আইএস ঝুঁকির মধ্যেও থেমে নেই ইরাকে কর্মী পাঠানো
আইএস জঙ্গিদের উত্থানের কারণে ঝুঁকি
সত্ত্বেও ইরাকে কর্মী পাঠানো থেমে নেই। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর
বাংলাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক কর্মী দেশটিতে গিয়েছেন। আইএস জঙ্গিদের উত্থানের
কারণে কেউ কেউ সেখানে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা
হচ্ছে, বিদেশী কর্মীরা আইএসের টার্গেট নয়। ফলে সেখানে কর্মী পাঠানো
অব্যাহত থাকবে। তবে কখনও কোনো সমস্যা হলে কর্মীদের ফিরিয়ে আনা হবে।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৪ জুন এক ঘোষণায় ইরাকে লোক পাঠানো স্থগিত করে। তারপর ১০ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কর্মী পাঠানোর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তারপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও ২ সপ্তাহ স্থগিত থাকার পর কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ। নাজাফে আবু তোরাব হাউজিং প্রজেক্টে চাকরির জন্যে ১৮০ কর্মী যাওয়ার পর সেখানে যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় কর্মীরা বিপাকে পড়েন।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাগদাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ৬২ জন অন্য কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন। অন্য ৫০ জনকে নতুন কোম্পানিতে নিয়োগে আলোচনা চলছে। ২২ মে থেকে ৫ জুনের মধ্যে দুই প্রকৌশলীসহ ১৮০ কর্মীকে ইরাকে পাঠানো হয়। কর্মীরা ইরাকের কর্মস্থলে পৌঁছার কয়েকদিন পর আইএসের উত্থানের কারণে ইরাকের অভ্যন্তরীণ অবস্থার অবনতি ঘটে। ফলে আবু তোরাব হাউজিং কোম্পানি ইরাক সরকারের অর্থ ছাড় পায়নি। বাগদাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ইরাকের কোম্পানির মালিক হালিম তুর্কি খুদুর কর্মীদের দেশটিতে অন্য কোম্পানিতে চাকরির অনুমতি দেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শনিবার যুগান্তরকে বলেন, কোম্পানিটি অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা ব্যবসা চালাতে পারছে না। তবে কর্মীদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে সরকার সহায়তা করছে। ইতিমধ্যেই ৭০-৮০ জনের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিদেরও চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী আরও জানান, ইরাকে বিবদমান গ্র“পগুলো নিজেদের মধ্যে সংঘাত করছে। তারা বিদেশী কর্মীদের টার্গেট করেনি। ফলে বাংলাদেশের কর্মী পাঠানো অব্যাহত থাকবে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে কর্মীদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে।
ইরাকে জুনে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সময় বিপাকে পড়া অনেক কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ। কোনো কোনো কর্মী নিজেদের উদ্যোগে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে আসা কর্মীরা অনেকেই মনে করেন, ইরাকে এখনই কর্মী পাঠানোর মতো নিরাপদ পরিবেশ ফিরেনি। তবে তারা মনে করেন, বাগদাদ ও বসরা ইরাক সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে সেখানে কর্মীরা নিরাপদে কাজ করতে পারবেন। তবুও দেশটির সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কর্মীদের পরিবারে উদ্বেগ থেকে যাবে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে কুর্দিস্তানসহ গোটা ইরাকে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশী কর্মী রয়েছেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব শওকত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ইরাকে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করেছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে কর্মীদের দেশটিতে পাঠানো হচ্ছে।
নাজাফে ১৮০ কর্মীকে পাঠানো ক্যারিয়ার ওভারসিস কনসালট্যান্টস লিমিটেডের কর্মকর্তা এবিএম বদরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, আবু তোরাব হাউজিং প্রকল্পটি বিলম্ব হওয়ায় কর্মীদের খাওয়ার ব্যবস্থাসহ মে, জুন ও জুলাই মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। তিনি দাবি করেন, আবু তোরাবে কর্মীদের বেতন ছিল দক্ষদের ৪০০ ডলার ও ৩০০ ডলার। নতুন চাকরিতে যারা তাদের বেতন হয়েছে মাসে সাড়ে পাঁচশ ডলার।
তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে ১৮০ কর্মী ইরাকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ইরাকের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে সেখানে কর্মীরা কাজ পায়নি। কর্মীদের জুলাই মাসের বেতন বাবদ ১০০ মার্কিন ডলার দেয়া হয়েছে। কর্মীদের খাওয়া বাবদ প্রথম পর্যায়ে দশ হাজার এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আট হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার প্রদান করেছি। বর্তমানে আরও দশ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি অভিযোগ করেন, রাইটস যশোর নামের একটি এনজিও কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে এবং কর্মীদের আÍীয়-স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে মামলা করাচ্ছে। জানতে চাইলে রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ক্যারিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সিটি বৈধভাবেই ১৮০ জনকে ইরাক পাঠিয়েছে। কিন্তু সেখানে নিয়ে তাদের চাকরি না দিয়ে মানসিক নির্যাতন করছে। এই বিষয়ে আমাদের উদ্যোগে (রাইটস যশোর) সংবাদ সম্মেলন করে ফলাও করে প্রচারের পর কিছুটা ঝাঁকুনি দিয়েছে। এই অবস্থায় আমরা এই কর্মীদের অবিলম্বে চাকরি দেয়া কিংবা তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাই।
বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৪ জুন এক ঘোষণায় ইরাকে লোক পাঠানো স্থগিত করে। তারপর ১০ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কর্মী পাঠানোর স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। তারপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দিলেও ২ সপ্তাহ স্থগিত থাকার পর কর্মী পাঠানো শুরু করে বাংলাদেশ। নাজাফে আবু তোরাব হাউজিং প্রজেক্টে চাকরির জন্যে ১৮০ কর্মী যাওয়ার পর সেখানে যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় কর্মীরা বিপাকে পড়েন।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাগদাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ৬২ জন অন্য কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন। অন্য ৫০ জনকে নতুন কোম্পানিতে নিয়োগে আলোচনা চলছে। ২২ মে থেকে ৫ জুনের মধ্যে দুই প্রকৌশলীসহ ১৮০ কর্মীকে ইরাকে পাঠানো হয়। কর্মীরা ইরাকের কর্মস্থলে পৌঁছার কয়েকদিন পর আইএসের উত্থানের কারণে ইরাকের অভ্যন্তরীণ অবস্থার অবনতি ঘটে। ফলে আবু তোরাব হাউজিং কোম্পানি ইরাক সরকারের অর্থ ছাড় পায়নি। বাগদাদে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। ইরাকের কোম্পানির মালিক হালিম তুর্কি খুদুর কর্মীদের দেশটিতে অন্য কোম্পানিতে চাকরির অনুমতি দেন।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন শনিবার যুগান্তরকে বলেন, কোম্পানিটি অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা ব্যবসা চালাতে পারছে না। তবে কর্মীদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করতে সরকার সহায়তা করছে। ইতিমধ্যেই ৭০-৮০ জনের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিদেরও চাকরির ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী আরও জানান, ইরাকে বিবদমান গ্র“পগুলো নিজেদের মধ্যে সংঘাত করছে। তারা বিদেশী কর্মীদের টার্গেট করেনি। ফলে বাংলাদেশের কর্মী পাঠানো অব্যাহত থাকবে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে কর্মীদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে।
ইরাকে জুনে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সময় বিপাকে পড়া অনেক কর্মীকে দেশে ফিরিয়ে আনে বাংলাদেশ। কোনো কোনো কর্মী নিজেদের উদ্যোগে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে আসা কর্মীরা অনেকেই মনে করেন, ইরাকে এখনই কর্মী পাঠানোর মতো নিরাপদ পরিবেশ ফিরেনি। তবে তারা মনে করেন, বাগদাদ ও বসরা ইরাক সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফলে সেখানে কর্মীরা নিরাপদে কাজ করতে পারবেন। তবুও দেশটির সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কর্মীদের পরিবারে উদ্বেগ থেকে যাবে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বর্তমানে কুর্দিস্তানসহ গোটা ইরাকে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশী কর্মী রয়েছেন। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব শওকত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ইরাকে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ রক্ষণশীল নীতি গ্রহণ করেছে। সবকিছু যাচাই-বাছাই করে কর্মীদের দেশটিতে পাঠানো হচ্ছে।
নাজাফে ১৮০ কর্মীকে পাঠানো ক্যারিয়ার ওভারসিস কনসালট্যান্টস লিমিটেডের কর্মকর্তা এবিএম বদরুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি যুগান্তরকে বলেন, আবু তোরাব হাউজিং প্রকল্পটি বিলম্ব হওয়ায় কর্মীদের খাওয়ার ব্যবস্থাসহ মে, জুন ও জুলাই মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। তিনি দাবি করেন, আবু তোরাবে কর্মীদের বেতন ছিল দক্ষদের ৪০০ ডলার ও ৩০০ ডলার। নতুন চাকরিতে যারা তাদের বেতন হয়েছে মাসে সাড়ে পাঁচশ ডলার।
তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে ১৮০ কর্মী ইরাকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ইরাকের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির কারণে সেখানে কর্মীরা কাজ পায়নি। কর্মীদের জুলাই মাসের বেতন বাবদ ১০০ মার্কিন ডলার দেয়া হয়েছে। কর্মীদের খাওয়া বাবদ প্রথম পর্যায়ে দশ হাজার এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে আট হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার প্রদান করেছি। বর্তমানে আরও দশ হাজার মার্কিন ডলার প্রদান প্রক্রিয়াধীন আছে। তিনি অভিযোগ করেন, রাইটস যশোর নামের একটি এনজিও কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে এবং কর্মীদের আÍীয়-স্বজনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে মামলা করাচ্ছে। জানতে চাইলে রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক ভয়-ভীতি দেখানোর অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি শনিবার যুগান্তরকে বলেন, ক্যারিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সিটি বৈধভাবেই ১৮০ জনকে ইরাক পাঠিয়েছে। কিন্তু সেখানে নিয়ে তাদের চাকরি না দিয়ে মানসিক নির্যাতন করছে। এই বিষয়ে আমাদের উদ্যোগে (রাইটস যশোর) সংবাদ সম্মেলন করে ফলাও করে প্রচারের পর কিছুটা ঝাঁকুনি দিয়েছে। এই অবস্থায় আমরা এই কর্মীদের অবিলম্বে চাকরি দেয়া কিংবা তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানাই।
No comments