স্মরণ- অধ্যাপক এম এ হাদী by ডা: মো: সাইফুল ইসলাম সেলিম
১৬ অক্টোবর খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা: এম এ হাদীর মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৭ সালের এই দিনে অবৈধ শাসকদের বিশেষ বাহিনীর চরম মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ৬৮ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। অত্যন্ত উজ্জ্বল শিাজীবনের অধিকারী মরহুম ডা: এম এ হাদী তার শিাজীবন শুরু করেন ময়নসিংহের গফরগাঁও বাতেনিয়া জুনিয়র মাদ্রাসায়। ১৯৫৬ সালে গফরগাঁও ইসলামিয়া হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৫৯ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস, ১৯৭৩ সালে এফসিপিএস সার্জারি, ১৯৯৩ সালে এফআইসিএস (ইউরোলজি), ১৯৯৫ সালে রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স, এডিনবার্গ থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৯ ও ২০০৫ সালে পাকিস্তানের কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স ও গ্ল্যাসগোর রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স থেকে যথাক্রমে এফসিপিএস ও এফআরসিএস সার্জারি ডিগ্রি লাভ করেন। শিাজীবনের প্রতিটি পরীায় ছিলেন মেধা তালিকার শীর্ষে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত অমায়িক ও সদালাপি। একজন শিক হিসেবেও তিনি সফল। অধ্যাপক ডা: এম এ হাদী ১৯৭৩ সালে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে কনসালট্যান্ট সার্জন হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হিসেবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ১৯৮১ সালে যোগদান করে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অতঃপর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত একই সাথে প্রফেসর অব ইউরোলজি বিভাগ ও প্রিন্সিপাল ছিলেন। ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের ডিন ও ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত ডাইরেক্টর, কনটিনিউনিং মেডিক্যাল এডুকেশন প্রোগ্রাম ছিলেন। অবসরের পরপরই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) আহ্বায়ক এবং পরে এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) পরপর দু’বার সভাপতি ছিলেন। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) পরপর দু’বার সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পদে ছিলেন। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির অন্যতম প্রধান প্রণেতা হিসেবে আধুনিক, কার্যকর ও গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা গবেষণার ব্যাপক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্সের দীর্ঘকালীন কাউন্সিলর ও দু’দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনি কর্মজীবনে অনেক পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি দেশের প্রয়োজনে সাহসী পদপে ও সিদ্ধান্ত নিতেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদপেগুলো সমালোচিত হলেও পরবর্তীকালে দেশ ও জনগণ এর সুফল পেয়েছে। চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে অসংখ্য গুণগ্রাহীর প থেকে তার মাগফিরাত কামনা এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি।
ডা: মো: সাইফুল ইসলাম সেলিম
বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) পরপর দু’বার সভাপতি ছিলেন। ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) পরপর দু’বার সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পদে ছিলেন। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতির অন্যতম প্রধান প্রণেতা হিসেবে আধুনিক, কার্যকর ও গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়নেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাসেবা গবেষণার ব্যাপক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ছিলেন। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স ও সার্জন্সের দীর্ঘকালীন কাউন্সিলর ও দু’দফায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। তিনি কর্মজীবনে অনেক পুরস্কার ও পদকে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি দেশের প্রয়োজনে সাহসী পদপে ও সিদ্ধান্ত নিতেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদপেগুলো সমালোচিত হলেও পরবর্তীকালে দেশ ও জনগণ এর সুফল পেয়েছে। চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে অসংখ্য গুণগ্রাহীর প থেকে তার মাগফিরাত কামনা এবং শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করছি।
ডা: মো: সাইফুল ইসলাম সেলিম
No comments