ভালো মানুষ আছে! নেই, ভালো মাইনছের দাম নেই by শাহাদাত ফাহিম
এই লেখাটি পড়লে ভালো। না পড়লে আরো ভালো। ভালোর কোনো শেষ নেই। ভালোর সবই ভালো। কেউ ভালো হতে চাইলে তার কোনো খরচ নেই । দ্রব্যমূল্যের নাকাল সময়ে এটি অবশ্যই সুসংবাদ যে, ভালো হতে পয়সা লাগে না। সর্বকালের সর্ববৃহৎ চাহিদার ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালো। ভালো কে না চায়। শিশু আর পাগলও নাকি নিজের ভালোটি বুঝতে পারে। শরীর ভালো থাকলে মনও ভালো থাকে। মনের মানুষের জন্য আকুলতার নামই হচ্ছে ভালোবাসা। তবে বাসা যেমন তেমন হলেও ভাষা যদি হয় ভালো, তার জন্য ভালোবাসা উন্মুক্ত। ভালো কথার মূল্য রয়েছে ভালো মানুষের কাছে। তবে দিন দিন বস্তুর দাম বাড়তে থাকলেও আশঙ্কাজনকহারে কমে যাচ্ছে ভালো মানুষের দাম। ভুক্তভোগী এভাবেই আক্ষেপ করে থাকেনÑ আহারে ভালো মাইন্সের দাম নাইরে; কিন্তু মজার সাবজেক্ট হচ্ছে ভালোর চাহিদার; কিন্তু কোনোই কমতি-টমতি নেই। এর চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। কুশল জিজ্ঞাসার উত্তরে ভালো থাকার কথা জানানো হয়; কিন্তু চরিত্র ভালো নাকি খারাপ তা অজানাই থেকে যায়। নিজের চরিত্র মোটেই ভালো না হলেও তিনি ভালোর কাঙাল হয়ে থাকেন। তাইতো শপিংমলে প্রবেশ করে ওনার চাই সব ভালো ভালো পণ্য। ওনার অফিসে পিয়ন লাগবেÑ ভালো লোক হওয়া পূর্বশর্ত। পাচকের ক্ষেত্রেও ওনার একই শর্ত বহাল থাকছে।
ভালো স্টুডেন্ট এর মানে পড়াশোনায় নাকি চাল-চরিত্রে ভালোÑ এটি অস্পষ্টই থেকে যাচ্ছে। কারণ পড়াশোনায় ভালো এমন স্টুডেন্ট রয়েছে যারা হলে অস্ত্রবাজিতেও বেশ ভালো পারদর্শী। ভালো ব্যাবহার দেখিয়ে স্বার্থ হাসিলের রেওয়াজও সমাজে রয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে একটিই চাওয়াÑ পাত্র বা পাত্রীটি যেন ভালো হয়। যদিও ভালো পাত্র-পাত্রীর সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা পাওয়া যায় না। বিয়াইন সাহেবা কেমন বধূ পেলেন? এর উত্তর যদি হয় ‘খুব ভালো’ তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে শাশুড়ির সাথে কোনোই ঝগড়া-টগড়া না করে সব মুখ বুজে সহ্য করে নেয় অবলা বধূ। সব অবস্থারই একটি হিতে বিপরীত দিক রয়েছে। তাই ভালো লোকের যাতনাও কম নয়। ভালো হওয়ার কারণে চাহিবা মাত্র ছিনতাইকারীকে আগ বাড়িয়ে সব দিয়ে দিলে; কিন্তু নিজেরই ক্ষতি। বলা হয়ে থাকেÑ ‘বেশি ভালোও ভালো না’। খাওয়ার সময় ভালো ভালো খাবারই খেতে হবে। তাই বলে গলা পরিমাণ খেলে; কিন্তু টয়লেটের সাথে দোস্তি রিলেশেন তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গাছ যেমন ফলে পরিচিত হয় তেমন পেরেন্টস এর পরিচয় পাওয়া যায় সন্তানে। এই বিশ্বাসটি অনেকেই করে থাকেন। কৌতুকের কথা অবশ্য আলাদা। দুই বন্ধুর পিতার মধ্যে কথা হচ্ছে। Ñশুনলাম আপনার ছেলে নাকি আদব-কায়দায় খুবই ভালো?
Ñজী, জী, ভালো মানে মারত্মক ভালো। আমার হাতে টাকা দিয়ে বলেÑ আব্বুজী আমার জন্য গাঁজা নিয়ে এসো। হেঁটে যেওনা, রিকশায় যেয়ো!
ভালো স্টুডেন্ট এর মানে পড়াশোনায় নাকি চাল-চরিত্রে ভালোÑ এটি অস্পষ্টই থেকে যাচ্ছে। কারণ পড়াশোনায় ভালো এমন স্টুডেন্ট রয়েছে যারা হলে অস্ত্রবাজিতেও বেশ ভালো পারদর্শী। ভালো ব্যাবহার দেখিয়ে স্বার্থ হাসিলের রেওয়াজও সমাজে রয়েছে। বিয়ের ক্ষেত্রে একটিই চাওয়াÑ পাত্র বা পাত্রীটি যেন ভালো হয়। যদিও ভালো পাত্র-পাত্রীর সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা পাওয়া যায় না। বিয়াইন সাহেবা কেমন বধূ পেলেন? এর উত্তর যদি হয় ‘খুব ভালো’ তাহলে অনেক ক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে শাশুড়ির সাথে কোনোই ঝগড়া-টগড়া না করে সব মুখ বুজে সহ্য করে নেয় অবলা বধূ। সব অবস্থারই একটি হিতে বিপরীত দিক রয়েছে। তাই ভালো লোকের যাতনাও কম নয়। ভালো হওয়ার কারণে চাহিবা মাত্র ছিনতাইকারীকে আগ বাড়িয়ে সব দিয়ে দিলে; কিন্তু নিজেরই ক্ষতি। বলা হয়ে থাকেÑ ‘বেশি ভালোও ভালো না’। খাওয়ার সময় ভালো ভালো খাবারই খেতে হবে। তাই বলে গলা পরিমাণ খেলে; কিন্তু টয়লেটের সাথে দোস্তি রিলেশেন তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গাছ যেমন ফলে পরিচিত হয় তেমন পেরেন্টস এর পরিচয় পাওয়া যায় সন্তানে। এই বিশ্বাসটি অনেকেই করে থাকেন। কৌতুকের কথা অবশ্য আলাদা। দুই বন্ধুর পিতার মধ্যে কথা হচ্ছে। Ñশুনলাম আপনার ছেলে নাকি আদব-কায়দায় খুবই ভালো?
Ñজী, জী, ভালো মানে মারত্মক ভালো। আমার হাতে টাকা দিয়ে বলেÑ আব্বুজী আমার জন্য গাঁজা নিয়ে এসো। হেঁটে যেওনা, রিকশায় যেয়ো!
No comments