যুক্তরাষ্ট্রকে পছন্দ করেন ৭৬ ভাগ বাংলাদেশী
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের ভাবমূর্তি পছন্দ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এক ভাগ বেশি মানুষ চীনকে বেছে নিয়েছে। শতকরা ৭৭ জন চীনকে এবং ৭৬ জন যুক্তরাষ্ট্রকে পছন্দ করেন। তবে জরিপের অন্যসব সূচকেই বাংলাদেশীদের দৃষ্টিভঙ্গিতে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে আছে চীনের চেয়ে। বাংলাদেশের ৭০ ভাগ মানুষ মনে করেন চীনের অর্থনীতি যেভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খারাপ হবে না বরং মঙ্গল বয়ে আনবে। তবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক শক্তি কে চীন নাকি যুক্তরাষ্ট্র? এর উত্তরে ৬২ ভাগ বাংলাদেশী যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে। আবার প্রশ্ন করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সুপারপাওয়ার মর্যাদাটা শেষ পর্যন্ত কি চীন করায়ত্ত করে নেবে? এবারেও কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশী চীনকে ভরসা করেনি। মাত্র ৩১ ভাগ বলেছেন, চীন সুপারপাওয়ারের স্থানটা দখল করে নেবে। একই প্রশ্নের উত্তরে ভারতের মাত্র ২০ ভাগ ও পাকিস্তানের ৩৭ ভাগ বলেছে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে চীনই হবে সুপারপাওয়ার।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক পিউ রিসার্চ গ্লোবাল এটিচুড প্রজেক্ট-এর এক সাম্প্রতিক জরিপে এই চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রকল্পটি ৩৩ মিলিয়ন ডলারের বাজেট বিশিষ্ট পিউ রিসার্চ সেন্টারের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। পুরস্কার জয়ী সাংবাদিক অ্যালান মারে বর্তমানে পিউ সেন্টারের সভাপতি। এর আগে তিনি অনলাইন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমেরিকার মিডিয়ায় পিউ রিসার্চ সেন্টারকে একটি নন পার্টিজান ‘ফ্যাক্ট ট্যাঙ্ক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ১৯৯০ সালে লস এঞ্জেলস টাইমসের সহযোগী সংস্থা টাইমস মিরর সেন্টার হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ২০০৪ সালে এটি পিউ সেন্টার হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
ওই জরিপ বলেছে, ৭৬ ভাগ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রকে পছন্দ করে। যুক্তরাষ্ট্রকে পছন্দ করার ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তান বাংলাদেশের তুলনায় ঢের পিছিয়ে আছে। এর অর্থ দাঁড়ায়- যুক্তরাষ্ট্র গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
লক্ষণীয় যে, পিউ ফাউন্ডেশন ২০১৪ সালেই প্রথম বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভারতকে প্রথম অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৩ সালে। ওই বছরে ৫৬ ভাগ ভারতীয় বলেছে যুক্তরাষ্ট্রকে তারা পছন্দ করে। ২০১৪ সালে এটা কেবল ১ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। তারা পাকিস্তানের ওপর এই জরিপ চালিয়ে আসছে ২০০২ সাল থেকে। গত ১২ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানিদের পছন্দ-অপছন্দ ১০ (২০০২) থেকে সর্বোচ্চ ২৭ (২০০৬) ভাগে ওঠানামা করেছে।
জর্জ বুশের চেয়ে বারাক ওবামাকে পছন্দ করেন ৭৪ ভাগ মানুষ। তবে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রতি ৫৬ ভাগ আস্থা ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিস্বাধীনতাকে ৫৮ ভাগ মানুষ সমর্থন করেন। তবে ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রাচীনকাল থেকে সুনামের অধিকারী আর চীনকে যথেষ্ট রক্ষণশীল ভাবা হলেও বাংলাদেশের মানুষ ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ৬৬ ভাগ বাংলাদেশী বলেছেন, তারা মনে করে চীন ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
বাংলাদেশীরা যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলাকে পছন্দ করেন না। এর প্রতি মাত্র ২২ ভাগ বাংলাদেশীর সমর্থন মিলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ৫৪ ভাগ বাংলাদেশী বলেছেন সন্তোষজনক। মার্কিন অর্থনীতিকে ভাল বলেছেন ৭১ ভাগ মানুষ। তবে সর্বোচ্চ ৯১ ভাগ বাংলাদেশী মনে করেন বিশ্ব বাণিজ্যে মার্কিনিরা চমৎকার করছেন। ৬৬ ভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, ভবিষ্যৎ অর্থনীতি আরও ভাল হবে।
উল্লেখ্য, পিউ’র জরিপে আরও তিনটি দেশ সম্পর্কে বাংলাদেশীদের মনোভাব জানতে চাওয়া হয়েছিল। দেশগুলো হলো- ইরান, রাশিয়া ও ব্রাজিল। ৬৩ ভাগ মানুষ ইরানের, ৬০ ভাগ রাশিয়ার ও ৫৫ ভাগ ব্রাজিলের অনুকূলে মতামত ব্যক্ত করেছে।
ওয়াশিংটন ভিত্তিক পিউ রিসার্চ গ্লোবাল এটিচুড প্রজেক্ট-এর এক সাম্প্রতিক জরিপে এই চিত্র ফুটে উঠেছে। প্রকল্পটি ৩৩ মিলিয়ন ডলারের বাজেট বিশিষ্ট পিউ রিসার্চ সেন্টারের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। পুরস্কার জয়ী সাংবাদিক অ্যালান মারে বর্তমানে পিউ সেন্টারের সভাপতি। এর আগে তিনি অনলাইন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। আমেরিকার মিডিয়ায় পিউ রিসার্চ সেন্টারকে একটি নন পার্টিজান ‘ফ্যাক্ট ট্যাঙ্ক’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ১৯৯০ সালে লস এঞ্জেলস টাইমসের সহযোগী সংস্থা টাইমস মিরর সেন্টার হিসেবে এর যাত্রা শুরু হয়। ২০০৪ সালে এটি পিউ সেন্টার হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
ওই জরিপ বলেছে, ৭৬ ভাগ মানুষ যুক্তরাষ্ট্রকে পছন্দ করে। যুক্তরাষ্ট্রকে পছন্দ করার ক্ষেত্রে ভারত ও পাকিস্তান বাংলাদেশের তুলনায় ঢের পিছিয়ে আছে। এর অর্থ দাঁড়ায়- যুক্তরাষ্ট্র গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
লক্ষণীয় যে, পিউ ফাউন্ডেশন ২০১৪ সালেই প্রথম বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। ভারতকে প্রথম অন্তর্ভুক্ত করে ২০১৩ সালে। ওই বছরে ৫৬ ভাগ ভারতীয় বলেছে যুক্তরাষ্ট্রকে তারা পছন্দ করে। ২০১৪ সালে এটা কেবল ১ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। তারা পাকিস্তানের ওপর এই জরিপ চালিয়ে আসছে ২০০২ সাল থেকে। গত ১২ বছরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাকিস্তানিদের পছন্দ-অপছন্দ ১০ (২০০২) থেকে সর্বোচ্চ ২৭ (২০০৬) ভাগে ওঠানামা করেছে।
জর্জ বুশের চেয়ে বারাক ওবামাকে পছন্দ করেন ৭৪ ভাগ মানুষ। তবে চীনের বর্তমান প্রেসিডেন্টের প্রতি ৫৬ ভাগ আস্থা ব্যক্ত করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যক্তিস্বাধীনতাকে ৫৮ ভাগ মানুষ সমর্থন করেন। তবে ব্যক্তিস্বাধীনতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রাচীনকাল থেকে সুনামের অধিকারী আর চীনকে যথেষ্ট রক্ষণশীল ভাবা হলেও বাংলাদেশের মানুষ ভিন্ন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ৬৬ ভাগ বাংলাদেশী বলেছেন, তারা মনে করে চীন ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
বাংলাদেশীরা যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলাকে পছন্দ করেন না। এর প্রতি মাত্র ২২ ভাগ বাংলাদেশীর সমর্থন মিলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ৫৪ ভাগ বাংলাদেশী বলেছেন সন্তোষজনক। মার্কিন অর্থনীতিকে ভাল বলেছেন ৭১ ভাগ মানুষ। তবে সর্বোচ্চ ৯১ ভাগ বাংলাদেশী মনে করেন বিশ্ব বাণিজ্যে মার্কিনিরা চমৎকার করছেন। ৬৬ ভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, ভবিষ্যৎ অর্থনীতি আরও ভাল হবে।
উল্লেখ্য, পিউ’র জরিপে আরও তিনটি দেশ সম্পর্কে বাংলাদেশীদের মনোভাব জানতে চাওয়া হয়েছিল। দেশগুলো হলো- ইরান, রাশিয়া ও ব্রাজিল। ৬৩ ভাগ মানুষ ইরানের, ৬০ ভাগ রাশিয়ার ও ৫৫ ভাগ ব্রাজিলের অনুকূলে মতামত ব্যক্ত করেছে।
No comments