নাটোর দুর্ঘটনায় মায়ের সঙ্গে বেঁচে গেছে ইভ
বাসচালকের বাঁ পাশের একটি আসনে মায়ের
পাশে বসে ছিল ইভ। আসনটি ছিল বাসের একেবারে সামনের বড় কাচ ঘেঁষা। তিন বছরের
ইভ কাচের সামনে ঝোলানো রাবারের আঙুর নিয়ে খেলছিল। নাটোর শহর থেকে
গুরুদাসপুর সদরগামী অথৈ পরিবহনের সেই বাসটি কেয়া পরিবহনের বাসের সঙ্গে
মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। গত সোমবারের ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনায়
প্রাণ হারান ৩৩ জন। ইভ আর ওর মা ববিতা খাতুন দুর্ঘটনার পরে লাশের স্তূপের
মধ্যে পড়ে ছিলেন। উদ্ধারকারীরা তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
নিয়ে আসে। দুজনেই আহত হলেও প্রাণে বেঁচে গেছে। মাকে ভর্তি করা হয়েছে ৪
নম্বর ওয়ার্ডে আর ইভ রয়েছে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে। বর্তমানে তারা শঙ্কামুক্ত।
ইভের মাথায় কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। হাতের খুব অল্প কয়েকটি জায়গায় চামড়া ছড়ে গেছে। মাথায় আঘাতের কারণে তাকে নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। মায়ের বাঁ হাতের আঙুল ভেঙে গেছে।
ইভের মাথায় কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। হাতের খুব অল্প কয়েকটি জায়গায় চামড়া ছড়ে গেছে। মাথায় আঘাতের কারণে তাকে নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। মায়ের বাঁ হাতের আঙুল ভেঙে গেছে।
>>তিন বছরের লাবাবা মাসুদ ইভ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে আছে। মা ববিতা খাতুন আছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে। নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন এই মা ও শিশু। ছবি: প্রথম আলো
ইভের
পুরো নাম লাবাবা মাসুদ ইভ। ইভের বাবা মাসুদুর রহমান নাটোরের গুরুদাসপুর
উপজেলা সদরের একজন ব্যবসায়ী। তার দাদি কামরুন্নাহার ১৯৭৯ সালে নওগাঁর
নাটোর থেকে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ ছিলেন। তিনিই হাসপাতালে ইভকে সামলাচ্ছেন।
মায়ের জন্য ইভ যখন খুব কান্নাকাটি করছে, তখন তাকে কোলে করে মায়ের
ওয়ার্ডে নেওয়া হচ্ছে। দাদি বলেন, বাড়িতে তার কাছেই বেশিক্ষণ থাকে ইভ।
ইভের বাবা মাসুদুর রহমান একটি মামলায় নাটোর কারাগারে রয়েছেন। গত সোমবার
তাঁর আদালতে হাজিরা ছিল। ববিতা খাতুন মেয়ে ইভকে নিয়ে আদালতে স্বামীর
সঙ্গে দেখা করে অথৈ বাসে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
No comments