রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার চেয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন বেশি জরুরি- ২০ বছরপূর্তির সংবাদ সম্মেলনে আইসিসিবির সভাপতি
দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি এবং বিনিয়োগ বাড়াতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার চেয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ধরনের সেবার (ইউটিলিটি সার্ভিস) মানোন্নয়ন বেশি জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (আইসিসিবি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান। বর্ষীয়ান এই ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, স্থিতিশীল পরিবেশ শুধু ব্যবসার জন্য নয়, সবকিছুর জন্যই প্রয়োজন। তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার চেয়েও বেশি প্রয়োজন অবকাঠামো এবং বিভিন্ন সেবার মান আরও শক্তিশালী করা।
প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার: এশীয় পরিপ্রেক্ষিত’ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে আইসিসিবি। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার মেট্রোপলিটন চেম্বার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন মাহবুবুর রহমান।
আইসিসিবির সভাপতি বলেন, ‘বিশ্ব মন্দার মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশ আক্রান্ত হয়নি। তবে এই সময়ে বাংলাদেশ আরও ভালো করতে পারত। বাংলাদেশ যে মন্দায় আক্রান্ত হয়নি তার বড় কারণ হলো আমরা লো-এন্ডে রপ্তানি (তুলনামুলক কম দামি পণ্য) করি। যদি হাই-এন্ড পণ্য (উচ্চমূল্যের পণ্য) রপ্তানি করতাম তাহলে আমরা আক্রান্ত হতাম।’
এ সময় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি চীন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকেও ছাড়িয়ে গেছে। আগামী দিনে এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে। চীন, ভারতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। জাপানে তো আগে থেকেই হচ্ছে। বাংলাদেশেও প্রবৃদ্ধি ভালো। বাংলাদেশকে উদীয়মান ১১টি দেশের (নেক্সট ইলেভেন) মধ্যে রাখা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ আরও কীভাবে এগিয়ে যাবে, তার কিছু দিকনির্দেশনা বেরিয়ে আসতে পারে এই সম্মেলনে।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫ অক্টোবর বিকেলে এই সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। পরদিন সোনারগাঁও হোটেলে কয়েকটি কর্ম-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের মূল বিষয় তুলে ধরতে ব্যবসা-বাণিজ্যকেন্দ্রিক কর্ম-অধিবেশনকে চারটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ কী পাবে? এমন প্রশ্ন করা হলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘একটা সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ অনেক কিছু পাবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। এ সম্মেলনে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা হবে। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা অবস্থান তুলে ধরবেন, বাংলাদেশও নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার পদক্ষেপ কী হবে তা বেরিয়ে আসবে।’
একই বিষয়ে আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘আইসিসিবির জ্বালানিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের যেসব সুপারিশ করা হয়েছিল, তা সরকার বাস্তবায়ন করেছিল। এরই সুফল আমরা এখন পাচ্ছি। বিদ্যুতের উৎপাদন এখন বেড়েছে। হয়তো ভবিষ্যতে দেশের রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা উঠে আসবে এই সম্মেলন থেকে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের সভাপতি আফতাব-উল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুদিনের এই সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আঙ্কটাডের মহাসচিব মুখিসা কিতুয়ি ও আইসিসির ভাইস চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তালসহ ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারের কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এতে উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনে সহ-আয়োজক হিসেবে আছে ডিসিসিআই, এমসিসিআই, সিসিসিআই, এফআইসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিআইএ, আইসিএবি ও এনসিসিআই। মুক্তবাজার অর্থনীতি উৎসাহিতকরণ ও সীমান্ত অতিক্রম করে ব্যবসায়িক লেনদেনকে সহজ করার উদ্দেশ্যে ১৯১৯ সালে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ফ্রান্সের প্যারিসে। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে আইসিসির কার্যক্রম শুরু হয়।
প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধার: এশীয় পরিপ্রেক্ষিত’ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে আইসিসিবি। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার মেট্রোপলিটন চেম্বার মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন মাহবুবুর রহমান।
আইসিসিবির সভাপতি বলেন, ‘বিশ্ব মন্দার মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশ আক্রান্ত হয়নি। তবে এই সময়ে বাংলাদেশ আরও ভালো করতে পারত। বাংলাদেশ যে মন্দায় আক্রান্ত হয়নি তার বড় কারণ হলো আমরা লো-এন্ডে রপ্তানি (তুলনামুলক কম দামি পণ্য) করি। যদি হাই-এন্ড পণ্য (উচ্চমূল্যের পণ্য) রপ্তানি করতাম তাহলে আমরা আক্রান্ত হতাম।’
এ সময় ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন একটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি চীন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকেও ছাড়িয়ে গেছে। আগামী দিনে এশিয়ার দেশগুলোতে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে। চীন, ভারতে দ্রুত প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। জাপানে তো আগে থেকেই হচ্ছে। বাংলাদেশেও প্রবৃদ্ধি ভালো। বাংলাদেশকে উদীয়মান ১১টি দেশের (নেক্সট ইলেভেন) মধ্যে রাখা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশ আরও কীভাবে এগিয়ে যাবে, তার কিছু দিকনির্দেশনা বেরিয়ে আসতে পারে এই সম্মেলনে।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২৫ অক্টোবর বিকেলে এই সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের এটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। পরদিন সোনারগাঁও হোটেলে কয়েকটি কর্ম-অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের মূল বিষয় তুলে ধরতে ব্যবসা-বাণিজ্যকেন্দ্রিক কর্ম-অধিবেশনকে চারটি পর্বে ভাগ করা হয়েছে।
এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ কী পাবে? এমন প্রশ্ন করা হলে মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘একটা সম্মেলন থেকে বাংলাদেশ অনেক কিছু পাবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। এ সম্মেলনে বৈশ্বিক অর্থনীতি নিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আলোচনা হবে। এতে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ব্যক্তিরা অবস্থান তুলে ধরবেন, বাংলাদেশও নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে। এর মধ্য দিয়ে আমাদের নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার পদক্ষেপ কী হবে তা বেরিয়ে আসবে।’
একই বিষয়ে আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘আইসিসিবির জ্বালানিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের যেসব সুপারিশ করা হয়েছিল, তা সরকার বাস্তবায়ন করেছিল। এরই সুফল আমরা এখন পাচ্ছি। বিদ্যুতের উৎপাদন এখন বেড়েছে। হয়তো ভবিষ্যতে দেশের রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা উঠে আসবে এই সম্মেলন থেকে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের সভাপতি আফতাব-উল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুদিনের এই সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আঙ্কটাডের মহাসচিব মুখিসা কিতুয়ি ও আইসিসির ভাইস চেয়ারম্যান সুনীল ভারতী মিত্তালসহ ভুটান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমারের কয়েকজন মন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা এতে উপস্থিত থাকবেন।
সম্মেলনে সহ-আয়োজক হিসেবে আছে ডিসিসিআই, এমসিসিআই, সিসিসিআই, এফআইসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিআইএ, আইসিএবি ও এনসিসিআই। মুক্তবাজার অর্থনীতি উৎসাহিতকরণ ও সীমান্ত অতিক্রম করে ব্যবসায়িক লেনদেনকে সহজ করার উদ্দেশ্যে ১৯১৯ সালে আইসিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর সদর দপ্তর ফ্রান্সের প্যারিসে। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশে আইসিসির কার্যক্রম শুরু হয়।
No comments