চট্টগ্রামে ৩০ বছর পুরনো ব্যবস্থায় চলছে বিদ্যুৎ বিতরণ- বিতরণ লাইনের অবস্থা নাজুক তির মুখে শিল্প খাত by ওমর ফারুক
ত্রিশ বছরের পুরনো বিতরণব্যবস্থা দিয়ে
চলছে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা। দীর্ঘ সময় ধরে বিতরণব্যবস্থা
উন্নয়নে কোনো প্রকল্প না নেয়ায় ওভারলোডেড হয়ে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের অবস্থা
বর্তমানে নাজুক হয়ে পড়েছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সরবরাহ ভালো থাকলেও
বিতরণব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মকভাবে বিঘিœত
হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি তির মুখে পড়ছে শিল্প খাত। গত দশ বছরে চট্টগ্রামে
পিডিবির গ্রাহকসংখ্যা সাড়ে তিন লাখ থেকে বেড়ে ছয় লাখ হলেও বিদ্যুৎ
বিতরণব্যবস্থার উন্নয়নে নেয়া হয়নি কোনো প্রকল্প। এ সময়ে চট্টগ্রামে নতুন
বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করায় বেড়েছে উৎপাদনও। কিন্তু চট্টগ্রামের
আট হাজার ২৮ কিলোমিটার বিতরণব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার না হওয়ায় বিদ্যুৎ
সরবরাহ পরিস্থিতির তেমন উন্নয়ন হয়নি। এর ফলে ঝড়বৃষ্টিতে তার ছিঁড়ে পড়া,
অতিরিক্ত গরমে সরবরাহ লাইন ওভারলোডেড হওয়াসহ নানা কারিগরি ত্রুটির কারণে ঘন
ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাট বর্তমানে চট্টগ্রামে নিত্যদিনের ঘটনা।
>>চট্টগ্রামে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করেছে মহানগর বিএনপি। এসময় নগরীর আগ্রাবাদস্থ বিদ্যুৎ ভবনের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে দলটি। মানববন্ধন শেষে তারা চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ, দক্ষিণাঞ্চল এর প্রধান প্রকৌশলীকে স্মারক লিপি প্রদান করে।
চট্টগ্রাম
বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, পুরনো বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থা
সংস্কার ও উন্নয়নের উদ্যোগ হিসেবে সাড়ে ১২ শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প
নেয়া হয়। কিন্তু অর্থসংস্থান না হওয়ায় এটির বাস্তবায়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা
দিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের সংস্কার, নতুন
লাইন নির্মাণ, ১৮টি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নবায়ন এবং ৩৩ ও ১১ কেভির সাতটি নতুন
বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ করার পরিকল্পনা ছিল। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ফান্ড
খোঁজা হচ্ছে।
শিল্প মালিকেরা বলছেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালাতে গিয়ে ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে শিল্পমালিকদের। পুরনো বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্ত হচ্ছে তৈরী পোশাক খাত। লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প কারখানার ইকুইপমেন্টগুলো নষ্ট হচ্ছে, একই সাথে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থা দীর্ঘ মেয়াদে চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে তিগ্রস্ত হবে। শিল্প খাতের উন্নয়নের স্বার্থে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থায় সংস্কার অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের কারণে অনেক েেত্র নির্দিষ্ট সময় শিপমেন্ট দিতে না পারায় বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অনেক বিদেশী ক্রেতা এখন ভারত ও ভিয়েতনামে অর্ডার দিচ্ছেন। ফলে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প টিকিয়ে রাখার বিদ্যুৎব্যবস্থার আধুনিকায়ন দরকার।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার আধুনিকায়ন না হওয়ায় প্রতিদিনই তার ছিঁড়ে পড়া, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে দুর্ঘটনা, লোডশেডিং এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ালেও তার সুফল ভোগ করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিতরণব্যবস্থায় সংস্কার করা না হলে শিল্প উৎপাদন আগামীতে আরো বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
শিল্প মালিকেরা বলছেন, অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর দিয়ে কারখানা চালাতে গিয়ে ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে শিল্পমালিকদের। পুরনো বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার কারণে সবচেয়ে বেশি তিগ্রস্ত হচ্ছে তৈরী পোশাক খাত। লোডশেডিংয়ের কারণে শিল্প কারখানার ইকুইপমেন্টগুলো নষ্ট হচ্ছে, একই সাথে উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থা দীর্ঘ মেয়াদে চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতি মারাত্মকভাবে তিগ্রস্ত হবে। শিল্প খাতের উন্নয়নের স্বার্থে চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থায় সংস্কার অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের কারণে অনেক েেত্র নির্দিষ্ট সময় শিপমেন্ট দিতে না পারায় বিদেশী ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। অনেক বিদেশী ক্রেতা এখন ভারত ও ভিয়েতনামে অর্ডার দিচ্ছেন। ফলে অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প টিকিয়ে রাখার বিদ্যুৎব্যবস্থার আধুনিকায়ন দরকার।
বিজিএমইএ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ বিতরণব্যবস্থার আধুনিকায়ন না হওয়ায় প্রতিদিনই তার ছিঁড়ে পড়া, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে দুর্ঘটনা, লোডশেডিং এখন নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ালেও তার সুফল ভোগ করা যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি বিতরণব্যবস্থায় সংস্কার করা না হলে শিল্প উৎপাদন আগামীতে আরো বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
No comments