৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ইতিহাসের অস্বাভাবিক ঘটনা -এটিএম শামসুল হুদা by লুৎফর রহমান ও তামান্না মোমিন খান
দেশে বিদ্যমান সঙ্কটের মূলে বয়কটের
রাজনীতি বড় কারণ উল্লেখ করে এ থেকে উত্তরণে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের
তাগিদ দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এটিএম শামসুল হুদা। তিনি
বলেছেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ছিল ঐতিহাসিক বিচ্যুতি। এ নির্বাচন রাজনৈতিক
ইতিহাসে একটি অস্বাভাবিক ঘটনা। পৃথিবীর কোন গণতান্ত্রিক দেশে অতীতে এমন
নির্বাচন হয়নি। বর্তমানে নির্বাচন ব্যবস্থা রাজনৈতিক পক্ষের অস্তিত্ব
রক্ষার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। এ কারণে এক পক্ষ কোনভাবেই ক্ষমতা ছাড়তে চায় না
আর অন্য পক্ষ যে কোন উপায়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। দলগুলোর এই মানসিকতা সঙ্কট
তৈরি করছে। নির্বাচন হয়ে উঠছে বাঁচা-মরার লড়াই। দেশের ইতিহাসে সফল একটি
নির্বাচন পরিচালনার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সাবেক এই সিইসি বলেন, কেবল নির্বাচন
হলেই দেশে গণতন্ত্র আসে না। শুধু নির্বাচনকেই গণতন্ত্র বলা যায়। আমরা
পশ্চিমা দেশের গণতন্ত্র অনুসরণ করি। কিন্তু তাদের গণতান্ত্রিক রীতিনীতি
মানি না। তাহলে তো আর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। মানবজমিনকে দেয়া
সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা ড. এটিএম শামসুল হুদা এখন
অনেকটা সময় কাটাচ্ছেন একান্তে। রাজনৈতিক আলোচনা থেকে যথাসাধ্য নিজেকে দূরে
রাখার চেষ্টা করেন। তবে দূরে থেকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন রাজনৈতিক
পরিস্থিতি।
তিনি জানিয়েছেন, রাজনীতি নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়, অনেক আলোচনা- সমালোচনা হয়। কিন্তু দেশের রাজনীতির কোন পরিবর্তন হয় না। অথচ সত্য কথা বলতে গিয়ে অনেকে অপমানিত হন, অপদস্ত হন। তিনি বলেন, রাজনৈতিকভাবে দেশটা ভীষণভাবে বিভাজিত। আমাদের দেশে যারা নির্বাচনে বিজয়ী হয় তারাই সব পারে। দেশের সবকিছু তাদের হয়ে যায়। এখানে বিরোধী দলের কোন জায়গা নেই। যার ফলে নির্বাচন বাঁচা-মরা, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। বৈধ উপায়ে হোক বা অবৈধ উপায়ে হোক বিজয় ছিনিয়ে আনার প্রতিযোগিতার ডামাডোলে অনেক অপসংস্কৃতি ও অনাচার সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দশম সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া কোন নির্বাচনই সুন্দর হয় না। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনার জন্য ইসি’র চেষ্টা যথার্থ ছিল বলে মনে হয় না। একটি প্রধান দল যখন নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে গেল তখন নির্বাচন কমিশনের আইন প্রয়োগেরও সুযোগ কমে গেল। ১৫৪টি আসনে নির্বাচনই হলো না। তখন পরিস্থিতি নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। বিরোধী দল বললো তত্ত্বাবধায়ক না হলে নির্বাচনে আসবে না। নির্বাচনকেন্দ্রিক যে কোন বিষয় নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার বিষয় তো সরকারের হাতে থাকে না। এমন অবস্থায়ই নির্বাচন করতে হয়েছে। তবে ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন ছিল অতি অস্বাভাবিক একটি বিষয়। কোন নির্বাচনে এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। দুনিয়ার কোন দেশে এমন নির্বাচন হয়েছে বলেও মনে হয় না।
তিনি বলেন, যোগ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ না দিয়ে যদি দলীয় লোকদের নিয়োগ দেয়া হয় তাহলে এধরনের বিচ্যুতি বারবারই ঘটবে। ’৯১ সালের পর থেকে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে, কিন্তু পরাজিত দল কখনওই এটি গ্রহণ করেনি।
ড. হুদা বলেন, পাশ্চাত্যের গণতন্ত্রকে অনুসরণ করছি আমরা। কিন্তু গণতন্ত্রের ব্যবহার ও বাধ্যবাধকতা আমরা মানছি না। বাংলাদেশের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে এই পরস্পর বিরোধিতা। এটিও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বড় বাধা।
তিনি বলেন, পারতপক্ষে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু পারিপার্শ্বিকতার জন্য পারে না। সমস্যা হচ্ছে, অনেক কমিশনে সঠিক লোক নিয়োগ করা যায় না। এটা একটা দুঃখজনক বিষয়। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে, তাদের দলীয় পরিচয় কি, চারিত্রিক দৃঢ়তা, যোগ্যতা এসব বিষয় নিয়ে কেউ পর্যালোচনা করে না। নিয়োগ দেয়ার সময় কথা বলে না। প্রতিবাদ হয় না। এমনকি বিরোধী দলও এ বিষয়ে কথা বলে না। অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তানে কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশে বিরোধী দলের বয়কটের রাজনীতির কারণেও সঠিক সময় সঠিক প্রতিবাদও হয় না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে মাঝপথে আন্দোলন না করে যখনই কমিশনকে নিয়োগ দেয়া হয় তখনই প্রতিবাদ করা উচিত। তখন কেউ কিছু বলে না। ভারতে মনমোহন সিং-এর সরকার একজনকে দুর্নীতি দমন কমিশনে নিয়োগ দিলো। তখন বিরোধী দল ব্যাপক হইচই শুরু করে দিলো। সরকার বাধ্য হলো ওই নিয়োগ বাতিল করতে।
তিনি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রথম সোপান। আমরা যদি ধরেও নেই বাংলাদেশে ভাল নির্বাচন হয়েছে তারপরও পরিণত গণতন্ত্র পেতে আরও অনেক কিছুর দরকার। পরিণত গণতন্ত্রে আসতে হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে হবে, শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। দায়িত্বশীল আমলাতন্ত্র গড়ে তুলতে হবে। এটি না করতে পারলে ভাল নির্বাচন করলেও ভাল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। কিন্তু আমাদের দেশে নির্বাচন হলেই বলা হয় গণতন্ত্র কায়েম হয়ে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশে গণতন্ত্রের বাকি মৌলিক বিষয়গুলো পরিপোষণ করার চেষ্টা করছি না আমরা। নির্বাচনকেই গণতন্ত্রের একমাত্র মাধ্যম মনে করছি।
সাবেক এ সিইসি বলেন, বৃটিশ ও পাকিস্তান আমল থেকে আমরা উত্তরাধিকার সূত্রে ভাল ভাল প্রতিষ্ঠান পেয়েছি। ভাল বিচার ব্যবস্থা ছিল এবং বেশ কিছু আইন পেয়েছিলাম যা বৃটিশ আমল থেকে পাকিস্তান আমল এমনকি বাংলাদেশ হওয়ার সময়ও ছিল। যে কোন উপায়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে এই মানসিকতা থেকেই এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করা হয়। যখন যে দলই এসেছে সেই দলই এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজেদের করে নেয়ার চেষ্টা করেছে। দলীয় লোক বসিয়ে অধিকার করা হয়েছে। এতে প্রাইমারি থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষায় মেধার কোন জায়গা থাকছে না।
সাংবিধানিক পদে যোগ্য লোক নিয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, সংবিধানে বলা আছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগ করতে তারা কি ধরনের হবে, তাদের যোগ্যতা কি হবে সে সম্পর্কে আইন তৈরি করতে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন আইন হয়নি। আমরা নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইনের খসড়া জমা দিয়েছিলাম। সেটি আলোর মুখ দেখেনি। শুধু যে নির্বাচন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তা নয় দেশে সুশাসনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে। আমরা আগের কমিশনের ভালো দিকগুলো গ্রহণ করেছিলাম। রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ সবার সঙ্গে আলোচনা করে ইসি’র সংস্কার করেছিলাম। আমরা বর্তমান কমিশনের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা করে রেখে এসেছিলাম। আমাদের প্রত্যাশা ছিল কমিশন এটিকে এগিয়ে নেবে। কিন্তু মনে হচ্ছে বর্তমান কমিশন আমাদের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়। এমনকি আমরা যেসব কাজ করে এসেছি তারা তা করছে না। বিএনপির অনেক বাধার মুখেও আমরা ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করেছি। আমরা খুব আশাবাদী ছিলাম ইভিএম নিয়ে। পৃথিবীর বহু দেশে ইভিএমে নির্বাচন হচ্ছে। ভারতেও হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হলে অনেক সমস্যার সমাধান হতো। মান্ধাতার আমলের সিলগালা আর মোমবাতি দিয়েতো এখন আর নির্বাচন চলে না। এতে ঝক্কি ঝামেলা অনেক বেশি। প্রচলিত পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে আরও অনেক সমস্যা আছে। যার অনেক কিছুই বাইরে প্রকাশ হয় না। আমরা নিজেরাও বলি না। ইভিএমে ভোটগ্রহণ হলে এসব সমস্যা থাকার কথা না।
ড. হুদা বলেন, বর্তমান কমিশন নিয়ে আমি সমালোচনা করতে চাই না। তবে আমাদের কমিশন যে সংলাপের শুরু করেছিল তা থেকেও সরে এসেছে বর্তমান ইসি। গায়ের জোরে অনেক আইন করা যায়। তবে আইনের বিষয়টি অনেক স্পর্শকাতর।
তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত আইনের ৯১/ই ধারা বাতিল করতে চেয়ে তারা খামোখা নিজেরাই বিতর্কিত হয়েছে। আমরা যে ধারাটা রেখে এসেছিলাম সেই ধারাটা তারা ধরে রাখতে পারেনি, আমরা যেভাবে উপজেলা নির্বাচন করেছিলাম তা তারা অনুসরণ করেনি। আমরা উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কঠোর ছিলাম। নির্বাচন কমিশনের কঠোর মনোবল ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করা সম্ভব না। আমরা যখন উপজেলা নির্বাচন করলাম তখন কয়েকজন এমপিকে আইনের ভয় দেখিয়ে বিধি লঙ্ঘন থেকে বিরত রেখেছি।
উপজেলা নির্বাচন ধাপে ধাপে করায় সহিংসতা বেড়েছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ধাপে ধাপে উপজেলা নির্বাচন হলে আরও সুষ্ঠু হওয়ার কথা। এতে লোকবল বেশি পাওয়া যায়। নির্বাচনী এলাকা ছোট হলে এতে বেশি জনবল নিয়োগ করা যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কড়া নজরদারি রাখতে পারে। নির্বাচন কমিশনও ভালভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারে। কিন্তু কেন তা হলো না জানি না। গত জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ না থাকার পেছনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ’৯০ পরবর্তী সবগুলো নির্বাচনে ৭০ ভাগের বেশি ভোট পড়েছে। যা একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য ঈর্ষণীয় বিষয়।
কিন্তু মানুষ তখনই ভোটে যায় না যখন ভোটাররা মনে করে নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই। এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেই। নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে সংখ্যালঘু এবং নারী ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন না। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের হিসাবে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছিল। ভোটের এই হার নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা রয়েছে। এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে শামসুল হুদা বলেন, একতরফা নির্বাচনে এমনই হয়। যতই কমিশন ভোট বাড়াতে চায় না কেন কেউ এটি গ্রহণ করবে না। কারণ মানুষ সব দেখেছে। কাজেই তারা যা বলছে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না। এটি নিয়ে আলোচনা করেও কোন লাভ নেই। এই আলোচনার কোন মূল্য নেই।
দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সঙ্কট চলছে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে। আসলে সমস্যাটা রাজনৈতিক। সমস্যার মূলে বয়কটের রাজনীতি। একটি পক্ষ নির্বাচন বয়কট করে এখন ফেঁসে গেছে। বয়কট কখনও ভাল ফল বয়ে আনতে পারে না। আর এখন যে সমস্যা চলছে তা সমাধানে আলোচনার মধ্যেই যেতে হবে। বিরোধী দল যে প্রতিবাদ করছে তাদেরটা অব্যাহত থাকবে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেই তাদের সামনে এগোতে হবে। মানুষ জ্বালাও-পোড়াও পছন্দ করে না। এগুলো যারাই করবে তাদের প্রতি জনসমর্থন থাকবে না।
তবে আলোচনা না হলে সমাধান বের হবে না। তিনি বলেন, রাজনীতির বাইরে বড় সঙ্কট নেই। সাধারণ মানুষ দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিচ্ছে। ব্যক্তিখাতের প্রসার ঘটছে। মোট কথা হলো মানুষ শান্তিতে থাকতে চায়, জীবনের নিরাপত্তা চায়।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় নাগরিকরা সেবা পাচ্ছেন না। আইনের মারপ্যাঁচে যাকেই প্রশাসন দেয়া হচ্ছে তিনি তিন মাসের বেশি থাকতে পারছেন না। আমরা ঢাকার ভোটার তালিকা করতে পারিনি। পারলে তখনই নির্বাচন করে ফেলতে পারতাম। সিটি করপোরেশনের আইনে আছে সময়ের মধ্যে থাকলে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করতে পারে। তবে ব্রেক হয়ে গেলে নির্বাচন করতে হলে সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। ঢাকা সিটি করপোরেশনেও এমন অবস্থা হয়েছে। এখন সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া নির্বাচন করা যাবে না। তিনি বলেন- প্রশাসক দিয়ে ডিসিসি চলতে পারে না, এ কারণে নির্বাচন জরুরি।
No comments