নিজের দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি নানাভতি বিগত ১৯ নভেম্বর দেয়া তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গোধরায় সবরমতি এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ এবং কিছুসংখ্যক হিন্দু তীর্থযাত্রীর মৃত্যুর পরই সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত হয় এবং তা ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবে! সেই হত্যাকাণ্ড মুসলমানদের কাজ হিসেবে প্রচার করার ফলেই দাঙ্গা শুরু হয়। কিন্তু মুসলমানরা মোদির মতো একজন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি এবং বিজেপির মতো একটি চরম সাম্প্রদায়িক দলের শাসনামলে গুজরাটের মতো জায়গায় কেন ও কী কারণে সেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তার কোনো ব্যাখ্যা সেখানকার সরকার পক্ষ থেকেও পাওয়া যায়নি। পাওয়ার কথাও নয়। কারণ তৎকালীন অনেক রিপোর্ট ও তদন্ত থেকে এটা দেখা গিয়েছিল যে, নরেন্দ্র মোদির সরকার ও তাদের এজেন্টরাই পরিকল্পিতভাবে সেই ঘটনা ঘটিয়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। অন্যভাবে বলা চলে, দাঙ্গা ঘটানোর উদ্দেশ্যেই তারা সেই ঘটনা ঘটিয়েছিল। এসব কোনো বানানো কথা নয়। তখন ভারতের বিভিন্ন প্রগতিশীল ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সংগঠন ও পত্রিকার রিপোর্টেই এসব কথা বলা হয়েছিল।
তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি নানাভতির সাক্ষাৎকারের পর তার বিরুদ্ধে ভারতের প্রগতিশীল মহলের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে এখনও কিছু শোনা যায়নি। সম্পূর্ণ রিপোর্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। সেটি প্রকাশিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে বা প্রতিক্রিয়া আদৌ দেখা যায় কিনা তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
তদন্তের বিচারিক বিবরণ সম্পর্কে কিছু বলতে সম্মত না হলেও তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি জিটি নানাভতি ভারতের বিখ্যাত ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা ‘দি হিন্দু’কে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, দাঙ্গার বিরুদ্ধে যত রকম পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন ছিল, রাষ্ট্র ও পুলিশ তা নিয়েছিল! যেহেতু দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুলিশের, সে জন্য তারা পুলিশ বাহিনী, আমলাতন্ত্র এবং শীর্ষস্থানীয় লোকদের আচরণ বিবেচনা করেছেন। তাদের সিদ্ধান্ত হল এই যে, ২০০২ সালে যে দাঙ্গা হয়েছিল সেটা ছিল ‘সম্পূর্ণভাবে একটি সাম্প্রদায়িক’ ব্যাপার। গোধারায় সবরমতি ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনা থেকেই সেই দাঙ্গার সূত্রপাত হয়েছিল এবং পরে তা ছড়িয়ে গিয়েছিল। সেটা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশের যা করার ছিল, পুলিশ তার সবকিছুই করেছিল! এ ব্যাপারে নরেন্দ্র মোদিকে কেন তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেননি, এর জবাবে নানাভতি বলেন, তাকে তলব করার প্রশ্ন ছিল না, কারণ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ তারা পাননি!! (Daily Star, 21.11.2014)।
১৯৪৭ সালের পর ২০০২ সালে গুজরাটে সংঘটিত ভারতের জঘন্যতম এবং সব থেকে ব্যাপক মুসলিমবিরোধী সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দীর্ঘদিন পর নানাভতি তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছিল বিগত কংগ্রেস সরকারের আমলের শেষ দিকে। এই কমিশনের তদন্ত শেষে যা দাঁড়াল তা হচ্ছে, গুজরাটের সেই বীভৎস দাঙ্গার দায় থেকে দাঙ্গার মূল সংঘটক নরেন্দ্র মোদিকে মুক্তি প্রদান!!! গুজরাটের দাঙ্গায় দুই হাজারের বেশি মুসলমানের হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত সেখানকার তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রীর কোনো শাস্তি তো হয়ইনি, বরং তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। ফলে তদন্ত কমিশনের এ ধরনের রিপোর্টই স্বাভাবিক। সাম্প্রদায়িকতা শুধু ভোটারদের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েও যে থেমে থাকেনি, ভারতের বিচার ব্যবস্থাও যে তার দ্বারা বিপজ্জনকভাবে আক্রান্ত, এই কমিশন রিপোর্টের মাধ্যমে সেটা প্রমাণিত হল।
এ কথা বলার কারণ এই যে, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার সময় বিভিন্ন পত্রপত্রিকার রিপোর্ট, তার বিরুদ্ধে ভারতের অনেক লেখক-বুদ্ধিজীবীর লেখালেখি, প্রত্যক্ষদর্শীদের এবং সেই দাঙ্গার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিবরণে দাঙ্গায় পুলিশের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং নরেন্দ্র মোদি সরকারের দাঙ্গা সম্পর্কিত চক্রান্তের বিষয় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছিল। এতদিনে তার বিচারিক বিবরণ সাধারণ লোকের মনে না থাকারই কথা। এই পরিস্থিতি ব্যবহার করে নানাভতি কমিশন সরকার ও পুলিশের সঙ্গে দাঙ্গার সম্পর্ক না থাকার কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন।
প্রবল প্রতাপশালী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির খেদমত তারা এভাবেই করেছেন। নানাভতি কমিশন গুজরাট দাঙ্গার তদন্ত করতে গিয়ে কাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন এবং সে সময় প্রকাশিত বিভিন্ন রিপোর্টকে ব্যবহার করেছেন কিনা তার কোনো কথা সাক্ষাৎকারে নেই। সেটা দেখা যেতে পারে পূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর। কিন্তু এ কথা বেশ জোরের সঙ্গে এবং দায়িত্ব নিয়েই বলা যায় যে, তৎকালে যেসব প্রতিক্রিয়া এবং রিপোর্টের কথা ওপরে উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় নিলে কমিশনের পক্ষে নরেন্দ্র মোদি, তার প্রশাসন ও নিয়ন্ত্রণাধীন পুলিশ বাহিনী এবং সেই সঙ্গে নরেন্দ্র্র মোদির ঠেঙ্গারে বাহিনীর সম্পৃক্ততার বিষয়টি ধামাচাপা দেয়া কিছুতেই সম্ভব হতো না। ২০০২ সালে মুসলিমবিরোধী দাঙ্গার হোতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ‘গুজরাটের কসাই’ নামে যে কুখ্যাতি অর্জন করেছিলেন, সে বিষয়েও নীরব থাকা কমিশনের পক্ষে সম্ভব হতো না। এদিক দিয়ে বলা চলে, গুজরাট দাঙ্গার তদন্তের জন্য গঠিত এই কমিশনের রিপোর্ট ভারতের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক ব্যাপার। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থেকে নরেন্দ্র মোদি নানাভতি কমিশনকে কীভাবে প্রভাবিত করেছেন এবং গুজরাট দাঙ্গার ক্ষেত্রে নিজের দায়মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন সেটাও ভেবে দেখার বিষয়।
কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি নানাভতি বিগত ১৯ নভেম্বর দেয়া তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গোধরায় সবরমতি এক্সপ্রেসে অগ্নিসংযোগ এবং কিছুসংখ্যক হিন্দু তীর্থযাত্রীর মৃত্যুর পরই সেই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত হয় এবং তা ছড়িয়ে পড়ে সাধারণ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হিসেবে! সেই হত্যাকাণ্ড মুসলমানদের কাজ হিসেবে প্রচার করার ফলেই দাঙ্গা শুরু হয়। কিন্তু মুসলমানরা মোদির মতো একজন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি এবং বিজেপির মতো একটি চরম সাম্প্রদায়িক দলের শাসনামলে গুজরাটের মতো জায়গায় কেন ও কী কারণে সেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল, তার কোনো ব্যাখ্যা সেখানকার সরকার পক্ষ থেকেও পাওয়া যায়নি। পাওয়ার কথাও নয়। কারণ তৎকালীন অনেক রিপোর্ট ও তদন্ত থেকে এটা দেখা গিয়েছিল যে, নরেন্দ্র মোদির সরকার ও তাদের এজেন্টরাই পরিকল্পিতভাবে সেই ঘটনা ঘটিয়ে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। অন্যভাবে বলা চলে, দাঙ্গা ঘটানোর উদ্দেশ্যেই তারা সেই ঘটনা ঘটিয়েছিল। এসব কোনো বানানো কথা নয়। তখন ভারতের বিভিন্ন প্রগতিশীল ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী সংগঠন ও পত্রিকার রিপোর্টেই এসব কথা বলা হয়েছিল।
তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি নানাভতির সাক্ষাৎকারের পর তার বিরুদ্ধে ভারতের প্রগতিশীল মহলের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে এখনও কিছু শোনা যায়নি। সম্পূর্ণ রিপোর্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। সেটি প্রকাশিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে বা প্রতিক্রিয়া আদৌ দেখা যায় কিনা তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল
No comments