বন্দরের গতিহীনতা -দ্রুত সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা চালু করুন
২০১২ সালের কিয়োটো কনভেনশন প্রটোকলের আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৩-১৬ মেয়াদে কাস্টমস স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। এর সারকথা হলো পণ্য ওঠানো-নামানোয় গতি সঞ্চার করা। কিন্তু গত জুনে এনবিআর চট্টগ্রাম বন্দর এবং দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দরের পণ্য খালাসের যে শম্বুকচিত্র তুলে ধরেছে, তা উদ্বেগজনক। চট্টগ্রাম বন্দর—যেখান থেকে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির ৯২ শতাংশ সম্পন্ন হয়, সেখানে আমদানি পণ্য খালাসে ১১ দিন নয় ঘণ্টা এবং বেনাপোলে পণ্য খালাসে পাঁচ দিন ১৮ ঘণ্টা সময় লাগে। সেকেলে ব্যবস্থাপনা এবং রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়মই যে এর কারণ, তা সহজে বোধগম্য।
এনবিআর কয়েক বছর ধরে আমাদের ধারণা দিয়ে চলেছে যে তারা তাদের এখতিয়ারভুক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে অটোমেশন চালু করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা খুবই অনিশ্চিত অবস্থায় রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী দুই বছর আগে কনটেইনার-সংক্রান্ত দলিলপত্র যাতে আর হাতে হাতে নিষ্পন্ন করতে না হয়, সে জন্য একটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তার অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য নয়। সমুদ্র ও স্থল—দুই ধরনেরই বন্দরসুবিধায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশ, এমনকি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও মালদ্বীপের চেয়েও ঢের পিছিয়ে আছে। ১৬০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৮তম, যা বন্দর পরিচালনায় তার দুর্দশাগ্রস্ততার নির্দেশক।
আমরা মনে করি, এনবিআরের ওই স্ট্র্যাটেজিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও বেনাপোল বন্দরকে সচল ও গতিশীল করতে হলে পণ্য চালানের শতভাগ কায়িক যাচাই-বাছাই এবং ছাড়পত্র প্রদানসংবলিত বিদ্যমান ব্যবস্থা বদলে ফেলতে হবে। যত বেশি পর্যায়ে কায়িক যাচাই-বাছাই হবে, ততই দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতির ফাঁকফোকর সৃষ্টি হবে। সুতরাং, অনতিবিলম্বে সম্পর্ণূ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শুল্কায়নের ব্যবস্থা চালু করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ জন্য দরকার উচ্চপর্যায়ের বিশেষ রাজনৈতিক নজরদারি দরকার। কিন্তু মনে হচ্ছে, সেখানে বিরাট ঘাটতি চলছে। এর অবসান হোক।
এনবিআর কয়েক বছর ধরে আমাদের ধারণা দিয়ে চলেছে যে তারা তাদের এখতিয়ারভুক্ত প্রতিটি ক্ষেত্রে অটোমেশন চালু করবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা খুবই অনিশ্চিত অবস্থায় রয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী দুই বছর আগে কনটেইনার-সংক্রান্ত দলিলপত্র যাতে আর হাতে হাতে নিষ্পন্ন করতে না হয়, সে জন্য একটি প্রকল্প উদ্বোধন করেছিলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত তার অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য নয়। সমুদ্র ও স্থল—দুই ধরনেরই বন্দরসুবিধায় বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য দেশ, এমনকি শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও মালদ্বীপের চেয়েও ঢের পিছিয়ে আছে। ১৬০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৮তম, যা বন্দর পরিচালনায় তার দুর্দশাগ্রস্ততার নির্দেশক।
আমরা মনে করি, এনবিআরের ওই স্ট্র্যাটেজিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও বেনাপোল বন্দরকে সচল ও গতিশীল করতে হলে পণ্য চালানের শতভাগ কায়িক যাচাই-বাছাই এবং ছাড়পত্র প্রদানসংবলিত বিদ্যমান ব্যবস্থা বদলে ফেলতে হবে। যত বেশি পর্যায়ে কায়িক যাচাই-বাছাই হবে, ততই দীর্ঘসূত্রতা এবং দুর্নীতির ফাঁকফোকর সৃষ্টি হবে। সুতরাং, অনতিবিলম্বে সম্পর্ণূ স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শুল্কায়নের ব্যবস্থা চালু করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ জন্য দরকার উচ্চপর্যায়ের বিশেষ রাজনৈতিক নজরদারি দরকার। কিন্তু মনে হচ্ছে, সেখানে বিরাট ঘাটতি চলছে। এর অবসান হোক।
No comments