ক্রীতদাসীর মতো ১০ বছর, জরিমানা লাখ পাউন্ড
পাকিস্তান থেকে পাচার হয়ে যখন সে যুক্তরাজ্যে এল, সে ছিল ১০ বছরের শিশু। কানে শোনে না, কথা বলতে পারে না—এমনই দুরবস্থা তার। এর মধ্যেই তাকে পড়তে হলো বন্দিত্বের কঠিন এক গ্যাঁড়াকলে। ক্রীতদাস বনে বয়স্ক এক ব্যক্তির পরিবারে গোলামি করে যেতে হলো। বারবার ধর্ষণসহ নানা দুর্ভোগে কেটে গেল প্রায় এক দশক।
গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের একটি আদালত এই অমানবিক দাসত্বের ঘটনায় ওই পরিবারের কর্তা ও মূল হোতা ইলিয়াস আজহারকে (৮৫) এক লাখ পাউন্ড জরিমানা করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই জরিমানা এক কোটি ২২ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ টাকা।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিশু বয়সে পাকিস্তান থেকে পাচার হয়ে যুক্তরাজ্যে আসার পর ইলিয়াস পরিবারে শুরু হয় মেয়েটির বন্দী জীবন। সাবেক মনিব আজহার তাকে বহু বার ধর্ষণ করেছেন। ইলিয়াসের পরিবার মেয়েটিকে তাদের ভৃত্য হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করে।
অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাঁচ কক্ষের ভূগর্ভস্থ একটি ঘরে মেয়েটিকে আবিষ্কার করেন কর্মকর্তারা। এ সময় মেয়েটি একটি ছোট্ট খাটে ঘুমিয়ে ছিল।
মেয়েটির বয়স এখন ২০। গত বছর শুরু হওয়া বিচারে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য সে একটি সাংকেতিক ভাষা শিখেছে।
মেয়েটিকে এক লাখ ১৩ হাজার পাউন্ড অর্থ দেওয়ার জন্য ইলিয়াসের পরিবারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০০৩ সাল থেকে উদ্ধার হওয়ার আগপর্যন্ত ১০ দিন বাদ দিয়ে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে কাজ করলে ন্যূনতম যে মজুরি হয়, তার ভিত্তিতে এই অর্থ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালত বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে মেয়েটি যে অবর্ণনীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে পার করেছে, তা এই অর্থে পূরণ হওয়ার নয়। তবে এই অর্থ তাকে তার ভবিষ্যৎ জীবন কাটানো ও পুনর্বাসনে সাহায্য করবে।
মেয়েটির দোহাই দিয়ে ইলিয়াস দম্পতি রাষ্ট্রের কাছ থেকে যেসব সামাজিক সুবিধা নিয়েছেন, তা ফেরত দিতে তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেয়েটি পড়তে ও লিখতে অক্ষম। কিন্তু রাষ্ট্রের কাছ থেকে সামাজিক সুবিধা পাওয়ার জন্য ওই দম্পতি তাকে কেবল নাম লেখা শিখিয়েছিলেন।
এর আগে ধর্ষণ, পাচার ও প্রতারণার দায়ে ইলিয়াসকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাচার ও প্রতারণার দায়ে তাঁর স্ত্রী তালাতকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছর কারাদণ্ড। প্রতারণার দায়ে এই দম্পতির মেয়ে ফাইজা আজহারকে (৪৬) সামাজিক সেবা দেওয়ার দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, অপরাধের জন্য আসামিরা কোনো অনুশোচনা করেননি। তাঁরা চরম অরুচিকর, কৌশলী ও অসৎ মানুষ। তাঁরা ওই মেয়েটির প্রতি মানুষের মতো আচরণ করেননি।
গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যের একটি আদালত এই অমানবিক দাসত্বের ঘটনায় ওই পরিবারের কর্তা ও মূল হোতা ইলিয়াস আজহারকে (৮৫) এক লাখ পাউন্ড জরিমানা করেছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই জরিমানা এক কোটি ২২ লাখ ৫২ হাজার ৬০০ টাকা।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিশু বয়সে পাকিস্তান থেকে পাচার হয়ে যুক্তরাজ্যে আসার পর ইলিয়াস পরিবারে শুরু হয় মেয়েটির বন্দী জীবন। সাবেক মনিব আজহার তাকে বহু বার ধর্ষণ করেছেন। ইলিয়াসের পরিবার মেয়েটিকে তাদের ভৃত্য হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করে।
অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে পাঁচ কক্ষের ভূগর্ভস্থ একটি ঘরে মেয়েটিকে আবিষ্কার করেন কর্মকর্তারা। এ সময় মেয়েটি একটি ছোট্ট খাটে ঘুমিয়ে ছিল।
মেয়েটির বয়স এখন ২০। গত বছর শুরু হওয়া বিচারে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য সে একটি সাংকেতিক ভাষা শিখেছে।
মেয়েটিকে এক লাখ ১৩ হাজার পাউন্ড অর্থ দেওয়ার জন্য ইলিয়াসের পরিবারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ২০০৩ সাল থেকে উদ্ধার হওয়ার আগপর্যন্ত ১০ দিন বাদ দিয়ে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে কাজ করলে ন্যূনতম যে মজুরি হয়, তার ভিত্তিতে এই অর্থ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আদালত বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে মেয়েটি যে অবর্ণনীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে পার করেছে, তা এই অর্থে পূরণ হওয়ার নয়। তবে এই অর্থ তাকে তার ভবিষ্যৎ জীবন কাটানো ও পুনর্বাসনে সাহায্য করবে।
মেয়েটির দোহাই দিয়ে ইলিয়াস দম্পতি রাষ্ট্রের কাছ থেকে যেসব সামাজিক সুবিধা নিয়েছেন, তা ফেরত দিতে তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মেয়েটি পড়তে ও লিখতে অক্ষম। কিন্তু রাষ্ট্রের কাছ থেকে সামাজিক সুবিধা পাওয়ার জন্য ওই দম্পতি তাকে কেবল নাম লেখা শিখিয়েছিলেন।
এর আগে ধর্ষণ, পাচার ও প্রতারণার দায়ে ইলিয়াসকে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাচার ও প্রতারণার দায়ে তাঁর স্ত্রী তালাতকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছর কারাদণ্ড। প্রতারণার দায়ে এই দম্পতির মেয়ে ফাইজা আজহারকে (৪৬) সামাজিক সেবা দেওয়ার দণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায়ে আদালত বলেছেন, অপরাধের জন্য আসামিরা কোনো অনুশোচনা করেননি। তাঁরা চরম অরুচিকর, কৌশলী ও অসৎ মানুষ। তাঁরা ওই মেয়েটির প্রতি মানুষের মতো আচরণ করেননি।
No comments