পরকীয়ার বলি হলো অনার্স পড়ুয়া জেসমিন
পরকীয়ার বলি হতে হলো পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের অনার্সে পড়ুয়া কৃতি শিক্ষার্থী জেসমিনকে। স্বামী কামরুল হাসান মুন্নার হাতে অমানসিক নির্যাতন করে তাকে হত্যা করে। তিনি এটাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালান। কিন্ত শেষ পর্যন্ত পুলিশের হাতে হত্যার কৌশলটি ধরা পর স্বামী মুন্না এখন থানা হাজতে। এ দিকে নির্মম এ ঘটনায় বাবা হারা দরিদ্র পরিবারের স্বজনদের কান্নার রোল কেউ থামাতে পারছে না। নির্মম এ ঘটেছে গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বরিশালের গৌরিনদী উপজেলার পূর্বগরঙ্গল গ্রামে স্বামী মুন্নার বাড়িতে।
পারিবারিক সূত্র ও গৌরিনদী থানা পুলিশের কাছ থেকে অভিযোগে জানা যায়, ৯ অক্টোবর রাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকার মৃত আ. জলিলের মেয়ে জেসমিন খাতুন (২২)। তারা দুই বোন ও এক ভাই। মোবাইলে জেসমিন ও কামরুল হাসান মুন্নার পরিচয়। এরপর উভয় পরিবারে সন্মতিতে ২০১২ সালের ১৯ জুন তাদের বিয়ে হয়। মুন্না একই উপজেলার পিংগলাবাটি ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করে বলে দাবি করলেও তিনি বেকার ছেলে। তবে মাঝে মধ্যে ওই ইউনিয়ন সচিবের সহকারী হিসেবে কাজ করে থাকে একই সাথে স্থানীয় একটি কলেজে ডিগ্রিতে পড়তেন। কিন্ত এক বছর যেতে না যেতেই স্বামী মুন্না একাধিক মেয়ের সাথে আবার প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
জেসমিনের বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে (ভূগোল ও পরিবেশ) মেধাবী ছাত্রী হালিমা খাতুন অভিযোগে জানায়, ঈদের আগে গৌরিনদী তার দুলা ভাইয়ের বাড়ী থেকে পাবনায় তাদের বাসায় আসে। ঈদ করে গত ৯ অক্টোবর সকালে বাসে পাবনা থেকে বরিশালের গৌরিনদীতে স্বামী কামরুল হাসানের বাড়ি যায়। সেখানে পৌছানোর পর বিকালে তার মা জেসমিনের সাথে কথা বলেন। এর পর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তার দুলাভাই কামরুল হাসান মুন্না তার মায়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে জেসমিন খুবই অসুস্থ তাকে নিয়ে যান। আবার কিছুক্ষণ পরেই জেসমিনের খালাতো ভাই আসলামকে ফোন দিয়ে বলে জেসমিন মারা গেছে।
মৃতের এ খবর মাকে না জানিয়ে পরের দিন অর্থাৎ ১০ অক্টোবর জেসমিনের একমাত্র ভাই জয়নাল আবেদীন জনিসহ তার স্বজনেরা গৌরিনদীতে জনির বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, তার বোন জেসমিনকে বরিশাল মেড়িকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ নিয়ে গেছে। জনি জানায়, যে ঘরে তার বোন ফাঁিস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আসলে সেখানে আত্মহত্যা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ঘরের বাটাম খুবই চিকন ও পাশেই ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি দূরে ঘরের দরজা। ফাঁস নিতে গেলেই দরজার সাথে বেঁধে যাবে। এ ছাড়া গলা একটি কাপড় দিয়ে জড়ানো ছিল। জনি আরো জানায়, পুলিশ হত্যার এ খবর পাওয়ার পর বাড়িতে এসে মুন্নাকে আটক করে। এরপর তারা জেসমিনের লাশ পাবনায় এনে গত ১১ অক্টোবর আরিফপুর সদর গোরস্থানে দাফন করে।
জেসমিনের বোন হালিমা জানান, তার পাষন্ড ভগ্নিপতি মুন্না বিয়ের পর পরই অন্য মেয়েদের সাথে মোবাইলে কথা বলতো এবং তার যে বিয়ে হয়েছে তা কখনো কারো কাছে স্বীকার করতো না। অন্য মেয়েদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছেড়ে আশার জন্য তার বোন জেসমিন এবং সে ও বারবার মুন্নাকে অনুরোধ করেছে কিন্ত সে তাদের কথা শুনেনি। এ নিয়ে তার বোনের সাথে প্রায়ই বাকবিতন্ডা হতো। এমনকি মেরে ফেলারও হুমকি দিতো। হালিমার অভিযোগ মুন্না পরকীয়া প্রেমেও জড়িয়ে পড়েছিল। এ সব অবৈধ কাজে বাধা দেবার কারণে ওই দিন তার বোন জেসমিনকে মুন্না হত্যা করে আত্মহত্যার অপবাদ দিচ্ছে।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জেসমিনের ভাই জয়নাল আবেদীন জনি মুন্নাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে কিভাবে জেসমিন মারা গেছে। তবে প্রাথমিক আলামতে দেখা যায় তাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
পারিবারিক সূত্র ও গৌরিনদী থানা পুলিশের কাছ থেকে অভিযোগে জানা যায়, ৯ অক্টোবর রাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। পাবনা শহরের দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকার মৃত আ. জলিলের মেয়ে জেসমিন খাতুন (২২)। তারা দুই বোন ও এক ভাই। মোবাইলে জেসমিন ও কামরুল হাসান মুন্নার পরিচয়। এরপর উভয় পরিবারে সন্মতিতে ২০১২ সালের ১৯ জুন তাদের বিয়ে হয়। মুন্না একই উপজেলার পিংগলাবাটি ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করে বলে দাবি করলেও তিনি বেকার ছেলে। তবে মাঝে মধ্যে ওই ইউনিয়ন সচিবের সহকারী হিসেবে কাজ করে থাকে একই সাথে স্থানীয় একটি কলেজে ডিগ্রিতে পড়তেন। কিন্ত এক বছর যেতে না যেতেই স্বামী মুন্না একাধিক মেয়ের সাথে আবার প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
জেসমিনের বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে (ভূগোল ও পরিবেশ) মেধাবী ছাত্রী হালিমা খাতুন অভিযোগে জানায়, ঈদের আগে গৌরিনদী তার দুলা ভাইয়ের বাড়ী থেকে পাবনায় তাদের বাসায় আসে। ঈদ করে গত ৯ অক্টোবর সকালে বাসে পাবনা থেকে বরিশালের গৌরিনদীতে স্বামী কামরুল হাসানের বাড়ি যায়। সেখানে পৌছানোর পর বিকালে তার মা জেসমিনের সাথে কথা বলেন। এর পর রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তার দুলাভাই কামরুল হাসান মুন্না তার মায়ের মোবাইলে ফোন দিয়ে বলে জেসমিন খুবই অসুস্থ তাকে নিয়ে যান। আবার কিছুক্ষণ পরেই জেসমিনের খালাতো ভাই আসলামকে ফোন দিয়ে বলে জেসমিন মারা গেছে।
মৃতের এ খবর মাকে না জানিয়ে পরের দিন অর্থাৎ ১০ অক্টোবর জেসমিনের একমাত্র ভাই জয়নাল আবেদীন জনিসহ তার স্বজনেরা গৌরিনদীতে জনির বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, তার বোন জেসমিনকে বরিশাল মেড়িকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পুলিশ নিয়ে গেছে। জনি জানায়, যে ঘরে তার বোন ফাঁিস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আসলে সেখানে আত্মহত্যা করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ ঘরের বাটাম খুবই চিকন ও পাশেই ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি দূরে ঘরের দরজা। ফাঁস নিতে গেলেই দরজার সাথে বেঁধে যাবে। এ ছাড়া গলা একটি কাপড় দিয়ে জড়ানো ছিল। জনি আরো জানায়, পুলিশ হত্যার এ খবর পাওয়ার পর বাড়িতে এসে মুন্নাকে আটক করে। এরপর তারা জেসমিনের লাশ পাবনায় এনে গত ১১ অক্টোবর আরিফপুর সদর গোরস্থানে দাফন করে।
জেসমিনের বোন হালিমা জানান, তার পাষন্ড ভগ্নিপতি মুন্না বিয়ের পর পরই অন্য মেয়েদের সাথে মোবাইলে কথা বলতো এবং তার যে বিয়ে হয়েছে তা কখনো কারো কাছে স্বীকার করতো না। অন্য মেয়েদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছেড়ে আশার জন্য তার বোন জেসমিন এবং সে ও বারবার মুন্নাকে অনুরোধ করেছে কিন্ত সে তাদের কথা শুনেনি। এ নিয়ে তার বোনের সাথে প্রায়ই বাকবিতন্ডা হতো। এমনকি মেরে ফেলারও হুমকি দিতো। হালিমার অভিযোগ মুন্না পরকীয়া প্রেমেও জড়িয়ে পড়েছিল। এ সব অবৈধ কাজে বাধা দেবার কারণে ওই দিন তার বোন জেসমিনকে মুন্না হত্যা করে আত্মহত্যার অপবাদ দিচ্ছে।
গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জেসমিনের ভাই জয়নাল আবেদীন জনি মুন্নাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে জানা যাবে কিভাবে জেসমিন মারা গেছে। তবে প্রাথমিক আলামতে দেখা যায় তাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
No comments