কী আছে প্রিন্স চার্লসের চিঠিতে?
সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লেখা প্রিন্স চার্লসের কিছু চিঠি উদ্ধারের জন্য দীর্ঘ নয় বছর আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের ইংরেজি দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। তথ্য অধিকার আইনে গার্ডিয়ান এসব চিঠির অনুলিপি দাবি করে আদালতে যায়। আদালত দুই দফা গার্ডিয়ান-এর পক্ষে রায় দিলেও রাষ্ট্রপক্ষ এসব চিঠি প্রকাশ করেনি।
রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি, এসব চিঠি প্রকাশিত হলে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। চিঠিগুলো প্রকাশিত হলে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি করবে।
শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়ানো আলোচিত এই বিষয়টি চলতি সপ্তাহে সুরাহা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাল সোমবার এবং আগামী মঙ্গলবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে ছয়জন বিচারকের নেতৃত্বে শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে আদালতের আদেশ অমান্য করে চিঠিগুলোর প্রকাশ আটকে দেওয়া রাষ্ট্রপক্ষের উচিত হয়েছে কি না? দেশটিতে ২০০০ সালে চালু হওয়া তথ্য অধিকার আইনে করা মামলায় এটাই দীর্ঘতম আইনি লড়াই।
চিঠি লেখার কথা স্বীকার কিন্তু প্রকাশে বাধা
প্রিন্স চার্লস আদৌ মন্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন কি না, সেটা না জেনেই গার্ডিয়ান ২০০৫ সালে তথ্য অধিকার আইনের অধীনে এ বিষয়ে তথ্য চায়। দীর্ঘ চার বছর পর তথ্য কমিশনার গার্ডিয়ান-এর আবেদন নাকচ করে দেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, প্রিন্স চার্লস সরকারের সাতটি বিভাগে চিঠি লিখেছেন। গার্ডিয়ান এ নিয়ে তথ্য অধিকার ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে। তিন বছর পর ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল গার্ডিয়ান-এর পক্ষে রায় দিয়ে চিঠির তথ্য প্রকাশের জন্য আদেশ দেয়।
এক মাস পর তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল ডোমিনিক গ্রিভ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নিষেধাজ্ঞা (ভেটো) দেন এবং চিঠিগুলোর প্রকাশ আটকে দেন। নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ডোমিনিক গ্রিভ আরেকটি নতুন তথ্য ফাঁস করেন। তা হলো, ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের মার্চ পর্যন্ত চার্লস ২৭টি চিঠি লিখেছেন। গ্রিভ বলেন, বেশির ভাগ চিঠিতে প্রিন্স অব ওয়েলস একান্ত নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্বাসের কথা লিখেছেন। যা প্রকাশ হলে চার্লসের রাজনৈতিক নিরপেক্ষ অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। চার্লসের চিঠিগুলো ‘ব্ল্যাক স্পাইডার মেমোস’ নামে পরিচিত।
২০১৩ সালের মে মাসে গার্ডিয়ান অ্যাটর্নি জেনারেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায়। চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনজন জ্যেষ্ঠ বিচারক গার্ডিয়ান-এর পক্ষে রায় দেন। তাঁরা বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল আইনবহির্ভূত চর্চা করেছেন। ট্রাইব্যুনালের রায় আটকে দেওয়ার কোনো উপযুক্ত কারণ তাঁর পক্ষে নেই। এবার অ্যাটর্নি জেনারেল সর্বশেষ কার্ডটি খেললেন। তিনি চিঠিগুলো প্রকাশ না করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেন। যা নিয়ে কাল-পরশুর মধ্যে শুনানি হওয়ার কথা।
ব্ল্যাক স্পাইডার মেমোস কী?
প্রিন্স চার্লসের লেখা চিঠিগুলো মন্ত্রীদের কাছে ‘ব্ল্যাক স্পাইডার মেমোস’ নামে পরিচিত। চার্লসের কালো কালির পেঁচানো হাতের লেখার কারণে এমন নাম দিয়েছেন তাঁরা। ধারণা করা হচ্ছে, এসব চিঠির মাধ্যমে চার্লস এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করেছেন। যা প্রকাশ পেলে চার্লসের জন্য ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী হওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়বে। চিঠিগুলোর প্রকাশ ঠেকাতে আইনি খরচ বাবদ সরকার এ পর্যন্ত দুই লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড খরচ করে ফেলেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি, এসব চিঠি প্রকাশিত হলে ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। চিঠিগুলো প্রকাশিত হলে সাংবিধানিক জটিলতা তৈরি করবে।
শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়ানো আলোচিত এই বিষয়টি চলতি সপ্তাহে সুরাহা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কাল সোমবার এবং আগামী মঙ্গলবার দেশটির সুপ্রিম কোর্টে এ বিষয়ে ছয়জন বিচারকের নেতৃত্বে শুনানি হবে। সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে আদালতের আদেশ অমান্য করে চিঠিগুলোর প্রকাশ আটকে দেওয়া রাষ্ট্রপক্ষের উচিত হয়েছে কি না? দেশটিতে ২০০০ সালে চালু হওয়া তথ্য অধিকার আইনে করা মামলায় এটাই দীর্ঘতম আইনি লড়াই।
চিঠি লেখার কথা স্বীকার কিন্তু প্রকাশে বাধা
প্রিন্স চার্লস আদৌ মন্ত্রীদের কাছে চিঠি লিখেছিলেন কি না, সেটা না জেনেই গার্ডিয়ান ২০০৫ সালে তথ্য অধিকার আইনের অধীনে এ বিষয়ে তথ্য চায়। দীর্ঘ চার বছর পর তথ্য কমিশনার গার্ডিয়ান-এর আবেদন নাকচ করে দেন। তবে তিনি স্বীকার করেন, প্রিন্স চার্লস সরকারের সাতটি বিভাগে চিঠি লিখেছেন। গার্ডিয়ান এ নিয়ে তথ্য অধিকার ট্রাইব্যুনালে আবেদন করে। তিন বছর পর ২০১২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল গার্ডিয়ান-এর পক্ষে রায় দিয়ে চিঠির তথ্য প্রকাশের জন্য আদেশ দেয়।
এক মাস পর তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল ডোমিনিক গ্রিভ ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে নিষেধাজ্ঞা (ভেটো) দেন এবং চিঠিগুলোর প্রকাশ আটকে দেন। নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে ডোমিনিক গ্রিভ আরেকটি নতুন তথ্য ফাঁস করেন। তা হলো, ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৫ সালের মার্চ পর্যন্ত চার্লস ২৭টি চিঠি লিখেছেন। গ্রিভ বলেন, বেশির ভাগ চিঠিতে প্রিন্স অব ওয়েলস একান্ত নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিশ্বাসের কথা লিখেছেন। যা প্রকাশ হলে চার্লসের রাজনৈতিক নিরপেক্ষ অবস্থান নড়বড়ে হয়ে যেতে পারে। চার্লসের চিঠিগুলো ‘ব্ল্যাক স্পাইডার মেমোস’ নামে পরিচিত।
২০১৩ সালের মে মাসে গার্ডিয়ান অ্যাটর্নি জেনারেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যায়। চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনজন জ্যেষ্ঠ বিচারক গার্ডিয়ান-এর পক্ষে রায় দেন। তাঁরা বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল আইনবহির্ভূত চর্চা করেছেন। ট্রাইব্যুনালের রায় আটকে দেওয়ার কোনো উপযুক্ত কারণ তাঁর পক্ষে নেই। এবার অ্যাটর্নি জেনারেল সর্বশেষ কার্ডটি খেললেন। তিনি চিঠিগুলো প্রকাশ না করে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলেন। যা নিয়ে কাল-পরশুর মধ্যে শুনানি হওয়ার কথা।
ব্ল্যাক স্পাইডার মেমোস কী?
প্রিন্স চার্লসের লেখা চিঠিগুলো মন্ত্রীদের কাছে ‘ব্ল্যাক স্পাইডার মেমোস’ নামে পরিচিত। চার্লসের কালো কালির পেঁচানো হাতের লেখার কারণে এমন নাম দিয়েছেন তাঁরা। ধারণা করা হচ্ছে, এসব চিঠির মাধ্যমে চার্লস এখতিয়ারবহির্ভূতভাবে সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করেছেন। যা প্রকাশ পেলে চার্লসের জন্য ব্রিটিশ রাজসিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী হওয়াটা অসম্ভব হয়ে পড়বে। চিঠিগুলোর প্রকাশ ঠেকাতে আইনি খরচ বাবদ সরকার এ পর্যন্ত দুই লাখ ৭৫ হাজার পাউন্ড খরচ করে ফেলেছে।
No comments