ড. পিয়াস করিম- শহীদ মিনার থেকে জাতীয় মসজিদ by মো: সিরাজুল ইসলাম
ড. পিয়াস করিম। এ নামটি খুব বেশি দিন আগে থেকে জানা ছিল না। আমার মনে হয়, বাংলাদেশের অনেকেই জানতেন না। কয়েক বছর ধরে টকশোর কল্যাণে তার নাম দেশের মানুষ জেনেছে। তিনি একটি বিশ্বাসের জায়গা থেকে কথা বলতেন। সে বিশ্বাস যে কত দৃঢ়, তা বিশ্বাসীরা আঁচ করতে পারেন বলে আমার বিশ্বাস। আমার মনে হয়েছে, তিনি আসলে সমাজবিজ্ঞানের যে থিওরি ছাত্রদের পড়িয়েছেন, সেটা অন্তর থেকেই পড়িয়েছেন। এর সাথে সাংঘর্ষিক কার্যক্রম ল করে তিনি আশ্চর্যান্বিত হয়ে অকপটে মত প্রকাশ করেছেন টেলিভিশনের পর্দায়। যখনই বুঝতেন যে, তার এই থিওরি ব্যাখ্যার কারণে মোটাবুদ্ধির লোকগুলো তার অবস্থান নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করবে, তখনই বলতেন, আমি অমুক আদর্শের ধারক বা পরে লোক না হয়েও শুধু সমাজবিজ্ঞানের একজন শিক হিসেবে এ কথাগুলো বলছি।’ বুঝতাম, তার অর্জিত জ্ঞানের ব্যাপারে কত অগাধ বিশ্বাস।
তার টকশো থেকেই জেনেছি, তিনি বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। সে ঘরানার বুদ্ধিজীবী হিসেবে এটা সহজেই ধারণা করা যায় যে, মৃত্যুর পর তার লাশ শহীদ মিনারে কিছু সময়ের জন্য হলেও রাখা হবে। কারণ এমনটাই করা হয়ে আসছে নিয়মিত। এটাও মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায় যে, বাম ঘরানার একজন বুদ্ধিজীবীর লাশের নামাজে জানাজা জাতীয় মসজিদে হওয়ার কথা সাধারণ চিন্তা করা হয় না। কিন্তু সাহসী বক্তব্য ইতোমধ্যেই তার ও অটল বিশ্বাস তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধি করেছে। পরিবার-পরিজন, সহকর্মী, সহযোদ্ধাদের মধ্যেও এ বিশ্বাস জন্মেছে যে, তার লাশ শুধু শহীদ মিনারে নেয়ার যোগ্য নয়, বরং জাতীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজা হওয়ার দাবি রাখে। কারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা তার সত্যবাদিতা, সাহসিকতায় উদ্বুব্ধ এবং এটাই বাস্তবতা যে, তাদের বেশির ভাগ মানুষ তার লাশ দেখতে শহীদ মিনারে যাওয়ার মতো আকর্ষণ অনুভব করবেন না। বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা হবে এটা জেনে আল্লাহর মহিমার কথা স্মরণ করেছি। আল্লাহ একটা মানুষকে এভাবেই আলোর দিকে নিয়ে আসতে পারেন। আমার বিশ্বাস, গত দুই বছরে ড. পিয়াস করিম যেসব কথা বলেছেন, তা না বললে হয়তো একজন বাম ঘরানার মানুষ হিসেবে তার নামাজে জানাজা জাতীয় মসজিদে হতো কি না সন্দেহ। আর করা হলে মানুষ অন্যত্র জানাজায় কতটুকু উপস্থিত হতো সেটাও নিশ্চিত ছিল না।
নির্দিষ্ট কিছু কারণে মরহুমের দাফন করতে কয়েক দিন বিলম্ব হলো। তাকে জুমাবার তথা শুক্রবার দাফনের জন্য সিদ্ধান্ত হলো। ইতোমধ্যেই যারা তার অকপটে সত্যের পে কথা বলাকে সহ্য করতে পারেননি এবং সাজানো ইতিহাসের পে না বলে সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ কথা বলাতে তার ওপর ুব্ধ ছিলেন, যারা তার ‘অমুক থিওরির ধারক না হয়েই এ কথাগুলো বলছি’ কথাটুকুকে কানের মধ্যে ঢোকাতে পারেননি, তাদের ধারক সেকুলার ও বাম কিছু সংগঠনের প থেকে মরহুমের লাশ শহীদ মিনারে নিতে বাধা দেয়ার জন্য ঘোষণা দেয়া হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের অবস্থান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপরে অনুমতি নিয়ে সেখানে লাশ রাখার নিয়ম; কিন্তু কর্তৃপ নানা ধরনের কথা বলতে থাকলেন- ‘আবেদন পাইনি’, ‘আবেদন এলে তারপর চিন্তা করা হবে’, ‘তার লাশ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যারা লাশ আনবেন, তারা দায়ী হবেন’ প্রভৃতি। নাগরিক সমাজের প থেকে সংবাদ সম্মেলন করে মরহুমের লাশ সর্বসাধারণের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য শুক্রবার সকাল ১০টায় শহীদ মিনারে রাখা এবং জুমার নামাজের পরে বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা শেষে দাফনের সিদ্ধান্ত জানানো হলো। ধর্মপ্রাণ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মত দিতে থাকলেন শহীদ মিনারে লাশ না নেয়ার জন্য। সেখানে লাশ না নেয়াটাকেই হয়তো আল্লাহ পছন্দ করছেন বলে কেউ কেউ অভিমত দিলেন।
আল্লাহর সিদ্ধান্ত জানার অপোয় থাকলাম। একপর্যায়ে ঢাবি কর্তৃপও সেকুলার ও বাম সংগঠনগুলোর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করল এবং লাশ শহীদ মিনারে নেয়ার অনুমতি দিলো না। অতএব, সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলোÑ মরহুমের নিজ বাড়িতেই সর্বসাধারণের শেষ দেখার জন্য লাশ রাখা হবে এবং এরপর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা হবে। দোয়া করলামÑ আল্লাহ যেন সত্যিকারার্থেই এ ব্যক্তিকে কবুল করেন, মাগফিরাত দান করেন।
জুমার নামাজ সাধারণত এলাকার মসজিদে পড়ি; কিন্তু জানাজায় অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যেই বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়লাম। খতিব সাহেব তিন তিনবার ড. পিয়াস করিমের জন্য হাত তুলে দোয়া করলেন, সেই সাথে সব মুসল্লি। বাংলা খুতবা শেষ করে হঠাৎ হাত তুললেন, ফরজ নামাজ শেষ করে আরেকবার, নামাজে জানাজা শেষ করেই সাথে সাথে আরেকবার। এ জন্য আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করলাম। জুমার নামাজের পরে মসজিদে নামাজে জানাজা হলে কখনো কখনো জুমার ফরজের পরে আবার কখনো পরবর্তী সুন্নত নামাজ শেষে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম সাহেব জুমার নামাজের পরে ঘোষণা দিলেন, ‘অবশিষ্ট সুন্নত নামাজের পরে নামাজে জানাজা হবে, যারা যারা ইচ্ছুক জানাজায় অংশ নেবেন।’ সাধারণত, জুমার ফরজের পরে অনেকে বাসায় গিয়ে সুন্নত নামাজ পড়েন। খেয়াল করলাম, আজ ফরজ শেষে দু-চারজন ছাড়া কেউ চলে যাচ্ছেন না। সবাই সুন্নত নামাজ মসজিদেই পড়লেন। সুবহানাল্লাহ, এ মানুষগুলো জানাজার নিয়ত করেই সম্ভবত রয়ে গেছেন এবং এই বিপুল সংখ্যক মানুষের বিরাট অংশ আমার মতো জানাজায় অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যেই এসেছেন।
নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হলো। মরহুমের লাশ গেটে রাখার ঘোষণা হলো। ল করলাম, মসজিদের ভেতর থেকে প্রায় সবাই সে দিকে রওয়ানা দিয়েছেন। বিশাল জনমানুষের স্রোত সেদিকে। অথচ উত্তর গেট দিয়ে সচরাচর বেশির ভাগ মানুষ বের হন; কিন্তু আজ এ অন্য রকম দৃশ্য। হাঁটছি আর হাতের মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় আরেকজনকে সহযোগিতা করছি। আশপাশের মানুষের কথা লক্ষ করলাম। অনেকেই বলছেনÑ এত মানুষ! অনেকে বলছেন- শহীদ মিনারে অনুমতি না দেয়ায় ভালোই হয়েছে। তাতে জানাজায় মনে হচ্ছে লোক আরো বেড়ে গেছে। কফিনের কাছে যাওয়াই সম্ভভ হচ্ছিল না। এত ভিড়! অনেকণ চেষ্টার পর যখন প্রায় কাছে গিয়েছি ততণে সময় অনেকটা গড়িয়ে গেছে। কফিন কাঁধে করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের গাড়ির দিকে রওয়ানা হয়ে গেছেন তার শুভাকাক্সীরা। কাফনে মোড়ানো শ্রদ্ধেয় ড. পিয়াস করিমের লাশ চলে গেল একেবারে সামনে দিয়ে। আল্লাহর কাছে দোয়া করলামÑ আল্লাহ তাকে মাগফিরাত নসিব করুন। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, হয়তো আল্লাহর ইচ্ছাই ছিল, এ ব্যক্তিকে তিনি কাছে টেনে নেবেন। আর সেজন্যই কয়েক হাজার মুসল্লি তার নামাজে জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন, দোয়া করেছেন।
তার টকশো থেকেই জেনেছি, তিনি বাম রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। সে ঘরানার বুদ্ধিজীবী হিসেবে এটা সহজেই ধারণা করা যায় যে, মৃত্যুর পর তার লাশ শহীদ মিনারে কিছু সময়ের জন্য হলেও রাখা হবে। কারণ এমনটাই করা হয়ে আসছে নিয়মিত। এটাও মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায় যে, বাম ঘরানার একজন বুদ্ধিজীবীর লাশের নামাজে জানাজা জাতীয় মসজিদে হওয়ার কথা সাধারণ চিন্তা করা হয় না। কিন্তু সাহসী বক্তব্য ইতোমধ্যেই তার ও অটল বিশ্বাস তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা বৃদ্ধি করেছে। পরিবার-পরিজন, সহকর্মী, সহযোদ্ধাদের মধ্যেও এ বিশ্বাস জন্মেছে যে, তার লাশ শুধু শহীদ মিনারে নেয়ার যোগ্য নয়, বরং জাতীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজা হওয়ার দাবি রাখে। কারণ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা তার সত্যবাদিতা, সাহসিকতায় উদ্বুব্ধ এবং এটাই বাস্তবতা যে, তাদের বেশির ভাগ মানুষ তার লাশ দেখতে শহীদ মিনারে যাওয়ার মতো আকর্ষণ অনুভব করবেন না। বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা হবে এটা জেনে আল্লাহর মহিমার কথা স্মরণ করেছি। আল্লাহ একটা মানুষকে এভাবেই আলোর দিকে নিয়ে আসতে পারেন। আমার বিশ্বাস, গত দুই বছরে ড. পিয়াস করিম যেসব কথা বলেছেন, তা না বললে হয়তো একজন বাম ঘরানার মানুষ হিসেবে তার নামাজে জানাজা জাতীয় মসজিদে হতো কি না সন্দেহ। আর করা হলে মানুষ অন্যত্র জানাজায় কতটুকু উপস্থিত হতো সেটাও নিশ্চিত ছিল না।
নির্দিষ্ট কিছু কারণে মরহুমের দাফন করতে কয়েক দিন বিলম্ব হলো। তাকে জুমাবার তথা শুক্রবার দাফনের জন্য সিদ্ধান্ত হলো। ইতোমধ্যেই যারা তার অকপটে সত্যের পে কথা বলাকে সহ্য করতে পারেননি এবং সাজানো ইতিহাসের পে না বলে সমাজবিজ্ঞানী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ কথা বলাতে তার ওপর ুব্ধ ছিলেন, যারা তার ‘অমুক থিওরির ধারক না হয়েই এ কথাগুলো বলছি’ কথাটুকুকে কানের মধ্যে ঢোকাতে পারেননি, তাদের ধারক সেকুলার ও বাম কিছু সংগঠনের প থেকে মরহুমের লাশ শহীদ মিনারে নিতে বাধা দেয়ার জন্য ঘোষণা দেয়া হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের অবস্থান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপরে অনুমতি নিয়ে সেখানে লাশ রাখার নিয়ম; কিন্তু কর্তৃপ নানা ধরনের কথা বলতে থাকলেন- ‘আবেদন পাইনি’, ‘আবেদন এলে তারপর চিন্তা করা হবে’, ‘তার লাশ নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যারা লাশ আনবেন, তারা দায়ী হবেন’ প্রভৃতি। নাগরিক সমাজের প থেকে সংবাদ সম্মেলন করে মরহুমের লাশ সর্বসাধারণের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য শুক্রবার সকাল ১০টায় শহীদ মিনারে রাখা এবং জুমার নামাজের পরে বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা শেষে দাফনের সিদ্ধান্ত জানানো হলো। ধর্মপ্রাণ অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মত দিতে থাকলেন শহীদ মিনারে লাশ না নেয়ার জন্য। সেখানে লাশ না নেয়াটাকেই হয়তো আল্লাহ পছন্দ করছেন বলে কেউ কেউ অভিমত দিলেন।
আল্লাহর সিদ্ধান্ত জানার অপোয় থাকলাম। একপর্যায়ে ঢাবি কর্তৃপও সেকুলার ও বাম সংগঠনগুলোর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করল এবং লাশ শহীদ মিনারে নেয়ার অনুমতি দিলো না। অতএব, সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হলোÑ মরহুমের নিজ বাড়িতেই সর্বসাধারণের শেষ দেখার জন্য লাশ রাখা হবে এবং এরপর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজে জানাজা হবে। দোয়া করলামÑ আল্লাহ যেন সত্যিকারার্থেই এ ব্যক্তিকে কবুল করেন, মাগফিরাত দান করেন।
জুমার নামাজ সাধারণত এলাকার মসজিদে পড়ি; কিন্তু জানাজায় অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যেই বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজ পড়লাম। খতিব সাহেব তিন তিনবার ড. পিয়াস করিমের জন্য হাত তুলে দোয়া করলেন, সেই সাথে সব মুসল্লি। বাংলা খুতবা শেষ করে হঠাৎ হাত তুললেন, ফরজ নামাজ শেষ করে আরেকবার, নামাজে জানাজা শেষ করেই সাথে সাথে আরেকবার। এ জন্য আল্লাহর শুকরিয়া জ্ঞাপন করলাম। জুমার নামাজের পরে মসজিদে নামাজে জানাজা হলে কখনো কখনো জুমার ফরজের পরে আবার কখনো পরবর্তী সুন্নত নামাজ শেষে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইমাম সাহেব জুমার নামাজের পরে ঘোষণা দিলেন, ‘অবশিষ্ট সুন্নত নামাজের পরে নামাজে জানাজা হবে, যারা যারা ইচ্ছুক জানাজায় অংশ নেবেন।’ সাধারণত, জুমার ফরজের পরে অনেকে বাসায় গিয়ে সুন্নত নামাজ পড়েন। খেয়াল করলাম, আজ ফরজ শেষে দু-চারজন ছাড়া কেউ চলে যাচ্ছেন না। সবাই সুন্নত নামাজ মসজিদেই পড়লেন। সুবহানাল্লাহ, এ মানুষগুলো জানাজার নিয়ত করেই সম্ভবত রয়ে গেছেন এবং এই বিপুল সংখ্যক মানুষের বিরাট অংশ আমার মতো জানাজায় অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যেই এসেছেন।
নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হলো। মরহুমের লাশ গেটে রাখার ঘোষণা হলো। ল করলাম, মসজিদের ভেতর থেকে প্রায় সবাই সে দিকে রওয়ানা দিয়েছেন। বিশাল জনমানুষের স্রোত সেদিকে। অথচ উত্তর গেট দিয়ে সচরাচর বেশির ভাগ মানুষ বের হন; কিন্তু আজ এ অন্য রকম দৃশ্য। হাঁটছি আর হাতের মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় আরেকজনকে সহযোগিতা করছি। আশপাশের মানুষের কথা লক্ষ করলাম। অনেকেই বলছেনÑ এত মানুষ! অনেকে বলছেন- শহীদ মিনারে অনুমতি না দেয়ায় ভালোই হয়েছে। তাতে জানাজায় মনে হচ্ছে লোক আরো বেড়ে গেছে। কফিনের কাছে যাওয়াই সম্ভভ হচ্ছিল না। এত ভিড়! অনেকণ চেষ্টার পর যখন প্রায় কাছে গিয়েছি ততণে সময় অনেকটা গড়িয়ে গেছে। কফিন কাঁধে করে আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের গাড়ির দিকে রওয়ানা হয়ে গেছেন তার শুভাকাক্সীরা। কাফনে মোড়ানো শ্রদ্ধেয় ড. পিয়াস করিমের লাশ চলে গেল একেবারে সামনে দিয়ে। আল্লাহর কাছে দোয়া করলামÑ আল্লাহ তাকে মাগফিরাত নসিব করুন। আমার দৃঢ়বিশ্বাস, হয়তো আল্লাহর ইচ্ছাই ছিল, এ ব্যক্তিকে তিনি কাছে টেনে নেবেন। আর সেজন্যই কয়েক হাজার মুসল্লি তার নামাজে জানাজায় উপস্থিত হয়েছেন, দোয়া করেছেন।
No comments