ইমাম নিয়োগে ওয়াক্ফ বোর্ডের গুরুত্ব নেই: বুখারি
ভারতের দিল্লি জামে মসজিদের ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি গতকাল শনিবার বলেছেন, বংশপরম্পরায় ৪০০ বছর ধরে তাঁর পরিবারের সদস্যরাই এই মসজিদের শাহি ইমাম পদে আছেন। এখানে ওয়াক্ফ বোর্ডের কোনো গুরুত্ব নেই। তবে আদালতের নির্দেশের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা রয়েছে। খবর এনডিটিভির। নিজের ছেলে শাবান বুখারিকে দিল্লি জামে মসজিদের ইমাম পদের উত্তরাধিকারী করার অধিকার আহমেদ বুখারির নেই বলে গত শুক্রবার অভিমত দেন দিল্লি হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছেলেকে ইমাম নিয়োগের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বুখারির কাছে ব্যাখ্যাও চেয়েছেন আদালত। তারপর বুখারি গতকাল এসব কথা বললেন। আদালত বুখারির কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাইলেও ইমাম নিয়োগ অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেননি। গতকাল সন্ধ্যায় ওই নিয়োগ অনুষ্ঠান শুরু হয়। আহমেদ বুখারি জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি তিনি তাঁর সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেবেন। শাহি ইমাম আহমেদ বুখারি গতকাল দিল্লির ওয়াক্ফ বোর্ডের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ওয়াক্ফ বোর্ড এই বিতর্ক তুলেছে। কিন্তু এই বোর্ডের কোনো গুরুত্ব নেই। আহমেদ বুখারি দাবি করেন, ইমাম নিয়োগের ইস্যুতে লোকজন তাঁদের সঙ্গে আছে। আর এটাই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় জেনে এসেছি, ইমাম নিয়োগ কোনো আইনি বিষয় নয়।
কিন্তু ওয়াক্ফ বোর্ড এখন এটা আইনি প্রক্রিয়ায় ফেলতে চাইছে।’ আহমেদ বুখারি আরও বলেন, ‘মোগল সম্রাট শাহজাহান যখন তাঁর জামাইকে এই মসজিদের প্রথম ইমাম নিয়োগ করেন, তখন ওয়াক্ফ বোর্ডের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। ওয়াক্ফ বোর্ড হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ বছর আগে। এই বোর্ড কী বলে, সেটা কোনো বিষয় নয়। ইমাম ওয়াক্ফ বোর্ডের কর্মচারী হতে পারেন না।’ তবে ওয়াক্ফ বোর্ডের আইনজীবী ওয়াজিহ শফিক দাবি করেন, ইমাম ওয়াক্ফ বোর্ডের কর্মচারী। নিয়োগদাতা ও কর্মচারীর সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত। জামে মসজিদ দিল্লির ওয়াক্ফ বোর্ডের সম্পত্তি—এমন দাবি তুলে এ পর্যন্ত অনেকগুলো জনস্বার্থ মামলা করে ইমাম বুখারির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ওয়াক্ফ বোর্ড দিল্লির মুসলমানদের ধর্মীয় সম্পত্তিগুলোর তত্ত্বাবধান করে থাকে। তাই ইমাম বুখারি জামে মসজিদের বিষয়ে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না বলে দাবি করেছেন মামলাগুলোর বাদীরা।
No comments